সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১৮

সংখ্যা: ২৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব-উনার অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লّীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)  ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-চলমান), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করার পর-

 

৩২তম ফতওয়া হিসেবে

 

“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”-

পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

 

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয

পূর্ব প্রকাশিতের পর

 

পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ উনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকাম

 

পবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দলীল-আদিল্লাহ মোতাবেক সম্মানিত ইসলামী শরীয়াত উনার যাবতীয় হুকুম-আহকাম মেনে চলার জন্য কারো অনুসরণ করাকে ‘আত-তাকলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ বলে। উনাকে ‘তাকলীদুল ইসলাম’, ‘তাকলীদুদ্ দীন’ ও ‘তাকলীদুদ্ দালায়িলিল আরবায়াহ’ অর্থাৎ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার চারখানা দলীল উনাদের অনুসরণও বলা হয়ে থাকে।

নি¤েœ পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ উনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উল্লেখ করে উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকাম বা বিধি-বিধান আলোচনা করা হলো-

পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ১৩

يا ايها الذين امنوا اطيعوا الله واطيعوا الرسول واولى الامر منكم فان تنازعتم فى شىء فردوه الى الله والرسول ان كنتم تؤمنون بالله واليوم الاخر ذلك خير واحسن تأويلا. (سورة النساء ৫৯ الاية)

অর্থাৎ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার আনুগত্য করো, সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরন-অনুকরণ করো এবং তোমাদের মধ্যে যাঁরা উলিল আমর (আদেশদাতা) উনাদের অনুসরণ করো। তোমাদের মধ্যে যদি কোন বিষয়ে মতবিরোধ হয়, তাহলে উক্ত বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে প্রত্যাবর্তন করো অর্থাৎ যেই উলিল আমর উনার পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দলীল বেশি এবং যিনি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ মোতাবেক পরিপূর্ণ আমল করেন সেই উলিল আমর উনাকেই অনুসরণ করো। যদি তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে থাকো। এটাই কল্যানকর ও পরিনতির দিক দিয়ে উত্তম। (পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর ৫৯)

অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার-

واولى الامر منكم فان تنازعتم فى شىء فردوه الى الله والرسول

অংশ দ্বারা হযরত ইমাম-মুজতাহিদ, উলামা, আউলিয়া কিরাম ও উমারা-খলীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করতে নির্দেশ করা হয়েছে এবং ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস যে মহা সম্মানিত শরীয়াত উনার দলীল তাও প্রমাণ করা হয়েছে। যেমনটি সর্বজনমান্য ও নির্ভরযোগ্য সকল তাফসীর উনার কিতাব উনাদের মধ্যে উল্লেখ আছে।

অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বিশুদ্ধ তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ

(৩৯৫)

واختلف أهل التأويل في”أولي الأمر” الذين أمر الله عبادَه بطاعتهم في هذه الآية. فقال بعضهم: هم الأمراء. وقال آخرون: هم أهل العلم والفقه. وقال آخرون: هم أصحاب محمد صلى الله عليه وسلم. وقال آخرون: هم أبو بكر وعمر رحمهما الله. (جامع البيان في تأويل القرآن اى تفسير الطبري سورة النساء ৫৯ الاية الكريمة المؤلف : حضرت محمد بن جرير بن يزيد بن كثير بن غالب الآملي أبو جعفر الطبري رحمة الله عليه المتوفى: ৩১০ هجري)

অর্থ: আলোচ্য পবিত্র আয়াতাংশ উনার ব্যাখ্যায় উলিল আমর উনার অর্থ সম্পর্কে মুফাসসিরগণ একাধিক মত পোষণ করেছেন। কেউ কেউ বলেন, উনারা হলেন- উমারা অর্থাৎ আমীর বা আমীরুল মু’মিনীন বা খলীফা। অথবা ইনসাফগার সুলতান বা শাসক। অন্যান্য তাফসীরকারগণ বলেন, উলিল্ আমর দ্বারা উলামা ও ফক্বীহ উনাদেরকে বুঝানো হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, উনারা হলেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা। আবার কারো কারো মতে, উনারা হলেন হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম। (জামিউল বায়ান ফী তা’বীলিল্ কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুত্ ত্ববারী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৫৯ নং পবিত্র আয়াত শরীফ লেখক: হযরত মুহাম্মাদ বিন জারীর বিন ইয়াযীদ বিন কাছীর বিন গালিব আমালী আবূ জা’ফর ত্ববারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৩১০ হিজরী)

(৩৯৬)

وقال آخرون: هم أهل العلم والفقه. ذكر من قال ذلك: حدثنى سفيان بن وكيع قال، حدثنا أبى، عن على بن صالح، عن عبد الله بن محمد بن عقيل، عن جابر بن عبد الله قال حدثنا جابر بن نوح، عن الأعمش، عن مجاهد فى قوله: أطيعوا الله وأطيعوا الرسول وأولى الأمر منكم”، قال: أولى الفقه منكم.

