শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -১৬

সংখ্যা: ১১৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

“আপনি সব মানুষের চেয়ে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” সূরা মায়িদার ৯২নং আয়াত শরীফের আলোকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক গোপনীয় বই-‘প্রটোকল’ যা পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যায় তার ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় তাদের জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিবিধ কুট কৌশল। নিম্নে তার অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো। যাতে প্রমাণিত হয় যে আজকের তথাকথিত শাইখুল হাদীস, খতীব, মুফতি, মাওলানা তথা পীর সাহেবরা ইসলামের নামে ছবি তোলা, হরতাল, লংমার্চ, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, নির্বাচন, গণতন্ত্র, নারী-নেতৃত্ব সমর্থন ইত্যাদি যেসব হারাম কর্মসূচী দ্বারা তথাকথিত ইসলামী আন্দোলন করছে তা মূলতঃ ঐ ইহুদীরা এক শত বছর পূর্বেই তাদের প্রটোকলে লিপিবদ্ধ করেছিল। অর্থাৎ আজকের তথাকথিত ইসলামী আন্দোলন ওদেরই ইচ্ছার প্রতিফলন। কিন্তু নামধারী উলামারা এখনও তা বুঝছেনা।       “….. আমরা এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, যেন একই দিনে বিপ্লবের মাধ্যমে সমগ্র দুনিয়ার ক্ষমতা দখল করতে পারি। ইস্পিত সেদিন আসার আগে প্রচলিত সকল প্রকার শাসন ব্যবস্থার অযোগ্যতা প্রমাণিত ও স্বীকৃত হতে বেশী সময় লাগছে না- খুব সম্ভবতঃ পুরোপুরি একশ বছরও দরকার হবে না। ক্ষমতায় আসার পর আমরা নির্মমভাবে তাদের হত্যা করবো, যারা আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছিল। গুপ্ত সমিতি ধরণের সকল নতুন প্রতিষ্ঠান গঠন করার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। বর্তমানে আমাদের জানা যেসব গুপ্ত প্রতিষ্ঠান আমাদেরই কাজ করছে সেগুলোকে আমরা ভেঙ্গে দেব এবং ইউরোপ থেকে বহু দূর দূরান্ত এলাকায় এদের নির্বাসিত করব। যেসব গয় তথা মুসলমান আমাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানে, তাদের এভাবেই ময়দান থেকে সরিয়ে দেয়া হবে। আমরা গয় তথা মুসলিম সমাজের গভীরে অনৈক্য ও পরস্পর বিরোধিতার বীজ বপন করে দিয়েছি। ক্ষমতায় আসার পর এ বিষাক্ত বীজ থেকে সমাজকে উদ্ধার করার জন্য নির্মম ও কঠোর সাজার ব্যবস্থা করতে হবে, যেন কর্তৃত্বের পরাক্রম প্রমাণিত হয়ে যায়। এতে কে বা কারা ক্ষতিগ্রস্ত হলো, তা মোটেই দেখা চলবে না। যারা দুঃখ ভোগ করে, তারা ভবিষ্যৎ সমাজের কল্যাণের জন্যই করে থাকে। কতিপয় মানুষের জীবন কুরবানী করেও ভবিষ্যতের কল্যাণ অর্জন করা প্রতিটি গভর্নমেন্টই তার দায়িত্ব, কর্তব্য এবং নিজের অস্তিত্বের জন্য জরুরী মনে করে। শাসন ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ক্ষমতার দাপটের উপরই নির্ভরশীল। ক্ষমতা প্রয়োগ করার সময় নম্রতা বা ভদ্রতা দেখানো মোটেই সমীচীন নয়।

