সন্তান জন্মগ্রহণের পর পালনীয় সুন্নতসমূহ জিন্দা বা পুণ:প্রচলনকরণ প্রসঙ্গে
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে। তিনিই হচ্ছেন প্রত্যেকের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে আদর্শ তথা অনুসরনীয়-অনুকরণীয়। উনারই ইত্তিবা তথা অনুসরণ-অনুকরণের মধ্যেই রয়েছে ম’ুমিন-মুমিনাদের কামিয়াবী, সুস্থতা, নিরাপত্তা। আর বিপরীতে রয়েছে গোমরাহী, পথ ভ্রষ্টতা, অসুস্থতা, বিপদাপদ এবং শারীরিক ও মানুষিক অশান্তি। যা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনিই জানিয়ে দিয়েছেন পবিত্র ওহী মুবারম উনার মাধ্যমে।
لقدكانلكمفىرسولاللهاسوةحسنةلـمنكانيرجواالله
অর্থ : “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি-রেজামন্দি মুবারকের আশা করেন তাদের জন্য রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে উত্তম আদর্শ।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
اطيعوااللهورسولهانكنتممؤمنين.
অর্থ : যদি তোমরা মু’মিন হও তাহলে তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত তথা অনুসরণ-অনুকরণ করো। (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি এটাও বলেছেন-
يايهاالذينامنوااطيعوااللهواطيعواالرسولولاتبطلوااعمالكم.
অর্থ : হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ইতায়াত করো এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ করো। আর তোমরা (উনার ইতায়াত বহির্ভূত আমল করে) তোমাদের আমলগুলোকে বাতিল বা বিনষ্ট করিও না। (পবিত্র সূরা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
অর্থাৎ সুন্নত বহির্ভূত আমল বাতিল বা পরিত্যাজ্য। মূলত সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ কোন আমলই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মকবূল হয় না। এরূপ আমলকে আমলে ছালিহ বা নেক আমল বলা হয় না। আর এরূপ আমল দ্বারা শুধু কষ্ট এবং সময় ক্ষেপন করা ছাড়া কিছুই লাভ হয় না।
পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইহাও বলেছেন যে, তোমরা কখনো শয়তান এবং তার দোসর ইহুদী-নাসারা, বেদ্বীন-বদ্বীনদের অনুসরণ-অনুকরণ করবে না। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি মূহর্তে তাদেরকে বর্জন করবে। তাদের খিলাফ আমল করবে। কোনক্রমেই তাদের সাথে তাশাব্বুহ বা সদৃশ্যতা রাখবেনা। কখনোই তাদের আদর্শ বা রীতি-নীতি, নিয়ম-কানুন, তর্জ তরীকা গ্রহণ করবে না।
কেননা তারা শয়তানের দোসর। মালউন ইবলিসের দ্বারা তারা প্রতারিত। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন-
انالشيطانلكمعدوفاتخذوهعدوا.
অর্থ : নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের শত্রু। কাজেই, তাকে শত্রু হিসেবেই গ্রহণ করো। (পবিত্র সূরা ফাতির শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
ولاتتبعواخطواتالشيطانانهلكمعدومبين.
অর্থ : তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (পবিত্র সূরা বাকারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২০৮)
মাওলানা মুফতী মুহম্মদ আল কাওছার