সংখ্যা: ২৬৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (১)

সমস্ত প্রশংসা খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে এবং অশেষ-অসীম সম্মানিত ছলাত ও সালাম মুবারক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ। মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ রহমত, বরকত, সাকীনাহ, দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের কারণে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগ উনার তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক, সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩.নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬.মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯.ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪.প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮.নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০.শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) ২২.হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪.হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)  ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-২৩৭), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা), ৩২. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে “হানাফী মাযহাব মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ে ‘আমীন’ অনুচ্চ আওয়াজে বা চুপে চুপে পাঠ করাই শরীয়ত উনার নির্দেশ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২১২তম সংখ্যা), ৩৩. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২২০তম সংখ্যা-চলমান), ৩৪. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৩৮-চলমান), ৩৫. “পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৪-চলমান), পেশ করার পাশাপাশি-

৩৬তম ফতওয়া হিসেবে

“সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।

সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ:

সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক, সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের সর্বোত্তম মাধ্যম এবং মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لَتَجِدَنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ اَشْرَكُوْا.

অর্থ: “অবশ্যই অবশ্যই আপনি সম্মানিত মুসলমান উনাদের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মুশরিকদেরকে।” (সম্মানিত সূরা মায়িদাহ শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৮২)

বর্তমানে ইহুদী-খ্রিস্টান, কাফির-মুশরিক ও তাদের এজেন্ট মুনাফিক্বরা একাত্ম হয়েছে পৃথিবীর বুক থেকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও সম্মানিত মুসলমান উনাদের নাম নিশানা মুছে দেয়ার জন্য। না‘ঊযুবিল্লাহ! তাই তারা তাদের সে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য একের পর এক সর্বঘৃণ্য ও সর্বনিকৃষ্ট ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও সম্মানিত মুসলমান উনাদের বিরুদ্ধে। না‘ঊযুবিল্লাহ! আর সে সকল ষড়যন্ত্রসমূহের একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক যা সম্মানিত মুসলমান উনাদের ইবাদতখানা অর্থাৎ সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনাদেরকে ভেঙ্গে ফেলা। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

বর্তমানে তারা আমাদের দেশ থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কূটকৌশলের সাথে একের পর এক সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক ভেঙ্গে যাচ্ছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! বিশেষ করে শতকরা ৯৮ ভাগ সম্মানিত মুসলমান অধ্যুষিত আমাদের এদেশে পরিবেশ রক্ষা ও রাস্তা নির্মাণের দোহাই দিয়ে এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে একের পর এক সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! অথচ সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করার জন্য, সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম করার জন্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ ذِى النُّوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْۢ بَنٰى لِلّٰهِ مَسْجِدًاۢ بَنَى اللهُ لَه بَيْتًا فِى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য একটি সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)

অন্য বর্ণনায় রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْۢ بَنٰى مَسْجِدًا لِّلّٰهِ كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ اَوْ اَصْغَرَ بَنٰى اللهُ لَه بَيْتًا فِى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য কবুতরের বাসার মতো অথবা তার চেয়েও ছোট একটি মসজিদ নির্মাণ করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ, কানযুল উম্মাল)

অন্য বর্ণনায় রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ زَادَ بَيْتًا فِى الْمَسْجِدِ فَلَهُ الْـجَنَّةُ.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জায়গা বৃদ্ধি করবে, তার জন্য সম্মানিত জান্নাত ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বাইলুছ ছাহাবা ৫/১১৮, কানযুল উম্মাল ৭/৬৫৩)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحَبَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فَلْيُحِبَّنِـىْ وَمَنْ اَحَبَّنِـىْ فَلْيُحِبَّ اَصْحَابِـىْ وَمَنْ اَحَبَّ اَصْحَابِـىْ فَلْيُحِبَّ الْقُرْاٰنَ وَمَنْ اَحَبَّ الْقُرْاٰنَ فَلْيُحِبَّ الْمَسَاجِدَ فَاِنَّهَا اَفْنِيَةُ اللهِ اَبْنِيَتُه.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করে, সে যেন আমাকে মুহব্বত করে। আর যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করে, সে যেন আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে মুহব্বত করে। আর যে ব্যক্তি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে মুহব্বত করে, সে যেন সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে মুহব্বত করে। আর যে ব্যক্তি সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে মুহব্বত করে, সে যেন সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনাদেরকে মুহব্বত করে। সুবহানাল্লাহ! কেননা নিঃসন্দেহে সম্মানিত মসজিদসমূহ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার আঙ্গিনা, মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কুরতুবী শরীফ ১২/২৬৬, শরহুল বুখারী শরীফ ১/৪১৪)

আর যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَنْ اَظْلَمُ مِـمَّنْ مَّنَعَ مَسٰجِدَ اللهِ اَنْ يُّذْكَرَ فِيْهَا اسْـمُه وَسَعٰى فِـىْ خَرَابِـهَا اُولٰئِكَ مَا كَانَ لَـهُمْ اَنْ يَّدْخُلُوْهَاۤ اِلَّا خَائِفِيْنَ لَـهُمْ فِى الدُّنْيَا خِزْىٌ وَّلَـهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ عَذَاب عَظِيْمٌ.

