আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক শুনে জীবনে একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করা ফরজ। আম ফতওয়া হলো একই মজলিসে একাধিকবার নাম মুবারক উচ্চারিত হলে একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব, আর প্রতিবারই দুরূদ শরীফ পাঠ করা মুস্তাহাব। আর খাছ ফতওয়া হলো একই মজলিসে যতবার নাম মুবারক উচ্চারিত হবে তত বার দুরূদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব।

তদ্রুপ শরীয়তের হুকুম হচ্ছে আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক লিখার সময় সম্পূর্ণ দুরূদ শরীফ লিখা ওয়াজিব। এক্ষেত্রে যদি কেউ সংক্ষেপে (সাঃ) বা (দঃ) বা صلعم বা ঝ.গ বা উ.গ ইত্যাদি লিখে, তবে আম ফতওয়া হলো তা হবে মাকরূহ্ তাহ্রীমী। আর খাছ ফতওয়া হলো তা হবে হারাম ও কুফরী। (তাফসীরে রূহুল বয়ান, রূহুল মায়ানী, মাযহারী, জালালাইন, বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, মাআরিফুল কুরআন)

পূর্ববর্তী সকল তাফসীরগ্রন্থ এবং হাদীছ শরীফ-এর কিতাবগুলোতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারকের শেষে পূর্ণ দুরূদ শরীফসহ লিখা আছে। আর বর্তমানে প্রকাশিত প্রায় সকল ধরণের কিতাবাদি, বই-পুস্তক, পত্র-পত্রিকা ইত্যাদিতে দেখা যায়, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে দুরূদ শরীফ অর্থাৎ (সাঃ) বা (দঃ) লিখে থাকে। এ সংক্ষেপে লিখার প্রধান কারণ হিসাবে যা প্রকাশ পায়, তা হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক বার বার লিখতে গেলে বেশি কাগজ লাগা, সময় বেশি লাগা ইত্যাদি। নাঊযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য, যাঁর প্রতি ফেরেশ্তাগণসহ স্বয়ং আল্লাহ পাক দুরূদ শরীফ প্রেরণ করেন এবং মানুষকে দুরূদ শরীফ পাঠ করার জন্য আল্লাহ পাক আদেশ করেছেন এবং অসংখ্য হাদীছ শরীফে দুরূদ শরীফ পাঠের ফযীলত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

বিপরীতে দুরূদ শরীফ পাঠ করতে যারা গাফলতী করে, তাদের সম্পর্কে হাদীছ শরীফে অনেক দুঃসংবাদ রয়েছে এবং তাদের শেষ ফায়সালা হলো জাহান্নাম। এখন চিন্তা ফিকির করা দরকার যারা দুরূদ শরীফ লিখার সময় সামান্য কাগজ ও সময় বাচানোর জন্য সংক্ষেপে (সাঃ) বা (দঃ) দিয়ে লিখে, তাদের কি অবস্থা হতে পারে?

সুতরাং মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ সংখ্যা থেকে আমরা এ শিক্ষাই নেব, যখনই আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক লিখতে যাব তখনই পূর্ণ দুরূদ শরীফসহ লিখবো। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এ ফযীলতপূর্ণ কাজটি করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

মুহম্মদ আব্দুল কাদির

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে