হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারক উনার স্পর্শ মুবারকে খাদ্যদ্রব্যে অভাবনীয় বরকত

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারক উনার স্পর্শ   মুবারকে খাদ্যদ্রব্যে অভাবনীয় বরকত


(১)

হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গিয়ে দেখলাম, তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নছীহত মুবারক করছেন। উনার পেট মুবারক উনার উপরে তখন কাপড়ের পট্টি মুবারক বাঁধা ছিলো। আমি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহুম উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার পেট মুবারক উনার উপর কাপড়ের পট্টি মুবারক বাঁধা কেন? উনারা বললেন, ক্ষুধার জন্য। অতঃপর আমি আমার পিতা উনার নিকট গিয়ে এ কথা ব্যক্ত করলে তিনি আমার মাতা উনার নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, খাবার কোন কিছু আছে কি? তিনি বললেন, কয়েকটি রুটি এবং খেজুর আছে। যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের এখানে একাকী তাশরীফ মুবারক নেন, তবে তিনি তৃপ্তি সহকারে আহার করতে পারবেন। অবশ্য অন্য কাউকে সাথে আনলে খানা কম হয়ে যাবে। তখন আমার পিতা আমাকে বললেন, আপনি গিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট দাঁড়িয়ে থাকুন। যখন সকল ছাহাবীগণ উনারা চলে যাবেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নিজ গৃহের কাছে গিয়ে পৌঁছবেন, তখন উনাকে বলবেন যে, আমার পিতামাতা আপনাকে আমাদের গৃহে তাশরীফ নেয়ার জন্য আরজি পেশ করেছেন। আমি গিয়ে পিতা উনার কথার অনুরূপ কাজ করলাম; কিন্তু যখন আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম যে, আমার পিতামাতা আপনাকে দাওয়াত করেছেন। তখন তিনি সকল ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে ডেকে আনলেন এবং আমার হাত শক্ত করে ধরে রাখলেন। আমাদের গৃহের নিকট পৌঁছার পর তিনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন।

আমি গৃহে প্রবেশকালে ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সংখ্যার আধিক্যের কারণে চিন্তান্বিত হয়ে পড়লাম। আমি আমার পিতা উনাকে বললাম, আমি আপনার আদেশানুযায়ীই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কথাটি বলেছিলাম; কিন্তু তিনি নিজ থেকেই সকল ছাহাবী উনাদেরকে ডেকে নিয়ে এখানে তাশরীফ এনেছেন। আমার পিতা এসে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, যে পরিমাণ লোক আপনার সাথে আগমণ করেছেন, সে পরিমাণ খাবার তো আমার ঘরে নেই। উনার কথা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনি ঘরে চলে যান। যে পরিমাণ খানা আপনার নিকট আছে তাতেই মহান আল্লাহ পাক তিনি বরকত দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! তখন আমার পিতা তিনি গৃহে প্রবেশ করে বললেন, ঘরে যতটুকু যা কিছু আছে তাই একত্রিত করে নিয়ে আসুন। তখন তদ্রƒপই করা হল। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বরকতের দোয়া করে ছাহাবীগণ উনাদেরকে বললেন, আপনাদের মধ্য হতে প্রথমে আটজন আসুন। সে মতে আটজন ছাহাবী চলে আসলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পবিত্র হাত মুবারক খাদ্যের উপর রেখে দিলেন এবং বললেন, আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক নিয়ে আহার শুরু করুন। হযরত ছাহাবীগণ উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আঙ্গুল মুবারক উনার মাঝখান থেকে খাবার তুলে আহার শুরু করলেন এবং প্রত্যেকেই পূর্ণ তৃপ্তি সহকারে আহার করলেন। এরপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনারা আরো আটজন আসুন। এভাবে মোট আশিজন প্রত্যেকেই পেটভরে আহার করলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে এবং আমার পিতামাতা উনাদেরকে ডেকে বললেন, এখন আপনারা আহার করুন। তখন আমরাও পূর্ণ তৃপ্তি সহকারে আহার করলাম। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাদ্যের উপর থেকে হাত মুবারক তুলে নিয়ে বললেন, হে হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা! আপনার পেশকৃত খাদ্য একই পরিমাণ আছে। হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি বললেন, আমাদের পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হউক। আমি উনাদেরকে খেতে না দেখলে এটাই বলতাম যে, আমার পেশকৃত খাবার এতটুকুও হ্রাস পায়নি। সুবহানাল্লাহ!