অর্থ: “ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে? যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহে উনার সম্মানিত যিকির মুবারক করতে, সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে। এদের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অর্থাৎ খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করা ব্যতীত সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহে প্রবেশ করা জায়িয নেই। তাদের জন্য রয়েছে ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা বাক্বারা শরীফ, সম্মানিত আয়াত শরীফ- ১১৪)

অর্থাৎ ওই ব্যক্তিই সবচেয়ে বড় কাট্টা যালিম, কাট্টা কাফির, কাট্টা মুশরিক, কাট্টা মুনাফিক্ব যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহে উনার সম্মানিত যিকির মুবারক করতে, উনার স্মরণ মুবারক করতে বাধা দেয়। না‘ঊযুবিল্লাহ! তাহলে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙ্গা, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগীতা করা এবং সমর্থন করা কতো জঘন্যতম অপরাধ, কতো নিকৃষ্টতম পাপ তা এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। নাউজুবিল্লাহ!

আর সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدِ ۣ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ رَاٰى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِه فَاِنْ لَّـمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِه فَاِنْ لَّـمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِه وَذٰلِكَ اَضْعَفُ الْاِيْـمَانِ.

অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের কেউ যখন সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার খিলাফ কোন কাজ দেখবে, তখন সে যেন তা হাত দিয়ে বাধা দেয়। যদি হাত দিয়ে বাধা দিতে সক্ষম না হয়, তাহলে সে যেন তা মুখ দিয়ে বাধা দেয়। যদি তাতেও সম্ভব না হয়, তাহলে যেন তা অন্তরে বাধা দেয়। অর্থাৎ অন্তরে খারাপ জেনে সেখান থেকে দূরে সড়ে যায়। এটা হচ্ছে সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার সর্বনি¤œ স্তর।” (মুসলিম শরীফ, নাসাঈ শরীফ, মুসনাদে আহমদ, শরহুস সুন্নাহ, শু‘য়াবুল ঈমান, ছহীহ ইবনে হিব্বান, হিলইয়াতুল আউলিয়া, মিশকাত শরীফ)

অপর বর্ণনায় রয়েছে-

وَلَيْسَ وَرَاءَ ذٰلِكَ مِنَ الْاِيْـمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ.

অর্থ: “এরপর আর সরিষার দানা পরিমাণও সম্মানিত ঈমান মুবারক অবশিষ্ট থাকবে না।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)

তাই সমস্ত সম্মানিত মুসলমান উনাদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙ্গার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা। কেউ যদি এই বিষয়ে প্রতিবাদ না করে, তাহলে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না। আর কেউ যদি তা সমর্থন করে তাহলে সে ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হয়ে যাবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

কাজেই, সমস্ত জিন-ইনসান যেন সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এবং বিশেষ করে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ-’ এই বিষয়ে হাক্বীক্বী ইলম মুবারক অর্জন করে ইহুদী, খ্রিস্টান, কাফির, মুশরিক ও তাদের এজেন্ট মুনাফিক্বদের খপ্পর থেকে নিজেদের ঈমান হিফাযত করতে পারে, সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারে  এবং সারা বিশ্বে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত হাক্বীক্বী শান মুবারক যেন প্রকাশ পায় ও সম্মানিত মুসলামন উনারা যেন আবারো মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে এ জন্যেই “সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত সম্মানিত ফতওয়া মুবারকখানা” প্রকাশ করা হলো। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার  সম্মানিত পরিচিতি মুবারক:

مَسْجِدٌ (মসজিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ সিজদা করার স্থান। শব্দটির উৎপত্তি আরবী اَلسِّجْدَةُ )আস সিজদাহ( থেকে। আভিধানিক অর্থ অত্যন্ত বিনয়, সম্মান, একাগ্রতা ও মুহব্বতের সাথে মাথা অবনতকরা অর্থৎ সিজদাহ করা। সুবহানাল্লাহ! সাধারণভাবে, যে সম্মানিত ও পবিত্র স্থান মুবারক-এ সম্মানিত মুসলমান উনারা একত্র হয়ে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সম্মানিত ছলাত বা নামাজ আদায় করেন, উনাকে মসজিদ বলে। আর যে সম্মানিত ও পবিত্র স্থান মুবারক-এ পাঁচ ওয়াক্ত সম্মানিত ছলাত বা নামায আদায়ের সাথে সাথে ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ-এ সম্মানিত জুমু‘য়া উনার সম্মানিত ছলাত বা নামায আদায় করা হয়, উনাকে জামি’ মসজিদ বলে। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক:

যিনি খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَاَنَّ الْمَسٰجِدَ لِلّٰهِ.

