মুবারক হো ৫ই শা’বান ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, ইমামুল হুমাম আছ্ছানী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার এবং ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সুলত্বানুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনাদের সুমহান বরকতময় ও পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস

সংখ্যা: ২৩৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত ছলাত শরীফ ও সালাম মুবারক।

মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাদেরকে বলুন- তারা যেন আমার বিশেষ দিনগুলোকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কী আরাফা উনার দিন, কী শবে বরাত, কী শবে ক্বদর তথা সব দিবসসমূহের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে সবচেয়ে সম্মানিত হচ্ছে মহিমান্বিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা, হুসনে যন, আদব-কায়দা অর্জন, একান্ত মুহব্বত-মা’রিফাত লাভ এবং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তা’যীম-তাকরীম প্রদর্শনই বান্দা-বান্দীগণের প্রধান কর্তব্য এবং রহমত প্রাপ্তির প্রধান উৎস। সব ফাযায়িল-ফযীলত, রহমত-বরকত, সাকীনা, নাজাত লাভের উনারাই আধার। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সুমহান ফযীলত মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। (আর তোমাদের পক্ষে তা দেয়াও সম্ভব নয়) তবে যেহেতু তোমাদের ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভ করতে হবে, মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি মুবারক হাছিল করতে হবে, সেহেতু তোমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ সুমহান ও বরকতময় ৫ই শা’বান শরীফ। হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম সদস্য সাইয়্যিদুশ শুহাদা, ইমামুল হুমাম আছছানী, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহিমান্বিত পবিত্র বিলাদত শরীফ  দিবস।

সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি চতুর্থ হিজরী সনের পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ৫ তারিখ মুবারকে পবিত্র মদীনা শরীফ শহরে আযীমুশ শানে পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করার পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার কান মুবারকে আযান ও ইকামত দিয়ে দোয়া মুবারক করেন। সাতদিন পর আকীক্বা করেন। আর উনার নাম মুবারক রাখেন হযরত ইমাম ‘হুসাইন’ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি আমার থেকে এবং আমি হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার থেকে।” সুবহানাল্লাহ

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা হচ্ছেন সম্মানিত বেহেশতী যুবক উনাদের সাইয়্যিদ।” বলার অপেক্ষা রাখে না, মুসলমান হিসেবে ব্যক্তি তথা দেশ মাত্রই সুমহান ও মহিমান্বিত ৫ই শাবান শরীফ অত্যন্ত মর্যাদা-মর্তবার সাথে পালন করা উচিত।

আরো স্মরণীয় হলেন- ইয়াদগারে নুবওয়াত, পেশওয়ায়ে দ্বীন, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম তিনি ৪৭ হিজরী সনের (২ খামীস ৩৫ শামসী, ৬৬৭ ঈসায়ী) পবিত্র ৫ই শা’বান শরীফ, ইয়াওমুল খামীস বা বৃহস্পতিবার, দুনিয়াতে মুবারক তাশরীফ গ্রহণ করেন। তিনি আসমান ও যমীন উভয়ের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান পবিত্র মদীনা শরীফ শহরে পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন; তাই উনাকে মাদানী বলা হয়। কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিন তিনি ১৪ বছর বয়স মুবারকের অধিকারী ছিলেন। সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদত গ্রহণ করার পর উনার সুযোগ্য আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ইমামিয়াত মাক্বামে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাসীন হন। সুবহানাল্লাহ

কারবালার ঘটনার পর তিনি যখনই পানি দেখতেন সম্মানিত পিতাসহ কারবালার শহীদগণ উনাদের চরম পিপাসার কথা ভেবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন। কোনো ভেড়া বা দুম্বা জবাই করার দৃশ্য দেখলেও কেঁদে আকুল হতেন। তিনি প্রশ্ন করতেন- এই পশুকে জবাই করার আগে পানি পান করানো হয়েছে কিনা। পানি দেয়া হয়েছে- একথা শোনার পর তিনি বলতেন, কিন্তু আমার (তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত) বাবাকে পানি না দিয়েই জবাই করেছিল ইয়াযীদ-সেনারা।

তিনি সবসময় রোযা রাখতেন। ইফতারির সময় তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলতেন- রসূলে পক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদগণ উনাদেরকে শহীদ করা হয়েছে ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত অবস্থায়। হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিত বাবাজান উনার জন্য ৩৩ বছর ধরে কেঁদেছিলেন।

তিনি সবসময় দিনে রোযা রাখতেন ও পুরো রাত জেগে ইবাদত করতেন। রোযা ভাঙ্গার সময় তিনি উনার সম্মানিত বাবাজান উনার ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত অবস্থার কথা উল্লেখ করে এত বেশি কাঁদতেন যে- অশ্রুতে খাবার ভিজে যেত এবং খাবার পানিতেও অশ্রু মিশে যেত। জীবনের শেষ পর্যন্ত এই অবস্থা ছিল উনার।

গভীর ইবাদত মগ্নতা ও মহান আল্লাহ পাক উনার ইশকে অতীব সিজদাপ্রবণ ছিলেন বলে হযরত ইমাম যইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনাকে বলা হতো ‘সাজ্জাদ’। সুবহানাল্লাহ

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পবিত্র কারবালা প্রান্তরের হৃদয় বিদারক কথা শুনেন নাই- এমন মুসলমান কমই রয়েছে। তবে পবিত্র কারবালা প্রান্তরে সংঘটিত মর্মন্তুদ ঘটনার নছীহত বুঝেছেন এমন মুসলমানের সংখ্যাও বলতে গেলে খুবই কম। পবিত্র কারবালা উনার মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব মত-পথে থাকার ক্ষেত্রে যে অনুপম দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তা ইতিহাসে বেমেছাল। একদিকে শিশু-নারীসহ উনার সাথে মাত্র ৭২-৮২ জন আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিলেন না। অপরদিকে অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত কাট্টা কাফির, কমবখত, বদবখত ইয়াযীদের বিশাল বাহিনী। সামান্য আপোস এক্ষেত্রে পবিত্র শাহাদাত শরীফ উনার কাহিনী ঘুরিয়ে দিতে পারতো। দিতে পারতো সমৃদ্ধির সুযোগ। কিন্তু নাহক্বের সাথে বিন্দুমাত্র আপোস করলেন না হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম সদস্য ও তৃতীয় ইমাম, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, ইমামুল হুমাম আছছানী, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি। বিশাল নাহক্ব বাহিনীকে বেপরওয়া করে হক্ব মত-পথে অটল থেকে গ্রহণ করলেন পবিত্র শাহাদাত মুবারক উনার অমিয় পেয়ালা।

বলাবাহুল্য, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সে অনুপম আদর্শ মুবারক আজ সম্পূর্ণ ও স্বার্থকভাবে প্রতিফলিত, যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ও উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের মাঝে। সুবহানাল্লাহ!

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে মহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খাছ ছোহবত, মুহব্বত, নিসবত-তায়াল্লুক এবং রেযামন্দি নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আশরাফে মাহবূবে রব্বানী।

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