চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৮ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল

সংখ্যা: ১৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

বর্তমান সংখ্যার আলোচনা: ইহুদীদের মদদপুষ্ট হয়ে এবং সউদী ওহাবী শাসকগোষ্ঠীর অর্থে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের অলিক স্বপ্ন নিয়ে একটি ভূঁইফোড় সংগঠন সারা দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

জবধষ ঐরুৎর ঈধষবহফধৎ ওসঢ়ষবসবহঃধঃরড়হ ঈড়ঁহপরষ ইধহমষধফবংয  নামে এই সংগঠনটি সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের পক্ষে নানা প্রচারণা চালাচ্ছে। সারা বিশ্বে একটি হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসরণের পক্ষে (অর্থাৎ সারা বিশ্বে একদিনে ঈদ পালন করার পক্ষে) তারা ৯০টি খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে তাদের বর্ণিত শরীয়তের খিলাফ এই মনগড়া যুক্তির শরীয়তসম্মত এবং সঠিক মতামত প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ। যেন সাধারণ মুসলমানগণ চাঁদের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তিতে না পড়ে। তারা লিখেছে-

পূর্ব প্রকাশিতের পর

১৫। সূর্য এবং পৃথিবী একটি পূর্ণ দিন তৈরি করে, চাঁদ তৈরি করে একটি মাস এবং ১২ চন্দ্র মাসে হয় ১ চন্দ্র বৎসর।

১৬। আমাদের অনুসরণ করা উচিত আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ এবং অনুসরণ করা উচিত চার মাযহাব এবং ওআইসি (ঙওঈ)।

১৫নং জবাব: মহাকাশের যে কোন গ্রহ বা উপগ্রহ অথবা নক্ষত্র, সবই একটি নির্দিষ্ট নিয়মে ঘুরছে। সূর্যকে কেন্দ্র করে যে সকল গ্রহ, ঘুরছে সবার প্রদক্ষিণ সময় সমান নয়। যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘুরে গড়ে ৩৬৫ দিনে, আবার শুক্র গ্রহ ঘুরে ২২৪ দিনে। অনেক গ্রহ তার নিজ অক্ষেও প্রদক্ষিণ করে, যেমন পৃথিবী। আবার পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদও নিজ অক্ষে প্রদক্ষিণ করে। কিন্তু পৃথিবীর নিজ অক্ষে প্রদক্ষিণ শেষ হয় একদিনে আর চাঁদের নিজ অক্ষে প্রদক্ষিণ শেষ হয় গড়ে ২৭ দিনে।

অর্থাৎ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চাঁদের ঘূর্ণন সময় আবার নিজ অক্ষে ঘূর্ণন সময় সমান। আর সে কারণে আমরা সবসময় চাঁদের শুধু একটি অংশ পৃথিবী থেকে দেখতে পাই। সে যাই হোক, তথাকথিত ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক “চাঁদ তৈরি করে একটি মাস এবং ১২ মাসে হয় ১ চন্দ্র বৎসর” এ আলোচনার দ্বারা কি বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। কেননা যারা অমাবস্যা অনুযায়ী আরবী মাস গণনা করেন, আর যারা হিলাল বা বাঁকা চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করেন তারা এ নিয়ে মতভেদ সৃষ্টি করেন না। সমস্যা হচ্ছে আরবী মাসের শুরু নিয়ে। আর আরবী মাস শুরু করতে হবে খালি চোখে পশ্চিম দিগন্তে চাঁদ দেখতে পাবার পর, অথবা চাঁদ দেখা না গেলে মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করার পর।

