শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পেছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -৬      

সংখ্যা: ১০৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

   “প্রটোকল” পুস্তক একটি মূল্যবান দলীল। দুনিয়ার মানুষকে সর্বপ্রথম এ বইটি সম্পর্কে অবহিত করেন প্রফেসর সারকিল এ নাইলাস নামক জনৈক গোঁড়া রুশীয় পাদ্রী। ১৯০৫ সালে প্রফেসর নাইলাস নিজে উদ্যোগী হয়ে বইটি প্রকাশ করেন। বইয়ের ভূমিকায় তিনি উল্লেখ করেন যে, “ইহুদী ফ্রি-ম্যাসন” ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রস্থল ফ্রান্সের একটি ফ্রি-ম্যাসন লজ থেকে জনৈক মহিলা(সম্ভবতঃ হিব্রু ভাষায় লিখিত) মূল বইটি চুরি করে এনে তাঁকে উপহার দেন।

উল্লেখ্য যে, এ ঘটনার পর কোন মহিলাকেই আর ফ্রি-ম্যাসন আন্দোলনের সদস্য করা হয়না। সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মহিলারা ফ্রি-ম্যাসন লজে যাবার অনুমতি পেলেও বৈঠকাদির সময় তাদের বের করে দেয়া হয়।

নাইলাস ধর্মে খৃষ্টান ছিলেন। তিনি স্বীয় ধর্মকে ইহুদী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই এ বইটি বিশ্ববাসীর কাছে পেশ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন। প্রটোকল বইটি গুপ্ত চক্রান্ত মারফত বিশ্ব সমাজ গঠনের ইহুদী পরিকল্পিত একটি নীল নক্শাঁ।

আমরা বইটির এই গুরুত্ব উপলব্ধি করে ইংরেজী থেকে তার বাংলা অনুবাদ এখানে পেশ করছি। চিন্তাশীল পাঠক তা মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে বিশ্বব্যাপী ইহুদী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবেন। নিম্নে প্রটোকল পুস্তকে বর্ণিত ইহুদীদের নিজস্ব অভিমত ও মুসলমান দমনের গোপন পরিকল্পনা বা নীল-নকশাঁ তুলে ধরা হলো-