অর্থ: “আর নিশ্চয়ই সমস্ত সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। অর্থাৎ সমস্ত সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার (সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক)।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা জিন শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ১৮)

যিনি খ্বাালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-

فِـىْ بُيُوْتٍ اَذِنَ اللهُ اَنْ تُرْفَعَ وَيُذْكَرَ فِيْهَا اسْـمُه يُسَبِّحُ لَه فِيْهَا بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ .رِجَالٌ لَّا تُلْهِيْهِمْ تِـجَارَةٌ وَّلَا بَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَاِقَامِ الصَّلـٰوةِ وَاِيْتَآءِ الزَّكـٰوةِ يَـخَافُوْنَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيْهِ الْقُلُوْبُ وَالْاَبْصَارُ.

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি আদেশ মুবারক করেন- সম্মান করার জন্য ঐ সকল মুবারক ঘর সমূহকে যে সকল মুবারক ঘর সমূহে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করা হয় ও তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা হয় সকাল-সন্ধ্যায়। সুবহানাল্লাহ! এমন সম্মানিত লোক উনারা, যেই সম্মানিত লোক উনাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত যিকির মুবারক থেকে, সম্মানিত নামায কায়েম করা থেকে এবং সম্মানিত যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। উনারা ভয় করেন সেদিনকে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ বিপর্যস্ত হবে।” (সম্মানিত সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৩৬-৩৭)

আলোচ্য সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে মাযহারী শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-

وَالْمُرَادُ بِـهَا الْـمَسَاجِدُ قَالَ حَضْرَتْ سَعِيْدُ بْنُ جُبَيْرٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَلْـمَسَاجِدُ بُيُوْتُ اللهِ فِى الْاَرْضِ وَهِىَ تُضِىْءُ لِاَهْلِ السَّمَاءِ كَمَا تُضِىْءُ لِاَهْلِ الْاَرْضِ النُّجُوْمُ.

অর্থ: “এখানে ‘সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারকসমূহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য ‘সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ’। হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন, ‘সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ হচ্ছেন দুনিয়ার যমীনে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক।’ সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ আসমানবাসী উনাদেরকে এমনভাবে আলোকিত করে থাকেন, যেমনিভাবে আসমানের তারকারাজি যমীনবাসী উনাদেরকে আলোকিত করে থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী শরীফ ৬/৩৩৯)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِىْ بَيْتٍ مِّنْ بُيُوْتِ اللهِ تَعَالـٰى يَتْلُوْنَ كِتَابَ اللهِ وَيَتَدَارَسُوْنَه بَيْنَهُمْ اِلَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِيْنَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْـمَةُ وَحَفَّتْهُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَذَكَرَهُمُ اللهُ فِيْمَنْ عِنْدَه.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন কোন সম্প্রদায়, কিছু লোক মহান আল্লাহ পাক উনার ‘সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারকসমূহ’ উনাদের মধ্য থেকে কোনো এক সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক-এ তথা সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক-এ সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে তিলাওয়াত করার জন্য, পরস্পর দরস-তাদরীসের জন্য, তা’লীম-তালক্বীনের জন্য একত্রিত হয়, তখন তাদের উপর সাকীনাহ মুবারক নাযিল হয়, সম্মানিত রহমত মুবারক তাদেরকে আচ্ছাদিত করে নেন, সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তাদেরকে বেষ্টন করে নেন এবং স্বয়ং যিনি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সম্মানিত নৈকট্যশীল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিয়ে তাদের সম্পর্কে আলোচনা মুবারক করতে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ,সুনানে দারিমী শরীফ, শু‘য়াবুল ঈমান শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ,মিশকাত শরীফ)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْمَسَاجِدُ بُيُوْتُ اللهِ.

