বোম্বিং করে করে!
বখাটে মৌল্ভী জুলফি চাঁছিয়া পালায় বন বাঁদারে।
তারা যে শিখেছে ইহুদীর থেকে ছল্ করা কৌতুক,
তারা নিকৃষ্ট ঐ নরজানোয়ার লুফে লয় যৌতুক।
প্রগতি পাড়ায় ঘুড়ায় নারীরে গরু-ছাগলের মত,
যত্র-তত্র ভোগ করে করে ইজ্জত করে ক্ষত।
সারা জীবনের বন্দিগী সব ধ্বংস করতে হলে,
নারীই হচ্ছে সহজ গুর্জু বজ্র মিশাইল মিলে।
ঐ দাইয়্যূছ করিতে মহিলারা হয় মোক্ষম হাতিয়ার,
তাহা-দি ঘায়েল সহজেই হয় মুসলিমি গতিয়ার।
সে পথেও রণ মহামুজাদ্দিদ, লয়ে তাঁর তাজদীদ,
থম্কায় যায়, বিষাদে গড়ায় উবে গেল নন্দিত্।
খোদার সিংহ রাজারবাগেই জ্যান্ত যে মহা পীর,
তাঁর হাজিরানে কাঁপে শয়তানে, তিনি যে আলমগীর।
তিনি মহা প্রতাপের কায় মোকাম ছাহিবুল জব্বার,
বেদাত বেশরা গুঁড়ায়ে গড়েন ইসলামি জাগুয়ার।
ঐ রাজারাবাগের মুজাদ্দিদ তাঁর ঝাওজাও শরীকান,
প্রতি তাজদীদে নিবেদিতা প্রাণ, শির তাজে মহাশান।
কায় মক্বামে ছিদ্দিকা তিনি মহিয়শি মহাদান,
তিনি জাহিলের মেলে রমণীর দলে গুলজারী আদমান।
তিনি বিজ্ঞ আলিমা বিজ্ঞ ওয়ায়িজ, তুখোর মুয়াল্লিমা,
তিনি আবিদা কাতারে অগ্রণী নূর, আরশি মুকাররীমা।
তিনি সাহসিনী দুর্দমাধ্বনি হিমাদ্রী শৃংগ চূড়ে,
নারী মুক্তির পতাকা উড়ান প্রগতি জাহিল গুঁড়ে। তাঁর
সুনাম যে তরিৎ ছড়ায় দ্রাঘিমা ডিঙ্গাঁয়ে চলে,
আসেন ঝটিকা জিঞ্জির ভেঁঙ্গে, আম্মা যে নও বলে।
বেপরোয়া তিনি বাতিল ঘায়েলে ইস্তিকামতে নাহি টলে,
তাওয়াক্কুলের তখ্তে আসিন খোদার রহমে উজ্জ্বলে।
জোহরা মাতার জজ্বাহি তেজ তাঁর শিরাতেই বহে বহে,
কুবরা এক্বিন চমকায় শিরে সদা ঝলমল রহে রহে।
কেন হে থাম্লি শৃগালী শাবক চিৎকারে বলে দে?
তোরা ঐ বিরঙ্গনার গর্জনে আজ পড়লি মরণ ফাঁদে।
সেই বিরঙ্গনাই আম্মা যে হোন দীপ্ত সতিতে রব্ খরগ,
ঐ তাঁর তাশরিফে তামাশা তলায় অগ্নিতে টগবগ।
তিনি হিম্মতি ইসলামী সতি সুন্নী নীতিতে জ্যোতিষ্মান,
তাঁর দ্বীনদারী ঐ অন্তর হরি শ্রেষ্ঠা রহেন রুহিস্তান।
ঐ পলিদির পয়মাল তরে, তিনি তাশরিফ এই জাহান,
ঐ উলামায়ে ‘ছু’ ওহাবী জামাতি দাবরাতে হন ব্যাঘ্রবান।
হায় শুক্নো পত্রে ভর করে চাহো আম্মারে রুখিবার?
তিনি যে অটল হিমাদ্রী সম, হন যে বৃহদাকার।
তিনি অবলা নন, ইলাহী সবলা জালালী ত্যাজস্বী,
তিনি খাওয়ালা রাবেয়া বসরী, জজ্বাহী জোশ অবশ্বী।
তিনি যে খোদার খাছ তুবারুক অধুনা মুসলিমাদের,
সাইয়্যিদাতুন্ নেসাই মুকুটে নজরানা হন যুগের।
আজ দুনিয়ার মহিলা সমাজে নোংরা রেওয়াজ উঁচে,
ঐ আম্মাজি দেন রসূলাদর্শে নোংরা গুলোরে পঁচে।
অশ্লীলতার বক্ষে শাবল হানিয়া চলিছে “আম্মাজান”,
আপোষহীনা সত্য বিনায় দাইয়্যূছ দাফেন গোরস্থান।
আজ দুনিয়ায় নারী জাগরণে জোয়ার বহান তিনি,
তাঁর প্রবল প্রতাপে প্রত্যয় ঘটে জগতে উজ্জীবণী।
মায়ের সোহাগে বুকে টেনে নেন পথহারা নারীদের,
তিনি প্রতিবাদী হন নারীদের নিতে পুঙ্খানু ন্যায্যের।
ঐ “আম্মা” পরশে নারীরা হচ্ছে দ্বীনের বিরিস্মা,
তাঁহারা খোদার প্রিয়ত্বে লভিছে অনাদী কারিশ্মা।
আজ দুনিয়ার তামাম নারীরা জাগ্রত হও সবে,
ঐ রাজারবাগের আম্মার ডাকে সচেতন রহ খুবে।
তুমি কি হিন্দু বৌদ্ধ নাসারা মজুসী শিয়া কাদিয়ানী?
তুমি কি ওহাবী জামাতী খারিজী তাবলীগি গোংরানী?
হায় ভোগের বস্তু বানায় তাহারা তোমায় আস্তখানি,
প্রয়োজন শেষে ফেলে দেয় তোরে ময়লাগাড়েই টানি।
ঐ ইসলামে দেয়া নারী অধিকার, নেই নেই কোথা আর,
হাদীয়ে জামান মায়ের তালিমে জেনে লও বার বার।
ইন্সান হয় শুধু মরদ, কহে হিংসুক মিথ্যুকে,
নরনারী মিলে ইনসানি ক্বওম কহিছে কুরআন পাকে।
কুরআনের সেই মহাবাণী নিয়ে আম্মা’র অভিযান,
ঐ আম্মা চরণে জমায়েত হও লইতে সমস্থান।
তিনি আব্দাল ওলিয়ে কামিল শ্লীল গুণে গুলজার,
তিনি অশ্লীল তরে আগ্নেয়গিরি সত্য পক্ষ দৃষ্টিদার।
জামানার এই জমিনেই কেবল তিনিই আলোক মনি
নারীকুল আয় মূল পেতে হায় জিন্দাহ্ যে জননী।
কুতুবুল আলম আম্মা হুজুর এসো তাঁর সোহ্বতে,
ঐ আল্লাহ্ রসূল ও মুক্তির পথ তাঁর কাছে লও পেতে।
–শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০