(গত সংখ্যার পর)     আজ আমি তোমাদের বলতে পারি যে, আমাদের লক্ষ্যস্থল মাত্র কয়েক হাত দূরে অবস্থিত। আর সামান্য দূরত্ব অতিক্রম করলেই আমাদের ইহুদী জনসাধারণের প্রতীক-চিহ্নরূপী সাপ (এর টীকা এই লেখার শেষে দেয়া হয়েছে) তার দীর্ঘ সফর শেষ করবে।  এ সফর বৃত্তটি যখন পূর্ণ হবে, তখন ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো এর আবেষ্টনীতে শক্তভাবে আবদ্ধ হয়ে যাবে।  বর্তমানের সকল শাসনতান্ত্রিক কাঠামো শীগগীরই ভেঙে যাবে। কারণ শাসনতন্ত্র প্রণয়নের সময়ই আমরা এতে ভারসাম্যের অভাব রেখে দিয়েছি, যেন চাকা সম্পূর্ণরূপে ঘুরে না যাওয়া পর্যন্ত সর্বদা একটা দোদুল্যমান অবস্থা বিরাজ করে। অইহুদী তথা মুসলিম সমাজের ধারণা এই যে, তারা পরস্পরকে এই শাসনতন্ত্রের মাধ্যমে সুদৃঢ়ভাবে গ্রথিত করেছে। তারা এ আশাও পোষণ করে যে, শাসনতান্ত্রিক কাঠামোগুলো তাদের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করবে। কিন্তু এ ব্যবস্থার মূল শক্তিকেন্দ্র ক্ষমতাসীন রাজাধিরাজ জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিবেষ্টিত। এ প্রতিনিধিদল নির্বোধের ভূমিকায় অভিনয় করে এবং নিজেদের অনিয়ন্ত্রিত দায়িত্ববোধহীন ক্ষমতার সাহায্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করে। শাহী প্রাসাদের ভীতিমূলক পরিবেশের নিকটেই তারা তাদের ক্ষমতার জন্য ঋণী থাকে। যেহেতু শাসকবর্গ জনগণের সঙ্গে মেলামেশার বা তাদের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়াবার কোনই সুযোগ পায়না, সেহেতু তারা জনগণের সঙ্গে কোন প্রকার আপোস-মীমাংসাও করতে পারে না। তাই নিজেদের ক্ষমতা অটুট রাখার জন্য তারা ক্ষমতালিঞ্ঝু জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আঁতাত স্থাপন করে। আমরা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সার্বভৌম শাসক ও জনগণের  অথবা শাসিতদের মাঝখানে  এমন এক ফাঁটল সৃষ্টি করে দিয়েছি যে, তাদের উভয় পক্ষেরই অস্তিত্ব অর্থহীন হয়ে পড়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, অন্ধ ও তার লাঠির উল্লেখ করা যেতে পারে। উভয়েই পরস্পর থেকে দূরে অবস্থান করলে যেমন অকেজো হয়ে যায়, তেমনি এ শাসক ও শাসিতদের অবস্থা। ক্ষমতালিঞ্ঝুদেরকে ক্ষমতার অপব্যবহারে উস্কানি দেয়ার উদ্দেশ্যে আমরা তাদের পরস্পরের মধ্যে স্থায়ী ঝগড়া-বিবাদ জিইয়ে রাখার যাবতীয় উপায়-পন্থা অবলম্বন করেছি। এর ফলে স্বাধীনতা সংক্রান্ত তাদের উদার মনোভাব ক্রমেই বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য আমরা নানা ধরণের সংস্থা গঠন করেছি। বিভিন্ন নামে  দল গঠন করে তাদের অস্ত্রসজ্জিত করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে শাসন ক্ষমতাকে প্রতিটি উচ্চাকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ঠিক করে দিয়েছি। রাষ্ট্রগুলোকে আমরা শক্তি-পরীক্ষার ময়দানে পরিণত করেছি। এখানে নানারূপ বিভ্রান্তিকর বিষয় নিয়ে পরস্পরের মধ্যেও হয় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অন্তহীন গোলমাল সৃষ্টিকারীগণ পার্লামেন্টের অধিবেশন ও শাসন বিভাগীয় বোর্ডগুলোতে প্রতিযোগিতায় অবর্তীর্ণ হয়। নির্ভীক সাংবাদিক ও দ্বিধাসংকোচহীন প্রচার পুস্তিকার প্রকাশকগণ প্রতিদিনই শাসন বিভাগীয় অফিসারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যায়। ক্ষমতার অপব্যবহার প্রতিটি সংস্থাকে উৎখাত করার চরম মুহূর্তটিকে ডেকে নিয়ে আসবে এবং উন্মত্ত জনতার চাপে সব কিছুই শুন্যে বিলীন হয়ে যাবে।  দারিদ্র্যের চাপ প্রতিটি ব্যক্তিকে কঠোর শ্রমের শিকলে বেঁধে দিয়েছে। এ শিকল গোলামীর শিকলের চেয়েও বেশী মজবুত। কোন না কোন উপায়ে কাঠোর শ্রমের দায় থেকে মুক্ত হয়ে হয়তোবা এরা  কোথাও স্থির হয়ে বসতে পারতো- কিন্তু দারিদ্র্যের চাপে কখনও তারা এ বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারবে না। আমরা শাসনতন্ত্রে জনগণের জন্য এমন সব অধিকারের ফিরিস্তি লিখে দিয়েছি, যা তাদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। এসব তথাকথিত “গণ-অধিকার” শুধু চিন্তার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। এ চিন্তা কখনও বাস্তব ক্ষেত্রে