অর্থ: “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (শু‘য়াবুল ঈমান শরীফ ৪/৩৮০, জামিউল আহাদীছ ২২/১৫৪, কানজুল উম্মাল ৭/৫৭৯)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ بُيُوْتَ اللهِ فِـى الْاَرْضِ الْمَسَاجِدُ وَاِنَّ حَقًّا عَلَى اللهِ اَنْ يُّكْرِمَ مَنْ زَارَه فِيْهَا.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক। যারা ওই সকল সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক-এ প্রবেশ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে সম্মানিত করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী ৯/৩, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/৩২, জামি‘উল আহাদীছ ৮/৪৮০, আল মাত্বালিবুল আলিয়াহ ৩/৪৬৬ ইত্যাদি)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا قَالَ الْمَسَاجِدُ بُيُوْتُ اللهِ فِـى الْاَرْضِ تُضِىْءُ لِاَهْلِ السَّمَاءِ كَمَا تُضِىْءُ نُـجُوْمُ السَّمَاءِ لِاَهْلِ الْاَرْضِ.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ হচ্ছেন দুনিয়ার যমীনে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক।’ সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ আসমানবাসী উনাদেরকে এমনভাবে আলোকিত করে থাকেন, যেমনিভাবে আসমানের তারকারাজি যমীনবাসী উনাদেরকে আলোকিত করে থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (শু‘য়াবুল ঈমান লিলবাইহাক্বী ৪/৩৮০, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১৫, জামি‘উল আহাদীছ ৮/৩৩৮, আল মাত্বালিবুল আলিয়াহ ৩/৪৬৭  ইত্যাদি)

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلْـمَسْجِدُ بَيْتُ اللهِ وَالْـمَدْرَسَةُ بَيْتِـىْ.

অর্থ: “সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক আর সম্মানিত ও পবিত্র মাদ্রাসা মুবারক আমার সম্মানিত ঘর মুবারক।” সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও বুযূর্গী সম্মান মুবারক:

(১) দুনিয়ার সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক হচ্ছেন সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক:

দুনিয়ার যমীনে যত সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক রয়েছেন সমস্ত সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ উনাদের মূল হচ্ছেন সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা দুনিয়ার সর্বপ্রথম সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ اَوَّلَ بَيْتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِىْ بِبَكَّةَ مُبٰرَكًا وَّهُدًى لِّـلْعٰلَـمِيْنَ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই মানুষের জন্য নির্মিত সর্বপ্রথম ঘরই হচ্ছেন সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ, যা সম্মানিত মক্কা শরীফ অবস্থিত। তা বরকতময় এবং সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য হিদায়েত বা পথপ্রদর্শক।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৯৬)

আলোচ্য সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিতاِنَّ اَوَّلَ بَيْتٍ  ‘নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম ঘর মুবারক’ উনার ব্যাখায় ‘তাফসীরে মাযহারী শরীফসহ’ আরো অন্যান্য তাফসীরগ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে-

مَعْنَاهُ اِنَّ اَوَّلَ مَسْجِدٍ.

অর্থ: “উনার অর্থ হচ্ছে নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম মসজিদ মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী শরীফ ১/৯১)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ تَعالـٰى عَنْهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَىُّ مَسْجِدٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ اَوَّلًا قَالَ الْمَسْجِدُ الْـحَرَامُ ثُـمَّ الْمَسْجِدُ الْاَقْصٰى قُلْتُ وَكَمْ بَيْنَهُمَا قَالَ اَرْبَعُوْنَ سَنَةً.

অর্থ: “হযরত আবূ যর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মানুষের জন্য নির্মিত সর্বপ্রথম সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক কোনটি? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদে হারাম শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ অতঃপর সম্মানিত  ও পবিত্র মসজিদে আক্বছা শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, উভয় সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণের মাঝে সময়ের ব্যবধান কতো? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, ৪০ বছর।” সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফে আবী শায়বাহ, মুসনাদে আহমদ, বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, শু‘য়াবুল ঈমান, ইবনে জারীর, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/১৩৯)

হযরত আবুল ওয়ালীদ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে ওয়ালীদ ইবনে ‘উক্ববাহ ইবনে আরযাক্বী আল গাস্সানী আল মাক্কী আল মা’রূফ বিল আরযাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ২৫০ হিজরী) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আখবারে মক্কা শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-

قَالَ حَضْرَتْ كَعْبُۣ الْاَحْبَارِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ كَانَتِ الْكَعْبَةُ غُثَاءً عَلَى الْمَاءِ قَبْلَ اَنْ يـَّخْلُقَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضَ بِاَرْبَعِيْنَ سَنَةً وَّمِنْهَا دُحِيَتِ الْاَرْضُ.

অর্থ: “হযরত কা’বুল আহ্বার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সকল আসমান এবং যমীন সৃষ্টি করার ৪০ বছর পূর্বে সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ পানির উপর ফেনা স্বরূপ ছিলেন। আর সেখান থেকেই সমস্ত পৃথিবী বা বিশ্ব প্রসারিত হয়, সৃষ্টি হয়।” সুবহানাল্লাহ! (আখবারে মক্কা শরীফ ১/৩১, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ ১/১৪০)

হযরত আবুল ওয়ালীদ আরযাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

عَنْ حُمَيْدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ سَمِعْتُ مُـجَاهِدًا رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ يَقُوْلُ خَلَقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هٰذَا الْبَيْتَ قَبْلَ اَنْ يَّـخْلُقَ شَيْئًا مِّنَ الْاَرْضِيْنَ.