حدثنا أبو كريب قال، حدثنا ابن إدريس قال، أخبرنا ليث، عن مجاهد فى قوله: “أطيعوا الله وأطيعوا الرسول وأولي الأمر منكم”، قال: أولى الفقه والعلم.

حدثنى محمد بن عمرو قال، حدثنا أبو عاصم، عن عيسى، عن ابن أبى نجيح: “وأولى الأمر منكم”، قال: أولى الفقه فى الدين والعقل.

حدثنى الـمثنى قال، حدثنا عبد الله بن صالح قال، حدثنى معاوية بن صالح، عن علي بن أبى طلحة، عن ابن عباس قوله: “أطيعوا الله وأطيعوا الرسول واولى الأمر منكم”، يعنى: أهل الفقه والدين.

حدثنى أحمد بن حازم قال، حدثنا أبو نعيم قال، حدثنا سفيان، عن حصين، عن مجاهد: “وأولى الأمر منكم”، قال: أهل العلم.

حدثنى يعقوب بن ابراهيم قال، حدثنا هشيم قال، أخبرنا عبد الـملك، عن عطاء بن السائب فى قوله: “أطيعوا الله وأطيعوا الرسول وأولى الأمر منكم”، قال: أولى العلم والفقه.

حدثنى الـمثنى قال، حدثنا عمرو بن عون قال، حدثنا هشيم، عن عبد الملك، عن عطاء: “وأولى الأمر منكم”، قال: الفقهاء والعلماء.

حدثنا الحسن بن يحيى قال، أخبرنا عبد الرزاق قال، أخبرنا معمر، عن الحسن فى قوله: “وأولى الأمر منكم”، قال: هم العلماء.

قال، وأخبرنا عبد الرزاق، عن الثورى، عن ابن أبى نجيح، عن مجاهد قوله: “وأولي الأمر منكم”، قال: هم أهل الفقه والعلم.

حدثنى الـمثنى قال، حدثنا اسحاق قال، حدثنا ابن ابى جعفر، عن أبيه، عن الربيع، عن أبى العالية فى قوله: “واولى الامر منكم”، قال: هم اهل العلم، ألا ترى أنه يقول: ( وَلَوْ رَدُّوهُ إِلَى الرَّسُولِ وَإِلَى اولِى الأمْرِ مِنْهُمْ لَعَلِمَهُ الَّذِينَ يَسْتَنْبِطُونَه مِنْهُمْ ) [سورة النساء: ۸۳]. (جامع البيان في تأويل القرآن اى تفسير الطبري سورة النساء ৫৯ الاية الكريمة المؤلف : حضرت محمد بن جرير بن يزيد بن كثير بن غالب الآملي أبو جعفر الطبري رحمة الله عليه المتوفى: ৩১০ هجري)

অর্থ: অন্যান্য তাফসীরকারগণ বলেন, উলিল আমর দ্বারা উলামা ও ফক্বীহ উনাদেরকে বুঝানো হয়েছে। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আয়াতাংশে উল্লেখিত উলিল আমর দ্বারা উলামা ও ফক্বীহ উনাদেরকে বুঝানো হয়েছে।

হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত, তিনি اطيعوا الله واطيعوا الرسول واولى الامر منكم

উনার ব্যাখ্যায় বলেন, এ আয়াতাংশে উল্লেখিত উলিল আমর অর্থ তোমাদের উলামা ও ফক্বীহগণ।

অন্য এক সনদে মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত, তিনি অত্র আয়াতাংশে উল্লেখিত উলিল আমর অর্থ করেন উলামা ও ফক্বীহগণ।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্নিত, তিনি اطيعوا الله واطيعوا الرسول واولى الامر منكم উনার অর্থ উলামা ও ফক্বীহগণ বলেছেন।

অন্য এক সনদে মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত, তিনি আয়াতাংশে উল্লেখিত উলিল আমর উনার অর্থ উলামায়ে কিরাম বলেছেন।

হযরত আত্বা ইবনে সায়িব রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, উলিল আমর অর্থ ফক্বীহ ও উলামা।

অন্য এক সনদে আত্বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত, তিনি আয়াতাংশে উল্লেখিত উলিল আমর উনার অর্থে বলেছেন, ফক্বীহগণ ও উলামায়ে কিরাম।

