প্রসঙ্গ: গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার

সংখ্যা: ১০৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

গণতন্ত্রের জনক, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের “Of the people, by the people, for the people” মপ্রজারিত মূর্ছনার মোহাবিষ্ট ভাবের শেষ রেষটুকু বহু পূর্বেই গত হইয়াছে। ‘জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য পরিচালিত সরকার’  গণতন্ত্র সম্পর্কে লিঙ্কনের এই তত্ত্বকথা এখন চরম বাসতবতার প্রেক্ষিতে নিখাদ আপ্তবাক্যে পরিণত হইয়াছে।

স্বাধীনতার পর হেিত জনগণ, স্বদেশেই, স্বজাতির মাঝেই প্রচারিত গণতন্ত্রের রূপ বা চেহারা স্বচক্ষে বহুবার, বিভিন্নভাবে প্রত্যক্ষ করিবার সাক্ষাত সুযোগ পাইয়াছে। গোটা পাঁচ/ছ’য়েক দাবীকৃত জনগণের সরকারের কর্মকা-ের অভিজ্ঞতা তাহারা লাভ করিয়াছে। কিন্তু জনগণ কোন দাবীকৃত জনগণেল সরকারকেই জনগণের মনে করিতে পারে নাই। তাহাদের ভাল বলিতে পারে নাই। এমনকি গণতান্ত্রিক দলীয় লোকেরাও স্বদলীয় নেতৃবর্গের প্রতিও ক্ষুব্ধ অনুভূতি প্রকাশ করিতে ছাড়ে নাই।

জনগণ এক সরকারকে গ্রহণ করিয়াছিলো। সেই সরকার জনগণের সাথে সদ্ব্যবহার করে নাই। জনগণ কথিত গণতন্ত্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নূতন সরকার আমন্ত্রণ করিলো। কিন্তু তাহারাও অনিবার্য কারণ বশতঃৎ জনগণের বিরাগভাজন হইলো। অবশেষে পূর্বের সরকারই নূতন করিয়া জনগণের বলিয়া দাবী করিলো।

বলা হয়, জনগণের তাহাতে সম্মতি ছিলো। কথিত জনগণ তাহাদের ভোট দিয়াছিলো। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। জনগণের কাছে দাবী করিয়া যাহারা ভোট নিয়াছিলেন, যাহাদের পুনঃ পুনঃ আশ্বাস, করজোড় অনুরোধ, ার অপূর্ব বিনীত কন্ঠে দ্রবীভ’ত হয়িা নূতন দিনের আশায় জনগণ নূতন সরকার গঠনের পাঠা হিসাবে বৃবহৃত হইয়াছিলো অদ্য সরকার গঠনের পরিক্রমায়, জনগণ উহাদের কাছে বড়ই অসহায়, অবাঞ্ছিতরূপে গণ্য হইতেছে।

জনগণের সরকারের সচিবালয়ে এখন জনগণ বিশেষ প্রয়োজনেও ঢুকিতে পারেনা। জনগণের সরকারের মন্ত্রী মহোদয়ের এখন জনগণের কথা শুনিবার সময় হয় না, জনগণকে সাক্ষাৎ দিবার ফুরসৎ মিলেনা। বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিল ত্যিাদি বাড়াইবার ফলে জনগণের ভোগান্তি চরমে উঠিয়াছে। জনগণ দিন দিন আরো নিঃস্ব হইতেছে। জনগণের সে কথা বলিবার, জনগণের সরকারে জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত করিবার কথা এখন আকাশকুসুম।

জনগণের প্রায় আট কোটি লোক দারিদ্র সীমার নীচে বাস করিতেছে সেদিকে জনগণের সরকারের ভ্রƒক্ষেপ নাই। জনগণের সরকারের প্রশাসনের কাছে জনগণের প্রবেশাধিকার বড়ই দূরূহ ও সংকীর্ণ এবং কন্টকাকীর্ণ। সেইখানে জনগণ নয় রূই-কাতলাদেরই অবাধ আধিপত্য। জনগণ নয়, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জনগণের সরকারের মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে মিলিত হইবার বিশেষ সুযোগ লাভ করে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি- নারী নির্যাতন হিা যেন দাবীকৃত সব জনগণের সরকারের কোন্ত সহজাত বিষয় হিসাবে সংযুক্ত হয়িা গিয়াছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন হইতে বাঁচিবার আশায় জনগণ বার বার নূতনভাবে ব্যবহৃত হইলেও জনগণের নূতন সরকার নূতনভাবে আরো বেশি ভাবে সন্ত্রাস অনুশীলন করিতেছে। অপরদিকে দাবিকৃত জনগণের নূতন কায়দায় আশ্বস্ত করিবার নিস্ফল প্রয়াস চালাইতেছে।