অর্থ: “হযরত হুমাইদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবীসহ সপ্ত যমীনের কোনো কিছু সৃষ্টি করার পূর্বে এই সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ সৃষ্টি মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আখবারু মাক্কা ১/৩২)

হযরত আবুল ওয়ালীদ আরযাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-

عَنْ مُـجَاهِدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ لَقَدْ خَلَقَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مَوْضِعَ هٰذَا الْبَيْتِ قَبْلَ اَنْ يَّـخْلُقَ شَيْئًا مِّنَ الْاَرْضِ بِاَلْفَىْ سَنَةٍ وَّاِنَّ قَوَاعِدَه لَفِى الْاَرْضِ السَّابِعَةِ السُّفْلٰى.

অর্থ: “হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই যিনি খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবীর কোনো কিছু সৃষ্টি করার দুই হাজার বছর পূর্বে এই সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার স্থান মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন। আর নিশ্চয়ই সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার ভিত্তিসমূহ অবশ্যই সপ্ত যমীনের নিচে।” সুবহানাল্লাহ! (আখবারু মাক্কা ১/৩২)

শাইখুল ইসলাম, ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে ইঊসুফ ছালিহী শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৯৪২ হিজরী শরীফ) তিনি ‘ইবনে জারীর ও আবুশ শায়েখ’ উনাদের বরাতে ‘সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا قَالَ وُضِعَ الْبَيْتُ عَلَى الْـمَاءِ عَلـٰى اَرْبَعَةِ اَرْكَانٍ قَبْلَ اَنْ تُـخْلَقَ الدُّنْيَا بِاَلْفَىْ عَامٍ ثُـمَّ دُحِيَتِ الْاَرْضُ مِنْ تَـحْتِ الْبَيْتِ.

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পৃথিবী বা বিশ্ব সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ চার রুকন বা স্তম্ভ বিশিষ্ট অবস্থায় পানির উপর অবস্থিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নিচ থেকে সমগ্র পৃথিবীর যমীন বিস্তৃত হয়, সৃষ্টি হয়।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ ১/১৪০)

হযরত ইমাম আবূ বকর আহমদ ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে মূসা খোরাশানী বাইহাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৪৫৮ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘শু‘য়াবুল ঈমান শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ خُلِقَ الْبَيْتُ قَبْلَ الْاَرْضِ بِاَلْفَىْ عَامٍ ثُـمَّ دُحِيَتِ الْاَرْضُ مِنْهُ.

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ সৃষ্টি করা হয়। অতঃপর সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নীচ থেকে সমগ্র পৃথিবী প্রসারিত হয়, সৃষ্টি হয়।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে জারীর, ইবনে মুনযির, ত্ববারনী, শু‘য়াবুল ঈমান, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/১৪০)

হযরম ইমাম আবূ বকর মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম ইবনে মুনযির নীশাপূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেন-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اِنَّ الْكَعْبَةَ خُلِقَتْ قَبْلَ الْاَرْضِ بِاَلْفَىْ سَنَةٍ وَّهِىَ قَرَارُ الْاَرْضِ اِنَّـمَا كَانَتْ خَشَفَةً اَوْ حَشَفَةً عَلَى الْمَاءِ عَلَيْهَا مَلَكَانِ مِنَ الْمَلائِكَةِ يُسَبِّحَانِ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ اَلْفَىْ سَنَةٍ فَلَمَّا اَرَادَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ اَنْ يَّـخْلُقَ الاَرْضَ دَحَاهَا مِنْهَا فَجَعَلَهَا فِىْ وَسَطِ الْاَرْضِ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ সৃষ্টি করা হয়। আর সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফই হচ্ছেন পৃথিবীর অবস্থানস্থল। যা পানির উপর জমাটবদ্ধ পানি/বরফ অথবা ছোট দ্বীপ আকারে ছিলেন। সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার উপর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে দু’জন সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা রাত-দিন তথা সবসময় দায়িমীভাবে একাধারে দুই হাজার বছর সম্মানিত তাসবীহ পাঠরত অবস্থায় ছিলেন। অতঃপর যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করার ইচ্ছা মুবারক করেন, তখন সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার থেকে পৃথিবীকে বিস্তার করেন, সৃষ্টি করেন। তারপর সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে করেন পৃথিবীর ওয়াসাত্ব তথা মধ্যস্থান।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে মুনযির ১/২৯৪, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/১৪০)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوَّلُ بُقْعَةٍ وُّضِعَتْ فِـى الْاَرْضِ مَوْضِعُ الْبَيْتِ ثُـمَّ مُدَّتْ مِنْهَا الْاَرْضُ وَاِنَّ اَوَّلَ جَبَلٍ وَّضَعَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلـٰى وَجْهِ الْاَرْضِ اَبُوْ قُبَيْسٍ ثُـمَّ مُدَّتْ مِنْهُ الْـجِبَالُ.