১৬নং প্রশ্নের জবাবে প্রথমেই বলতে হয়, এই তথাকথিত ইঞ্জিনিয়ার চাঁদের মত একটি বিষয় যা কিনা শরীয়ত পালনের জন্যে একটি অপরিহার্য অনুষঙ্গ, তা নিয়ে আলোচনা করতে নানান কথা বলে যাচ্ছেন। অথচ তিনি নিজে জানেননা শরীয়তের দলীল কয়টি। ঙওঈ কে শরীয়তের দলীল হিসেবে মানতে হবে এ বিষয়ে কি তার কাছে কোন দলীল আছে? অবশ্যই নেই। তাহলে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ এবং চার মাযহাব এর পাশাপাশি  ঙওঈ ’র নাম দলীল হিসেবে বলা চরম বেয়াদবী এবং ধৃষ্টতা। এই ধৃষ্টতার জন্য শরীয়তের দৃষ্টিতে তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।  ঙওঈ তে রয়েছে সকল মুসলিম দেশের ফাসিক ফুজ্জার, বে-আমল শাসক শ্রেণী। যাদের নিজেদের জীবনেই ইসলাম নেই। শরীয়তের দলীল হিসেবে  ঙওঈ ’র নাম বলাতে এটা স্পষ্ট, এই জাহিল ইঞ্জিনিয়ার শরীয়তের প্রাথমিক জ্ঞান থেকেও দূরে। তার প্রলাপ শুনে হয়তো ঙওঈ ’র অনেক সদস্যই চোখ কপালে তুলবেন। শরীয়তের দলীল হচ্ছে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস এই চার দলীলের মাধ্যমেও প্রমাণিত যে হিলাল বা বাঁকা চাঁদ দেখেই আরবী মাস শুরু করতে হয়, অমাবস্যার চাঁদ অনুযায়ী নয়।

বিশ্বের জন্য ১৪৩১ হিজরীর পবিত্র

শা’বান মাসের চাঁদের রিপোর্ট

জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ১১ই জুলাই, ২০১০, রবিবার, ৭টা ৪০ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী)।

অমাবস্যার দিন সউদী আরবে পবিত্র শা’বান মাসের চাঁদ দেখা যাবার কোন সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশের জন্য ১৪৩১ হিজরীর পবিত্র

শা’বান মাসের চাঁদের রিপোর্ট

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী জিরো মুন (অমাবস্যা) সংঘটিত হবে ১২ই জুলাই, ২০১০, সোমবার ভোর রাত ১টা ৪০ মিনিটে।

বাংলাদেশে পবিত্র শা’বান মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে ১২ই জুলাই, ২০১০, সোমবার সন্ধ্যায়। সেদিন ঢাকায় সূর্যাস্ত ৬টা ৪৯ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৭টা ১৯ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্যাস্ত এবং চন্দ্রাস্তের সময়ের পার্থক্য ৩০ মিনিট। সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দিগন্তরেখার প্রায় ৬.৫ ডিগ্রি উপরে অবস্থান করবে এবং চাঁদ খুঁজতে হবে ২৮৭ ডিগ্রি আজিমাতে। সেদিন চাঁদ দেখার সম্ভাবনা অনেক কম।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৭

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

মন্তব্য প্রতিবেদন: জামাত-জোট শুধু খাম্বা দুর্নীতি করেই হাজার হাজার কোটি টাকা মারেনি এমনকি ধর্মীয় ফান্ড যাকাতের টাকাও তারা চুরি করতে দ্বিধা করেনি যাকাত চোরের তালিকায় নাম রয়েছে জামাতী মুখপাত্র টিভি ভাষ্যকার তথা মালানা আবুল কালাম আজাদ থেকে জামাতী তাফসীরকারক কুখ্যাত রাজাকার দে.হো সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদী ছাড়াও রয়েছে আরো অনেক জামাতী ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারের উচিত ঐসব যাকাত চোরের তথাকথিত ইসলামী প্রোগ্রাম কুরআন-সুন্নাহর আইন অনুযায়ী বন্ধ করে দেয়া এবং চোর ও মুনাফিক তথা যুদ্ধাপরাধী হয়ে ইসলামের লেবাছ ধারণ করার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অবমাননা করার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করা, তাদেরকে ইসলামী প্রোগ্রাম করার অযোগ্য ঘোষণা করা

মন্তব্য প্রতিবেদন: মোরাকাবা ও নামাযের বিরুদ্ধে কথা বলে মুজাহিদ ওরফে মইজ্যা রাজাকার কাট্টা মুরতাদ হয়েছে এবং একই বক্তব্য ধারণ করে তথাকথিত জামাতে ইসলামী ‘জামাতে মুরতাদে’ পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি ঐতিহাসিকভাবে সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের জামাতের পক্ষে সাফাই গেয়ে তারা মিথ্যাবাদী দাজ্জালের চেলায় পরিণত হয়েছে।