রূপ লাভ করতে পারে না। অভাব এবং অভাব থেকে সৃষ্ট হিংসা ও ঘৃণার সাহায্যে আমরা জনতাকে  আমাদের ইচ্ছামত চলতে বাধ্য করবো এবং এদের হাতেই আমাদের স্বার্থসিদ্ধির পথে অন্তরায় লোকদের খতম করবো। সমগ্র বিশ্বের মহান অধিপতিরূপে আমাদের নেতার অভিষেক উৎসব পালনের দিন যখন আসবে, তখন এ শ্রমিক শ্রেণীর হাত দিয়েই আমরা আমাদের দুশমনদের  সাবাড় করবো। অইহুদী তথা মুসলিম সমাজ চিন্তা করার অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে। আমাদের বিশেষজ্ঞগণ তাদের যেভাবে  চিন্তা করার পরামর্শ দেয়, তারা সেভাবেই চিন্তা করে। এ জন্যই আমাদের রাজ্য কায়েম হলে আমরা তৎক্ষণাৎ কি কি পন্থা অবলম্বন করবো, সে সম্পর্কে চিন্তা করে দেখার আশু প্রয়োজনীয়তাও তারা কখনো অনুভব করে না। আমাদের বিবেচনায় জাতীয় বিদ্যালয়গুলোতে একটি সরল সত্য সম্পর্কে শিক্ষাদান অত্যন্ত জরুরী। কেননা এ সত্যটাই সকল জ্ঞানের মূল-মানব জীবন ও সামাজিক অস্তিত্বের ভিত্তি। সমাজকে টিকিয়ে রাখার জন্য কার্য বন্টন এবং জনগণকে বিভিন্ন শ্রেণী ও অবস্থানুসারে বিভক্তিকরণ নিতান্ত প্রয়োজন। সকলেরই জানা দরকার যে, মানবীয় কার্যকলাপের ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকার দরুণ সকল মানুষ সমান হতে পারে না। একথাও জানা দরকার যে, ব্যক্তি বিশেষ তার কোন কাজের মাধ্যমে একটা শ্রেণীর পক্ষ থেকে আপোষ-রফা করে এলে তা ঐ শ্রেণীর সকল লোকদের উপর প্রযোজ্য হতে পারে না। কেননা ব্যক্তি তার কাজের মাধ্যমে নিজেরই অস্তিত্ব এবং মর্যাদা ছাড়া অন্য কারো প্রতিনিধিত্ব করে না। সমাজ কাঠামো সম্পর্কিত প্রকৃত জ্ঞান কখনও আমরা অইহুদী তথা মুসলমানদের নিকট প্রকাশ করি না। মুসলমানদের আমরা যে ধরণের কাজ করতে আদেশ করি, সেসব কাজ করার ফলে তাদেরই যে গোটা সমাজের দুঃখ-দুর্দশা বেড়ে যাবে- এ সত্য তাদের নিকট থেকে গোপন রাখাই জরুরী। আমাদের প্রণীত পাঠ্য বিষয় আয়ত্ত করার পর মানুষ স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রকর্তাদের নিকট আত্মসমর্পণ করবে এবং রাষ্ট্রকর্তাগণ তাদের যে মর্যাদা দান করবে এবং যে কাজে নিয়োগ করবে, তারা সবাই তা দ্বিধাহীন চিত্তে মেনে নেবে। জ্ঞানের বর্তমান অবস্থা এবং অবস্থাকে অধিকতর উন্নত করার উদ্দেশ্যে আমাদের রচিত নিয়মাবলী জনগণ ছাপার অক্ষরে দেখতে পেয়ে অন্তরের সঙ্গে বিশ্বাস এবং আনন্দ প্রকাশ করে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রচিত নিয়ম-কানুন ও জনতার অজ্ঞতার প্রতি ধন্যবাদ। জনতা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, তারা সকল অবস্থার প্রতিই একটা অন্ধ বিদ্বেষ পোষণ করে। এর কারণ হচ্ছে যে, শ্রেণী বিভাগ ও নিজেদের সঠিক মর্যাদা সম্পর্কে তারা কিছুই অবগত নয়।    অর্থনৈতিক দুর্গতি বিদ্বেষের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। কারণ ঐ অবস্থায় অর্থ বিনিময় সংস্থা ও শিল্পকারখানা সবই বন্ধ হয়ে যাবে।      আমরা সকল প্রকার গুপ্ত পন্থায় ইউরোপীয় দেশগুলোতে আমাদের ষড়যন্ত্রমূলক বুদ্ধি ও পুঞ্জিভূত স্বর্ণের সাহায্যে এমন অর্থনৈতিক দূরবস্থা সৃষ্টি করবো যে, শ্রমজীবীগণ পথে বের হয়ে আসতে বাধ্য হবে। উত্তেজিত জনতা তখন সোল্লাসে বিত্তশালী লোকদের রক্তপাত ঘটানোর জন্য ছুটে যাবে, যাদের ঘৃণায় নিজেদের অন্তর শৈশবের দোলনা থেকেই ভরপুর। আর হৈ-চৈ ও গোলমালের মধ্যে জনতা সম্পদশালীদের সকল বিত্ত-সম্পদ লুট করে নেবে।   আমাদের সম্পদ তারা স্পর্শও করবেনা। কারণ কোন সময় জনতার আক্রমণ শুরু হবে, তা আমাদের জানাই থাকবে। কাজেই যথাসময়ে আমরা আমাদের সম্পদ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করবো।   আমরা অইহুদী তথা মুসলমানদের সামনে এমন এক উন্নতির চিত্র তুলে ধরেছি, যার মোহে তারা  আমাদের সার্বভৌম ক্ষমতার বশ্যতা স্বীকার করে নেয়। আমাদের সর্বময় কর্তৃত্বের গোঁড়ায়  রয়েছে এ ধরণের কৌশল। আমাদের শাসকগণ জানেন, কি পরিমাণ বিচক্ষণতা ও কঠোরতার সঙ্গে জনগণের আস্ফালন বন্ধ করা যায়। তাঁরা আরও জানেন, কোন্ উপায়ে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে উদারতা ও সহনশীলতার মনোভাব বিলীন করে দেয়া যায়।   