যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৭০

সংখ্যা: ১৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকুন-১)

উক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা হাদীছ শরীফ-এ মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার যারা বিরোধিতাকারী তারা উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী, তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরনিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। যার কিছু নমুনা আপনারা মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১২৪তম সংখ্যা থেকে ১৯৪তম সংখ্যার অত্র মতামতের মাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন।

পরিশিষ্ট

পূর্ব প্রকাশিতের পর

হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি যথারীতি শাহী দরবারে উপস্থিত হইলেন। উজিরের কথায় আকায়েদ সম্পর্কীয় যে ভ্রান্ত ধারণা বাদশাহর অন্তঃকরণে স্থান লাভ করিয়াছিল তিনি তৎসমুদয় বিদূরিত করেন। কিন্তু তিনি সিজদায়ে তা’যীমী পালন করিতে বিশেষ দৃঢ়তা সহকারে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। এমনকি বাদশাহের সম্মুখে সামান্য অবনত হইয়া শাহী আদব রক্ষা করিতেও তিনি পছন্দ করিলেন না। কাজেই সমস্ত (দুনিয়াদার) আলিম বাদশাহ ও দরবারী ওমরাদের সন্তোষ বিধানে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে শহীদ করিবার ফতওয়া দেন।

কিন্তু বাদশাহ জাহাঙ্গীর কিছুটা সহিষ্ণুতার সহিত কর্ম সম্পাদন করিলেন। তিনি উল্লিখিত অবস্থাগুলির ফলস্বরূপ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দুই বৎসরের জন্য কয়েদ করিবার হুকুম জারি করিয়া গোয়ালিয়র দুর্গে প্রেরণ করেন। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করিয়াছেন, “এই কয়েদ আমার নফসের সংশোধন কার্যে বিশেষ সহায়ক হইয়াছিল। …….” (হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১ম খ- ২২২ পৃষ্ঠা)

ঠিক একইভাবে বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার তাজদীদী ফতওয়ার কারণে যখন উলামায়ে ‘ছূ’দের ধর্মব্যবসায়ী চেহারা জনগণের সামনে সুস্পষ্ট হয়ে উঠে, তখনই তারা উনার আক্বীদা ও আমলে ভুল না পেয়ে উনার সঠিক ও কুরআন-সুন্নাহ সম্মত বক্তব্যসমূহ কাটছাঁট করে ও অপব্যাখ্যা করে বেঠিক ও কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী বলে জনসম্মুখে উপস্থাপন করার অপচেষ্টায় রত হয়। তার জ্বলন্ত প্রমাণ আপনারা এই কিতাবটিতেই পেয়েছেন। আপনারা আরো জানতে পেরেছেন যে, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল, হেমায়েত উদ্দীন ওরফে কাযযাবুদ্দীন ও মহা কাযযাব সুলাইমান আলী ওরফে মুসাইলামাতুল কাযযাব তথা বর্তমান যামানায় উলামায়ে ‘ছূ’রা তাদের রেসালায় রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার মুবারক লিখনী ও মাসিক আল বাইয়্যিনাতে প্রকাশিত বক্তব্যসমূহ কিভাবে কাটছাঁট করে তাদের ইচ্ছেমতো সাজিয়ে ও অপব্যাখ্যা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে কোন সন্দেহ নেই যে, মহান আল্লাহ পাক-উনার রহমতে বর্তমান যামানার উলামায়ে ‘ছূ’ কাযযাবুদ্দীন গংদের সকল প্রকার মিথ্যা, অপপ্রচার ও অপব্যাখ্যার বিষ দাঁত ভেঙে দেয়ার জন্য এই কিতাবটিই যথেষ্ট, যদিও কলেবর বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কায় প্রতিটি বিষয় অতি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো। তবে প্রয়োজনে বিস্তারিতভাবে তাদের মিথ্যাচারিতা ও ভ-ামির জবাব দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয় তা হলো, কাযযাবুদ্দীন গংদেরকে বহু বার ওয়াজ-মাহফিলে, পত্র-পত্রিকা ও লিফলেট-হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে প্রকাশ্য বাহাছের চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলা হয়েছে যে, “যদি সত্যবাদী হয়ে থাক এবং বুকে যদি সাহস থাকে, ইলমের যদি এতোই জোর থেকে থাকে তবে প্রকাশ্য ময়দানে জনগণের সামনে এসে দলীল দ্বারা প্রমাণ করে দেখাও রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার কোন আক্বীদা ও আমল শরীয়তের খিলাফ কিনা। যদি প্রমাণ করতে পার, তবে আমরা জনগণের সামনেই প্রকাশ্যে তওবা করবো, আর যদি তোমাদের আক্বীদা ও আমল শরীয়তের খিলাফ প্রমাণিত হয়, তবে তোমাদেরকেও প্রকাশ্যে জনগণের সামনে তওবা করতে হবে।” কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা বাহাছের ডাকে সাড়া দেয়ার সাহস দেখাতে পারেনি। তাই এ কিতাবের মাধ্যমে তাদেরকে আবারো আহ্বান জানানো হলো, এ কিতাবে বর্ণিত বিষয়বস্তুসহ যে কোন বিষয়, যে কোন স্থানে, যে কোন সময়ে আমরা বাহাছ করতে রাজি আছি ইনশাআল্লাহ। কারণ আমরা চাই হক্ব প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠা লাভ করুক। আর নাহক্ব বা বাতিল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে হক্ব বুঝার, মানার ও হক্বের উপর ক্বায়িম-দায়িম থাকার এবং বাতিল প্রতিরোধ ও নিশ্চিহ্ন করার সহযোগিতা প্রদানের তাওফিক দান করুন। আমীন।

          -মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা

ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম এবং সব বেহায়াপনা, বেপর্দা, নাচগান ইত্যাদি সম্পর্কে মানুষকে ইসলামিক ধারণা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলেই কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাশ হবে না- এ প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটবে।

জামাতীরা এখন খোদায়ী গযবে ধুকছে। হাদীছ শরীফে বর্ণিত লা’নত তাদের গায়ে লেগেছে। কৃত যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভয়ে তারা এখন ভয়ানক আতঙ্কিত হয়ে আছে।

হলিউডের জোলি এবং আমাদের দেশের তথাকথিত নারীবাদী গত ১২.০১.০৯ তারিখে ইন্টারনেটে হেডিং হয়েছে: “হলিউড থেকে বিদায় নিচ্ছে জোলি।”

জামাতীদেরকে জঙ্গিরা কখনও টার্গেট করেনি। জঙ্গিরা মূলতঃ জামাতীদেরই জাত ভাই

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামার শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান এর শপথ অনুষ্ঠানের ধরনই নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পূর্ণই আলাদা। এদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমান তারা আকুলভাবে চায় যে “কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন হবে না।” সে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হোক