ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-২১

সংখ্যা: ১৯৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধেঁাকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

এইভাবে আক্রমণ কয়েক মাস ধরে চালানো হয়। মুসলমানরা এই আশায় আশায় রইলেন যে ইত্যবসরে দামেস্কীয় হাজী ছাহেবানগণ আগমন করবেন এবং এই জালিমদের শায়েস্তা করে তাদেরকে উদ্ধার করবেন। অবশেষে সেই হজ্জ কাফেলা আসলো। কিন্তু এবার সেই হজ্জ কাফেলার প্রধান ইবরাহীম পাশা বলল- “পবিত্র তাইয়্যিবা শরীফ দস্যুদের হাতেই সমর্পিত কর।” কারণ তার কাছে নাকি অধিক পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র এবং সৈনিক মওজুদ ছিলোনা। মদীনা শরীফ-এর মুসলিম অধিবাসীরা ভাবলেন যে পাশা নিশ্চয় প্রতিশ্রম্নতি আদায় করেছে যে মুসলমানদের উপরে কোন অত্যাচার করা হবে না এবং কোন ক্ষতিও করা হবে না। সুতরাং তারা নিম্ন লিখিত পত্রখানি চারজন প্রতিনিধির পর্ষদ-এর মাধ্যমে সাউদ-এর কাছে প্রেরণ করেন। সেই চারজন প্রতিনিধি তাদের নাম হলো মুহম্মদ তাইয়াব, হাসান চাউস, আব্দুল কাদির ইলয়াস এবং জনাব আলী। পত্রখানা ছিলো নিম্নরূপ।

“আমরা তোমার প্রতি যতটুকু সম্মান প্রাপ্য সে টুকুই প্রদর্শন করে জানাই সালাম। আল্লাহ পাক তিনি যেনো উনার ইচ্ছা মুবারক-এর সাথে সুসঙ্গত আচরণ যদি তোমার মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়, তাহলে যেন তার বদলা তোমাকে দেন।

হে সাউদ! দামেস্কীয় হজ্জ কাফেলার আমীন ইব্রাহিম পাশা এসেছেন এবং দেখেছেন যে কিভাবে পবিত্র শহর মুবারক আক্রমণে পযুর্দস্ত, পবিত্র রাস্তাগুলিকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, পানীয় সরবরাহ পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যা হলো বাদায়ে এর কীর্তি। ইব্রাহিম পাশা প্রশ্ন করেছেন বাদায়েকে এবং সে জানিয়েছে এগুলি সবই নাকি তোমার নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে। যেহেতু আমরা আশা পোষণ করি যে তুমি মদীনা শরীফ-এর অধিবাসীদের মুবারক শানে কোন প্রকার অসৎ উদ্দেশ্য পোষণ করো না, সুতরাং আমরা ধারণা করি যে এসব অশোভনীয় এবং অশুভ ঘটনা সম্পর্কে হয়তোবা জানা নেই। আমরা মদীনা শরীফ-এর কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাজ্ঞজন একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি আমাদের উপর যে অত্যাচার অনাচার চালানো হয়েছে তা তোমাকে জানাবার। তাই আমরা চারজন বিশুদ্ধ আমল সম্পন্ন বুযূর্গ ব্যক্তিত্বকে পাঠালাম তোমার কাছে। আল্লাহ পাক উনার ক্বদম পাকে এটাই আরজু পেশ করছি, যে তারা সহি সালামতে আমাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে খোশ খবরের সাথে যা আমাদেরকে প্রফুল্ল করবে।”

দস্যু সাউদ বীভৎসভাবে সেই প্রতিনিধিদলের সাথে আচরণ করলো চিঠিটি পরার পর। সে আরো বেহায়াভাবে উচ্চারণ করলো যে সে মদীনা শরীফ এর অধিবাসীদের প্রতি ভয়াবহ রাগ এবং বিদ্বেষ পোষণ করে। নাঊযুবিল্লাহ!

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৭

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

মন্তব্য প্রতিবেদন: জামাত-জোট শুধু খাম্বা দুর্নীতি করেই হাজার হাজার কোটি টাকা মারেনি এমনকি ধর্মীয় ফান্ড যাকাতের টাকাও তারা চুরি করতে দ্বিধা করেনি যাকাত চোরের তালিকায় নাম রয়েছে জামাতী মুখপাত্র টিভি ভাষ্যকার তথা মালানা আবুল কালাম আজাদ থেকে জামাতী তাফসীরকারক কুখ্যাত রাজাকার দে.হো সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী ছাড়াও রয়েছে আরো অনেক জামাতী ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারের উচিত ঐসব যাকাত চোরের তথাকথিত ইসলামী প্রোগ্রাম কুরআন-সুন্নাহর আইন অনুযায়ী বন্ধ করে দেয়া এবং চোর ও মুনাফিক তথা যুদ্ধাপরাধী হয়ে ইসলামের লেবাছ ধারণ করার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অবমাননা করার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করা, তাদেরকে ইসলামী প্রোগ্রাম করার অযোগ্য ঘোষণা করা

মন্তব্য প্রতিবেদন: মোরাকাবা ও নামাযের বিরুদ্ধে কথা বলে মুজাহিদ ওরফে মইজ্যা রাজাকার কাট্টা মুরতাদ হয়েছে এবং একই বক্তব্য ধারণ করে তথাকথিত জামাতে ইসলামী ‘জামাতে মুরতাদে’ পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি ঐতিহাসিকভাবে সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের জামাতের পক্ষে সাফাই গেয়ে তারা মিথ্যাবাদী দাজ্জালের চেলায় পরিণত হয়েছে।