আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ২৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত শরীফ প্রতিবেদন : যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক আলোচনা করা এবং উনার অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করা ফরয।

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আনজুমান সম্পর্কিত এক ক্বওল শরীফ উনার মধ্যে এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, æহে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো বা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে চাও, তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো। তাহলেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহখাতা ক্ষমা করবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যধিক ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যারা অনুসরণ-অনুকরণ করবে না- মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে মুহব্বত ও ক্ষমা করবেন না এবং তাদের প্রতি দয়ালু ও ক্ষমাশীলও হবেন না; বরং তারা জাহান্নামী হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত হাম্বলী মাযহাব উনার ইমাম ও প্রতিষ্ঠাতা, ইমামুল মুহাদ্দিছীন, ফখরুল ফুক্বাহা হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ সকল ইমাম-মুজতাহিদ উনারা ফতওয়া দিয়েছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পরিপূর্ণ বা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম, পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণ করা সকলের জন্যই ফরয।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ইলম হচ্ছে আমলের ইমাম। অর্থাৎ উনার পবিত্র জীবনী মুবারক জানা থাকলেই মূলত উনাকে পরিপূর্ণভাবে সম্মান করা ও অনুসরণ, অনুকরণ করা সম্ভব। আর সেজন্য উনার বরকতময় পবিত্র জীবনী মুবারক পড়া ও জানা এবং বেশি বেশি সর্বত্র ও দায়িমীভাবে আলোচনা করা জিন-ইনসানসহ সকল মাখলুকাতের জন্য ফরয। সরকারের জন্যও সমস্ত পাঠ্যপুস্তকে অর্থাৎ মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বপ্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা ফরয। তাই পবিত্র জীবনী মুবারক নিজেরা জেনে সরকারসহ সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যেক আনজুমান উনার আমীলগণকে কোশেশ করে যেতে হবে।

মাহফিল সংবাদ

১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ পবিত্র ঈদে বিলাদতে হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম

 

গত ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ ছিলো লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মে কুলছুম আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতুন নিসা, নিবরাসাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মহিমান্বিত, রহমত-বরকত, ফযীলতপূর্ণ, সাকীনাযুক্ত মহা মুবারক বিলাদত শরীফ দিবস।

এছাড়া ১১ই রবীউছ ছানী শরীফ ছিলো গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস তথা পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম শরীফ।

উল্লেখ্য, পবিত্র ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ এ সম্মানিত  দিবস মুবারক উপলক্ষে রাজারবাগ শরীফ উনার মধ্যে আযীমুশ্বান আলোচনা মজলিস ও সামা শরীফ-উনার মাহফিল প্রতিযোগিতা, দৈনিক আল ইহসান শরীফ বিশেষ সংখ্যা প্রকাশসহ এবং বিশেষ মক্ববুল দোয়া-মুনাজাত শরীফসহ ও বিশেষ তাবারুকের ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া দেশে-বিদেশে সব আনজুমান মজলিস উনার উদ্যোগে বিশেষ মাহফিল মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র ফাতিহা-ই- ইয়াজদহম উপলক্ষেও রাজারবাগ শরীফ উনার মধ্যে আযীমুশ্বান বিশেষ আলোচনা মজলিস মক্ববুল দোয়া-মুনাজাত ও তাবারুকের ব্যবস্থা করা হয়।

ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম এবং সব বেহায়াপনা, বেপর্দা, নাচগান ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষকে ইসলামিক ধারণা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলেই কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবে না- এ প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটবে।

জামাতীরা এখন খোদায়ী গযবে ধুকছে। হাদীছ শরীফে বর্ণিত লা’নত তাদের গায়ে লেগেছে। কৃত যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভয়ে তারা এখন ভয়ানক আতঙ্কিত হয়ে আছে।

হলিউডের জোলি এবং আমাদের দেশের তথাকথিত নারীবাদী গত ১২.০১.০৯ তারিখে ইন্টারনেটে হেডিং হয়েছে: “হলিউড থেকে বিদায় নিচ্ছে জোলি।”

জামাতীদেরকে জঙ্গিরা কখনও টার্গেট করেনি। জঙ্গিরা মূলতঃ জামাতীদেরই জাত ভাই

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামার শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান এর শপথ অনুষ্ঠানের ধরনই নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পূর্ণই আলাদা। এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান তারা আকুলভাবে চায় যে “কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন হবে না।” সে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হোক