যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১৭

সংখ্যা: ২৪৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হলো- মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতাকারীরা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসকল মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নিম্নে প্রদত্ত হলো-

(১)

মুনাফিকরাই কাদিয়ানীদের দোষর আর কাদিয়ানীরা সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কাফির

অবৈধ সন্তানতুল্য কাদিয়ানীদের দোষর তথা মুনাফিক গোষ্ঠীর মিথ্যা বিভ্রান্তিকর, কাল্পনিক ও দলীলবিহীন মিথ্যাচারিতার দাঁতভাঙ্গা জাওয়াব

পূর্ব প্রকাশিতের পর

মূলতঃ এ শ্রেণীর লোকগুলোই আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করেছিল, শুধু যে বিরোধিতা করেছিল তাই নয়, সাথে সাথে বহু মিথ্যা তোহমতও দিয়েছিল। যেমন তারা বলেছিল, তিনি যাদুকর, জিনে ধরা রোগী, নির্বংশ ইত্যাদি। নাঊযুবিল্লাহ! এখানেই তারা থেমে যায়নি শেষ পর্যন্ত তারা উনার পবিত্রা আহলিয়া উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার প্রতিও তোহমত দেয়। যা ইফ্কের ঘটনা হিসেবে মশহুর হয়ে আছে। নাউযুবিল্লাহ!

অবৈধ সন্তান মুনাফিকের দল তোহমত দিয়েছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতিও। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নাকি স্বজনপ্রীতি করেছেন, খিলাফত ধ্বংস করে রাজতন্ত্র কায়িম করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ! তারা আরো তোহমত দিয়েছে ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি সুলত্বানুল হিন্দ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি, আফদ্বালুল আউলিয়া হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের সহ পৃথিবীর অনেক ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামগণের প্রতিও। নাউযুবিল্লাহ!

তারই ধারাবাহিকতায় অবৈধ সন্তান, নব্য মুনাফিক গোষ্ঠী ও দাজ্জালে কাযযাব গং বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি বিভিন্ন মাসিক, সাপ্তাহিক এমনকি জাতীয় দৈনিকে বহুদিন যাবৎ নানা মিথ্যা প্রোপাগা-া করেছে। সঙ্গতকারণেই রাজারবাগ শরীফের পক্ষ থেকে পত্র-পত্রিকায় উক্ত প্রোপাগা-ার প্রতিবাদও পত্রস্থ হয়েছে। তবে ইফকের ঘটনা যেরূপ উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার সত্যতা ও পবিত্রতাকে আরো সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। তদ্রƒপ অবৈধ সন্তান, নব্য মুনাফিক গোষ্ঠীর মিথ্যা বক্তব্যগুলোও রাজারবাগ শরীফের সত্যতা আরো জোড়ালোভাবে মানুষের কাছে প্রমাণ করার সুযোগ করে দিয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

 

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