রজবুল হারাম শরীফ
নিয়ে এলেন রহমতসহ বরকতি পয়গাম।
ইলাহীবাগের রকমারী নাজ এ মাহের উদ্যানে,
সজ্জিত রহে অবিরত গাহে, অসংখ্য অনুদানে।
জান্নাতী শান রহে বহমান কত যে স্মৃতির পটে,
হুরমতি সব সংগতি দানে দুস্থতা কেটেছেঁটে।
যমীন আসমান রহেন অফুরান ইহসানী সামানায়,
কুল সৃষ্টি যে রহে তুষ্টির মোহে অনন্ত খাজিনায়।
ওই খোদায়ী খবর বড়ই জবর এ মাহের বুক জুড়ে,
লও চিনে লও ওরে ও মু’মিনীন আমিনের বাহু ডোরে।
কামিয়াব তব কাবাব বানাবে অনুগত সুধিজনে,
আক্বীদা আমল রইবে সবল জীবনের প্রতি কোণে।
স্নিগ্ধ আবির রাখছে নিবিড় প্রত্যায়ী আব্দারে,
রহে মুসলিম বড় নায়িমী নেওয়াজে ধন্যবাদের ঘরে।
আল হিলালের রজবী মশাল কামালে কামাল জানি,
যুগান্তরের জোশের জেওরে প্রবাহিছে স্রোতসিনী।
এ মাহের ঐ পহেলা জুমুয়ার রাত্রে হাবীব তিনি,
মাতৃ রেহেম শরীফে তাশরীফ লন খোদায়ী মেহেরবানী।
লাইলাতুর রগায়িব শ্রেষ্ঠ শরীফ মশহুর কায়িনাত,
ধন্য ব্যাকুল আশিকে রসূল পেয়ে নূরী বাশারাত।
ওই মাহে রজব উনার প্রথম রাত্রি দোয়া কবুলের রাত,
এ রাতে খোদায়ী খাছ রহমত কায়িনাতে ইনায়াত।
এই ইলাহী ইনাম হাদীছি কালাম করতেছি বর্ণনা,
ওরে ও মু’মিন হীনতা ত্যাগেই গ্রহে নিন ফরমানা।
পুরো মাস জুড়ে অনেক কাহিনী করে রাখে স্মরণীয়,
জ্ঞানী-গুণীজন উহা প্রতিক্ষণ মনে করে গ্রহণীয়।
ছয়ই রজব শরীফ অমূল্য পরব গরীবে নেওয়াজী বিছাল,
পুরো কায়িনাত দিবস মানতে রহে রহে উত্তাল।
খাছ খইর বরকত ঝরে অবিরত, ও দিবসী উদ্যানে।
বেশ হক্ব তালাশী উর্বশী হয়ে সচেতন আহরণে।
ফের চৌদ্দই রজব ঈদি কলরব বিলাদতী শরাফত,
খাজায়ে খাজেগা হিন্দেল ওলী তাশরীফ এ জগৎ।
সারা পড়ে যায় ভূবনের গায় নও খুশি হিল্লোলে,
চমকে চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারাকারা মজলিসী পরিমলে।
সুলত্বানুল আউলিয়া রহমত নিয়া, স্বয়ং প্রকাশমান,
শুনি জগতে আবাদ সেই সংবাদ দায়িমীতে আলোয়ান।
কহি আহলি বাইতি ইমামুস সাদিসী মহামতি বিলাদত,
হলো এ মাহের ঐ চৌদ্দ তারিখে, জাহিরান মহরত।
ও দিবসী ঈদে ইবলীস কাঁদে, ষষ্ঠ ইমাম হেরে,
উনার তাশরীফে রইলোই ছুপে ইবলীসি রাজপুড়ে।
তিনি নূরে ইসলাম ষষ্ঠ ইমাম মুসলিমী শাহি নাজ,
তিনি আওলাদে রসূল নূরী বুল বুল সুন্নতী রুহী সাজ।
ফের সাতাশে রজব মি’রাজ রজনী বেমিছাল নিয়ামত,
ওই দুই বন্ধুর শুভ মোহনায় ঘটতেছে কুরবত।
বড়ই আজিব ইলাহী হাবীব হেরেন লক্ষ স্মৃতি,
মি’রাজ রজনী নূরে নূরানী মুছে ফেলে দুর্গতী।
আরো কত যে বরকতী ধন এ মাহের খাজিনায়,
থরে থরে উহা সজ্জিত রহে ইসলামী লালিমায়।
কিন্তু যে হায় এই বসুধায় অধুনা মুসলমান,
হলো ইয়াওমুল লাইল হারাইয়া মাস্তানে শয়তান।
আহা! অথর্ব আর গর্ধবী গৃহে করছে কালাতিপাত,
মূর্খ জাহিলে রয় যে কাহিলে ভুলে যায় শওক্বাত।
ফের মুসলমানিত্ব হারায়ে নিত্য লুফে তাগুতের স্বাদ,
তাইতো তাহারা হয় হতচ্ছাড়া মেনে লয় বরবাদ।
নিজ তাহযীব তামাদ্দুন সব ধুলোয় মিটিয়ে দিতে
তাগুতী শরাব পান করে হায় ন্যুয়ে রয় পৃথিবীতে।
অপমান আর অপদস্তের কঠিন গুহায় থেকে,
তাগুতী পূজায় মত্ত যে রয় চিৎকারে কয় ডেকে।
হায় মুসলমানেরা কেন হলো আজ ভীতু বকরির পাল?
কেন আজ তারা শত্রু হাতেই হয়ে রয় পয়মাল।
মরীচিকা ন্যায় ঈমানের আলো জুনি পোকা সদৃশ,
নিভে জ্বলে হায় অস্থিরতায় হয়ে উঠে কুৎকৃশ।
একি দুর্দশা একি প্রত্যাশা দাওরে জবাব মুসলমান?
কেন চোখের সামনে ভগ্নি ইজ্জত লুটে রয় কাফিরান।
মসজিদ মাদরাসা দিচ্ছে জ্বালিয়ে মরদুদ হেসে হেসে,
আহারে, হাবীবী শানে উক্তি অশালীন কহিছে নির্বিশেষে।
গুলি করে মারে মুসলিম ধরে, করবে কে প্রতিবাদ?
তারা প্রহসন আর টিটকারী দিতে হয়ে উঠে উন্মাদ।
ওই ন্যুইয়ে পড়া মুসলিমী ক্বওম চোখের পাপড়ি খুলে,
ভালো করে দেখ বীর রাহগীর ওই যে এলেন চলে।
ওই উনার ডাকেই একত্র হও সময় এখনো আছে,
ভীতু জিঞ্জির ছিন্ন করে আস হে উনার কাছে।
তিনি খাছ আহলে বাইত নববী ধারার বাতি,
উনার হাতেই ইসলামী হাল, দানেন সুন্নী গতি।
তিনি ইমামুল উমাম মুজাদ্দিদ আ’যম রহমতী রহমান,
কহি ছাহাবী যুগের শীর্ষতা নিতে আয়রে মুসলমান।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