যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৮১

সংখ্যা: ২০৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন: আয়াত শরীফ-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফ-এ মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হল মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরনিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

ধারাবাহিক

মিথ্যাবাদী তথাকথিত মুফতী, স্বঘোষিত মুশরিক শামছুল হকের মিথ্যাচারিতার খণ্ডনমূলক জাওয়াব

৮. প্রসঙ্গ : “মীলাদ-ক্বিয়াম”

তথাকথিত মুফতী, মিথ্যাবাদী, ভ-, প্রতারক, স্বঘোষিত মুশরিক শামছু…র আরেকটি অজ্ঞতাপূর্ণ ও স্ববিরোধী বক্তব্য হলো, সে লিখেছে, … মীলাদ বা হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্ম বৃত্তান্ত ছওয়াবের কাজ বলে থানবী ইমদাদুল ফাতাওয়ায় লিখেছেন। আমি … জিজ্ঞাসা করি মীলাদের যে নির্দিষ্ট নিয়ম আপনাদের আমলে পাওয়া যায় এটা কোন মুজতাহিদ ইমামের?

খণ্ডনমূলক জাওয়াব

 

পূর্ব প্রকাশিতের পর

আরো ছবিত হলো যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ মীলাদ শরীফ-এর মজলিস করেছেন এবং উক্ত মজলিসে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ বা আগমনের আলোচনা ও উনার ছানা-ছিফত, মর্যাদা-মর্তবা ও ফাযায়িল-ফযীলত ইত্যাদি বর্ণনা করেছেন।

বর্তমান মীলাদ শরীফ-এর মজলিসে ঠিক তাই করা হয়। অর্থাৎ মীলাদ শরীফ উপলক্ষে লোকদেরকে দাওয়াত করতঃ একত্রিত করে উক্ত মজলিসে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ (আগমন বৃত্তান্ত) আলোচনা করা হয়, উনার ছানা-ছিফত, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়।

১ম বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ এটাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে-

فيستبشرون

অর্থাৎ, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ বা আগমন উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করেছেন।”

তাই আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ বা আগমন উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা যেরূপ সুন্নত প্রমাণিত হলো, তদ্রূপ ঈদ বা খুশি প্রকাশ করার লক্ষে মীলাদ শরীফ-এর মজলিস করাও সুন্নত প্রমাণিত হলো। সুতরাং মীলাদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা খাছ সুন্নত। আর ঠাট্টা বিদ্রূপ বা বিরোধিতা করা কাট্টা কুফরী।

বর্ণিত হাদীছ শরীফদ্বয়ের এক স্থানে এরপর উল্লেখ আছে যে-

ويحمدون الله

অর্থাৎ, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা অতঃপর মহান আল্লাহ পাক উনার হামদ বা তা’রীফ তথা প্রশংসা করেন। অর্থাৎ উক্ত মীলাদ শরীফ মজলিসে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তিলাওয়াত বা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার হামদ বা তা’রীফ তথা প্রশংসা করা হয়।

বর্তমানে মীলাদ শরীফ-এর মাহফিলেও কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, তাসবীহ-তাহরীল ও খুৎবা পাঠের মাধ্যমে মহান আল্লাহ উনার হামদ বা তা’রীফ তথা প্রশংসা করা হয়।

বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ এরপর উল্লেখ আছে যে-

ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم

অর্থাৎ, অতঃপর সমবেত সকল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত ও সালাম পাঠ করেন। অর্থাৎ উক্ত মীলাদ শরীফ-এর মজলিসে (মহান আল্লাহ পাক যে নির্দেশ দিয়েছেন “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার হাবীব উনার প্রতি ছলাত ও সালাম পাঠ করো) এ নির্দেশ পালনার্থে আল্লাহ পাক উনার হাবীব উনার প্রতি ছলাত বা দরূদ শরীফ এবং সালাম পাঠ করা হয়।

কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, উক্ত হাদীছ শরীফ-এ يصلون শব্দ উল্লেখ আছে। অর্থাৎ ছলাত পাঠ করার কথা উল্লেখ আছে কিন্তু সালাম পাঠ করার কথা তো উল্লেখ নেই।

