যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে,রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১৬

সংখ্যা: ২৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হলো- মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীরা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসকল মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নিস্নে প্রদত্ত হলো-

বাতিল কর্তৃক হক্বের বিরোধিতা ও মিথ্যাচারিতা পূর্বেও ছিল কিনা? থেকে থাকলে কেন এবং কারা করেছে?

পূর্ব প্রকাশিতের পর

অনুরূপভাবে যূগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাব তথা বাতিল পন্থিরাও তাদের লিফলেটের মাধ্যমেও পারেনি রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কোনো আক্বীদা ও আমল সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী প্রমাণ করতে। পেরেছে শুধু মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদেরকে যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক, দাজ্জালে কাযযাব ও আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হিসেবে সাব্যস্ত করতে।

তারা রাজারবাগ শরীফ উনার বিরুদ্ধে অপবাদ রচনা করতে গিয়ে তাদের চিরাচরিত কায়দায় লক্বব, স্বপ্ন তথা বুযূর্গী ইত্যাদি বিষয় নিয়েই অহেতুক অপপ্রচারের কলম ধরেছে, চিরদিনের জন্য হেনস্তা হওয়ার নির্ধারিত লক্ষ্যে।

নিম্নে লিফলেটসমূহে প্রদত্ত মিথ্যাচারিতার দফাওয়ারী দলীলভিত্তিক দাঁতভাঙ্গা জাওয়াব দেয়া হলো-

(১)

মুনাফিকরাই কাদিয়ানীদের দোষর আর কাদিয়ানীরা সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কাফির

অবৈধ সন্তানতুল্য কাদিয়ানীদের দোষর তথা মুনাফিক গোষ্ঠীর মিথ্যা বিভ্রান্তিকর, কাল্পনিক ও দলীলবিহীন মিথ্যাচারিতার দাঁতভাঙ্গা জাওয়াব

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি পাপী বা দুষ্ট প্রকৃতির লোকদেরকে প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শত্রু বানিয়েছি। (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১২)

এ পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে দু’টি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, (১) প্রত্যেক হাদীরই বিরোধিতাকারী ছিল এবং থাকবে (২) হাদীগণের বিরোধিতা যারা করবে তারা অবশ্যই পাপী ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক হবে।

-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা।

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