হযরত হাসান বছরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত আছে, তিনি উলিল্ আমর উনার ব্যাখ্যায় বলেন, উলামা কিরাম।

অন্য এক সনদে মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার হতে বর্ণিত, তিনি আয়াতাংশে উল্লেখিত উলিল আমর উনার অর্থ করেন উলামা ও ফক্বীহ।

হযরত আবুল আলিয়াহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি এ আয়াতাংশে উল্লেখিত উলিল আমর উনার অর্থে বলেন, উলামা কিরাম। লক্ষণীয় যে, মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন “কিন্তু যদি তারা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে এবং তাদের মধ্যে উলুল্ আমর (ইমাম-মুজতাহিদগণের) কাছে উক্ত বিষয়টি উপস্থিত করতো, তবে অবশ্য উনাদের মধ্যে যাঁরা ইজতিহাদ (ক্বিয়াছ) দ্বারা উহা উৎঘাটত করতে সক্ষম উনারা তা অবগত হতে পারতেন।” পবিত্র সূরাতুন্ নিসা ৮৩ নং আয়াত শরীফ। (জামিউল বায়ান ফী তা’বীলিল্ কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুত্ ত্ববারী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৫৯ নং আয়াত শরীফ লেখক: হযরত মুহাম্মাদ বিন জারীর বিন ইয়াযীদ বিন কাছীর বিন গালিব আমালী আবূ জা’ফর ত্ববারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৩১০ হিজরী)

(৩৯৭)

كذا يشتمل الفقهاء والعلماء والـمشائخ بل اولى لانهم ورثة الانبياء وخازنوا احكام الله واحكام رسوله صلى الله عليه وسلم، اخرج ابن جرير والحاكم وغيرهما عن ابن عباس رضى الله عنهما هم اهل الفقه والدين وفى لفظ هم اهل العلم وابن ابى شيبة والـحاكم وصححه وغيرهما عن جابر بن عبد الله نحوه وعن ابى العالية ومجاهد كذالك وقال الله تعالى “ولو ردوه الى الرسول والى اولى الامر منهم لعلمه الذين يستنبطونه منهم” وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم العلماء ورثة الانبياء رواه احمد والترمذي وابو داود وابن ماجة من حديث كثير بن قيس وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم للصحابة رضوان الله عليهم الناس لكم تبع وان رجالا يأتونكم من اقطار الارض يتفقهون في الدين رواه الترمذي عن ابى سعيد الخدرى. (التفسير المظهري سورة النساء ৫৯ الاية الكريمة التأليف: القاضي محمد ثناء الله العثماني الحنفي الماتريدي المظهري المجددي النقشبندي الفانيفتي رحمة الله عليه المتوفى سنة ১২২৫ هجري)

অর্থ: অনুরুপভাবে উলুল আমর শব্দ ফক্বীহ, আলিম ও মাশায়িখ উনাদের উত্তমভবে শামিল করছে। কেননা, উনারাই হচ্ছেন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ওয়ারিছ এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিধানের সংরক্ষক। হযরত ইবনে জারীর ও হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, উনারা হচ্ছেন ফিক্বহ ও দীনের ইলম উনার অধিকারী। অপর এক বর্ণনা মতে, উনারা হচ্ছেন আহলুল ইলম বা বিদ্বান ব্যক্তি। হযরত ইবনে আবী শায়বাহ ও হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা প্রমুখও অনুরূপ জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন। আবুল আলিয়া ও মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণনাও অনুরূপ। আর মহান আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র বলেন যে, “কিন্তু যদি তারা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে এবং তাদের মধ্যে উলুল্ আমর (ইমাম-মুজতাহিদগণের) কাছে উক্ত বিষয়টি উপস্থিত করতো, তবে অবশ্য উনাদের মধ্যে যাঁরা ইজতিহাদ (ক্বিয়াছ) দ্বারা উহা উৎঘাটত করতে সক্ষম উনারা তা অবগত হতে পারতেন।” সূরাতুন্ নিসা-৮৩ নং আয়াত শরীফ। হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আলিম উনারা হচ্ছেন হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম উনাদের ওয়ারিস। হযরত কাছীর ইবনে কায়সের হাদীছ শরীফ থেকে আহমাদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ ও ইবনু মাজাহ শরীফ বর্ননা করেছেন। একদা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদেরকে বললেন, সমস্ত লোক আপনাদের অনুসরণকারী এবং বহু লোক দুনিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে আপনাদের কাছে দীনের মাসয়ালা-মাসায়িল জানার জন্য আসবে। হযরত ইমাম তিরমিযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে এ হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেন। (আত্ তাফসীরুল মাযহারী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৫৯ নং আয়াত শরীফ লেখক: ক্বাযী মুহাম্মাদ ছানাউল্লাহ উছমানী হানাফী মাতুরীদী মাযহারী মুজাদ্দিদী নক্বশাবন্দী পানিপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২২৫ হিজরী)