আমাদের রাজ্যে যতদিন ফিরে যেতে না পারি, ততদিন পর্যন্ত আমরা যেভাবেই হোক দুনিয়ার সকল দেশে “ফ্রি-ম্যাসন লজের” (Free mason Lodge) সংখ্যা বাড়াতেই থাকবো। সমাজের গণ্যমান্য সকল লোককে এসব লজের মধ্যে শামিল করে নেবো। কেননা ফ্রি-ম্যাসন লজই হচ্ছে জনগণের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার সুচতুর ব্যবস্থা। এসব লজের উপর আমরা একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী বোর্ড স্থাপন করবো এবং এ বোর্ডের অস্তিত্ব সম্পর্কে শুধুমাত্র আমরাই জ্ঞাত থাকবো। অন্য কেউ এ সম্পর্কে কিছু মাত্র জানতে পারবে না। নিয়ন্ত্রণভার শুধু আমাদের মধ্যস্থিত জ্ঞানী মুরুব্বীদের হাতে অর্পণ করবো। এ লজগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দের একটি পরিষদ নিয়ন্ত্রণকারী বোর্ডকে লোক চক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রাখার সহায়ক হবে। বোর্ড এ প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই কার্যসূচী ও সাংকেতিক বাণী প্রচার করবে। এসব লজ-এর মাধ্যমে আমরা বিপ্লবী ও উদার মতাবলম্বীদের একই গ্রন্থিতে বাঁধবো। সমাজের সকল শ্রেণীর লোকদের নিয়েই ‘লজ’ সমিতি গঠিত হবে। অত্যন্ত গোপনীয় রাজনৈতিক পরিকল্পনাগুলোও আমাদের জানা থাকবে এবং সূচনা হতেই আমাদের পরিচালক হাতের মুঠোয় এসে যাবে। লজগুলোর সদস্যদের মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের সকল পুলিশ বাহিনীর লোক শামিল থাকবে। পুলিশদের সহযোগিতা আমাদের খুবই জরুরী। কেননা, পুলিশ নিজের ক্ষমতা বলে শুধু যে অবাধ্যদের দমন করবে তাই নয়- অধিকন্তু তারা আমাদের যাবতীয় তৎপরতাকে সুদৃশ্য আবরণে চাপা দিয়ে গণ অসন্তুষ্টির পথ রোধ করতে সক্ষম হবে।    যেসব লোক খুব আগ্রহ সহকারে গুপ্ত সমিতিগুলোতে যোগদান করে, তারা হচ্ছে বুদ্ধিজীবী, কর্মতৎপর এবং সাধারণতঃ হালকা মনের অধিকারী। আমরা যে ধরণের সামাজিক যন্ত্র স্থাপন করেছি, তার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য এমন লোকদের ব্যবহার করতে আমাদের কিছুমাত্র অসুবিধা হবে না। যদি এ দুনিয়া উত্তেজিত হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে পৃথিবীর নিরবচ্ছিন্ন শান্তি ভঙ্গ করার জন্য এ ধরণের উত্তেজনা সৃষ্টির প্রয়োজন আমাদেরই। যদি পৃথিবীর মানব সমাজে কোন চক্রান্ত জন্ম নেয়, তাহলে এর মূলে নিশ্চয়ই আমাদের একজন বিশ্বস্ত চর রয়েছে বলে মনে করতে হবে। কাজেই, অতি স্বাভাবিকভাবে আমরাই ম্যাসন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবো। কারণ একমাত্র আমরাই জানি, কোন্ দিকে আমরা সমাজকে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি আন্দোলনের লক্ষ্যস্থল একমাত্র আমরা ছাড়া আর কেউ জানে না। অপরদিকে গইম তথা মুসলিম সমাজ কোন কিছুই অবগত নয়। যে কোন কার্যক্রমের আশু ফলাফল সম্পর্কেও তারা অজ্ঞ।

অনেক মুসলিম নেতা সর্বদা তাদের সংকীর্ণ চিন্তাধারাকে পরিতুষ্ট করাই যথেষ্ট বিবেচনা করে। অথচ এ নির্বোধের দল এ কথাও জানে না যে, তাদের চিন্তাধারাটুকুও তাদের নিজস্ব নয়। এটাও আমরাই তাদের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছি। গইমরা অর্থাৎ অইহুদী তথা মুসলমানরা আমাদের ফ্রি-ম্যাসন লজে কৌতুহলবশতঃ অথবা চেষ্টা তদ্বির করে জনগণের উপর প্রভাব বিস্তার করার উদ্দেশ্যে এসে থাকে। আর কতক লোক শুধু শ্রোতাদের সামনে তাদের অবাস্তব, ভিত্তিহীন ও আবেগময় ভাষায় বক্তৃতা করার সুযোগ লাভ করতে এখানে আসে। তারা সাফল্যের উত্তেজনা ও বাহবা লাভের জন্য লালায়িত।

