খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, ক্বইউমুজ জামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (১৭)

সংখ্যা: ২৮৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

পূর্ব প্রকাশিতের পর

فَإِذَا قَدِمُوْا مَكَّةَ سَأَلُوا النَّاسَ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফে প্রবেশ করার পরেই সেই ইয়ামেনবাসী উনারা কি করতেন? মানুষের কাছে সুওয়াল করতেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করলেন,

فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالٰى

যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করলেন-

وَتَزَوَّدُوْا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوٰى

 তোমরা পাথেয় অবলম্বন করো। উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাক্বওয়া। উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাক্বওয়ার অবলম্বন করা। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, উনার আদেশ-নির্দেশ মুবারক পালন করো। তিনি যেভাবে বলেছেন সেভাবে করো। মনগড়া করলে চলবে না। বলা হয়েছে তোমরা পবিত্র হজ্জ করবে, পবিত্র হজ্জ করে পাথেয় ব্যবস্থা করবে। মানুষের কাছে খয়রাত করবে সেটা হবে না। যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যা আদেশ মুবারক করেছেন তা পালন করো, তাক্বওয়া অবলম্বন করো। মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে জানিয়ে দিলেন। বিষয়গুলি মানুষ ফিকির করলেই বুঝতে পারবে সহজেই, অন্যথায় সে কিন্তু বুঝতে পারবে না। কারণ পবিত্র হজ্জের পাথেয়র যে বিষয়টা, টাকা পয়সা। হ্যাঁ এর অনেক বরকত রয়েছে, খুছূছিয়াত রয়েছে। পবিত্র হজ্জের জন্য খরচ করলে বরকত হয়। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে যেটা রয়েছে। এখন টাকা পয়সাতো খরচ করতে হবে। শুধু টাকা পয়সা খরচ করলেই পবিত্র হজ্জ সম্পাদন করা সম্ভব না, তার আনুষাঙ্গিক বিষয় ব্যতিত।

عَنْ حَضْرَتْ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلنَّفَقَةُ فِى الْحَجِّ كَالنَّفَقَةِ فِى سَبِيْلِ اللهِ تَعَالٰى

হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র হজ্জে খরচ করা হচ্ছে যিনি খ্বলিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় জিহাদ করলে খরচ করার যে ফযীলত সেই সমপরিমাণ অর্থাৎ একে কমছে কম সাতশ’গুণ সে লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!

بِسَبْعِ مِأَةِ ضِعْفٍ

পবিত্র হজ্জের খরচ হচ্ছে জিহাদের খরচের মতো। কমপক্ষে একে সাতশ’গুণ সে লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই এখন পবিত্র হজ্জে খরচ করবে ঠিক আছে কিন্তু শুধু খরচ করলেইতো হবে না। তার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতো পালন করতে হবে। এখন সেখানে কোন অবস্থায় সে বেপর্দা-বেহায়া কাজ করতে পারবে না, নাফরমানীমূলক কোন কাজ করতে পারবে না, ঝগড়া- ঝাটি, ফিতনা- ফাসাদ সে করতে পারবে না তখন তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে। অন্যথায় তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে না। বিষয়টা ফিকির করতে হবে। এখন এই পবিত্র হজ্জে মাবরূরের জন্য একদিক থেকে পর্দা করা আরেক দিক থেকে ছবি থেকে বেঁচে থাকা এবং তার সংশ্লিষ্ট যত প্রকার অবৈধ কাজ আছে তা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এখন মেয়েদের জন্য যেমন বলা হচ্ছে তারা মাহরাম ছাড়া পবিত্র হজ্জ করতে পারবে না। পুরুষদের জন্য এখানে শুধু পথ এবং পাথেয় আমভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু খাছভাবে কোন প্রকার নাফরমানী, কুফরী- শিরিকী, হারাম, অবৈধ কাজ, শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ সে করতে পারবে না পবিত্র হজ্জে যেতে হলে। যদি করে তাহলে তার কখনও সেটা কবুল হবে না। পবিত্র হজ্জে মাবরূর তার নছীব হবে না। নাউযুবিল্লাহ! পয়সা সে খরচ করতে পারবে কিন্তু পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে না।