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার স্থান মুবারকই হচ্ছেন পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি করা সর্বপ্রথম স্থান বা ভূখণ্ড মুবারক। অতঃপর সেখান থেকে সমস্ত পৃথিবী প্রসারিত হয়, সৃষ্টি হয়। আর পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম যেই পাহাড় সৃষ্টি করা হয়, তা হলো আবূ কুবাইস পাহাড়। অতঃপর সেখান থেকে সমস্ত পাহাড় বিস্তার লাভ করে, সৃষ্টি হয়।” সুবহানাল্লাহ! (শু‘য়াবুল ঈমান শরীফ ৫/৪৪৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ ১/১৪০)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُمُّ الْقُرٰى مَكَّةُ.

অর্থ: “হযরত বুরায়দা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘উম্মুল কুরা’ হচ্ছেন সম্মানিত মক্কা শরীফ।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/১৪০)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُمَا اَنَّه قَالَ لَمَّا كَانَ الْعَرْشُ عَلَى الْمَاءِ قَبْلَ اَنْ يَّـخْلُقَ اللهُ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضَ بَعَثَ اللَّهُ تَعَالـٰى رِيْـحًا هَفَّافَةً فَصَفَقَتِ الْمَاءَ فَاَبْرَزَتْ عَنْ خَشَفَةٍ فِىْ مَوْضِعِ هٰذَا الْبَيْتِ كَاَنَّهَا قُبَّةٌ فَدَحَا اللهُ الْاَرْضِيْنَ مِنْ تَـحْتِهَا فَمَادَتْ ثُـمَّ مَادَتْ فَاَوْتَدَهَا اللهُ تَعَالٰى بِالْـجِبَالِ فَكَانَ اَوَّلُ جَبَلٍ وُّضِعَ فِيْهَا اَبُوْ قُبَيْسٍ فَلِذٰلِكَ سُـمِّيَتْ مَكَّةُ اُمَّ الْقُرٰى.

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সকল আসমান এবং যমীন তথা পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে যখন সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক পানির উপর ছিলেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা উজ্জ্বল বায়ু পাঠান, যা পানিকে আঘাত করে। তারপর উক্ত উজ্জ্বল বায়ু জমাটবদ্ধ পানি/বরফ অথবা ছোট দ্বীপ হতে এই সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার সম্মানিত স্থান মুবারক প্রকাশ করে দিলো, বের করে দিলো। (তখন) সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ ছিলেন গম্বুজ আকৃতির। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নিচ থেকে সমস্ত যমীন তথা পৃথিবীসহ আরো যে সপ্ত যমীন রয়েছে, এ সমস্ত কিছু বিস্তার করেন, সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তা দীর্ঘায়িত হতে থাকে। তারপর আরো দীর্ঘায়িত হতে থাকে। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবীকে পাহাড়সমূহ দ্বারা সৃদৃঢ় করেন, মজবূত করেন। পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম যেই পাহাড় স্থাপন করা হয়, সৃষ্টি  করা হয়, তাহচ্ছে আবূ কুবাইস পাহাড়। একারণেই সম্মানিত মক্কা শরীফ উনাকে ‘উম্মুল কুরা’ নামকরণ করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (আখবারু মক্কা শরীফ ১/৩২)

এই সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلَـمْ نَـجْعَلِ الْاَرْضَ مِهٰدًا. وَّالْـجِبَالَ اَوْتَادًا.

অর্থ: “আমি কি পৃথিবীকে বিছানাস্বরূপ এবং পাহাড়কে পেরেক স্বরূপ করিনি? (সম্মানিত সূরা নাবা’ শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৬ ও ৭)

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি পাহাড়সমূহ দ্বারা পৃথিবীকে সুদৃঢ় বা মজবূত করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

১০ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার স্বীয় বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে দুররে মানছূর শরীফ’ উনার মধ্যে এবং শাইখুল ইসলাম, ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে ইঊসুফ ছালিহী শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৯৪২ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ’ উনার মধ্যে ‘তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম’ উনার বরাতে উল্লেখ করেন-

عَنْ حَضْرَت عَطَاءٍ وَحَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ دِيْنَارٍ رَحِمَهُمَا اللهُ تَعَالـٰى قَالَا فَبَعَثَ اللهُ رِيَاحًا فَشَقَّقَتِ الْمَاءَ فَاَبْرَزَتْ مَوْضِعَ الْبَيْتِ عَلٰى حَشَفَةٍ بَيْضَاءَ فَمَدَّ اللهُ الْاَرْضَ مِنْهَا فَلِذٰلِكَ هِىَ اُمُّ الْقُرٰى.

