ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৯ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

সংখ্যা: ১৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

পবিত্র মক্কা শরীফ আগ্রাসন করার পর  সউদ তার দস্যু বাহিনীকে প্রেরণ করে  (যাদেরকে সে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে পাঠিয়েছিলো ) মদীনা শরীফ হামলার উদ্দেশ্যে। নাঊযুবিল্লাহ! সে দুই ভাইকে নিয়োগ করেছিলো দস্যু বাহিনীর কমান্ডার ইন চীফ হিসেবে, যাদের নাম ছিলো বাদায়ে এবং নাদি। তারা পথিমধ্যে কতগুলি মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলে অকল্পনীয় হত্যাকা- এবং লুটতরাজ করে। মদীনা শরীফ-এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে তারা লাগিয়ে দেয় ভয়াবহ আগুন, সাধন করে কল্পনাতীত ধ্বংসযজ্ঞ।  আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর উলামায়ে হক্কানী রব্বানীগণ প্রদর্শিত বিশুদ্ধ আক্বীদায় যারা ছিলেন পূর্ণ ইস্তিকামত, উনারা হন বীভৎস অত্যাচারের শিকার, তরবারির ধারালো ফলার আঘাতে নিষ্ঠুরভাবে শহীদ করা হয় তাঁদের। এত বেশি মুসলিম দাহ এবং তদীয় গ্রাম অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছিলো যে, অধ্যাবধি তার  সঠিক পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হয়নি।

মদীনা শরীফ-এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মুসলমানেরা সবসময়ই অবর্ণনীয় লুন্ঠন, নির্যাতন এবং নির্মম হত্যাকা-ের আশঙ্কা করতেন। দস্যু সউদ তাঁদেরকে দাস-দাসীতে পরিণত করে।

সালিহ বিন সালিহ নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে মদীনা শরীফ নিবাসীদের কাছে একটি পত্র পাঠায় জালিম সউদ। সেখানে সে লেখে। “ক্বিয়ামত দিবসের যিনি কিনা সুমহান মালিক উনার পবিত্র নাম মুবারক নিয়ে শুরু করছি। মদীনা শরীফ-এর প্রত্যেক আলিম, ব্যবসায়ী এবং কর্মকর্তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে জগতের বুকে শান্তি এবং অপরাপর সুবিধাদি শুধু তারাই প্রাপ্ত হবেন যারা পথ নির্দেশনাকে গ্রহণ করবে।

হে মদীনা শরীফ-এর অধিবাসীবৃন্দ! আমি তোমাদেরকে সত্য ধর্মের প্রতি আহবান জানাই। আল্লাহ পাক তিনি সূরা আল ইমরান-এর ১৯ নম্বর এবং ৮৫ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন-‘আল্লাহ পাক-উনার কাছে একমাত্র সত্য দ্বীন হলো ইসলাম। যারা দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম গ্রহণ করবে তা কস্মিনকালেও গ্রহণ করা হবে না। অধিকন্তু সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।’ আমি চাই তোমরা সবাই তোমাদের প্রতি আমার যে অনুভুতি তা জেনে রাখ। আমি মদীনা শরীফবাসীদের প্রতি জানাই আমার ভালোবাসা এবং হৃদ্যতা। আমি আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শহর মুবারকে এসে বসবাস করতে চাই। আমি তোমাদের কোন নির্যাতন বা অত্যাচার করবো না যদি তোমরা আমার আদেশ-নির্দেশের প্রতি অনুগত  হও। মক্কা শরীফে প্রবেশের দিন থেকেই মক্কা শরীফ নিবাসী মুসলিমেরা আমার দয়া এবং মহানুভবতা অনুভব করে আসছে। নাঊযুবিল্লাহ!  আমি চাই তোমরা নতুন ধরনের মুসলমানে পরিণত হও। যদি আমার আদেশ তোমরা মেনে নাও তাহলে সর্বপ্রকার লুন্ঠন নির্যাতন ও অপমৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের রক্ষা করবেন এবং  আমি তোমাদের রক্ষাকর্তা হবো। আমার বিশ্বস্ত ব্যক্তি সালিহ বিন সালিহ-এর মাধ্যমে তোমাদের কাছে পত্র পাঠালাম। খুব যতেœর সাথে তা পাঠ করো এবং সালিহ বিন সালিহ-এর কাছে তোমাদের সিদ্ধান্ত জানাও। তার কথা মূলত আমারই কথা।” (অসমাপ্ত)

ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম এবং সব বেহায়াপনা, বেপর্দা, নাচগান ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষকে ইসলামিক ধারণা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলেই কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবে না- এ প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটবে।

জামাতীরা এখন খোদায়ী গযবে ধুকছে। হাদীছ শরীফে বর্ণিত লা’নত তাদের গায়ে লেগেছে। কৃত যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভয়ে তারা এখন ভয়ানক আতঙ্কিত হয়ে আছে।

হলিউডের জোলি এবং আমাদের দেশের তথাকথিত নারীবাদী গত ১২.০১.০৯ তারিখে ইন্টারনেটে হেডিং হয়েছে: “হলিউড থেকে বিদায় নিচ্ছে জোলি।”

জামাতীদেরকে জঙ্গিরা কখনও টার্গেট করেনি। জঙ্গিরা মূলতঃ জামাতীদেরই জাত ভাই

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামার শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান এর শপথ অনুষ্ঠানের ধরনই নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পূর্ণই আলাদা। এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান তারা আকুলভাবে চায় যে “কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন হবে না।” সে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হোক