‘মানুষ বাড়ে কিন্তু জমি বাড়ে না’- এ ধারণা মহাভুল। মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতে জমি বাড়ছে। বাংলাদেশের পাশে জেগে উঠছে আরেক বাংলাদেশ।

সংখ্যা: ২৩৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।

বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছে, বঙ্গোপসাগরে উঠে আসছে আরেকটি বাংলাদেশ। এর আয়তন প্রায় ৪৫ হাজার বর্গমাইল। জেগে উঠা এ বিশাল ভূখ-কে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য সরকার চেষ্টা চলাচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরের নোনাপানি হটিয়ে তার বুকে জেগে উঠছে অসংখ্য দ্বীপখ-। এসব দ্বীপে সৃজন করা হচ্ছে বনভূমি, গড়ে উঠছে বসতি। এরই মধ্যে সাগরের বুকজুড়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ বর্গ মাইল আয়তনের ভূখ- গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে, তৈরি হয়েছে নিঝুমদ্বীপের মতো দৃষ্টিনন্দন বনাঞ্চল। এ বছর (২০১৪ সালে) যুক্ত হবে আরো ২ হাজার ২০০ বর্গ মাইল ভূমি। কয়েকটি ক্রস ড্যাম আর প্রযুক্তিগত কিছু উদ্যোগের মাধ্যমেই আগামী দশ বছরে ওই এলাকার আয়তন দাঁড়াবে ২০ হাজার বর্গ মাইল। বঙ্গোপসাগরের বুকে দেখা দিয়েছে আরেকটি বাংলাদেশের হাতছানি। সেখানে সমুদ্রের অথৈ পানিতে কুদরতীভাবেই বিশাল বিশাল চর জেগেছে, গড়ে উঠেছে মাইলের পর মাইল ভূখ-। দীর্ঘদিন ধরে শুধুই ‘ডুবো চর’ হিসেবে পরিচিত ছিল এগুলো। এখন সেসব স্থানে জনবসতিও গড়ে উঠেছে। একই ধরনের আরো প্রায় ২০টি ‘নতুন ভূখ-’ এখন স্থায়িত্ব পেতে চলেছে। বঙ্গোপসাগরে দুই-তিন বছর ধরে জেগে থাকা এসব দ্বীপখ- ভরা জোয়ারেও আর তলিয়ে যাচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা জানান, সমুদ্র-বক্ষে জেগে উঠা ৪০ হাজার হেক্টর ভূমিকে এখনই স্থায়িত্ব দেয়া সম্ভব। পর্যায়ক্রমে এর পরিমাণ দুই লক্ষাধিক হেক্টরে বিস্তৃত হতে পারে। নিঝুম দ্বীপের কাছাকাছি এলাকাতেও কয়েকশ বর্গ মাইল নতুন চর জেগে উঠেছে। সেখানে এখনই বসবাস উপযোগী ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাও সম্ভব।

নোয়াখালী জেলার দ্বীপ-উপজেলা হাতিয়ার দক্ষিণে জেগে উঠা দ্বীপগুলোতে সমুদ্রের বুকে হাজার হাজার একর ভূমি জেগে উঠছে। নৌযানে হাতিয়ার দমারচর সাগরটিলা, নিঝুমদ্বীপ, কালামচরসহ একাধিক দ্বীপে দেখা গেছে, নোয়াখালীর দক্ষিণে বয়ারচর থেকে শুরু করে হাতিয়া উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণ অংশে এসব চর জেগে উঠছে। এর মধ্যে অধিকাংশ দ্বীপের নামকরণ করা হয়নি এখনো। সবচেয়ে বড় আয়তনের দ্বীপ জেগে উঠছে নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণে দমারচর সাগরটিলায়। হাতিয়া উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণ অংশ দিয়ে বাড়ছে এ দ্বীপটি।

সাগরটিলায় দেখা যায়, যতদূর চোখ যায় শুধু জেগে উঠা চরের নতুন সবুজ ঘাস আর ঘাস। দ্বীপের বাসিন্দাদের মতে, দমারচর সাগরটিলার দক্ষিণ অংশের সাগরের দিকে প্রতিবছর নতুন ভূমি জেগে উঠছে। জ্যোৎস্নায় সম্পূর্ণ চরটি জোয়ারে প্লাবিত হলেও ভাটায় চোখে পড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ একর ভূমি।

১৯৯৭ সালে মেঘনা মোহনা পর্যবেক্ষণ প্রকল্প এমইএস এক সমীক্ষা চালায় নোয়াখালীর দক্ষিণে ২০০ কিলোমিটার সাগরগর্ভে। ওই সময় তাদের সমীক্ষায় ধরা পড়ে, নোয়াখালী থেকে দক্ষিণে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাগরের গভীরতা গড়ে মাত্র ১৫ ফুট। পূর্ব-পশ্চিমে গড়ে ৩০ কিলোমিটার এলাকায়ও সাগরের গভীরতা একই। ১৮০ কিলোমিটার যাওয়ার পর আরো ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের প্রথম খাঁড়ি, গভীরতা ১২০ ফুট। ওই সমীক্ষার ফল থেকে ধারণা করা হয়, পরবর্তী ২০ বছরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকায় নতুন ভূমি জেগে উঠবে। শুধু হাতিয়ার দক্ষিণেই জেগে উঠা ভূমির পরিমাণ হতে পারে ৬ থেকে ৭ লাখ একর। হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দাদের মতে, সমীক্ষার পর যে ধারণা করা হয়েছিল তার অনেক আগেই চর জাগতে শুরু করেছে সাগরের বুকে। প্রতিবছর জেগে উঠছে হাজার হাজার একর ভূমি। এর ফলে অচিরেই দেশের মূল ভূখ- নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়বে সন্দ্বীপ। আর বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা চর মিলে অচিরেই দেখা যাবে আরেক বাংলাদেশ। সুবহানাল্লাহ!