অর্থ: “হযরত ‘আত্বা’ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং ‘আমর ইবনে দীনার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের থেকে বর্ণিত। উনারা বলেন, অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা বায়ু প্রেরণ করেন, যা পানিকে বিদীর্ণ করে দেয়। তারপর উক্ত বায়ু উজ্জ্বল ছোট দ্বীপের উপর সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার সম্মানিত স্থান মুবারক প্রকাশ করে দেয়। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সেখান থেকে (সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নীচ থেকে) পৃথিবীকে প্রসারিত করেন, সৃষ্টি করেন। এই কারণেই সম্মানিত মক্কা শরীফ হচ্ছেন ‘উম্মুল কুরা’।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৪/১৩৪৫, তাফসীরে দুররে মানছূর ৩/৩১৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/১৪১)

সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ دُحِيَتِ الْاَرْضُ مِنْ مَّكَّةَ وَاَوَّلُ مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ الْمَلَائِكَةُ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সমস্ত পৃথিবী সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ তথা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নীচ থেকে বিস্তার লাভ করে, সৃষ্টি হয়। আর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাই সর্বপ্রথম সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ তাওয়াফ মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম)

মুহ্ইউস সুন্নাহ আবূ মুহম্মদ হুসাইন ইবনে মাস‘ঊদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে র্ফারা’ বাগভী শাফি‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৫১০ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে বাগভী শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-

هُوَ اَوَّلُ بَيْتٍ ظَهَرَ عَلـٰى وَجْهِ الْمَاءِ عِنْدَ خَلْقِ السَّمَاءِ وَالْاَرْضِ خَلَقَهُ اللهُ تَعَالـٰى قَبْلَ الْاَرْضِ بِاَلْفَىْ عَامٍ وَّكَانَ زُبْدَةًۢ بَيْضَاءَ عَلَى الْمَاءِ فَدُحِيَتِ الْاَرْضُ مِنْ تَـحْتِه هٰذَا قَوْلُ حَضْرَتْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَمُـجَاهِدٍ وَقَتَادَةَ وَالسُّدِّىِّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ.

অর্থ: “সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফই হচ্ছেন সর্বপ্রথম সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক যা আসমান ও যমীন (পৃথিবী) সৃষ্টি করার সময় পানির উপর প্রকাশিত হয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ পানির উপর উজ্জ্বল ভাসমান ফেনা আকারে ছিলেন। অতঃপর সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নীচ থেকে সমস্ত পৃথিবী বিস্তার লাভ করে, সৃষ্টি হয়। সুবহানাল্লাহ! এটা হচ্ছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার, হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং হযরত সুদ্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের সম্মানিত ক্বওল শরীফ, বক্তব্য মুবারক।” সুবহানাল্লাহ!  (তাফসীরে বাগভী শরীফ ১/১৬৬)

হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

وَاَيْضًا وَرَدَ فِىْ سَائِرِ كُتُبِ التَّفْسِيْرِ عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَمُجَاهِدٍ وَّالسُّدِّىِّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا اَنَّه اَوَّلُ بَيْتٍ وُّضِعَ (ظَهَرَ) عَلـٰى وَجْهِ الْمَاءِ عِنْدَ خَلْقِ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ وَقَدْ خَلَقَهُ اللهُ تَعَالـٰى قَبْلَ الْاَرْضِ بِاَلْفَىْ عَامٍ وَّكَانَ زُبْدَةًۢ بَيْضَاءَ عَلَى الْمَاءِ ثُـمَّ دُحِيَتِ الْاَرْضُ تَـحْتَه.

অর্থ: “অনুরূপভাবে সমস্ত তাফসীরের কিতাবে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার, হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং হযরত সুদ্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফই হচ্ছেন সর্বপ্রথম ঘর মুবারক যা আসমান ও যমীন (পৃথিবী) সৃষ্টি করার সময় পানির উপর প্রকাশিত হয়েছেন। আর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ পানির উপর সাদা ভাসমান ফেনা আকারে ছিলেন। অতঃপর সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নীচ থেকে সমস্ত পৃথিবী বিস্তার লাভ করে, সৃষ্টি হয়।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কবীর শরীফ)

আল্লামা কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে মাযহারী শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন-

