যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৭

সংখ্যা: ২৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যারা বিরোধিতাকারী; তারা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসকল মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নিম্নে প্রদত্ত হলো-

বাতিল কর্তৃক হক্বের বিরোধিতা ও মিথ্যাচারিতা পূর্বেও ছিল কিনা? থেকে থাকলে কেন এবং কারা করেছে?

পূর্ব প্রকাশিতের পর

তারা বিরোধিতা করেছে গাউছুল আ’যম, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার। বিরোধিতা করেছে সুলতানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার। বিরোধিতা করেছে ক্বাইয়্যূমে আউওয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার। বিরোধিতা করেছে আমীরুল মুমিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ বেরলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার। বিরোধিতা করেছে শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার, বিরোধিতা করেছে শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং বিরোধিতা করেছে গত শতকের মুজাদ্দিদ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার। আর বিশেষভাবে যিনি বিরোধিতার শিকার, তিনি হলেন আমাদেরই হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমামুল মুজতাহিদীন, ইমামুল আইম্মাহ, বাহরুল উলূম, হাকিমুল হাদীছ, হযরত ইমামে আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। উনার প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “হযরত ইমাম ছুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমরা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট এরূপ অবস্থায় আসতাম, যেরূপ চড়ুই পাখি বাজ পাখীর নিকট অবস্থান করে এবং নিশ্চয়ই হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন আলিমগণ উনাদের মাথার তাজ।” সুবহানাল্লাহ!

আল্লামা ইবনে খালকান তিনি তারিখে খতীব বাগদাদী হতে বর্ণনা করেন, ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি কি হযরত ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দেখেছিলেন? তদুত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ,   অনুরূপ ব্যক্তিকে দেখেছি যে, যদি তিনি এই স্তম্ভকে স্বর্ণের স্তম্ভরূপে প্রমাণ করতে চাইতেন, তবে যুক্তির মাধ্যমে তার প্রমাণ পেশ করতে পারতেন।” সুবহানাল্লাহ!

-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা।

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