সারা দেশে ২৮ লাখ মামলা বিচারাধীন। ৭ বছরে বেড়েছে ৯ লাখ। অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের আইন প্রথা তথা প্রচলিত ফৌজদারী ও দেওয়ানী উভয় দ-বিধি সঙ্গতকারণেই পরিবর্তন হওয়া দরকার। মামলার জট কমাতে ব্রিটিশ আদলে ছুটি কমানো দরকার। পাশাপাশি দরকার পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে সব আইন প্রয়োগ করা।

সংখ্যা: ২৩৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।

দেশের আদালতগুলোতে মামলার পাহাড় জমছে। বছরে বছরে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। ২০০৭ সালের ১৯ লাখ থেকে বেড়ে বর্তমানে সারাদেশে ২৮ লাখে দাঁড়িয়েছে এ সংখ্যা। অর্থাৎ গত ৭ বছরে মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ লাখ। দিন দিন বাড়লেও সরকারের পক্ষ থেকে মামলাজট কমানোর উদ্যোগ নেই। এমনকি এ ক্ষেত্রে আইন কমিশনের সুপারিশও কাজে আসছে না।

আইনজীবীদের অনেকেই মনে করে, বারবার মামলার শুনানি মুলতবি, মামলা ব্যবস্থাপনা, বিলম্বিত বিচার কার্যক্রম ও আদালতের অবকাশ এবং দেশে রাজনৈতিক সঙ্কটময় পরিস্থিতির কারণে বিচার কার্যক্রমে স্থবিরতাই মামলাজটের কারণ।

বিচারাধীন মামলা আদালতে জমে থাকায় বিচারপ্রার্থী জনগণ যথা সময়ে বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার কারণে বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে হতাশা জন্ম নিচ্ছে। এমনো অনেক মামলা রয়েছে- যা বছরের পর বছর পেরিয়ে গেছে; কিন্তু শুনানির জন্য উঠছে না। আবার উঠলেও বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করে।

সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। এর মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে তিন লাখ ১৬ হাজার ২১৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে ১৪ হাজার ৫০০টি। জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং সব ধরনের ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা রয়েছে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০টি এবং সব ধরনের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ লাখ ৯ হাজার ৪৯১টি। এর মধ্যে এমনো অনেক মামলা রয়েছে যা ২০-২৫ বছরেরও অধিক পুরনো।

সূত্র মতে, গত ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরো তিন মাসে হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট সচল ছিল ৩২ দিন। এ সময়ে আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হয়েছে ৯৪৪টি মামলা। একই সময় দায়ের হয়েছে এক হাজার ৫৮৬টি মামলা। আর হাইকোর্ট বিভাগে নিষ্পত্তি হয়েছে চার হাজার ৪৫৯টি মামলা। একই সময়ে দায়ের হয়েছে ১৪ হাজার ২৭৪টি মামলা। এভাবে মামলা দায়েরের চেয়ে নিষ্পত্তির সংখ্যা নগণ্য হওয়ায় মামলাজট বেড়েই যাচ্ছে। এরপর হরতাল অবরোধ থাকলেও তো কথাই নেই।

এদিকে শুধু বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়ে মামলাজট কমানো সম্ভব কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে দেশের শীর্ষ আইনজীবীরা।

বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক আছে ৯১ জনের মতো, কিন্তু তার পরও মামলাজট বেড়ে তিন লাখ ১৬ হাজারেরও উপরে দাঁড়িয়েছে। উভয় বিভাগে জমে থাকা মামলা নিষ্পত্তির জন্য বর্তমানে ৫০টি বেঞ্চ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিচারাধীন ২৬ লাখ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সান্ধ্যকালীন কোর্ট বসানোর সুপারিশ করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হলে দুই আদালতেই দ্বিতীয় শিফট বা সান্ধ্যকালীন কোর্ট চালু করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের পুনরায় নিয়োগ করতে হবে। এজন্য উচ্চ আদলতের ক্ষেত্রে আইন সংশোধন প্রয়োজন হবে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও ব্যাংককের উদাহরণ টেনে বলা যায়, ওই সব দেশে দুই শিফট চালু আছে। আমাদেরকেও পুরনো অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তবে যে কথাটি বিশেষ প্রণিধানযোগ্য, তাহলো- আমাদের বর্তমান বিচারব্যবস্থা ইংল্যান্ডের অ্যাংলো-স্যাক্সন বিচার ব্যবস্থার অনুরূপ। মামলা জট কমাতে, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এর সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বর্তমানে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং লক্ষ লক্ষ মামলার জটের কারণে অবিলম্বে যেমন হাইকোর্ট মাসকে মাস বন্ধের বিপরীতে খোলা রাখা দরকার, তেমনি পাশাপাশি বিশেষ করে ১৮৯৮ সালের সিআরপি (ফৌজদারী দ-বিধি) এবং ১৯০৮ সালের সিপিসি (দেওয়ানী কার্যবিধি) বর্তমানে সমাজে প্রযোজ্য হতে পারে না। সে বিষয়টিও গভীরভাবে আমলে নেয়া দরকার। তবে এ সংস্কার প্রচলিত প্রথায় করলে স্বভাবতই তা আগের মতোই অসুবিধা বয়ে আনবে।

প্রসঙ্গত, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সমগ্র বিশ্ব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহান আল্লাহ পাক তিনিই উৎকৃষ্ট হুকুমদাতা।” মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম অনুযায়ী আইন প্রয়োগ করে না তারা যালিম, ফাসিক, কাফির।”

বলাবাহুল্য, ‘পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস করা হবে না’- এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বর্তমান সরকারের রয়েছে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। সেক্ষেত্রে তারা খুব সহজেই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে সব আইন প্রবর্তন করে রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মর্যাদা সমুন্নত করতে পারেন। প্রাণাধিক প্রিয় ধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সম্মানিত ইসলামী আইন প্রয়োগ করে ৯৭ ভাগেরও বেশি এদেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীর অন্তরের অন্তঃস্থল খুশি করতে পারেন। পারেন এদেশের ৯৭ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর অন্তরে গেঁথে যেতে।

মূলত, এ সদিচ্ছা ও সচেতনতা তখনই অর্জিত হবে, যখন যথাযথ সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধ জাগরূক থাকবে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন খাছ রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

আর যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারকই কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-আল্লামা মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