জনগণ দেখতে পেয়েছে যে, তারা আজাদীর মোহে পূর্বেকার সব সুযোগ-সুবিধা হারিয়ে ফেলেছে। কেননা তারা নিজেদেরকেই এখন সার্বভৌম শক্তি বলে ধারণা করে নিয়েছে এবং নিজেদের পক্ষ থেকে একটা বিশেষ শক্তিকে ঠেলে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছে । স্বাভাবিকভাবেই অন্ধের মত  সকল জনসাধারণ একটি বেদীর সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব পেয়েছে বলে ভুল করে নতুন  পরিচালক বাছাই করে নিয়েছে। তারা কিছুতেই আর পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে রাজী নয়। এ মনোভাবের অনিবার্য ফল স্বরূপ তারা তাদের সকল ক্ষমতা ইখ্তিয়ার আমাদের পদতলে সমর্পণ করে দিয়েছে। ফরাসী বিপ্লবের কথা স্মরণ করে  দেখ। আমরাই ওটাকে “মহান” বিশেষণে বিশেষিত করেছি। এ বিপ্লবের যাবতীয় গোপন প্রস্তুতির খবর আমাদের জানা রয়েছে; কেননা সম্পূর্ণ আন্দোলনটি ছিল আমাদেরই হাতের খেলা মাত্র। ফরাসী বিপ্লবের পর থেকে জনগণকে একটা বিশৃংখলা থেকে আরেকটি বিশৃঙ্খলার দিকে পরিচালনা করে আস্ছি। ধারাবাহিকভাবে বিশৃঙ্খলার পর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির এ কাজটি আমরা এ জন্য করছি, যেন জনগণ এক সময় সকলের প্রতি আস্থা হারিয়ে সর্বময় ও চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী ইহুদী বাদশার দিকে ঝুঁকে পড়ে। আমরা বিশ্ব শাসনের উদ্দেশ্যে এ বাদশাকে প্রস্তুত করে চলেছি। বর্তমানে বিশ্ব-শক্তি হিসাবে আমরা একটা অপরাজেয় শক্তি; কেননা, এক শক্তি যদি আমাদের আক্রমন করে, তাহলে বহু শক্তি আমাদের সাহায্য করে।   অইহুদী তথা মুসলিম সমাজের যেসব লোক হামাগুড়ি দিয়ে ক্ষমতার গদীর দিকে অগ্রসর হয়, তাদের সীমাহীন বদমায়েশী, দুর্বলের প্রতি নির্মম আচরণ, দোষ-ত্রুটির প্রতি ক্ষমাহীন কঠোরতা, স্বাধীন সমাজের স্বাভাবিক মতভেদের প্রতি অসহিষ্ণু মনোভাব এবং হিংসাত্মক পন্থায় সর্বময় কর্তৃত্ব বহাল রাখার সংকল্পই আমাদের  বিজয়ের পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে। বর্তমানে জাঁদরেল ডিক্টেটরদের অধীনে মুসলিম সমাজ অসহায়ভাবে সকল দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এবং এমন সব গালাগাল সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে, যার জন্য পূর্বে ২০ জন বাদশাহকেও হত্যা করতে তারা কুক্তিত ছিল না।  এ কৌতুকজনক ব্যাপারটার অর্থ কি? জনগণ এমন ভাবে ডিক্টেটরদের বশবর্তী হয়ে গেল কিভাবে?    এর অর্থ হচ্ছে এই যে, ডিক্টেটরগণ তাদের এজেন্টদের মারফত জনগণের কাছে অবিরাম প্রচার করে চলেছে যে, ডিক্টেটরদের বিরোধীতা  করে রাষ্ট্রেরই ক্ষতি সাধন করা হবে। জনগণের কল্যাণ, আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য, সংহতি ও সমানাধিকার অর্জন করার জন্য ডিক্টেটরী ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট থাকা খুবই জরুরী। জনগণের কাছে ডিক্টেটরগণ যে মৌল সত্যটি প্রকাশ করছেন তা  হচ্ছে এই যে, জনগণের অটুট ঐক্য কায়েম হবে একমাত্র আমাদেরই (ইহুদীদের) সার্বভৌম শাসন ক্ষমতার অধীনে।    এ ধরণের প্রচারের ফলে জনগণ সৎ লোকের নিন্দা আর দুর্বৃত্তদের প্রশংসা করতে উৎসাহিত হচ্ছে। এভাবেই তারা  তাদের অজ্ঞতা ও অস্থিরতার দরুণ আপন সমাজের সকল প্রকার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে চলেছে এবং প্রতি পদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।   স্বাধীনতা শব্দটি মানুষকে যে কোন শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত করে। এ শব্দের মোহে জনগণ যে কোন কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে, এমনকি খোদা এবং প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধেও লড়তে তৈরী হয়ে যায়। এজন্যই আমরা যখন আমাদের রাজ্যে প্রবেশ করবো, তখন এ শব্দটিকে জীবন-অভিধানে পাশব শক্তির নীতিবোধক অর্থে প্রকাশ করবো। এ শব্দের যাদু যেন জনতাকে রক্ত পিপাসু পশুর দলে পরিণত না করে সেজন্যেই এটা করা হবে। এ পশুগুলো যতবার রক্তপান করে , ততবারই তন্দ্রার ঘোরে আচ্ছন্ন হয়। ঐ সময়ই এদের হাতে-পায়ে বেড়’ী লাগানো সহজ। কিন্তু যদি এদের রক্ত দেয়া না হয়, তাহলে এরা তন্দ্রাচ্ছন্ন হবে না বরং সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।  (অসমাপ্ত)