জনগণ ইতিমধ্যে সন্ত্রাস নির্মূলীকরণ অভিযানের নামে বহুবিধ অপারেশনের নাম শুনিয়াছে। কিন্তু তাহাতে ফায়দা যে খুবই নগণ্য হইয়াছে তাহাতে জনগণের আক্ষেপ থাকিলেও বিস্ময় প্রকাশ করিবার কিছুই নাই। কারণ জনগণের সরকারের পীঠস্থান আমেরিকায় তৃতীয় বিশ্বের এই সব জনগণের সরকারের দেশ তথা গণতান্ত্রিক দেশ হইতে বহু উন্নত টেকনোলজি তুলনামূলক সত্যতা ও পেশাগত দক্ষতা থাকিবার পরও সেই দেশ এখনও স্বভূমিতেই সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হইয়া রহিয়াছে। সন্ত্রাস, ছিনতাই সেইখানকার ভৌগলিক আবহাওয়ারই একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গরূপে পরিগ্রহ লাভ করিয়াছে। সন্ত্রাসীদের জন্য সব সময়ই আলাদা করিয়া কিছু অর্থ প্রস্তুত রাখিয়া স্বীয় জীবনকে বাঁচাইবার  আত্মরক্ষামূলক কৌশল সেইখানকার সাধারণ নিয়ম।

কাজেই আমাদের দেশে যেইসব জনগণের সরকারের তথা গণতন্ত্রের প্রবক্তারা মনে করেন যে, আমাদের দেশে তৃতীয় বিশ্বের প্রচলিত ধারার বিপরীতে উন্নত বিশ্বের গণতন্ত্র অনুশীলন হইলে সন্ত্রাস অপসৃয়মান হইবে; তাহাদের জানা আবশ্যক, উন্নত বিশ্বে তথা আমেরিকায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা এতই তুখোড় যে, সেইখানকার সন্ত্রাসীরা আমাদের দেশের সন্ত্রাসীদের মত সাক্ষাত পুলিশকে ভয় পায় না। সেইখানকার পুলিশ আমাদের দেশের মত সন্ত্রাসীর হাতে সরাসরি হাতকড়া পড়াইবার সুযোগ পায় না। বরং পুলিশের দলকে বিড়ালের মত থপ থপ পায়ে আঁড়াল হইতে সন্ত্রাসীকে ঘিরিয়া পিছন হইতে উপুঁড় করিয়া সন্ত্রাসীদের মাটিতে ফেলিতে হয়। অত:পর বিশেষ কৌশলে ততোধিক দ্রুততার সাথে তাহাকে নিরস্ত্র করিয়া গ্রেফতার করিতে হয়।

অতএব, এইদেশে এখনও যেইসব জনগণের সরকারের তথা গণতন্ত্রের প্রবক্তারা আমেরিকার গণতন্ত্রের সরকারের তথা গণতন্ত্রের প্রবক্তারা আমেরিকার গণতন্ত্রের মুলা দেখাইয়া এইদেশীয় নির্বোধ জনগণকে মিথ্যা প্রলোভনে প্রলোভিত করিতে চান, তাহারা জবাব দিবেন কি, আপনাদের ক্বিবলা আমেরিকায় সন্ত্রাসের এ কি হাল?

মূলত, কোন মানব রচিত, কোন তন্ত্র, তত্ত্ব, তথ্য, প্রযুক্তি, কৌশল ও দক্ষতা দিয়া সন্ত্রাসকে মোকাবিলা করা যায়না। তাই দেখা যায়, সত্যিকারভাবে সবদেশে পূর্বাপর সকল কথিত গণতান্ত্রিক সরকারই মূলত, সন্ত্রাস মোকাবিলায় তথা বিলুপ্তকরণে বিশেষভাবে ব্যর্থ।

সুতরাং জনগণ যেহেতু প্রকৃতিগতভাবেই সন্ত্রাস বিরোধী সেইহেতু জনগণের সরকার প্রবক্তাদের উপলব্ধি করিতে হইবে যে, সরকার আর সন্ত্রাস যখন সহাবস্থানে থাকে তখন তাহা আসলে জনগণের সরকার হইতে পারে না। আর দাবীকৃত জনগণের সরকার কখনই জনগণকে সন্ত্রাসী মানসিকতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা হইতে মুক্ত করিতে পারে না। কারণ জনগণের সরকার জনগণের জন্য কাজ করাকেই তাহাদের উদ্দেশ্য বলিয়া প্রচার করে, ইসলাম বা আল্লাহ পাক উনার জন্য নয়। আর যাহা কিছু আল্লাহ ব্যতীত করা হয় তাহাই গাইরুল্লাহ। তাহাতেই লা’নত। সেই লা’নতই সন্ত্রাসের প্রসুতি গৃহ।

তাই তাহাদের মুখে প্রচারিত “জনগণের সরকার” কথাটি সম্পূর্ণ মুখরোচক এবং নিস্ফল, আর আব্রাহাম লিঙ্কনের “জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা পরিচালিত সরকার” তত্তটি সম্পূর্ণই মিথ্যা।

অতএব, আর বিলম্ব নয়, এখনই চরম সময় এই মুখরোচক মিথ্যা তত্ত, মিথ্যা তন্ত্র, গণতন্ত্র সম্পর্কে ভাবিবার, তাহাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করিবার।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, বাসাবো, ঢাকা।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড)   

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পেছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -৬      

“ওসামা বিন লাদেন বর্তমান সময়ের এক চরম মুনাফিক” বিশ্বখ্যাত এই মিথ্যাবাদী কাজ করেছে সম্পূর্ণ সি.আই.এ-এর চর রূপে – ৫

একই অঙ্গে বহু রূপে সজ্জিত স, আ, ত, ম আলাউদ্দিনের  বিকৃত রুচি সম্পন্ন লিখার প্রতিবাদে

“মাসিক আল বাইয়্যিনাত”  আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মুখপত্র  (দ্বিতীয় পর্ব)