ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৩১

সংখ্যা: ২০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

উসমানীয়ানরা ৯২৩ হিজরী সন পর্যন্ত আরব পেনিন সুলা শাসন করেন। যখন ইয়াভুজ সুলতান সলিম খান রহমতুল্লাহি মিশর বিজয় করেন এবং তিনি ছিলেন প্রথম তুর্কী খলিফা। যদিও বা শহরাঞ্চলগুলি নিরবচ্ছিন্ন শান্তি দ্বারা পরিপূর্ন ছিলো কিন্ত অসভ্য মূর্খ পর্বতবাসী এবং মরুবাসীদেরকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিলো তাদের আমীর দ্বারা শাসিত হবার জন্য। এই আমীররা প্রায়ই বিদ্রোহ করতো। বর্বরোচিত ছিলো তাদের জীবনাচার। তাদের অধিকাংশই ওয়াহাবীতে পরিণত হয় এবং মুসলিমগণের উপর জুলুম এবং শাহাদাতকা- অব্যাহত রাখে। তারা হাজীদেরকে ডাকাতি করতো তারপর শহীদ করতো। নাউযুবিল্লাহ। ১২৭৪ হিজরীতে বৃটিশরা ভারতের বুকে একটি প্রাসাদ ষড়যন্ত্র সংঘটিত করে এবং ভারতের বুকে প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক শাসন ব্যাবস্থার পতন ঘটায়। তারা একই কাজ জিদ্দাতেও শুরু করে। যাই হোক মক্ক শরীফ এর গভর্নর নামিক্ব পাশা তিনি তার যথোপযুক্ত প্রজ্ঞা এবং শাসনব্যাবস্থার মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখেন।

গমস্ত বিদ্রোহী বর্বর আমীরদেরকে আনুগত্য পালন করতে বাধ্য করা হয় এবং তারা উসমানীয়ান খিলাফতের পাল্লায় আসেন ১২৭৭ হিজরী। মিরাত আল হারামাইন কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে, সে সময় ১৩০৬ হিজরীতে আরব পেনিনসুলায় তখন ১২ মিলিয়ন লোকজন বসবাস করতেন। তারা একই সঙ্গে ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিমান আবার ছিলো প্রচ- রকম মূর্খ, নিষ্ঠুর এবং খুনী। তাদের এই বিচিত্র প্রবৃত্তি দস্যু সাউদকে অপকর্ম সাধনে উদ্বুদ্ধ করে। আরো বর্বরতায় অপকর্ষম-িত হয় তারা। নাউযুবিল্লাহ

ইবনে রশীদ-এর পুত্র উসমানীয়ানদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করেন বৃটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। মদিনা শরীফ এর উত্তর-পূর্বে অবস্থিত  হাইল-এর আমীর ইবনে রশীদপুত্র আলী, যিনি ১৩ বছর শাসন পরিচালনা করেছিলেন, তিনি  ১২৫১ হিজরীতে বিছাল শরীফ লাভ করেন।

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) মহোদয়-এর প্রতি- খোলা চিঠি বিষয়: ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী একমাত্র দরবার শরীফ, মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময় থেকেই জামাত-শিবিরের তীব্র বিরোধিতা ও দমনকারী, * গত দু’দশক ধরে জঙ্গি কওমী, ধর্মব্যবসায়ী তথা জামাত-জোটের বিরুদ্ধে দীপ্ত অবস্থান গ্রহণকারী, ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কালো তালিকাভুক্তি করায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবী মহল, সুশীল সমাজ, ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক ও বিস্মিত এবং বিশেষভাবে মর্মাহত। * পাশাপাশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৩৪টি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর নাম না থাকলেও তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। * পক্ষান্তরে বাকি ২২টি জঙ্গি সংগঠনের দীর্ঘদিনের সক্রিয়তা থাকলেও তাদেরকে বাদ দিয়ে গত শুক্রবার মাত্র ১২টি কালো তালিকাভুক্ত করায় সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে বিশেষ জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ২৬শে এপ্রিল-২০০৯ রোববারের ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বগুড়ার হিযবুল্লাহর নাম নেই কেন?’ অথচ তা একটি চিহ্নিত অস্ত্রধারী সংগঠন। * অপরদিকে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে জঙ্গি বলা হবে ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম অপবাদ এবং মহা মিথ্যাচার আর জামাতী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরের প্রতি চরম ও গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ, তাতে কওমী, জামাতী ও জঙ্গিরা তথা ধর্মব্যবসায়ীরাই মহা উপকৃত ও শক্তিশালী হবে যেহেতু ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর মতো কেউই ওদের হাক্বীক্বত উন্মোচন করতে পারবে না। * উপরোল্লিখিত সঙ্গতকারণে ‘উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত’-এর নামে ‘আল বাইয়্যিনাত’কে কথিত কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬০

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৮

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৯ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল