প্রসঙ্গ: গণতন্ত্র; এখনই  চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার-৮

সংখ্যা: ১১০তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভু-খন্ড হিসাবে বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্র। সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা হিসাবে এইদেশে গণতন্ত্র প্রচলিত। তাই এইদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ১৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলো। একজন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হইলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে প্রায় ৩৫ বৎসর শিক্ষকতা করিয়াছেন। তিনি বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় উচ্চ ফলনশীল ধানের বাছাইকরণ এবং বিভিন্ন সময়ে মাটিতে লবণাক্ততার প্রভাব নিরূপণ করিয়াছেন। মাটিতে গাছের খাদ্য উৎপাদন বহুদিন যাবৎ সংরক্ষণ করা এবং গাছের চাহিদা অনুযায়ী তাহা সরবরাহ করা বিষয়ে তিনি বহু বৎসর খাটিয়াছেন এবং স্বীয় মনন মেধার সন্নিবেশ করিয়া এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করিয়াছেন। জীবনে ৭২টি বসন্তের পরিক্রমায় এবং একজন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী হিসাবে নিজের অবস্থান সুসংহত করিয়াছেন।

সংশ্লিষ্টমহল যদিও মনে করেন, একজন মৃত্তিকা বিজ্ঞানীর চাইতে একজন রাষ্ট্র বিজ্ঞানী তথা সংবিধান বিশেষজ্ঞেরই দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু গণতন্ত্রের এমনই মহিমা যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিবর্তে জীবনের ৩৪-৪০ বৎসর মৃত্তিকা বিজ্ঞানের গভীর হইতে গভীরতর পরিসরে ব্যাপক বিচরণ করিলেও রাষ্ট্র, আইন, সংবিধানের পরিবর্তে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয়ে প্রায় দুই’শত তত্ত্বমূলক জার্নাল লিখিবার পরও প্রাসঙ্গিক মৃত্তিকা জগতের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতির ন্যায় সাংবিধানিক স্পর্শকাতর পদটিতে তিনি অধিষ্ঠিত হইলেন। আজীবন মৃত্তিকা বিষয়ে মস্তিষ্ক মনোনিবেশকারী মাটির মানুষ কথিত এই মৃত্তিকা বিজ্ঞানীর রাষ্ট্রপতি পর্যায়ে সমাসীন হওয়া কতটুকু সঙ্গীন হইল তাহা নিয়া প্রশ্ন করা সঙ্গত হইলেও গণতন্ত্রসেবীদের সে অধিকার নাই।

