ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-২০

সংখ্যা: ১৯৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

-আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

শয়তান যে মানুষকে নেক ছূরতে ধোঁকা দেয়, এ বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করেছিলো শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে- ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর- হ্যামপার। সে মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদের উপর তুর্কি ভাষায় রচিত হযরত মুহম্মদ আইয়ূব সাবরী পাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মিরাত আল হারামাইন” কিতাবের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় ধারাবাহিকভাবে ভাষান্তর করা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।

(ধারাবাহিক)

জালিম দস্যু সাউদ এর এই চিঠিটি পেয়ে মদিনা শরীফ-এর সম্মানিত অধিবাসী উনারা অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত হলেন। কারণ তারা তাইফের নারী এবং শিশু (রহমতুল্লাহি আলাইহিম) উনাদের উপর পরিচালিত জালিম দস্যু সাউদ এর নিদারুণ হত্যাযজ্ঞ এবং অত্যাচার এর বিষয়ে অবগত ছিলেন। ফলশ্রুতিতে উনারা থরথর করে কেঁপে উঠলেন। তারা আব্দুল আযীয এর সেই চিঠির জবাবে হ্যাঁ অথবা না কোন কিছুই বললেন না। তারা কিছুতেই নিজ ধর্ম, নিজেদের মূল্যবান জীবন ওই জালিম দস্যুর হাতে খোয়াতে চাইছিলেন না।

চিঠির কোন জবাব না পাওয়ার কারণে দস্যুদলের সর্দার, অবিশ্বস্ত বাদায় মদীনা শরীফ এর পবিত্র বন্দর ইয়ানবুতে আক্রমণ করে। ইয়ানবু বন্দর দখল করার পর সে মদীনা শরীফ-এর দিকে আক্রমণ পরিচালনা করে এবং আনবারিইয়া গেটের উপর প্রচ- আগ্রাসন চালায়। ঠিক সেই দিনই দামেস্কের হাজী ছাহেবানরা তাদের আমীর আব্দুল্লাহ পাশাকে নিয়ে চলে আসেন। মদীনা শরীফ-এর উপর বীভৎস অভিযান দেখে, হাজী ছাহেবানরা মুজাহিদ সৈনিকদের সাথে সাথে জিহাদ শুরু করে দেন দস্যুদের বিরুদ্ধে। দুই ঘণ্টায় এক রক্তাক্ত যুদ্ধে দুশোর উপর দস্যুদেরকে কচুকাটা করা হয় এবং অবশিষ্টরা রণভঙ্গ দিয়ে পালায়। মুসলমানরা অত্যন্ত সুখে শান্তিতে মদীনা শরীফে অবস্থান করতে থাকেন যতদিন না আব্দুল্লাহ পাশা তার হজ্জকে সুসম্পন্ন করে দেশে ফিরে চলে যান। কিন্তু দামেস্কীয় হাজী ছাহেবানগণ হজ্জ সুসম্পন্ন করার পর পরই বেঈমান বাদায় পবিত্র শহর মুবারক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। নাউযুবিল্লাহ! সে পবিত্র শহর মুবারকের কুবা, আওয়ালি এবং কুরবান দখল করে নেয় এবং দুটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করে। সে রাস্তাগুলিকে সিল করে দেয়। সে আইন আয যারকা নামে সুপেয় পানির আধারকে পুরো ধ্বংস করে দেয়। এইভাবেই পবিত্র মদীনা শরীফ-এর মুবারক অধিবাসীদেরকে খাদ্য ও পানীয় এর অভাবে শহীদ করার ঘৃণিত অপচেষ্টা চালায়।

একটি মু’জিযা শরীফ: মসজিদে নববী শরীফ-এ বাঘসাত উর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি কূপে পবিত্র পানি মুবারক পরিবৃদ্ধি লাভ করেন এবং তদীয় বরকতে পানির কষ্ট পুরোপুরি দূরীভূত হয়। সুবহানাল্লাহ! এবং সেই পানিতে অত্যধিক মিষ্টতা প্রদর্শিত হয়েছিল আইন আয যারকাহ ধ্বংস হওয়ার পরে, যখন সমগ্র মদীনা শরীফ উনার পানীয় ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছিলো জালিম দস্যুরা। কোন মুসলমানকেই বিন্দুমাত্র পিপাসাগ্রস্ত হতে হয়নি। সুবহানাল্লাহ!

ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম এবং সব বেহায়াপনা, বেপর্দা, নাচগান ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষকে ইসলামিক ধারণা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলেই কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবে না- এ প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটবে।

জামাতীরা এখন খোদায়ী গযবে ধুকছে। হাদীছ শরীফে বর্ণিত লা’নত তাদের গায়ে লেগেছে। কৃত যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভয়ে তারা এখন ভয়ানক আতঙ্কিত হয়ে আছে।

হলিউডের জোলি এবং আমাদের দেশের তথাকথিত নারীবাদী গত ১২.০১.০৯ তারিখে ইন্টারনেটে হেডিং হয়েছে: “হলিউড থেকে বিদায় নিচ্ছে জোলি।”

জামাতীদেরকে জঙ্গিরা কখনও টার্গেট করেনি। জঙ্গিরা মূলতঃ জামাতীদেরই জাত ভাই

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামার শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান এর শপথ অনুষ্ঠানের ধরনই নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পূর্ণই আলাদা। এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান তারা আকুলভাবে চায় যে “কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন হবে না।” সে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হোক