জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

لم ازل انقل من اصلاب الطاهرين الى ارحام الطاهرات على ان جميع ابائه صلى الله عليه وسلم وامهاته الى ادم وحواء عليهما السلام ليس فيهم كافر

অর্থ: “আমি সর্বদা পবিত্র পৃষ্ঠ মুবারক হতে পবিত্রা রেহেম শরীফে স্থানান্তরিত হয়েছি। আমার পূর্ববর্তী যত পুরুষ ও মহিলা হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম হতে হযরত হাওয়া আলাইহাস্ সালাম পর্যন্ত অতীত হয়েছেন, উনাদের কেউই কাফির ছিলেন না।”

এ হাদীছ শরীফই প্রমাণ করে যে, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার পূর্বপুরুষ সকলেই ছিলেন যুগের সবচাইতে সম্ভ্রান্ত, মর্যাদাশীল ও আল্লাহ পাক উনার খাছ ও মকবুল বান্দাহর অর্ন্তভূক্ত। তিনি পবিত্র পুরুষ ও পবিত্রা মহিলাগণের মাধ্যমে বংশ পরম্পরায় এ যমিনে তাশরীফ এনেছেন। চাই পিতার দিক থেকে হোক কিংবা মাতার দিক থেকে হোক উনাদের কেউই মুশরিক বা কাফির ছিলেন না। এমনকি উনাদের মধ্যে কেউই চারিত্রিক দোষেও দোষী ছিলেন না। প্রত্যেকেই পবিত্র চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে উল্লেখ রয়েছে-

لم يلتق ابواى قط على سفاح

অর্থ: “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্বপুরুষ উনারা কেউই চারিত্রিক দোষে দোষী ছিলেন না।”

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম ছিলেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ব পুরুষের মধ্য হতে অন্যতম। যিনি খলীলুল্লাহ ছিলেন। আল্লাহ পাক উনাকে নুবুওওয়াত ও রিসালত দান করেছেন। আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে তিনি স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালামসহ বাইতুল্লাহ শরীফ নির্মাণ করেছেন। উনার পিতা সম্পর্কে বলা হয় যে, পিতা  ছিলেন ‘আযর’ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন নাঊযুবিল্লাহ! কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর ছহীহ বর্ণনা হচ্ছে, উনার পিতা ছিলেন হযরত তারিখ আলাইহিস্ সালাম। (আরদুল কুরআন) যিনি আল্লাহ পাক উনার অনুগত বান্দাহর অর্ন্তভুক্ত ছিলেন। কুরআন শরীফ-এর বর্ণনায় ‘আযর’ নামক ব্যক্তিকে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম উনার পিতা বলে যে সম্বোধন করা হয়েছে মূলতঃ উক্ত পিতা দ্বারা উনার চাচা উদ্দেশ্য।

কেননা আরবদের মাঝে ভাতিজাকে পুত্র, চাচাকে পিতা বলে সম্বোধন করার প্রচলন আছে।  যেমন, আবূ তালিব বুহাইরা পাদ্রিকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছিল, তিনি আমার ছেলে। অনুরূপভাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে পিতা বলে সম্বোধন করেছেন। এ সম্পর্কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

ان ابى واباكم كلاهما فى النار

অর্থ: “নিশ্চয়ই আমার পিতা (আবু তালিব) ও তোমদের পিতা উভয়ই জাহান্নামী।

সুতরাং, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর অনুসারীগণের এ আক্বীদাই পোষণ করতে হবে যে,  যে সকল ব্যক্তিত্বের মাধ্যম হয়ে  বা যাদের পৃষ্ঠ মুবারক ও রেহেম শরীফে  অবস্থানের ধারাবাহিকতায় নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন উনাদের কেউই কাফির কিংবা মুশরিক ছিলেন না। আর থাকাটা কস্মিনকালেও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন-

انما المشركون نجس

অর্থ: “নিশ্চয়ই মুশরিকরা অপবিত্র।”

সুতরাং, অপবিত্র ব্যক্তির মাঝে নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবস্থান নেয়াটা সম্পূর্ণই অসম্ভব।

– মাওলানা সাইয়্যিদ শুয়াইব আহমদ

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যমের মুবারক সংযোজন:- ইসলাম- বিধর্মীদের ধর্ম পালনে কোন বাধা দেয় না। কারণ, প্রত্যেকেই তার নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। ইসলাম- মুসলমানদের জন্যও বিধর্মীদের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমোদন করে না। পাশাপাশি মুসলমানদেরকে বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতে বিধর্মী কর্তৃক উৎসাহিত করাটাও শরীয়তসম্মত নয়। কেননা, মুসলমানরা বিধর্মীদেরকে ইসলাম পালনে বাধ্য করে না।

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া, ইমামুল আতক্বিয়া, হাদিউল আওলিয়া, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে

মিছবাহুদ্ দুজা, মিফতাহুদ্ দারা, খইরুল ওয়ারা, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্রতম দেহ মুবারক, ঘাম মুবারক ও থুথু মুবারক-এর সৌরভের কাছে যত রকমের খুশবু আছে সবই ম্লান হয়ে যায়

আকমালুল মাওজূদাত, আজমালুল মাখলূক্বাত, আল্মুওয়াইইয়াদু বিওয়াদ্বিহিল বাইয়্যিনাত, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বৈশিষ্ট্য থেকেই সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন

আখলাকুহূ হামীদাহ, আফয়ালুহূ জামীলাহ, আলত্বাফুহূ কারীমাহ, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সদাচরণ হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণের সাথে