কারণ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানে যেই যোগ্যতার কথা বলা হইয়াছে তাহা হইলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হইলে বয়স কমপক্ষে ৩৫ বৎসর হইতে হইবে। সংসদ সদস্য হইবার যোগ্যতা থাকিতে হইবে। রাষ্ট্রপতির পদ হইতে অভিশংসিত হইয়াছে এমন কেহ প্রার্থী হইতে পারিবে না। আর সংবিধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা/অযোগ্যতা বিষয়ক ধারায় বলা হইয়াছে, ‘কোন ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেনা; যদি কোন উপযুক্ত আদালত তাহাকে অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করে, তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যহতি না পাইয়া থাকেন। তিনি কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত্য প্রদর্শন করিয়া থাকেন। নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া কমপক্ষে দুই’বৎসর কারাদন্ডে দন্ডিত হন ও মুক্তি লাভের পর কমপক্ষে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত না হয়। প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন বা কোন আইনের দ্বারা সংসদ সদস্য নির্বাচনের অযোগ্য হন। উল্লেখ্য, জনপ্রতিনিধি তথা সাংসদের দ্বারা প্রণীত এই সংবিধানে তাই রাজনৈতিক, সাংবিধানিক মেধা ও মননের অভিজ্ঞতা ছাড়াও অথবা অপেক্ষাকৃত অধিক  অভিজ্ঞ লোক হইতে তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ লোকও রাজনৈতিক কৌশলের কারণে পদধারী হইতে পারেন। উল্লেখ্য, অধুনা, শো-ম্যান দাঁড় করাই তাহার অন্তরালে স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করাও রাজনৈতিক কৌশলের রীতিতে পরিণত হইয়াছে।  বলাবাহুল্য, এই রাজনৈতিক কৌশল তথা গণতন্ত্রের ঝান্ডাবাহী তথাকথিত ইসলামিক দলগুলি এখন লেজুরবৃত্তি সর্বস্ব দলে পরিণত হইয়াছে। যদিও ইসলামের নামে এইরূপ দল করা জায়িয নাই তথাপি ইসলামের নামে তাহারা যে দল করিতেছে সেই দলের প্রচারণা অনুযায়ীও তাহারা দৃষ্টান্ত দেখাইতে পারে নাই। তাহারা ইসলামী ব্যক্তিত্ব রূপে কাহারো নাম প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রস্তাব করিতে পারে নাই। অর্থাৎ তথাকথিত সকল ইসলামি রাজনীতিকদের মাঝে বর্তমানে প্রেসিডেন্ট হইবার মত কোন যোগ্যলোক নাই ইহাই তাহারা প্রমাণ করিয়াছে। বরং অন্য সব বিষয়ের মত এই ব্যাপারেও তাহারা নারী নেতৃত্বের প্রতি চরম আস্থা প্রদর্শন করিয়াছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় তাহারা হাদীস শরীফের শিক্ষা জনগণকে ভুলাইতে প্রবৃত্ত হইয়াছে। “যে জাতির নেতা হয় নারী; তাহাদের প্রতি লা’নত।” হাদীস শরীফের এই কথা তাহারা এখন বেমালুম চাপাইয়া রাখিতেছে। বরং কার্যতঃ তাহারা যেইভাবে নারী নেতৃত্বের আনুগত্য করিয়াছে তাহাতে প্রতিভাত হয় যে, ‘আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বুঝি এই ধরণের কথা বলেন নাই।’ নচেৎ যেই হাদীস শরীফের উস্তাদ দাবী করিয়া কুরআন-সুন্নাহর আদর্শ বাস্তবায়নের দাবীতে আলিমরূপে নিজদিগকে জাহির করিয়াছেন তাহার পরে সেই কুরআন-সুন্নাহর বিপরীত আমল করা কিরূপে সম্ভব হইতে পারে? আর কুরআন-সুন্নাহর বিপরীত আমল করিলে আলিম হিসাবে কিভাবে নিজেকে জাহির করা যাইতে পারে? তখন কি করিয়া ইসলামী দলের নেতা হিসাবে পরিচয় দেওয়া যাইতে পারে? ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নকারী রূপে প্রকাশ করা যাইতে পারে? এবং কি রূপে তাহা বৈধতা পাইতে পারে?

প্রকৃতপক্ষে এইসব আলিম নামধারীরা, ইসলামের নাম বিক্রী করিয়া ক্ষমতালোভী প্রবৃত্তির কারণে ইসলামী শিক্ষার কথা মুখে উচ্চারণ করেনা। যে কারণে মুসলমানগণ আজ ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে মূল্যায়ণের অবকাশ পায়না। ইসলামী আদর্শবোধের বিপরীত কথা বলিতে লজ্জা পায়না, দ্বিধাগ্রস্ত হয়না, শঙ্কিত হয়না এবং জনগণের মাঝেও এইরূপ বিষয়গুলি সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি করেনা।

অথচ আলিম নামধারীরা যদি শ্বাশত ইসলামী মূূল্যবোধের উপর জোরদার প্রচারণা চালাইতো তাহা হইলে সাধারণ মুসলিম মানসিকতায় তাহার ঢেউ খেলিতো। সেইটা রাষ্ট্রপতি পর্যায়ে হইলেও ঠেকিতো না, বাধাগ্রস্ত হইতো না।।   ইহার প্রমাণ সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মিলিয়াছে। গত ৬ই সেপ্টেম্বর যখন তিনি শপথ বাক্য পাঠ ‘বিছমিল্লাহির রহমানির রাহীম’ না বলিয়াই শুরু করেন তখন সকলের কাছেই তাহা দৃষ্টিকটু ঠেকিয়াছে। কারণ যে কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পড়ার এই শিক্ষা আলিমরা ছাড়াও সাধারণ মুসলমান সন্তানের ‘মা’ও দিয়া থাকেন। আলিম নামধারীরাও এখন পর্যন্ত বলিয়া থাকেন যে, মুসলমানের সকল কাজের শুরুতে ‘বিছমিল্লাহির রহমানির রাহীম’ পড়া আদত। বিশেষতঃ বিশেষ কাজে তাহা আরো গুরুত্ববহ।  বলাবাহুল্য, আলিম নামধারীরা এখনও এই শিক্ষার বিপরীত আমল করেনা বলিয়া সাধারণের মাঝে এই শিক্ষার রেশ এখনও আছে; এবং রাষ্ট্রপতির সেই রেশটুকুর কারণেই শপথবাক্য পাঠের শুরুতে ‘বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ না বলাতে সাধারণের কাছেও তাহা খারাপ লাগিয়াছে।

