এভাবেই বিরোধীদের হাক্বীক্বত প্রকাশ পাবে ॥  আর আল বাইয়্যিনাত-এর যথার্থতা প্রমাণিত হবে

সংখ্যা: ১২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সত্য এসেছে মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে। নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মিথ্যা দূরীভূত হওয়ার যোগ্য। অর্থাৎ সত্য প্রকাশ পাওয়ার যোগ্য।

উল্লেখ্য, এই সত্য প্রকাশটা যে শুধুমাত্র সত্যের ধারক-বাহকদের দ্বারাই হয় তা নয়। বরং হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ফাসিক-ফাজিরদের দ্বারাও আল্লাহ্ পাক এই দ্বীনের খিদমত নিবেন।” অর্থাৎ কিনা হক্বের মুখালিফরাও তাদের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনেক সময় সত্য কথা আওড়িয়ে থাকে। এতে করে তারা নিজেরা সত্য পথ বা হক্বের অনুসরণ না করলেও প্রথমতঃ হক্ব বিষয়টি তাদের দ্বারাও প্রকাশ পায়। দ্বিতীয়তঃ তারা হক্ব গ্রহণ না করলেও তারা যাদেরকে প্রতারিত করেছিল সেই প্রতারিতরা তখন হক্ব গ্রহণে অনুপ্রাণিত হয়।

আর এভাবেই যারা ফাসিক ফাজির তথা যারা নামধারী আলিম তাদের দ্বারাও হক্ব মত-পথের প্রচার-প্রসার হয়ে থাকে। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর লিখনী সর্বোতভাবে সত্য বিষয়টিই তুলে ধরে। সত্য বা হক্ব বলতে এখানে আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মত ও পথ তথা দ্বীন ইসলামকেই বোঝানো হচ্ছে।  আর দ্বীন ইসলাম বলতে বর্তমান নামধারী আলিমদের মনগড়া ইসলাম নয়। বরং বলতে হয়- কুরআন, সুন্নাহ্য়  বর্ণিত ইসলামকে আক্ষরিক অর্থে বর্তমান যামানায় একমাত্র প্রতিফলিত করে মাসিক আল বাইয়্যিনাত।

আল বাইয়্যিনাত-এর লিখার মূলধারাই হলো ইসলামের নামে বা বে-নামে সব বিদ্য়াত, বেশরা বা বিধর্মীয় মতবাদ অথবা প্রচলিত মতবাদ বা রীতিনীতি পরিহার করে কুরআন-সুন্নাহ্য় বর্ণিত ইসলামকে হুবহু অনুসরণ করা। কোন বিষয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার জন্য লংমার্চ করা বর্তমানে প্রচলিত একটি রীতি। কট্টর কমুনিস্ট মাওসেতুং এর প্রবর্তক। কোন বিষয়ের প্রতিবাদে চাপ সৃষ্টির জন্য হরতাল করা একটি প্রচলিত পন্থা। কট্টর হিন্দু গান্ধী এর উদ্ভাবক।  মৌলবাদী বলে জঙ্গী ভাব দেখানো বর্তমানে প্রচলিত রীতি। খ্রীষ্টান-প্রোটেষ্ট্যান্টরা এর প্রচলনকারী।    ধর্ম রক্ষার জন্য ব্লাসফেমী আইন তলব করা বর্তমানে প্রচলিত রীতি। আর ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই এর প্রবর্তক।

রাজনীতির ক্ষেত্রে গণতন্ত্রই বর্তমানে প্রচলিত রীতিনীতি। আর আব্রাহাম লিঙ্কন, জেফারসন প্রভৃতি ইহুদী-খ্রীষ্টানরা এর প্রবক্তা।

পেপার-পত্রিকায় ছবি ছাপিয়ে প্রকাশ করা, ভিডিও করা এবং তা প্রচার করা বর্তমান প্রচলিত রীতিনীতি। বিধর্মী কাফিররাই যার প্রবর্তক।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ উল্লিখিত প্রচলিত রীতিনীতি যা মূলতঃ ইসলামী রীতিনীতি নয় বরং বিদ্য়াত-বেশরার শামিল সেসবের বিরুদ্ধেই লিখা হয়। আর মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মুখালিফ নামধারী আলিমরা ইসলামকে বাদ দিয়ে এসব প্রচলিত রীতিনীতিকেই অনুসরণ করে থাকে। মূলতঃ এজন্যই আল বাইয়্যিনাতে তাদের সমালোচনা করা হয়ে থাকে। কারণ, আল্লাহ্ পাক ইরশাদ ফরমান, “তোমরা ইহুদী-খ্রীষ্টানদের অনুসরণ করোনা।”   হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে যাকে অনুসরণ করবে তার হাশর-নশর তার সাথেই হবে।”