(২)

হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনাকে শাদী মুবারক করার সময় আমার মাতা আমাকে বললেন, হে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গত রাতে শাদী মুবারক করেছেন। তবে আমার মনে হচ্ছে যে, উনার হুজরা শরীফে বর্তমানে খাবার মতো কোন কিছু না থাকারই কথা। কারণ তিনি তো সমস্ত খাবার মানুষদেরকে খাওয়ায়ে দিয়েছেন। সুতরাং আপনি আমাদের ঘরে যে ঘি এবং খেজুর আছে, তা নিয়ে আসুন। আমি তা নিয়ে আসলাম। আমার মাতা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে পেশ করার জন্য উহা দ্বারা হালিম রান্না করলেন। অতঃপর তিনি আমাকে সেই হালিম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনাদের খিদমত মুবারকে নিয়ে যেতে বললেন। আমি একটি পাথরের পাত্রে করে সেগুলো নিয়ে গেলাম। উহা দেখে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, এগুলো হুজরা শরীফ উনার এক কোণে রেখে দিন এবং আপনি হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম, হযরত যুননূরাইন আলাইহিস সালাম, হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাদের ডেকে আনুন। আর যাঁরা মসজিদে আছে এবং পথে যাঁদের সাথে আপনার দেখা হয় উনাদের সকলকেই ডেকে আনুন। হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, খাবার বস্তুর স্বল্পতা এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের আধিক্যের কথা ভেবে আমি চিন্তিত হলাম। যাই হোক আমি সকলকে ডেকে আনলাম। এত অধিক মেহমান আসলেন যে, হুজরা শরীফ লোকে পরিপূর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনি সেই হালিম নিয়ে আসুন। আমি হালিম ভর্তি সেই পাথরের পাত্রটি নিয়ে আসলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সে পাত্রে উনার পবিত্র হাত মুবারক উনার তিনটি আঙ্গুল মুবারক স্থাপন করলেন। (খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া) পাত্রে হালিম বৃদ্ধি পেয়ে উঁচু হয়ে উঠতে লাগলো। সুবহানাল্লাহ! আর মেহমানগণ তা হতে আহার করতে লাগলেন। যখন সকল মেহমানের আহার করা শেষ হলো, দেখা গেল, তখনও পাত্রে সেই পরিমাণ হালিম রয়ে গেছে, যে পরিমাণ তা রান্না করা হয়েছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এখন ইহা উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার নিকট পেশ করুন। হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এই হালিম আহারকারী মেহমান উনাদের সংখ্যা ছিল বাহাত্তর জন। সুবহানাল্লাহ!

(৩)

হযরত ওয়াছিলা ইবনে আসক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন। আমি আছহাবে ছুফফা উনাদের অন্যতম ব্যক্তি ছিলাম। আমার সাথী উনারা আমাকে বললেন, আপনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গিয়ে আমাদের ক্ষুধার কথা জানান। আমি গিয়ে একথা উনাকে বললাম। তিনি শুনে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনার নিকট খাবার কিছু আছে কি? তিনি বললেন, কোন কিছুই নেই, শুধু কয়েকটি রুটি আছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তা নিয়ে আসুন। তা আনা হলে একটি খাঞ্চায় রেখে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ পবিত্র হাত মুবারক দ্বারা ছরীদ তৈরী করলেন। দেখা গেল উহা বৃদ্ধি পেয়ে খাঞ্চাটি ভর্তি হয়ে গেল। এরপর তিনি আমাকে ডেকে বললেন, আপনি গিয়ে আপনার দশজন সাথীকে নিয়ে আসুন। উনারা উপস্থিত হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনারা খাঞ্চার একপাশ থেকে আহার শুরু করুন। মাঝখান থেকে খাবেন না। কেননা ঐ স্থান থেকে বরকত আসে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী সকলেই খাওয়া শুরু করলেন এবং তৃপ্তি সহকারে খাওয়া শেষ করলেন। পরে দেখা গেল, পাত্রে ছারীদ যতটুকু ছিল, ঠিক ততটুকুই রয়ে গেল। এরপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় পবিত্র হাত মুবারক দ্বারা পাত্রের ছরীদটুকু ঠিকঠাক করে রাখলেন। তখন তা পূনরায় বৃদ্ধি পেয়ে পাত্র সম্পূর্ণরূপে ভর্তি হয়ে গেল। তখন তিনি বললেন, এবার আরো দশজনকে ডেকে আনুন। উনারা এসে তৃপ্তি সহকারে আহার করলেন। পূনরায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, লোকজন আরো বাকী আছে কি? আমি বললাম, জি, আরো দশজন বাকী আছে, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি বললেন, উনাদেরকে ডেকে আনুন। তখন উনারাও এসে তৃপ্তিসহকারে আহার করলেন। তখন দেখা গেল যে,পাত্রে যে পরমাণ ছরীদ ছিল, সেই পরিমানই রয়ে গেছে। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এখন এগুলো উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকে নিয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!

(৪)

উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছাফিয়্যাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার হুজরা শরীফ এসে বললেন, আপনার নিকট কোন খাবার আছে কি? আমি বললাম, মাত্র দুই মুষ্টি আটা আছে। তিনি বললেন, উহা ভেঁজে নিন। তখন আমি ঐ আটা ডেকচিতে ঢেলে ভাঁজলাম। একটি পাত্রে সামান্য ঘি ছিল। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা ডেকচিতে উপুড় করে ঢেলে দেন। অতঃপর উনার পবিত্র হাত তার উপর স্থাপন করে বললেন, আপনি আপনার ভগ্নি উনাদেরকে ডাকেন। কারণ আমি জানি যে আমার ন্যায় উনারাও ক্ষুধার্ত। তখন আমি উনাদেরকে ডেকে আনলাম এবং সকলে মিলে তৃপ্তি সহকারে আহার করলাম। এরপর হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং আরও কয়েকজন আসলেন এবং উনারাও তৃপ্তি সহকারে আহার করেন এবং এরপরেও খাবার উদ্বৃত্ত রয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ!

(৫)

হযরত আবু হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এক বেদুঈন মেহমান আগমন করলেন। উনাকে খেতে দেয়ার মত শুধু একটি শুকনা রুটির টুকরা ছিল। তিনি ওটাই ছিড়ে টুকরা টুকরা করতঃ মেহমানকে ডেকে বললেন, নিন এটাই আহার করুন। বেদুঈন মেহমান তা খেয়েই পরিতৃপ্ত হলেন এবং তারপরও খাবার উদ্বৃত্ত থাকল। সুবহানাল্লাহ! বেদুঈন ব্যক্তি উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, সত্যিই আপনি এক মহান ব্যক্তি। সুবহানাল্লাহ!

(৬)

হযরত আবু আইয়্যুব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত ছিদ্দিক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাদের জন্য খাবার তৈরী করলাম। উহা উনাদের দুইজনের জন্যই যথেষ্ট হতো; কিন্তু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, যান, গিয়ে বিশিষ্ট আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্য হতে ত্রিশজনকে ডেকে আনুন। আমি যা প্রস্তুত করেছি তাতে ঐ দুইজন ব্যতীত আরও ত্রিশজনকে ডেকে আনব, এতে আমি খুবই ভাবনায় পড়লাম। যে কারণে আমি যেতে বিলম্ব করতে লাগলাম; কিন্তু তিনি আবারও বললেন, যান, ত্রিশজনকে ডেকে আনুন। মোটকথা আমি উনাদেরকে ডাকলাম এবং উনারা আসলেন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এখন উনাদেরকে খাবার দিন। তখন আমার নিকট যে খাবার ছিল, আমি তাই উনাদের সামনে নিয়ে পেশ করলাম। মহান আল্লাহ পাক উনার দয়া উনারা সকলেই সেই খাবার পরিতৃিপ্তসহকারে আহার করলেন। অতঃপর সকলেই বললেন, সত্যিই আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। বিদায়ের প্রাক্কালে উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারকে হাত রেখে বাইয়াত হলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, এখন গিয়ে আরও ষাটজন লোককে ডেকে আনুন। আমি গিয়ে ডাকলাম এবং উনারাও আসলেন। এভাবে মোট একশত আশিজন লোক ঐ খানা আহার করলেন। সুবহানাল্লাহ!