কিন্তু রাষ্ট্রপতির আরো কিছু বক্তব্য যাহা মুসলমান হিসাবে সকলের কাছেই দৃষ্টিকটু হইতে পারিত তাহা নিয়া যেন আলিম নামধারীরা ‘টু’ শব্দটুকুও করিলো না। অথচ এই সম্পর্কে হাদীস শরীফে অনেক বক্তব্য রহিয়াছে, এমনকি যেই বুখারী  শরীফের কথা অজ্ঞ মুসলমানরাও জানে সেই বুখারী শরীফেও স্পষ্টভাবে রহিয়াছে। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ক্ষমতা প্রার্থী হয় তাহার প্রতি লা’নত। আমরা তাহাকে ক্ষমতা দেইনা যে ক্ষমতা চায় অথবা পাইয়া আনন্দিত হয়।” যেই কারণে ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় যে, প্রথম খলীফা হইতে চতুর্থ খলীফা পর্যন্ত সবাই যখন নিজ নিজ খলীফা হইবার বিষয়টি জানিলেন তখন কেহই খুশী প্রকাশ করেন নাই। বরং অনেকেই দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা বলিয়াছেন এবং দায়িত্ব গ্রহণ করিলেও আল্লাহ পাক উনার রাহে করিয়াছেন এবং শঙ্কা-পেরেশানি ব্যক্ত করিয়াছেন।

পক্ষান্তরে বর্তমানে রাষ্ট্রপতিকে যখন রাষ্ট্রপতি হইবার কথা জানানো হইল তখন তিনি আবেগে আপ্লুত হইয়া বলিয়াছেন, ‘আপনাদের মুখে ফুল-চন্দন পড়ুক।’ (দৈনিক মানবজমিন) তিনি আরো বলিয়াছেন, ‘আমি খুশী, খুব খুশী।’ তিনি আরো বলিয়াছেন, ‘আমি ভাবিতেই পারিনি কখনো রাষ্ট্রপতি হইবো।’ এইদিকে তাহার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরাও একই প্রক্রিয়ায় চরম খুশী প্রকাশ করিয়াছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি হইবার বিষয়টি এইখানে সম্মান, প্রতিপত্তি ও লাভজনক বিষয় বলিয়া প্রতিভাত এবং সেই বিষয়টিই গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী মানুষকে প্রলুদ্ধ করে। গণতন্ত্রে মানুষ ক্ষমতা চায়, গ্রহণ করে মানুষের জন্য, নিজেদের আত্মতৃপ্তি ও আত্ম মর্যাদার জন্য, আল্লাহ পাক উনার জন্য নহে।

সুতরাং আল্লাহ পাক উনার ভয় তাহাকে বিচলিত করেনা, ক্ষমতা চাওয়া এবং পাওয়ার বিষয় তাহাকে বিবৃত করেনা। তাই এই ক্ষমতা কামনা রোগে আক্রান্ত দেখা যায় সবাইকে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ পাইয়াছে, ইয়াজউদ্দীন ছাড়া রাষ্ট্রপতি পদ লাভের জন্য ব্যাকুল ছিলো আরো অনেকে। এবং সবাই ইহার জন্য লবিংও করিয়াছেন। এমনকি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিরও একই বিষয়ে প্রবল কামনা ছিলো এবং সেই কামনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় তিনি অনেকটা আশাহতও হইয়াছেন। অর্থাৎ কথিত উচ্চ শিক্ষা, সুশীল ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, মেধা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, বয়সের ভার কোনকিছুই ক্ষমতা কামনা রোগকে দাবাইয়া রাখিতে পারেনা। বরং গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রবক্তা, অনুসারী প্রত্যেকেই ক্ষমতার কাঙ্গাল।

গত ৮/৯/০২ঈঃ তারিখে দলীয় রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলিয়াছেন, ‘দল না টিকিলে কেহই মন্ত্রী, এম.পি হইতে পারিবেন না।’ অর্থাৎ মন্ত্রী, এম.পি তথা ক্ষমতার বেনিফিসিয়ারী হইবার জন্যই তাহাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতি। জনগণকে পুঁজি করিয়া তাহাদের শক্তি। জনগণকে বঞ্চিত করিয়া তাহাদের বিলাসিতা।

পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হইয়াছে, রাষ্ট্রপতি হিসাবে ইয়াজউদ্দীনের মনোনয়ন হইবার পর হইতেই যেইভাবে পুলিশ, এস.বি, এস.এস.এফসহ বিভিন্ন বাহিনী, রাজকীয় গাড়ী, রাজদরবার তথা বঙ্গভবন, রাজকীয় আরাম-আয়েশ এর ব্যবস্থা করা হইয়াছে তাহা গণতান্ত্রিক রাজনীতির যত নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্বই হইয়া থাকুন না কেন তাহাকে প্রলুব্ধ করে। আর এই ধরণের স্বীকৃতি বাক্যও রহিয়াছে ঢের। সাবেক এক বিচারপতি রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এক কলামে লিখিয়াছেন যে, উক্ত রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রীয় খরচে যত পারা যায়, চর্ব্য, চুষ্য, লেহ্য-পেয় দিয়ে তাহার রসনাকে আস্বাদিত করিতেন।   উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্রপতির এই ব্যয়ের কোন অডিট হইবেনা। অথচ এইদেশে এখনও পত্রিকার পাতা খুলিলেই নজর পড়ে- ‘ক্ষুধার কাছে মাতৃত্ব বিসর্জন।’ ‘মা তাহার শিশু বাচ্চাকে রাস্তায় ফেলিয়া গিয়াছে, বিক্রি করিয়া দিয়াছে।’

কিন্তু সেই বিষয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির রাষ্ট্রপতিরা বিব্রতবোধ করেননা। বরং রাজকীয় জাকজমক, ঐশ্বর্য, আড়ম্বর, প্রাসাদ তাহাদের ব্যক্তিবোধকে উল্লাসিত করে, তৃপ্ত করে। এই কারণে রাষ্ট্রপতি পদ হইতে বিচ্যুতি তাহাদেরকে বড়ই ব্যথিত করে।   পত্রিকায় প্রকাশ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি তাহার শেষ দিনে ছিলেন অনেকটা আনমনা। আর আগের বিদায়ী অধ্যাপক রাষ্ট্রপতি বিদায়ের পর বলিয়াছেন, বঙ্গভবনের সব্জি বাগান এখনও তাহাকে টানে।  মূলতঃ শুধু সব্জি বাগানই নহে, ঐ রাজকীয় ক্ষমতা, ঐশ্বর্য, বিভব, বিলাসিতা গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেই টানে। এই টান ক্ষমতার টান, ইসলামের পরিভাষায় যাহাকে বলা হয় ক্ষমতার লোভ। আর ইসলামিক তত্ত্ব অনুযায়ী যাহার ভিতরে ক্ষমতার লোভ তাহার দ্বারা জনগণের অথবা ইসলামের কোন কাজ হয়না। কারণ, জনগণ বা ইসলাম বাদ দিয়া যে সব সময় ব্যক্তি ক্ষমতাকেই আকড়াইয়া ধরিয়া রাখিতে চাহে। সে আল্লাহপাককে ভয় পায়না। সে ইসলামের জন্য কাজ করেনা। প্রসঙ্গতঃ তাই আমাদের দেশের তথাকথিত ইসলামপন্থীদের দেখা যায় ক্ষমতার জন্য ইসলামের নামেই সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকিতে, ছবি তুলিতে, মৌলবাদ সমর্থন করিতে, ব্লাসফেমী আইন  চাহিতে, ইসলামের নাম দিয়া নির্বাচন করিতে, নারী নেতৃত্ব তথা ফাসিক নেতৃত্ব গ্রহণ করিতে। মূলতঃ এইখানেও ক্ষমতা ভাগাভাগির টান। পূর্বেই বলা হইয়াছে, এই ক্ষমতা লিঞ্ঝুদের দ্বারা জনগণ অথবা ইসলাম কোনটারই ফায়দা হইতেছেনা। যদিও সাধারণ গণতন্ত্রীরা অথবা ইসলামের নাম বিক্রিকারী গণতন্ত্রীরা জনগণ ও ইসলামের ফায়দার কথা বলে। কারণ ফায়দার কাজ করিতে হইলে চাই আল্লাহ পাক উনার রহমত। অথচ ক্ষমতালিঞ্ঝু হওয়ায় সে রহমত আদৌ তাহারা বহন করিতে পারেনা। যেহেতু হাদীস শরীফে আসিয়াছে, ‘যে ক্ষমতাপ্রার্থী হয়, তাহার প্রতি লা’নত।’ আর গণতন্ত্র চর্চা সবাইকে এই লা’নতের দিকেই ধাবিত করে।

কাজেই এখনই চরম সময় আসিয়াছে এই লা’নতী গণতন্ত্র সম্পর্কে ভাবিবার।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, বাসাবো, ঢাকা।

প্রসঙ্গঃ ভারতীয় মুম্বাই হাইকোর্টের রায় এবং স্বদেশের নামধারী আলিম সমাজ

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -১২

এম.পি, মন্ত্রী হওয়াই যে উহাদের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির মূললক্ষ্য তাহা এখন সকলেই সমঝিয়াছে

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৩

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৩