(৩৯৮)

وقال جابر بن عبد الله ومجاهد: (أولو الامر) أهل القرآن والعلم، وهو اختيار مالك رحمه الله، ونحوه قول الضحاك قال: يعني الفقهاء والعلماء في الدين. وحكى عن مجاهد أنـهم أصحاب محمد صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خاصة. وحكى عن عكرمة أنها إشارة إلى أبى بكر وعمر رضى الله عنهما خاصة.

(الجامع لأحكام القرآن للقرطبي سورة النساء ৫৯ الاية الكريمة المؤلف : حضرت ابو عبد الله محمد بن أحمد بن أبي بكر بن فرح الأنصاري الخزرجي شمس الدين القرطبي رحمة الله عليه المتوفى سنة ৬৭১ هجري)

অর্থ: হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন: উলুল আমর হলেন আহলুল্ কুরআন ও আলিম উনারা। এটা হযরত মালিক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ইখতিয়ার। অনুরূপ হযরত দ্বহহাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উলিল্ আমর হলেন ফুক্বাহা কিরাম ও উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম। হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, উনারা হলেন বিশেষভাবে হযরত ছাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা। হযরত ইকরামা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনারা হলেন বিশেষভাবে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম। (আল্ জামিউ লিআহকামিল কুরআন লিল্ কুরতুবী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৫৯ নং আয়াত শরীফ লেখক: হযরত আবূ আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন আবূ বকর বিন ফারাহ আনছারী খাযরাযী শামসুদ্দীন কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৬৭১ হিজরী)

(৩৯৯)

وقيل: الـمراد بهم أهل العلم، وروى ذلك غير واحد عن ابن عباس وجابر بن عبد اللّه ومجاهد والحسن وعطاء وجماعة، واستدل عليه أبو العالية بقوله تعالى: وَلَوْ رَدُّوهُ إِلَى الرَّسُولِ وَإِلى أُولِى الْأَمْرِ مِنْهُمْ لَعَلِمَهُ الَّذِينَ يَسْتَنْبِطُونَهُ مِنْهُمْ [النساء : ۸۳] فإن العلماء هم المستنبطون الـمستخرجون للأحكام. (روح المعاني في تفسير القرآن العظيم والسبع المثاني سورة النساء ৫৯ الاية الكريمة المؤلف: علامة حضرت شهاب الدين محمود ابن عبد الله الحسيني الآلوسي البغدادي رحمة الله عليه الوفاة سنة ১২৭০ هجري)

অর্থ: কারো কারো মতে: উলিল্ আমর দ্বারা উদ্দেশ্য উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। ইহা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে একাধিক রাবী বর্ণনা করেছেন। উনারা হলেন হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আত্বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও একদল বর্ণনাকারী রহমাতুল্লাহি আলাইহিম। এর সপক্ষ্যে হযরত আবুল আলিয়াহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি দলীল দেন মহান আল্লাহ তায়ালা উনার বাণী: “কিন্তু যদি তারা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে এবং তাদের মধ্যে উলুল্ আমর (ইমাম-মুজতাহিদগণের) কাছে উক্ত বিষয়টি উপস্থিত করতো, তবে অবশ্য উনাদের মধ্যে যাঁরা ইজতিহাদ (ক্বিয়াছ) দ্বারা উহা উৎঘাটত করতে সক্ষম উনারা তা অবগত হতে পারতেন।” সূরাতুন্ নিসা-৮৩ নং আয়াত শরীফ। নিশ্চয়ই হযরত উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা শরীয়াতের আহকাম বের করতে সক্ষম। (রূহুল মায়ানী ফী তাফসীরিল্ কুরআনিল্ আযীম ওয়াস্ সাবয়িল্ মাছানী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৫৯ নং আয়াত শরীফ লেখক: আল্লামা হযরত শিহাবুদ্দীন মাহমূদ বিন আব্দুল্লাহ হুসাইনী আলূসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২৭০ হিজরী)

(৪০০)