فَقَالَ حَضْرَتْ اِبْنُ عَمْرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَمُـجَاهِدٌ وَّقَتَادَةُ وَالسُّدِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ هُوَ اَوَّلُ بَيْتٍ ظَهَرَ عَلـٰى وَجْهِ الْـمَاءِ عِنْدَ خَلْقِ السَّمَاءِ وَالْاَرْضِ خَلَقَهُ اللهُ قَبْلَ الْاَرْضِ بِاَلْفَىْ عَامٍ وَّكَانَتْ زُبْدَةً بَيْضَاءَ عَلَى الْـمَاءِ فَدُحِيَتِ الْاَرْضُ مِنْ تَـحْتِه.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, হযরত কাতাদা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত সুদ্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা বলেন, সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফই হচ্ছেন সর্বপ্রথম সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক যা আসমান ও যমীন (পৃথিবী) সৃষ্টির সময় পানির উপর প্রকাশিত হয়েছিলেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ পানির উপর সাদা ভাসমান ফেনা আকারে ছিলেন। অতঃপর সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নীচ থেকে সমস্ত পৃথিবী বিস্তার লাভ করে, সৃষ্টি হয়।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী শরীফ ১/৯২)

‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِىِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِىِّ بْنِ اَبِىْ طَالِبٍ رِضْوَانُ اللَّهِ تَعَالـٰى عَلَيْهِمْ اَجْـمَعِيْنَ عَنْ اَبِيْهِ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِنَّ اللهَ تَعَالـٰى بَعَثَ مَلَائِكَتَه فَقَالَ ابْنُوْا لِـىْ فِى الْاَرْضِ بَيْتًا عَلـٰى مِثَالِ الْبَيْتِ الْمَعْمُوْرِ وَاَمَرَ اللهُ تَعَالـٰى مَنْ فِى الْاَرْضِ اَنْ يَّطُوْفُوْا بِه كَمَا يَطُوْفُ اَهْلُ السَّمَاءِ بِالْبَيْتِ الْمَعْمُوْرِ وَهٰذَا كَانَ قَبْلَ خَلْقِ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ.

অর্থ: “ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবী ত্বালিব আলাইহিমুস সালাম তিনি উনার সম্মানিত পিতা ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার সূত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এই কথা মুবারক বলে প্রেরণ করেন যে, আপনারা আমার জন্য দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ উনার অনুরূপ একখানা সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক (সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ) তৈরী করুন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানবাসী (হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম) উনারা যেভাবে সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ তাওয়াফ করে থাকেন, পৃথিবীবাসী উনাদেরকে সেভাবে সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে তাওয়াফ করার জন্য সম্মানিত আদেশ মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! আর এটা ছিলো আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করার পূর্বের ঘটনা।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কবীর শরীফ ৮/২৯৬)

আল্লামা কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

رُوِىَ عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عَلِىِّ بْنِ الْـحُسَيْنِ عَلَيْهِ وَعَلـٰى اٰبَائِهِ السَّلَامُ اِنَّ اللهَ وَضَعَ تَـحْتَ الْعَرْشِ بَيْتًا وَّهُوَ الْبَيْتُ الْـمَعْمُوْرُ فَاَمَرَ الْـمَلَائِكَةَ اَنْ يَّطُوْفُوْا بِه ثُـمَّ اَمَرَ الْـمَلَائِكَةَ الَّذِيْنَ هُمْ سُكَّانُ الْاَرْضِ اَنْ يَّبْنُوْا فِى الْاَرْضِ بَيْتًا عَلـٰى مِثَالِه وَقَدْرِه فَبَنُوْهُ وَسَـمُّوْهُ الصَّرَاحَ وَاَمَرَ مَنْ فِـى الْاَرْضِ اَنْ يَّطُوْفُوْا بِه كَمَا يَطُوْفُ اَهْلُ السَّمَاءِ بِالْبَيْتِ الْـمَعْمُوْرِ.

অর্থ: “ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র আরশে আযীম মুবারক উনার নীচে ‘সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ’ নাম মুবারক-এ একখানা ঘর মুবারক নির্মাণ করেন। তখন তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ‘সম্মানিত বাইতুল মা’মূর শরীফ’ তাওয়াফ করার জন্য সম্মানিত আদেশ মুবারক করেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবীতে আবস্থানকারী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ‘সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ’ উনার অনুরূপ ও সম মর্যাদাসম্পন্ন একখানা সম্মানিত ও পবিত্র ঘর মুবারক নির্মাণ করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দেন। তাই হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ তৈরী করেন এবং উনার নামকরণ মুবারক করেন ‘আছ ছরাহ’। সুবহানাল্লাহ! তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানবাসী উনারা যেভাবে সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ তাওয়াফ করে থাকেন, পৃথিবীবাসী উনাদেরকেও সেভাবে সম্মানিত ও পবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে তাওয়াফ করার জন্য সম্মানিত আদেশ মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী শরীফ ১/৯২)

অসমাপ্ত

পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৮

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৯

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০