কুরআন শরীফ সংরক্ষণ তথা ইসলাম হিফাযতকারী হিসেবে আল্লাহ্ পাক নিজের কথাই কুরআন শরীফে ঘোষণা করেছেন। এর ব্যাখ্যায় হাদীস শরীফে নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের পরে মুজাদ্দিদুয্ যামানের আবির্ভাবের কথা বলা হয়েছে। আবূ দাউদ শরীফের হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক এই উম্মতের মাঝে প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন দ্বীনের তাজদীদকারী তথা মুযাদ্দিদুয্ যামান পাঠাবেন। যিনি দ্বীনের নামে প্রবেশকারী তথা প্রচলিত সকল বিদ্য়াত-বেশরা দূর করে সত্যিকার দ্বীনকে প্রস্ফুটিত করবেন।
বলাবাহুল্য, মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মাধ্যমে শুরু থেকেই আমরা এ বিষয়ে প্রকৃষ্ট প্রমাণ পেয়ে আসছি। টুপি, ছবি থেকে আরম্ভ করে লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, নির্বাচন, গণতন্ত্র ইত্যাদি অসংখ্য বিষয়ে আমরা এর উৎকৃষ্ট নজীর পেয়ে আসছি। এর পাশাপাশি সাম্প্রতিককালে পেলাম, দরসে বুখারীর পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আল বাইয়্যিনাত-এর অভূতপূর্ব তাজদীদী ফতওয়া, যা যামানার মুযাদ্দিদকে উপলব্ধি করার জন্য এক জ্বলন্ত উদাহরণ। উল্লেখ্য, কোন জিনিস শোনার পর মনে হয় সত্যিই তো তাই কিন্তু তা বলার পূর্বে তা যে কত সূক্ষ্ম ও প্রজ্ঞাপূর্ণ সেটা উপলব্ধি করা দায়। প্রসঙ্গতঃ দরসে বুখারীর পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে যখন আমরা জানতে পারলাম যে, ২৫ বছর, ৫০ বছর, ৬০ বছর, ৭০ বছর, ৭৫ বছর, ১০০ বছর ও ১০০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান করা হিন্দু, ইহুদী, নাছারা ও শিয়াদের ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত। যা প্রকৃত পক্ষে জুবিলী বা জয়ন্তী অনুষ্ঠান নামে মশহুর। যদিও কেউ অন্য নামেও তা পালন করে তথাপিও তা বিধর্মী ও বিজাতীয়দের সাথে মুশাব্বা হওয়ার কারণে মুসলমানদের জন্য পালন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত; তখন এ কথা ছহীহ্ বলেই অনূভুত হল এবং আমরা তা থেকে বিরত হতে পারলাম। কিন্তু মাসিক আল বাইয়্যিনাতে এ বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ার পূর্বে এ বিষয়ে যে কোন চিন্তার অবকাশ আছে অথবা ফতওয়া চাওয়ার বা দেয়ার প্রয়োজন আছে তাই তো সাধারণ মানুষ তো বটেই পাশাপাশি কথিত বা তথাকথিত আলিম সমাজই কেবল নয় হক্ব-পন্থী ওলী দরবেশগণের কাছেও এটি উল্লেখ করার মত বিষয় বলে বিবেচিত হয়নি।
অথচ এটি যে শক্ত হারাম ও কুফরী এবং বিজাতীয় কৃষ্টি-দর্শনের সাথে সম্পৃক্ত তা আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মাধ্যমেই জানতে পারলাম। আর এ বিষয়ে বিস্ময়কর তাজদীদী ফতওয়া দানের প্রেক্ষিতে স্পষ্টরূপে প্রতিভাত হয়, সত্যিই মাসিক আল বাইয়্যিনাত যামানার তাজদীদী মুখপত্র। আর এর প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, আওলার্দু রসূল, হাবীবুল্লাহ্ ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুলী আলীই বর্তমান যামানার মুযাদ্দিদ।
-মুহম্মদ ওয়ালীর্উ রহমান, ঢাকা।