  -সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।

টিকা: The Symbolic snak প্রতীকধারী সাপ। তৃতীয় সংস্করণ প্রটোকলে  একটি প্রতীক সাপের উল্লেখ করা হয়েছে। প্রফেসর নাইলাস তার ১৯০৫ সালের প্রটোকল সংস্করণের ভূমিকায় প্রতীক সাপ সম্পর্কে একটি চিত্তাকর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। আমরা নিম্নে তার তরজমা পেশ করছি-   “গুপ্ত ইহুদীবাদী আন্দোলনের কাগজ পত্র থেকে জানা যায় যে, ইহুদী পন্ডিতেরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমগ্র বিশ্ব জয়ের লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা তৈরী করেছিল।”  ইতিহাসের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পরিকল্পনাটিকে কার্যকরী করার বাস্তব কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয় এবং এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যায়। ইহুদী পন্ডিতেরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমগ্র বিশ্বকে ইহুদীদের পদানত করার জন্যে সাপের মত ধূর্ত কৌশল ইখতিয়ার করার লক্ষ্যে সাপকেই প্রতীক চিহ্ন হিসেবে গ্রহণ করেছেন।    এ সাপের মস্তক হলো ইহুদীদের পরিকল্পনা রচনাকারীদের এবং এর দেহ সমগ্র ইহুদী জনসমষ্টির প্রতীক। ইহুদীবাদ প্রতিষ্ঠার জন্যে যে সংগঠন কায়িম করা হয় তার সংগঠন ও নেতৃত্ব গোপন রাখা হয়। এমনকি ইহুদী জনসাধারণও এ সম্পর্কে কিছুই অবগত নয়।”  “হুবহু পরিকল্পনা মাফিক কাজ সম্পন্ন করার জন্যে এ সাপের মাথা জাইওন পাহাড় পর্যন্ত পৌঁছবে। এর আগে সে ইউরোপের চতুর্দিকে চক্রাকারে ঘুরে মহাদেশটিকে শক্তভাবে ঘেরাও করে ফেলবে এবং এরপর ধীরে ধীরে গোটা পৃথিবীই তার আবেষ্টনীর আওতায় চলে যাবে। এ উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্যে বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক প্রাধান্য কায়িম করে, তার মাধ্যমেই সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে।”   “সাপের মাথাটিকে জাইওন পাহাড়ে ফিরে যেতে হলে ইউরোপের সার্বভৌম শক্তিগুলোকে খর্ব করতে হবে। অর্থনৈতিক দূরবস্থা সৃষ্টি ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে আধ্যাতিœক অবনতি ও নৈতিক অধঃপতন ঘটানোর জন্যে ফরাসী অথবা ইটালীয় জাতীয়তার ছদ্মবেশ ধারণ করে ইহুদী রমণীগণ সহায়তা করবে। জাতির নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বে আসীন ব্যক্তিদের মোহাবিষ্ট করে রাখার সুনিশ্চিত হাতিয়ারই হচ্ছে যুবতী নারীর দল।”  “ সাপটি যে সব দেশ অতিক্রম করেছে সে সব দেশের শাসনতন্ত্রের ভিত্তি চূর্ণ করে দিয়েছে।

