পাঠকবর্গ! রেযাখানী মাযহাবের মুখপত্রের মার্চ-এপ্রিল সংখ্যায় আলাউদ্দিন আরো লিখেছে, “রাজারবাগের পীর ছাহেবের কথিত সংস্কার কাজ তথা হরতাল, লংমার্চ, ভোট, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী ইত্যাদি কাজকে আজ পর্যন্ত কেউ দ্বীনের অংশ বলেছে। আর না কোন তথাকথিত ইসলামী দল … সমর্থন করলেই এগুলো শেয়ারে ইসলাম .. বলে গণ্য হবে। না এগুলোর বিরোধীতা করলে মুজাদ্দিদুয্ যামান হবে। বরং এ ধরণের রাজনীতি বিষয়গুলোর সমর্থন বিরোধীতাও এক ধরণের রাজনীতি।” পাঠক সমাজ! তার কথা থেকে সে বোঝাতে চাচ্ছে, তারা গণতন্ত্র ও রাজনীতির বেড়াজাল থেকে একেবারে পাকছাফ। যেন নির্জন, নিরিবিলিতে বসে দরবেশী যিন্দিগী যাপন করছে। শতধিক্কার! আলাউদ্দীনের জন্য। সে তাদের তথাকথিত হুযূর ক্বিবলাদের জীবনী পর্যন্ত ভুলতে বসেছে। যাদের আপাদমস্তক গণতন্ত্রের মধ্যে ডুবে আছে। আফসুস! এই কান্ড জ্ঞানহীন লোকটির জন্য। সে যদি তার লিখিত বিষয়ের লিখার আর কয়েক পৃষ্ঠা পর সামনে এগুতো তবে দেখতে পেত সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীমের লিখা ধুরন্ধর ছাবের শাহ্রে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক জীবনের কিছু হালচাল। ছিরিকোটি শাহ্রে খাছ দোয়া ও ভবিষ্যত বাণী ফলেছে ছাবের শাহ্র জীবনে। হরতাল, মিটিং, মিছিল, ভোট প্রথার মাধ্যমে ছাবের শাহ্ রাজনীতিতে নেমেছেন। একথা অস্বীকার করার উপায় আছে কি? এমনকি এক কালে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রীও নির্বাচিত হয়েছেন। ৯৮ সালে ত্রিদেশীয় বাণিজ্য শীর্ষ সম্মেলনে তিনি ঢাকায় আসেন। তৎকালে পাকিস্তানের মন্ত্রী নেওয়াজ শরীফ, ভারতের হিন্দু প্রধান মন্ত্রী আই কে গুজরালও এ সভায় যোগ দেন। আমার প্রশ্ন হলো, আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশে মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় যেতে হলে একজন নেতার কি কি গুণাবলী থাকা দরকার? নিশ্চয়ই হরতাল, মিটিং, মিছিল, ভোটপ্রথা, সরকারী কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাৎ করা, চুরি করা, মিথ্যা বলা, নির্বাচনে ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য অমুসলিমদের সভা-সমিতিতে ঘন ঘন যোগদান করা ইত্যাদি ইত্যাদি। কাজেই বুঝা যাচ্ছে মূর্খ আলাউদ্দীন মুখে ফাঁকা বুলি আওড়ালেও তাদের তথাকথিত কতক হুযূর ক্বিবলা গণতন্ত্রের শুলীকাষ্ঠে ক্রশবিদ্ধ অবস্থায় আছে। পাঠক সমাজ! আলাউদ্দীনের আরো কথা হলো, “২০০১ সালের নভেম্বর হতে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন এবং উসামা বিন লাদেন সম্পর্কে বাইয়্যিনাতে লিখা হচ্ছে। তাহলে ২০০১ সালের পূর্বে লাদেন রাজারবাগীদের নিকট মুজাদ্দিদুয্ যামান ছিল, যদিও বর্তমানে সে বাইয়্যিনাতের দৃষ্টিতে মিথ্যাবাদী, মুনাফিক, প্রবঞ্চক, ঠগ, ধূর্ত ইত্যাদি।” সম্মানিত পাঠক সমাজ! রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ মাহ্ফিলের বয়ান বোধ হয় সে কোন দিন শ্রবণ করেনি। যদি করত তবে বেয়াকুফের মত এধরণের কথা সে কস্মিনকালেও বলতে পারত না। হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সমগ্র বাংলার মুলূকে ওয়াজ মাহ্ফিল করেন। মানুষ তাঁকে এক নজর দেখার জন্য বা তাঁর বয়ান শোনার জন্য বহু দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যাঁকে কোন প্রশ্ন বা সুওয়াল করা হলে সঠিক ও বিশুদ্ধ জবাব মিলে। অনেক সময় মাহ্ফিলে শরয়ী মাসায়ালা-মাসায়িলের সাথে সমসাময়িক ও বিশ্ব রাজনীতি- পরিস্থিতি সম্পর্কেও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফের দৃষ্টিতে সেটার সঠিক জাওয়াব দিয়ে দেন।
ইরাকের সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে মাহ্ফিলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। তিনি প্রকাশ্যে ইরাকের সাদ্দাম হোসেনকে এবং বিন লাদেনকে আমেরিকান সি, আই, এ-এর এজেন্ট বলেছিলেন। সেটা ২০০১ নভেম্বর এর বহুপূর্বে। মানুষ তাঁর এ ধরণের দ্ব্যর্থ, বলিষ্ঠ, অনভিপ্রেত, আপোষহীন জবাবে অবাক হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু শ্রদ্ধেয় পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর এ ধরণের জবাবের উত্তর কিছুকাল পরে হুবহু সত্য বলে প্রকাশ পেয়েছে। এমনকি ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র- মেট্ট্রো পলিটন পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ এলাকায় তাঁর মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা শরীফ ও বাসগৃহ অবস্থিত। সেখানেও তিনি প্রকাশ্যভাবে মুসলিম বিশ্বের বড় বড় অনেক নেতাদেরকে আমেরিকান সি, আই, এ-এর এজেন্ট বলে উল্লেখ করেছেন। আশ্চর্য হলেও সত্য যে, আজ পর্যন্ত সরকার বা বিপক্ষ দলীয় কোন নেতা, রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা তার এ ধরণের জবাবের বিরোধীতা করেননি। এমনকি সরকারের কোন ফাইল, কাগজপত্রে তাঁর সম্পর্কে বিন্দু থেকে বিন্দুতম কোন অশোভনীয় উক্তি ও রিপোর্ট জমা নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এবং বিরোধী দলীয় পূর্বের সরকারের লোক ভাল ভাবেই জানেন যে তিনি গণতন্ত্র, ভোট প্রথা, রাজনীতি থেকে মুক্ত। য
-মুহম্মদ শফিকুল আলম, মতিঝিল, ঢাকা।
রেজভী গ্রুপের লিখক ফজলুল হকের নিজের খোঁড়া গর্তে নিজেই জিন্দা দাফন