১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ইস্যুতে গোটা জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ, তখন অভিযুক্ত সংগঠন জামাতের নেতাদের দলে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ! সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ কি তাহলে জামাত পুনর্বাসনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে? নিলে তা আওয়ামী লীগের জন্য শুধু আত্মঘাতী হবে না, বরং করুণ আত্মহত্যার শামিল হবে।

সংখ্যা: ২৩৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত সংগঠন জামাতের বিচার করা এখনই সম্ভব নয়, কারণ যে আইনের অধীনে সংগঠনটির বিচার হওয়ার কথা রয়েছে সেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের বিধিগুলো জামাতের বিচারের জন্য যথেষ্ট নয়। তবে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলছে, আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্য সঠিক নয়। আইনমন্ত্রী জানায়, এখনো জামাতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে ঝুলে আছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটির শীর্ষ ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিচারের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন আছে। এখন যদি সংগঠন হিসেবেও জামাতের বিরুদ্ধে বিচারকার্য শুরু হয় তাহলে বিচারাধীন মামলাগুলোর বিচারকার্যে নানারকম দ্বিধা-বিভক্তি ও অসঙ্গতি সৃষ্টি হতে পারে।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে একটি আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছে, “জামাতের নিবন্ধন বাতিলের একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ঝুলে আছে। তাই দলটির বিরুদ্ধে যদি এখন আরো একটি মামলার কাজ শুরু করা হয়, তবে সে ক্ষেত্রে আদালতে চলমান মামলাগুলোর পরিণতি কী হতে পারে- তা অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে। আইন অনুযায়ী, একই বিষয়ে দুটি বা ততোধিক মামলা একই সময়ে চলতে পারে না।”

কিন্তু বাস্তবতা হলো- “১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে যে সংশোধনীগুলো আনা হয়েছে সেগুলো বোধহয় মন্ত্রী ঠিকমত পড়েনি। যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলে একই সঙ্গে ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে যে বিচারকার্য চলতে পারে তা তার জানা আছে বলে মনে হয় না।”

যেহেতু আইনমন্ত্রী নিজে একথা বলেছে যে, জামাতের বিচার করা সম্ভব নয়, তার মানে সম্ভবত এটাই দাঁড়ায় যে- ট্রাইব্যুনাল আইনে যথাযথভাবে সংশোধনী আনা হয়নি বলেই সে একথা বলেছে। আইনের ব্যাপারে তারই ভালো জ্ঞান থাকা উচিত, আমাদের নয়। আইনমন্ত্রী আরো বলেছে, “যদি জামাতের বিচার হয় এবং সংগঠনটি অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে সংগঠনটিকে কোন দ- দেয়া হবে- তা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। ট্রাইব্যুনাল আইনে এই বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। আমাদের দেশে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী, যদি কোনো সংগঠন কোনো অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য দোষী হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা শাস্তি পেয়ে থাকে।” জামাতকে বিচারের মুখোমুখি করা হলো এবং যুদ্ধাপরাধের অপরাধে সংগঠন দোষী সাব্যস্তও হলো। তাহলে দেশের আইন অনুযায়ী জামাতের নেতারা তখন দলটির হয়ে শাস্তিভোগ করবে। কিন্তু এরই মধ্যে তো জামাতের অনেক নেতার বিরুদ্ধেই রায়ও শোনানো হয়ে গেছে, বাকিদের বিচার চলছে। তাহলে একই অপরাধে একজন ব্যক্তিকে দুইবার কিভাবে সাজা দেবে? এটা বুঝতে হবে যে একই অপরাধে কারো উপর দুইবার শাস্তি চাপিয়ে দেয়া হলো সংবিধান পরিপন্থী কাজ… কাঠগড়ায় জামাতকে দাঁড় করানোর জন্য এটা সঠিক সময় নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় আনতে হবে এবং আমাদের আরো চিন্তা করতে হবে।”

এই ব্যাপারে জ্ঞাতব্য হলো, “সর্বোচ্চ আদালতে ঝুলে থাকা মামলাটি জামাতের নিবন্ধন সংক্রান্ত। কারণ দলটির চার্টার অর্থাৎ শাসনতন্ত্র এদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যে মামলাটি দায়ের করা হবে সেটি হবে গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মামলা। এই মামলা জামাতের চার্টারের সঙ্গে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়। গণহত্যা-যুদ্ধাপরাধ, আর নিবন্ধন- সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি বিষয়। তাহলে কেন মন্ত্রী বলছে যে- দুটি মামলা একটি আরেকটির উপর প্রভাব ফেলবে?”

মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলা যায়, “জামাত প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজা দেয়া হয়েছিল। তার মানে কি এই যে- যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দায়েরকৃত মামলার বিচারে তার সাজা হবে না? মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকার জন্য কি তার শাস্তি পাওয়া উচিত নয়?”