(৭)

হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, আমরা একশত ত্রিশজন লোক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনাদের মধ্যে কারোও নিকট খাবার কিছু আছে কি? শুধু এক ব্যক্তির নিকট মাত্র একছা’ গম পাওয়া গেল। তাই পিষে নেয়া হলো। আর এক ব্যক্তির নিকট একটি বকরী ছিলো। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নিকট হতে বকরীটি খরিদ করে যবেহ করলেন। ওটার গোশত রান্না করা হলো এবং কলিজা পৃথকভাবে ভুনা করা হলো। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রত্যেক উপস্থিত ব্যক্তিকে এক একটি করে কলিজার টুকরা দিলেন এবং যারা তখনও উপস্থিত হননি, উনাদের প্রত্যেকের জন্যও একেকটি করে টুকরা পৃথক করে রেখে দিলেন। বকরীর গোশত দ্বারা দুইটি পাত্র ভর্তি হলো। অতঃপর প্রত্যেকেই পরিতৃপ্তভাবে গোশত খেলেন এবং দুইটি পাত্রেই উহা উদ্বৃত্ত রইল। তারপর তা নিয়ে উটের পিঠে রেখে দেয়া হলো। সুবহানাল্লাহ!

(৮)

হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন। হযরত আবু হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কসম করে বললেন, আমার ক্ষুধার তাড়না সহ্য করার অত্যধিক ক্ষমতা ছিলো। আমি ক্ষুধার তাড়নায় পেটে পাথর বাধতাম। একদা আমি অত্যধিক ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাস্তার পার্শ্বে বসেছিলাম। ঐ সময় আমার নিকট দিয়ে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন। আমি উনাকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একটি পবিত্র আয়াত শরীফ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। এতে আমার উদ্দেশ্য ছিলো যে, তিনি যেন আমার অবস্থাটি বুঝতে পেরে আমাকে উনার সঙ্গে নিয়ে যান। কিন্তু তিনি আমাকে নিলেন না। এরপর হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ঐস্থানে এসে পড়লেন। আমি সেই একই উদ্দেশ্যে উনাকেও ঐ পবিত্র আয়াত শরীফ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম; কিন্তু তিনিও আমাকে সঙ্গে নিলেন না। একটু পরেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই পথে এসে পড়লেন। তিনি আমাকে দেখে মৃদু হাসলেন এবং আমার অবস্থা বুঝে নিয়ে বললেন, হে আবু হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনি আমার সাথে চলুন। আমি উনার সাথে চলে গেলাম। তিনি গিয়ে উনার গৃহে প্রবেশ করলেন। আমিও গৃহে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি পাওয়া গেল। আমি দেখলাম, গৃহে এক পেয়ালা দুধ রয়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গৃহের লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ দুধ আসল কোথা থেকে? উনারা বললেন, অমুক ব্যক্তি আপনার জন্য মুবারক হাদিয়া স্বরূপ পাঠিয়েছেন। তিনি আওয়াজ দিলেন, হে আবু হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আমি বললাম, উপস্থিত আছি ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি বললেন, আপনি গিয়ে আছহাবে ছুফফা উনাদেরকে ডেকে আনুন।

হযরত আবু হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আছহাবে ছুফফাগণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মেহমানতুল্য ছিলেন। উনাদের কোন বাসস্থান বা অর্থকড়ি মাত্র ছিলো না। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কখনও কোন ছদকার বস্তু আসলে তিনি তা উনাদের নিকট পাঠিয়ে দিতেন। এ থেকে নিজে কিছু গ্রহণ করতেন না। অবশ্য কখনও হাদিয়ার বস্তু আসলে তা হতে নিজেও কিছু গ্রহণ করতেন এবং আছহাবে ছুফফাহ উনাদেরকেও কিছু পাঠিয়ে দিতেন। মোট কথা উনাদেরকে ডেকে আনার আদেশ মুবারক শুনে আমি ভাবলাম যে, এত অধিক লোকের মধ্যে এই সামান্য দুধ দ্বারা কি হবে? আমি আশা করছিলাম যে, আমার ক্ষুধা ও পিপাসা নিবৃত্ত করার পরিমাণ দুধই পেয়ে যাব। এখন তো আছহাবে ছুফফাগণ আসলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার দ্বারাই দুধ বণ্টন করাবেন। এমতাবস্থায় আমি আর কতটুকু দুধ পাব? তবে উনার আদেশ মুবারক পালন করা ফরয। তাই আমি আছহাবে ছুফফাহ উনাদেরকে ডেকে আনলাম। উনারা এসে বসে গেলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত আবু হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আমি বললাম, হাজির আছি ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি বললেন, এই দুধ নিয়ে উনাদেরকে পান করতে দিন। তখন আমি দুধের পাত্র হাতে নিয়ে প্রত্যেককে তা পান করতে দিলাম। সকলেই পরিতৃপ্তভাবে তা পান করলেন। অবশেষে আমি দুধের পাত্র নিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গেলাম। তিনি আমার নিকট হতে দুধের পাত্র নিজ হাত মুবারকে নিলেন এবং আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বললেন, হে আবু হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আমি বললাম, হাজির আছি ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি বললেন, এখন আমি আর আপনিই বাকী রয়েছি। আমি বললাম, জি, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি বললেন, তবে আপনি বসে এখন দুধ পান করুন। আমি বসে পান করলাম। তিনি বললেন, আরও পান করুন। এ কথা তিনি আমাকে পর পর কয়েকবারই বললেন এবং আমিও পান করতে লাগলাম। অবশেষে বললাম, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! যিনি আপনাকে সম্মানিত রসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আমার পেট এখন সম্পূর্ণরূপে ভর্তি হয়ে গেছে। এ কথা বলে আমি দুধের পাত্রটি উনার হাত মুবারকে দিলাম। তিনি তখন মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করতঃ উনার নাম মুবারক উচ্চারণ করে বাকী দুধটুকু নিজে পান করলেন। সুবহানাল্লাহ!