এখন সৌদি আরব সরকার সে জুলুম করে যাচ্ছে। সেটা বলতে হবে। বিশ্ববাসী যারা মুসলমান তাদের বলা উচিত। এখন সে যেমন চাঁদ নিয়ে হেরফের করে থাকে। এখন সমস্ত ব্যবস্থা যদি ঠিকও থাকে কিন্তু চাঁদের তারিখ তো সে হেরফের করে যাচ্ছে। উকূফে আরাফাহ ৯ তারিখে ফরয, সে ৮ তারিখে করতেছে। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে পবিত্র হজ্জ আদায় হবে কি করে? পবিত্র হজ্জে যাওয়ার ফরয যে বিষয় সেটাতো সাকেত হয়ে গেল। এটাতো মুসলমানরা ফিকির করে না। মেয়েদের জন্য যেমন মাহরাম দরকার, পুরুষদেরও সেভাবে সমস্ত অশ্লীল-অশালীন, নাফরমানীমূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। বিরত থেকে সে যদি পবিত্র হজ্জ সম্পাদন করতে পারে তখন তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে। অন্যথায় তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে না। বিষয়টা খুব ফিকির করতে হবে। পবিত্র হজ্জের অনেক ফাযায়িল-ফযীলত, অনেক বুযূর্গী-সম্মান। কিন্তু এ বুযূর্গী- সম্মান সে কখন আদায় করবে যখন সে শর্ত- শারায়েত পূরণ হবে, তখন সেটা পবিত্র হজ্জ করলে সেটা তার হাছিল হবে। আর যদি সে শর্ত- শারায়েত ব্যতিত করে। এখন একটা লোক, আমভাবে যদি বলা হয়, নামায পড়তে যেয়ে সে নামাযের জন্য ওযূই করলো না। নাউযুবিল্লাহ! তার নামায হবে কি করে? আর ওযূ করার পর সে নামায শুরু করলো, সে নামাযে এদিক-সেদিক তাকালো, এলোমেলো কাজ করলো তারতো নামায এভাবেই ফাসেদ হয়ে যাবে। সে আমলে কাছীর করে তারতো নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। এখনতো পবিত্র হজ্জও তারা সেরকম করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! বিষয়টা ফিকির করতে হবে।

কাজেই পবিত্র হজ্জে মাবরূর যেটা বলা হচ্ছে, পবিত্র হজ্জে মাবরূর সমস্ত গুনাহখাতা মাফ করে, তার বদলা জান্নাত। যদি সে শর্ত-শারায়েত অনুযায়ি করতে পারে তখন তার গুনাহখাতা মাফ হবে, তার রিযিকে বরকত হবে, ইহকাল পরকালে তার কামিয়াবী হাছিল হবে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই বিষয়টা ফিকির করতে হবে।

পবিত্র হজ্জে মাবরূরের যে বিষয়টা, পবিত্র হজ্জে মাবরূর কাকে বলা হয়, তার কি খুছূছিয়াত, তার কি শর্ত-শারায়েত সে বিষয়গুলো আমরা সামনে ইনশাআল্লাহ আলোচনা করবো। এখন আমভাবে যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে, পবিত্র হজ্জে মাবরূর ব্যতীত কারো হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করা সম্ভব নয় এবং পবিত্র হজ্জের কোন ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান যা বলা হলো সেটা সে কশ্মিনকালেও হাছিল করতে পারবে না। যদি করতে চায় তাহলে তাকে পবিত্র হজ্জে মাবরূর করতে হবে। আর পবিত্র হজ্জে মাবরূর করতে হলে তার পুরা শর্ত-শারায়েতগুলি পালন করতে হবে। তখন তার জন্য পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হবে। কাজেই আমরা সামনে ইংশাআল্লাহ আলোচনা করবো যাতে বিষয়গুলি সকলে বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারে। (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪০

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪১

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