চাঁদ দেখার আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করেই ইয়াহুদী বংশবদ সউদী ওহাবী সরকার চাঁদের তারিখ হেরফের করে যাচ্ছে, তাই চাঁদ তালাশ করতে সরকারের আধুনিক যন্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত : একটি ধোঁকাবাজী বৈ কিছুই নয়

সংখ্যা: ২৭৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

স্বাধীনতা উত্তর ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (ইফাবা) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ১৪৪০ হিজরীর পবিত্র রজবুল হারাম মাস পর্যন্ত প্রায় বিশ্বাসযোগ্যতার সাথেই চাঁদ তালাশ করে আসছিল। কিন্তু ১৪৪০ হিজরীর পবিত্র শা’বান শরীফ মাস ও পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ নিয়ে প্রহসন করতে গিয়ে মাজলিসু রুইয়াতিল হিলালের কাছে হাতে নাতে ধরা পরার পর, প্রতারনার আশ্রয় নেয়ার অংশ হিসেবে চাঁদ তালাশের জন্য আধুনিক থিওডোলাইড টেলিস্কোপ কেনার পাঁয়তারা করছে।

যদিও থিওডোলাইড টেলিস্কোপ অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরে রয়েছে। আর এই আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ইফাবার চাঁদ দেখা কমিটিতে উপস্থিত থেকে নিবিড়ভাবে সাহায্যও করে থাকে। তারপরও কেন ১৪৪০ হিজরীর পবিত্র শা’বান শরীফ মাস ও পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসের চাঁদ তালাশে এমন বিভ্রান্তি ঘটলো?

এছাড়াও আমরা যদি সউদী আরবের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, ১৯৪৮ সালের পূর্বে সউদী আরবে চাঁদ তালাশ শরীয়তসম্মত থাকলেও,  ১৯৪৮ সালে পর থেকে ১৪৪০ হিজরীর পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস পর্যন্ত কোন মাসই যথাসময়ে শুরু করা হয়নি বরং প্রত্যেকবারই হেরফের করা হয়েছে। এমনকি ১৪৪০ হিজরীর পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস হেরফের করার বিষয়টি বৃটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হলে ইয়াহুদী বংশবদ সউদী ওহাবী সরকার ১৬০ কোটি রিয়াল কাফফারা ধার্য্য করে। যদিও ইয়াহুদী বংশবদ সউদী ওহাবী সরকারের এই প্রতারণা মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল শুরু থেকেই ধরিয়ে দিয়ে আসছিল, কিন্তু মুসলমানরা তা বুঝতে পারেনি।

যাই হোক, ইয়াহুদী বংশবদ সউদী ওহাবী সরকারও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেই দীর্ঘদিন যাবত চাঁদ দেখার ব্যাপারে শরীয়ত বহির্ভূত আমল করে যাচ্ছে। তাই প্রশ্ন আসে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (ইফাবা)ও কি ইয়াহুদী বংশবদ সউদী ওহাবী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে যাচ্ছে?

আরো প্রশ্ন আসে, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কওমী ও দেওবন্দীদের অন্ধভক্ত শেখ আব্দুল্লাহ দায়িত্ব পাওয়ার পূর্বে বাংলাদেশে এমন সমস্যা হয়নি কেন?

বাংলাদেশের মুসলমানদের টাকায় থিওডোলাইড টেলিস্কোপ কিনে, মুসলমানদেরই ঈমান-আমল ধ্বংসের এই পাঁয়তারা বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সে ঈমানী কুওওয়াত ও ছহীহ সমঝ দান করুন। আমীন।

– মুহম্মদ জুলহাজুদ্দীন

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