এর জবাবে বলতে হয় যে, মূলত উক্ত ‘ছলাত’ শব্দের মধ্যেই ‘সালাম’ শব্দ উহ্য রয়েছে। কারণ, শরীয়তের ফতওয়া হলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু কালামে পাক-এ ইরশাদ করেন-

صلوا عليه وسلموا

অর্থাৎ, তোমরা আমার হাবীব (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার প্রতি ছলাত ও সালাম উভয়টাই পাঠ করো।” (সূরা আহযাব: আয়াত শরীফ ৫৬)

সেহেতু আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি শুধুমাত্র ছলাত পাঠ করা নিষেধ। বরং ছলাত পাঠ করার সাথে সাথে সালামও পাঠ করতে হবে। কাজেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা যে উক্ত মীলাদ শরীফ-এর মজলিসে ছলাত পাঠ করার সাথে সাথে সালামও পাঠ করেছেন তা আর বলার অপেক্ষাই রাখেনা।

বাকি রইলো ক্বিয়ামের বিষয়টি, হয়তোবা কেউ বলতে পারে যে, “উক্ত হাদীছ শরীফদ্বয়ে তো ক্বিয়াম করা বা দাঁড়িয়ে সালাম দেয়ার কথা উল্লেখ নেই।”

হ্যাঁ, উক্ত হাদীছ শরীফ-এ যেরূপ ক্বিয়াম করার কথা উল্লেখ নেই, তদ্রƒপ ক্বিয়াম করেননি একথাও তো উল্লেখ নেই। তবে বাস্তবতা ও অন্যান্য হাদীছ শরীফ-এর মজলিসে ক্বিয়াম করেছেন। কারণ, বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে যে-

جاء النبى صلى الله عليه وسلم

অর্থাৎ, আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত মীলাদ শরীফ-এর মজলিসে স্বশরীরে উপস্থিত হলেন।”

আর এটা বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনে সম্মানার্থে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা ক্বিয়াম করেছেন।

কারণ, অন্যান্য বহু হাদীছ শরীফ প্রমাণ করে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের মজলিসে উপস্থিত হতেন তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনার সম্মানার্থে ক্বিয়াম করতেন। যেমন, এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে-

عن حضرت ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يجلس معنا فى المسجد يحدثنا فاذا قام قمنا قياما حتى نراه قد دخل بعض بيوت ازواجه.

অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে বসে আমাদেরকে নছীহত বা ওয়ায করতেন। যখন তিনি উঠতেন বা দাঁড়াতেন, আমরাও সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যেতাম, ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ আমরা উনাকে দেখতে পেতাম। এমনকি উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা প্রবেশ না করা পর্যন্ত আমরা দাঁড়িয়ে থাকতাম।” (বাইহাক্বী ফী শুয়াবিল ঈমান, মিশকাত, মিরকাত, আশয়াতুল লুময়াত, শরহুত ত্বীবী, মুযাহিরে হক্ব, তা’লীকুছ ছবীহ)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, বাসাবো, ঢাকা।

 

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

 মতিভ্রমদুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হতে পারে; কিন্তু রাজাকার কখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।  যেমনটি ইসলামের ইতিহাসে পরবর্তিতে অনেকেই ছাহাবী হয়েছেন।  অনেকে অনেক জিহাদও করেছেন। কিন্তু বদরী ছাহাবী তিনশ’ তের জনই।  ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ বদরী ছাহাবী হতে পারবে না। সে মর্যাদা পাবে না।  অপরদিকে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীরা স্বাধীনতার সুফল পেতে পারে না।  স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো স্থানে তারা সমাবেশের অনুমতি পেতে পারে না।  মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠান করা, ইসলামের     দৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রতারণা, মিথ্যা ও মহা বেঈমানী ও চরম মুনাফিকী।  মুক্তিযোদ্ধার নামে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে জামাতীদের আগে প্রকাশ্যে     তওবা করতে হবে।  তার আগ পর্যন্ত রাজাকার জামাতীদের কোনো ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি       দেয়া সরকারের উচিত নয়। মুক্তিযোদ্ধা কেনার হাটের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।  মুক্তিযোদ্ধা কেনার প্রক্রিয়াও বরদাশত করা উচিত নয়। কারণ তা সংবিধানে     সম্মত নয় এবং ইসলাম সঙ্গত তো নয় আদৌ।