(৯)

আমীরুল মু’মিনীন, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, কোন এক রাত্রে আমরা কোন কিছু আহার না করেই ঘুমিয়ে পড়লাম। প্রত্যুষে জাগ্রত হয়ে আমি কিছু খাদ্য সংগ্রহে ব্যাপৃত হলাম এবং এক দিরহাম দিয়ে কিছু আটা ও গোশত খরিদ করে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার নিকট নিয়ে আসলাম। তিনি তা রান্না করতঃ আমাকে বললেন, আব্বাজান উনাকে ডেকে আনলে ভাল হতো। তখন আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট চলে গেলাম। তিনি তখন শায়িতাবস্থায় ছিলেন এবং কিছুটা ক্ষুধার্তও ছিলেন। আমি উনার নিকট আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের গৃহে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, আপনি চলুন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন আমাদের গৃহে আসলেন, তখনও খাবারের ডেকচি উনুনের উপর টগবগ করছিল। তিনি বললেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার জন্যও কিছু খাবার উঠিয়ে রাখুন। তখন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি একটি পাত্রে উনার জন্য কিছু খাবার উঠিয়ে রাখলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আবার বললেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত হাফছাহ আলাইহাস সালাম উনার জন্যও কিছু খাবার উঠিয়ে রাখুন। হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার জন্যও উঠিয়ে রাখলেন। এইভাবে এক এক করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নয়জন আহলিয়া উনাদের জন্যই খাবার উঠিয়ে রাখা হলো। এরপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এখন আপনি আপনার পিতা এবং আহাল উনার জন্য খাবার উঠান এবং নিজের জন্যও উঠিয়ে নিন। হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সকলের খাবার উঠিয়ে নিয়ে আমি যখন ডেকচিটি উনুনের উপর হতে তুলে নিলাম, দেখলাম, তখনও তা সম্পূর্ণরূপে খাবার দ্বারা ভর্তি রয়েছে। মোটকথা আমরা সকলেই তৃপ্তিসহকারে আহার করলাম। সুবহানাল্লাহ!

(১০)

হযরত আবু হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক রাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাহিরে এসে আমাকে বললেন, আছহাবে ছুফফা উনাদেরকে ডেকে আনুন। আমি উনাদেরকে ডেকে আনলে তিনি উনার সামনে একটি খাঞ্চা রেখে দিলেন, যার মধ্যে সম্ভবতঃ একমুদ পরিমাণ যবের খাদ্য ছিলো। তিনি উনার পবিত্র হাত মুবারক উনার উপর রেখে বললেন, নিন, বিসমিল্লাহ বলে খেতে শুরু করুন। আমরা প্রায় সত্তর-আশিজন লোক ছিলাম। সকলে পেট ভরে আহার করলাম। দেখা গেল এরপরেও খাদ্য পূর্ববৎ রয়েছে এবং খাদ্যের উপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অঙ্গুলি মুবারক উনার চিহ্ন বিদ্যমান। সুবহানাল্লাহ!


-আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম