‘আউলিয়ায়ে কিরামগণের কারামত বিশ্বাস করা আক্বাঈদের অন্তর্ভুক্ত। ‘কারামাতুল আউলিয়াই হাক্কুন’- অস্বীকার করা কুফরী।’ ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল, মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের মজলিশে প্রধান অতিথির বয়ানে একথা বলেন। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর ওলীগণের কারামত কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত।
আউলিয়ায়ে কিরামের ইজ্জত-সম্মান আল্লাহ পাকই দান করেছেন। এ প্রসঙ্গে কুরআন শরীফের উদ্বৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা আল্লাহ পাক-এর ওলী হয়েছেন তাঁদের কোন ভয় নেই, চিন্তা-পেরেশানী নেই।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আল্লাহ পাক যে শুধু তাঁর ওলীগণকে মর্যাদা দান করেছেন, নিশ্চিন্ত করেছেন তাই নয় বরং তাঁদের সাথে যারা তায়াল্লুক রাখবে, নিসবত রাখবে তাদের কোন ভয়, চিন্তা-পেরেশানী নেই। আউলিয়ায়ে কিরামের ছিফত সম্পর্কে কুরআন শরীফের উদ্বৃতি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তাঁদের গুণ হচ্ছে, তাঁরা খালিছ ঈমান এনেছেন এবং তাক্বওয়ার উপর ইস্তিকামত রয়েছেন।’ কোন অবস্থাতেই তারা তাক্বওয়া থেকে সরে যাবেন না। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তাক্বওয়ার উপর ইস্তিকামত থাকতে পারবে সে আল্লাহ পাক-এর ওলী হতে পারবে। আর যে ব্যক্তি তাক্বওয়ার উপর ইস্তিকামত থাকতে পারবে না সে কসি“নকালেও আল্লাহ পাক-এর ওলী হতে পারবে না। তিনি বলেন, মনগড়া কাজ করে, বেশরা-বিদ্য়াত কাজ করে, কুরআন-সুন্নাহ্র খিলাফ কাজ করে কস্মিনকালেও আল্লাহ পাক-এর ওলী হওয়া সম্ভব নয়। এজন্যেই দেখা যায়, বর্তমানে অনেকে ছূফী ছাহেব, পীর ছাহেব দাবী করলেও তারা আল্লাহ পাক-এর ওলীর অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ, তারা সারাক্ষণ হারাম কাজে লিপ্ত। কাজেই যারা সারাক্ষণ হারাম কাজে লিপ্ত তারা কখনো আল্লাহ পাক-এর ওলী হতে পারে না বরং তারা ওলীউশ্ শয়তান তথা শয়তানের ওলী। তিনি বলেন, প্রত্যেকের দায়িত্ব হবে হক্কানী – রব্বানী আউলিয়ায়ে কিরামগণের কারামত বিশ্বাস করা, তাঁদের ছোহবত ইখতিয়ার করে, তায়াল্লুক- নিসবত রেখে ছহীহ ইসলামী জিন্দেগী যাপন করা। তাহলেই দুনিয়া এবং পরকালের কামিয়াবী হাছিল করা সহজ ও সম্ভব হবে।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