“ফজলুর জিহালতীর জবাব” সত্যিই রাজারবাগীদের নিকট ‘দ্বীনে রেযাখানী’ নিরাপদ নয় সংশোধনী না সূক্ষ্ম প্রতারণা?

সংখ্যা: ১০৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

পাঠক! ফজলু রবিউল আউয়াল সংখ্যায় চালাকী করে একটি সংশোধনী দিয়েছে। যার মাধ্যমে সে তার প্রতারণা ও ঠগবাজীকে আরো পাকাপোক্ত করেছে। ‘সফর’ সংখ্যায় ফযলু ‘তাহ্তাবীর’ নিম্নোক্ত ইবারত উল্লেখ করেছিলো যে,

ولعله ان صح النقل مقيد بقصده والافالظا هر انه ليسبكفر.

পাঠক! খোদ রেযা খাঁ তার ‘মজমুয়ায়ে রাসায়েলে’ উক্ত ইবারতের উর্দূ তরজমা করেছে এভাবে,

اگر یہ نقل صحیح ھے تو اس میں قصد کی قید  ضرور ھوگی ورنہ بظاھر یہ کفر نھیں ھے.

অর্থাৎ- “যদি এ বর্ণনা ছহীহ্ হয় তবে অবশ্যই তা ইচ্ছাকৃতভাবে করার সাথে সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে সংক্ষেপে লিখলেই কুফরী হবে। নতুবা কুফরী হবেনা।”

ফযলু ও তার গুরুরা যখন দেখলো যে, উক্ত বক্তব্য দ্বারা মূলতঃ তারা নিজেরাই কুফরীর আওতায় পড়ে যায়। কেননা, তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই দরূদ শরীফ সংক্ষেপে লিখেছে। “আর তাহতাবী’ কিতাবে বলা হয়েছে, بقصده” অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে দরূদ শরীফ সংক্ষেপে লিখা কুফরী।” নিজেদের পাতা এ কুফরীর ফাঁদ থেকে মুক্ত হতে ফযলু সূক্ষ্ম প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করলো, সে কিতাবে না থাকা সত্ত্বেও নিজ থেকে قصد এর সাথে تخفيف” শব্দটি যোগ করে দিলো। আর উক্ত ইবারতের ব্যাখ্যা করলো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের উদ্দেশ্যে সংক্ষেপে লিখলে কুফরী হবে। অর্থাৎ সে বুঝাতে চেয়েছে যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সংক্ষেপে লিখলেও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের উদ্দেশ্যে লিখেনা।

হাক্বীক্বত দরূদ শরীফ সংক্ষেপে লিখার অর্থই হলো, تخفيف” বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করা। এটা আমার কথা নয় বরং তার গুরু রেযাখারই কথা। যেমন, সে উক্ত কিতাবে লিখেছে,

جس نے علیہ السلام ہمزہ اور میم سے لکھا  کافر ھوگیا کیو نکہ یہ تخفیف ھے اور انبیاء کی تحفیف بغبر کسی شک کے کفر ھے.

অর্থঃ- “যে ব্যক্তি عليه السلام” হামযা ও মীম দ্বারা লিখলো সে কুফরী করলো। কেননা এটা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের অন্তর্ভুক্ত। আর নবী-রসূলগণের প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করা নিঃসন্দেহে কুফরী।”       সুতরাং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের উদ্দেশ্যে নয় বরং ইচ্ছাকৃত সংক্ষেপে লিখাই মূলতঃ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করা যা রেযাখার ফতওয়া মতে কুফরী।

অতএব, কিতাবে  قصد এর সাথে تخفيف” শব্দ না থাকা সত্ত্বেও, তা এর সাথে সংযুক্ত করে ফজলু আবার প্রমাণ করলো যে, সে ইবারত চোর, প্রতারক ও মিথ্যাবাদী, জাহিলতো অবশ্যই। তাই তো প্রতিবারই তার নিজ তলোয়ারে তার ও তার গুরুদের মাথা কাটা যাচ্ছে। এরপরও সে আল বাইয়্যিনাতের বিরুদ্ধে কলম ধরার দুঃসাহস দেখায়, মূলতঃ চরম জাহিল ও বে-আক্বেল হওয়ার কারণেই। তার যদি সামান্য আক্বল-বুদ্ধি থাকতো তবে সে তার গুরু-উস্তাদ অদক্ষের থেকে নছীহত-ইবরত হাছিল করতো যে, আল বাইয়্যিনাতের বিরুদ্ধে কলম ধরার শেষ পরিণতি কত ভয়াবহ। যেখানে আমার গুরু-উস্তাদ স্তব্ধ হয়ে গেছে সেখানে আমি চুনোপুটি কলম ধরি কোন সাহসে! আসলে কথায় বলে, “খালী কলস টন-টন করে।” (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইছহাক, বাসাবো, ঢাকা।

“ভারতে মুসলমানদের উপর হিন্দুদের বর্বরতা ও পৈশাচিক আক্রমণ; প্রাচীন কাল হতেই হিন্দুদের এই নির্মম প্রবণতা” ঐতিহাসিক দলীল সম্বলিত একটি অনুসন্ধানী রচনা-৩

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -১০

ইল্মে আক্বলিয়ার দৈন্য এবং বিলায়েতের অনুপস্থিতির কারণে প্রকৃত আলিমে দ্বীন তৈরী হচ্ছে না

প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার- ৬

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে॥ দ্বীনে ইলাহীর আদলে দ্বীনে জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-১