উল্লেখ্য, প্রচলিত রীতিনীতিকে পরিহার করাই ইসলামের মূলনীতি। যেমন, হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন দেখলেন, ইহুদীরা আশুরার একটি রোযা রাখে। তখন তিনি হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমকে দু’টো রোযা রাখার নির্দেশ দিলেন এবং ইহুদীদের খিলাফ করতে বললেন।”

মূলতঃ “বেদ্বীনি-বদ্ দ্বীনি তথা প্রচলিত রীতিনীতি বা যাবতীয় বিদ্য়াত, বেশরা পরিহার করে কুরআন-সুন্নাহ্র হুবহু অনুসরণ।” ইসলামের এই মূলনীতিকে সার্থকভাবে ফুটিয়ে তোলাই মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মৌলিক বৈশিষ্ট্য।   যদিও মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর মুখালিফরা তা অস্বীকার করে আসছে এযাবত। কিন্তু সত্য আল বাইয়্যিনাত-এর কাছে তাদের এই মিথ্যা অহংকার যে নির্বাপিত হওয়ার যোগ্য। তাই আজ তাদেরই বর্ষীয়ান নেতার মুখে তাদের অনুসৃত নীতি পরিহার করার ঘোষণা এসেছে। এসেছে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর আদর্শে পথ চলার আহবান।

সূত্র জানায়, গত ৮ই আগস্ট/২০০৩ শুক্রবার নামধারী উলামাদের নেতা খতীব উবায়দুল হক জাতীয় মসজিদে জুমুয়ার খুৎবায় বলেছে, “প্রচলিত রীতিনীতিকে আমরা আল্লাহ্ পাক-এর হুকুমের চেয়ে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকি। শরীয়তের চেয়ে বিদ্য়াতকে বেশী অনুসরণ করি। এগুলো আমাদের ত্যাগ করতে হবে।” (দৈনিক সংগ্রাম/৯ আগস্ট)

 মূলতঃ খতীবের একথা যথার্থই সত্য। তারা হরতাল, লংমার্চ, ব্লাসফেমী আইন, কুশপুত্তলিকা দাহ্, ইসলামের নামে গণতন্ত্র, নির্বাচন, ছবি তোলাসহ যা করছে তা সবই প্রচলিত রীতিনীতি, সবই বিদ্য়াত তথা কুফরী। মূলতঃ সব কথা বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ-এর অমূল্য তাজদীদ। খতীব তার ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সেই সত্য উচ্চারণ করেছে মাত্র।

তবে এখন দেখার বিষয় যে বিগত দিনের প্রচলিত রীতি বাদ দিয়ে খতীব গং আদৌ তওবা করে কিনা? বা এখন থেকে সত্য পথে চলে কিনা? এখন থেকে পেপার-পত্রিকায় তার ছবি আসা বন্ধ হয় কিনা? হরতাল, লংমার্চ, মৌলবাদ ইসলামের নামে নির্বাচন ইত্যাদি কাজে তার নিষেধাজ্ঞা আসে কিনা?      যদি তা না হয় তাহলে বলার অপেক্ষা রাখেনা- জাতীয় মসজিদের এই খতীব জাতীয় মুনাফিকরূপে ইতিহাসের পাতায় ঠাই পাবে।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ্, ঢাকা।

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২১

দাইয়্যূসদের জন্য শাইখুল হাদীছ, খতীব, মুফতী,মুফাস্সিরে কুরআন,মাওলানা পরিচয় আদৌ ফায়দাকর নয় কারণ, দাইয়্যূস বেহেশ্তে প্রবেশ করতে পারবেনা

জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, না জনসংখ্যা সংকোচন ॥ ইসলাম বিদ্বেষী প্রচারণার অন্তরালে সত্য কথা

গাজায় যেখানে শিশুদেরও একবেলা খাবারেরও নিশ্চয়তা নাই প্রতি মুহুর্তেই মুহুর্মুহু বোমায় ঝলসে যাচ্ছে গাজাবাসী সেখানে সৌদি আরবে হচ্ছে ডিজে পার্টি আর কাতারে হচ্ছে আতশ বাজি প্রদর্শনী সত্যিই গাজাবাসীদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহমর্মিতা প্রদর্শন না করা- ইসরাইলীদের কিছু না বলা যেনো কারবালার সীমারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে আরব দেশগুলো ইসরাইলীদের পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধেও তীব্র আন্দোলন দরকার

মতামত শিরোনাম