প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং জামাতের মধ্যে কোনো ধরনের চুক্তি থাকার সম্ভাবনা আছে কি-না সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছে, “জামাতের সঙ্গে সমঝোতার কোনো প্রশ্নই উঠে না; কারণ তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই বিশ্বাস করে না।”

কিন্তু মন্ত্রীর এ কথার বিপরীতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জামাতের স্থানীয় নেতারা আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে। আওয়ামী লীগও তাদের সাদরে গ্রহণ করছে। বিপরীত ধারার এই দুই রাজনৈতিক দলের গ্রহণ-বর্জনে প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ কি তাহলে জামাত পুনর্বাসনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ইস্যুতে গোটা জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ, তখন অভিযুক্ত সংগঠন জামাতের নেতাদেরকে দলে পুনর্বাসিত করছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামাতের রাজনীতি যখন নিষিদ্ধের শেষ পর্যায়ে  সেই মুহূর্তে আইনমন্ত্রী জানিয়েছে, জামাতের বিচার এখনই সম্ভব নয়।

সম্প্রতি গোপালগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, বরিশাল, শরীয়তপুর, রাজশাহীতে জামাতের অনেক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে ঠাঁই পেয়েছে। এমনকি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা জামাতের সাবেক সভাপতি আবু বক্কর খান সে শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে।

জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল (২০১৪) গোপালগঞ্জ জেলা জামাতের সহকারী সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম এ নাসির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মেজবাউদ্দিনের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে। ১৮ এপ্রিল (২০১৪) পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি ইউনিয়নের ৭০ জন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। ১৬ মার্চ (২০১৪) পাবনার সদর আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের হাতে হাত ধরে পাবনার আতাইকুলা ইউনিয়ন জামাতের নায়েবে আমির মালানা রাজ্জাক হোসেন, রোকন মালানা ফরিদ হোসেন, মালানা আজিজ, মালানা উজ্জ্বলসহ জামাত-শিবিরের দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক আওয়ামী লীগে যোগ দেয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি (২০১৪) বরিশালের গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দারের হাত ধরে জামাত নেতা আল হেলাল একাডেমির চেয়ারম্যান ও ইসলামী উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা আবু জাফর শরীফ যোগ দেয় আওয়ামী লীগে। তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি একই কাজ করছে দলের কেন্দ্রীয় ও প্রভাবশালী নেতারাও।

২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় জামাতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নওশের আলী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে যোগ দেয় আওয়ামী লীগে। তখন বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে হানিফ। এর আগে শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের হাত ধরে জামাত নেতারা আওয়ামী লীগে যোগদান করে। জামাতের নেতাকর্মীদের ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামী লীগে ঠাঁই দেয়া নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠনের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে সাদরে গ্রহণ করায় সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এরই মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানায়, “১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত সংগঠন জামাতের বিচার করা এখনই সম্ভব নয়। যে আইনের অধীনে সংগঠনটির বিচার হওয়ার কথা, সেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের বিধিগুলো জামাতের বিচারের জন্য যথেষ্ট নয়।”

উল্লেখ্য, সরকারের সঙ্গে জামাতের সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জনের শুরু অনেক দিন আগে থেকেই। বিশেষ করে জামাতের কথিত নায়েবে আমির দেইল্যা রাজাকারের আপিল বিভাগের রায়কে ঘিরে সরকারের সঙ্গে তাদের সমঝোতার বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। বর্তমানে মিডিয়ার সঙ্গে জামাতের নেতাদের যোগাযোগ না রাখা এবং রাজনৈতিক ময়দানেও তাদের নীরবতা এ গুজব-গুঞ্জনের ডালপালা বিস্তৃত করছে। তবে জামাত সবসময়ই সরকারের সঙ্গে তাদের সমঝোতার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। আওয়ামী লীগে  নেতাকর্মীদের যোগদানের বিষয়ে জামাতের বক্তব্য হলো, এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এদিকে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছে, ‘আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যে বিচারের ব্যাপারে মানুষের কাছে ভুল সংকেত যাচ্ছে। জামাতের প্রশ্নে সরকার যদি কোনো ধরনের ছাড় দেয়ার চেষ্টা করে, তবে তা আওয়ামী লীগের জন্য আত্মঘাতী হবে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ৫ জানুয়ারি (২০১৪) অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বিএনপি-জামাত সারা দেশে যে নাশকতামূলক কর্মকা- চালায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে যে মামলা হয়, তা থেকে বাঁচতে জামাত অভিনব এক কৌশল অবলম্বন করেছে। এই কৌশলের অংশ হিসেবে জামাতের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করছে। যাকে বলে- মুখে মধু অন্তরে বিষ।

মূলত, জামাতে মওদুদীরা কাট্টা মুনাফিক। আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমি মুসলমানদের জন্য ক্ষতির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই মুনাফিকদের।”

চিহ্নিত মুনাফিক জামাতে মওদুদীর সাথে অতীতে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ মহা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে ভুলের পরে যদি তারা আবারো এগোয়, তাহলে তা হবে- জেনে শুনে বিষ পান করা। আওয়ামী লীগ তখন হবে জামাত সাওয়ারযুক্ত আওয়ামী লীগ। সেটা আওয়ামী লীগের জন্য শুধু নিছক আত্মঘাতীই হবে না; বরং হবে করুণ আত্মহত্যার শামিল।

-আল্লামা মুহম্মদ আরিফুর রহমান, শ্রীনগরী।

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