أَخبرنا عبد الرحمن، قال : ثنا إِبراهيم، قال: ثنا آدم قال: ثنا ورقاءُ عن ابن أَبي نجيح، عن مجاهد في قوله عز وجل: {وَأُوْلِي الأمر مِنْكُمْ} يعني: أَولى الفقه فى الدين والعقل. أنبا عبد الرحمن، قال: ثنا إِبراهيم، قال: ثنا آدم قال: ثنا الـمبارك بن فضالة عن الحسن قال: يعنى أُولى الفقه والعلم والرأْي والفضل. (تفسير مجاهد سورة النساء ৫৯ الاية الكريمة المؤلف: أبو الحجاج مجاهد بن جبر التابعي المكي القرشي المخزومي رحمة الله عليه الولادة ২১ هجري الوفاة ১০৪ هجري)

অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা আয্যা ওয়া জাল্লা উনার বাণী: উলিল আমর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- দীনী ফক্বীহ ও সমঝদারগণ। হযরত হাসান বছরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনারা হলেন- ফক্বীহ, উলামা, রায়দানকারী উনারা। (তাফসীরু মুজাহিদ পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৫৯ নং আয়াত শরীফ লেখক: হযরত আবুল হাজ্জাজ মুজাহিদ বিন জাবর তাবিয়ী মাক্কী কুরাশী মাখযূমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বিলাদত শরীফ: ২১ হিজরী, ওয়াফাত শরীফ: ১০৪ হিজরী)

(৪০১)

وفى أولى الأمر أربعة أقوال. أحدها: أنهم الأمراء، قاله أبو هريرة وابن عباس في رواية وزيد بن أسلم والسدي ومقاتل. والثانى: أنهم العلماء، رواه ابن أبى طلحة عن ابن عباس وهو قول جابر بن عبد الله والحسن وأبي العالية وعطاء والنخعي والضحاك ورواه خصيف عن مجاهد. والثالث: أنهم أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم، رواه ابن أبي نجيح عن مجاهد وبه قال بكر بن عبد الله المزني. والرابع: أنهم أبو بكر وعمر، وهذا قول عكرمة. (زاد المسير في علم التفسير سورة النساء ৫৯ الاية الكريمة المؤلف: علامة حضرت جمال الدين عبد الرحمن بن علي بن محمد الجوزي رحمة الله عليه المتوفى: ৫৯৭ هجري)

অর্থ: উলিল আমর উনার তাৎপর্য উনার ব্যাপারে চারটি মতামত পাওয়া যায়। এক: উনারা হলেন- উমারা অর্থাৎ আমীর বা আমীরুল মু’মিনীন বা খলীফা। অথবা ইনসাফগার সুলতান বা শাসক। যা বর্ণনা করেন হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা, হযরত যায়েদ বিন আসলাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত সুদ্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত মুক্বাতিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

দ্বিতীয়: উনারা হলেন- হযরত উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম। হযরত ইবনু আবী ত্বলহাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে, হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত হাসান বছরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আবুল আলিয়াহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত নাখয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত দ্বহহাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মত। হযরত খছীফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন।

তৃতীয়: উনারা হলেন- সাইয়্যিদুনা হযরত নাবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা। যা হযরত ইবনু আবী নুজাইহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। অনুরুপ বলেন হযরত বকর বিন আব্দুল্লাহ মাযানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

চতুর্থ: উনারা হলেন- হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম। ইহা হযরত ইকরামাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মত। (যাদুল্ মাসীর ফী ইলমিত্ তাফসীর পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৫৯ নং আয়াত শরীফ লেখক: আল্লামা হযরত জামালুদ্দীন আব্দুর রহমান বিন আলী বিন মুহাম্মাদ জাওযী হাম্বালী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত শরীফ: ৫৯৭ হিজরী)

(৪০২)

{وأولى الأمر منكم} وهم العلماء والفقهاء، وقيل: الأمراء والسَّلاطين. (الوجيز في تفسير الكتاب العزيز سورة النساء ৫৯ الاية الكريمة المؤلف: أبو الحسن علي بن أحمد بن محمد بن علي الواحدي، النيسابوري الشافعي رحمة الله عليه المتوفى سنة ۴۶۸ هجري)

অর্থ: উলিল আমর দ্বারা উদ্দেশ্য হলেন হযরত উলামা কিরাম ও ফুক্বাহা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম। কারো কারো মতে, উনারা হলেন শাসক ও সুলতানগণ। (আল্ ওয়াজীয ফী তাফসীরিল কিতাবিল আযীয পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৫৯ নং আয়াত শরীফ লেখক: আল্লামা হযরত আবুল হাসান আলী বিন আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন আলী ওয়াহিদী নীসাবূরী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত শরীফ: ৪৬৮ হিজরী)

 

অসমাপ্ত

পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৩

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৫

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া