নেদারল্যান্ডস সরকারের কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত ইডিপি’র এক জরিপ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত শুধু নোয়াখালী উপকূলেই সাড়ে ৯শ বর্গমাইল ভূমি জেগে উঠে। তবে ভাঙনসহ নানা দুর্যোগে এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭শ বর্গমাইল ভূখ- টিকে আছে। উপকূলীয় জেলে-মাঝিদের নিকট হতে জানা গেছে, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে প্রায়ই তাদের নৌকাগুলো নতুন নতুন চরে আটকে যাচ্ছে। নিঝুম দ্বীপ থেকে ৩৫-৪০ মাইল দক্ষিণে ভাটার সময় বড় বড় চরভূমির অস্তিত্ব থাকার তথ্যও জানতে পেরেছে গবেষকরা। কিন্তু এই চরগুলোকে পরিকল্পিতভাবে স্থায়িত্ব দিতে সরকারি উদ্যোগ-আয়োজন চলছে ঢিমেতালে। বিষয়টি শীর্ষপর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব পাচ্ছে না। সমুদ্রবক্ষে সম্ভাবনার বিশাল স্বপ্ন-সম্ভার এসব নতুন ভূখ- পরিকল্পিত ব্যবহার, বনায়ন ও সংরক্ষণের সমন্বিত কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনো। আইডব্লিউএমের উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জহিরুল হক খান সরেজমিন পরিদর্শন শেষে বলেছে, ‘নঙ্গলিয়া এলাকায় নতুন জেগে উঠা চরে গিয়ে মেঘনার মোহনা জুড়ে বড় বড় আয়তনের নতুন ভূখ- দেখা গেছে। সেসব চরের পরিণত জমিতে বনভূমি জš§ানোর অনুকূল তৈরি হয়েছে। সে জানিয়েছে, উডরিচর থেকে জাহাজের চর পর্যন্ত ক্রসবাঁধ নির্মাণ করে এ মুহূর্তেই ৫৫ হাজার হেক্টর ভূমি উদ্ধার করা সম্ভব। হাতিয়া-নিঝুমদ্বীপ-ধামারচর এবং ধুলা-চরমোন্তাজ চরকুকরিমুকরি ক্রসবাঁধের মাধ্যমে মূল স্থলভূমির সঙ্গে সংযুক্ত করার খুবই চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে মাত্র দশ বছরের মধ্যেই অন্তত ৩৩ হাজার বর্গমাইল আয়তনের ‘অবিচ্ছিন্ন ভূখ-’ পাওয়া যাবে।

এদিকে চট্টগ্রামের মুহুরি প্রজেক্ট, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর উপকূলীয় অঞ্চল ছাড়াও সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকা সংলগ্ন সাগরেও বড় বড় চরভূমি জেগে উঠার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে সুন্দরবন (পশ্চিম) বন বিভাগের কর্মকর্তা মান্দারবাড়িয়া অভয়ারণ্যের ৩/৪ মাইল দক্ষিণে বিশাল আয়তনের নতুন চর জেগে উঠার তথ্য জানিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানায়, বিগত ৪০ বছরের ইতিহাসে পটুয়াখালী, ভোলা এবং বরগুনার নদী মোহনা-সাগরে চর জেগে সর্বাধিক ভূমি সৃজন হয়েছে। অপরদিকে সিইজিআইএসের স্যাটেলাইট ইমেজ-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালীর উপকূলেই সবচেয়ে বেশি ভূখ- জেগে উঠছে। ইতোমধ্যে ক্রসবাঁধ পদ্ধতিতেও বঙ্গোপসাগর থেকে লক্ষাধিক হেক্টর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় এক হাজার বর্গমাইল আয়তনের নতুন ভূখ- পাওয়া গেছে সেখানে। আরো কয়েকটি ক্রসবাঁধের মাধ্যমে নোয়াখালীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন সন্দ্বীপের সংযুক্তির সম্ভাব্যতা নিয়েও এখন গবেষণা চলছে। এটা সম্ভব হলে যুক্ত হবে বাংলাদেশের সাথে আরো এক বাংলাদেশের।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘যতক্ষণ তোমরা পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদেরকে আঁকড়ে থাকবে ততক্ষণ উন্নতির শীর্ষে থাকবে। আর যখনই তা থেকে বিচ্যুত হবে তখনই লাঞ্ছিত ও পদদলিত হবে।’

আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সীমারেখা সংরক্ষণ, বৃদ্ধি, সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সমৃদ্ধি সবই এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আমলের উপর নির্ভর করে। বলাবাহুল্য, এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আমলের জন্য চাই খাছ রূহানী ফয়েজ তাওয়াজ্জুহ।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতে কেবলমাত্র তা হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-আল্লামা মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