নাইলাসের উপরোক্ত উদ্ধৃতির পর প্রটোকলের ইংরেজী সংস্করণের সম্পাদক নিম্নের অংশটুকু যোগ করেছেন- “ দুর্ধর্ষ ইহুদীদের শক্তিকেন্দ্র কোন্ কোন্ শহরে এবং কোথায় তাদের কী পরিমাণ শক্তি রয়েছে, এখন আমাদের জানা হয়ে গেছে। ইহুদী সাপের গতিপথ জেরুজালেম পর্যন্ত পৌঁছার পূর্বে কনস্টান্টিনোপলকেই সর্বশেষ মনজিল হিসেবে দেখানো হয়েছে। তুরস্কে ইহুদীদের বিপ্লব ঘটানোর অনেক আগে এ নক্শাঁটি তৈরী করা হয়েছিল।”

ফিলিস্তিনে ইসরাঈল রাষ্ট্র স্থাপনের পর কালনাগিনীর জাত থেমে যায়নি।  কেননা ইসরাঈল হচ্ছে গোটা মুসলিম বিশ্বকে পদানত করার উদ্দেশ্যে ব্যবহারযোগ্য একটি শক্তিকেন্দ্র। ইহুদীবাদের প্রবর্তকগণ “বৃহত্তর ইসরাঈল ” রাষ্ট্রের যে সব এলাকা শামিল করতে চায়, ইসরাঈলের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে সে সব দেশ, ইঙ্গ-মার্কিন জোটের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও কম্যুনিস্টদের সমর্থনপুষ্ট হলে মুসলিম জাহানের অবশিষ্ট অংশ খুবই অসহায় হিসাবে গণ্য হবে। সর্বোপরি ইসলামী চরিত্র ও বৈশিষ্ট্যের দরুণ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক ইহুদীদের  দৃষ্টিতে অজ্ঞাত শক্তিশালী দুশমন এমতাবস্থায় “ফ্রি-ম্যাসন” আন্দোলনের ছদ্মবেশে ইহুদীদের নষ্টামীর কেন্দ্রগুলোকে এ দুটি দেশ থেকে অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড)   

প্রসঙ্গ: গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার

“ওসামা বিন লাদেন বর্তমান সময়ের এক চরম মুনাফিক” বিশ্বখ্যাত এই মিথ্যাবাদী কাজ করেছে সম্পূর্ণ সি.আই.এ-এর চর রূপে – ৫

একই অঙ্গে বহু রূপে সজ্জিত স, আ, ত, ম আলাউদ্দিনের  বিকৃত রুচি সম্পন্ন লিখার প্রতিবাদে

“মাসিক আল বাইয়্যিনাত”  আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মুখপত্র  (দ্বিতীয় পর্ব)