আমরা এ দুটো বিষয়ে সুযোগদানের ব্যাপারে মুক্তহস্ত। এদের চরম অহংবোধকে আমাদের স্বপক্ষে নিয়োজিত করার জন্যই আমরা তাদের এভাবে সাফল্য অর্জনের সুযোগ দিয়ে থাকি। ফলে, তারা তাদের নিজেদের অজ্ঞাতসারেই আমাদের প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল বক্তৃতা পেশ করতে শুরু করে। তারা তাদের যুক্তির নির্ভুলতা সম্পর্কে পূর্ণরূপে আস্থাশীল হওয়ার দরুণ আমাদের প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বনের কোন দরকার বোধ করে না। তোমরা ধারণাও করতে পারো না যে, কতটা সহজে গইম তথা মুসলিম সমাজের সবচাইতে অধিক জ্ঞানী ব্যক্তিকেও তার অহমিকার দরুণ নিজের অজান্তেই এক অকপট সরলতায় আনয়ন করা যায়। আর এটাও ধারণা করতে পারবে না যে, তার সাফল্যের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র মন্দাভাব তাকে কিভাবে ভগ্নোৎসাহ করে দিতে পারে। অথচ, এটা তার ব্যর্থতা নয়, শুধু বাহবা লাভের ক্ষেত্রটিকে সময়ান্তরে সামান্য সংকুচিত করা হয় মাত্র। আর এ মন্দাভাব থেকে পুনরায় পূর্ণ সাফল্যের মর্যাদায় ফিরে যাবার জন্য সে ব্যক্তি যে কি পরিমাণ দাস মনোভাব নিয়ে আমাদের অনুগত হয়, তাও তোমরা বুঝতে পারবে না। আমরা যেরূপ আমাদের পরিকল্পনা সার্থক করার জন্য অন্য ধরণের স্বার্থকে তুচ্ছ জ্ঞান করতে পারি, তেমনই মুসলমানরা তাদের বাহ্যিক সাফল্যের খাতিরে নিজেদের যে কোন পরিকল্পনা সহজে পরিত্যাগ করতে পারে। গইমদের তথা মুসলিমদের এই মনঃস্তাত্বিক অবস্থার দরুণই আমাদের পক্ষে বাস্তব কর্মক্ষেত্রে এদেরকে প্রয়োজন মতো যেদিকে ইচ্ছা পরিচালনা করা সহজ হয়েছে। বাঘের মত চেহারার অধিকারী এসব লোকের অন্তরটা মেষের এবং এদের মগজ এত হালকা যে, এর মধ্যে দিয়ে সকল প্রকারের বায়ু অবাধে যাতায়াত করতে পারে। আমরা তাই তাদের মগজে একটা “সখের ঘোড়া” ঢুকিয়ে দিয়েছি। এ ঘোড়াটি হচ্ছে ব্যক্তিত্বের অবসান করে সমষ্টির চিন্তা। …… এ নির্বোধেরা এখনও বুঝতে পারেনি এবং কখনও বুঝতে পারবে না যে, এ খেয়ালী সখের ঘোড়াটি প্রাকৃতিক নিয়মের বিরোধী পথে চলতে উদ্যত। জগতের সূচনা থেকেই প্রতিটি সৃষ্টি এক একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ একক এবং ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের সংরক্ষণই এর প্রধান লক্ষ্য ……। আমরা এভাবেই নির্বোধ গইমদের তথা মুসলমানদের একটি অন্ধকার গহবরের মুখে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছি। এটাই কি একথার প্রমাণ নয় যে, আমাদের তুলনায় গইমদের তথা মুসলমানদের চিন্তাশক্তি অত্যন্ত নিম্নমানের? গইমদের তথা মুসলমানদের এ নিম্নমানের চিন্তাশক্তিই আমাদের সাফল্যের জামানত।

-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৪

প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার- ১০

একটি অভূতপূর্ব ওয়াজ শরীফ এবং কম্পিউটারে কুরআন শরীফ, মাজার শরীফের উপরে ভাসমান দৃশ্য ও তাঞ্জানিয়ার সেই ছেলের কথা

প্রসঙ্গঃ দরসে বুখারীর পঞ্চদশ বছর পূর্তি নামধারী জাহিরী আলিমদের ডামাডোলের বিপরীতে মুজাদ্দিদুয্ যামানের পরিচয়

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৫