ঢাকার ৭৭ ভাগ স্কুলগামী শিক্ষার্থী পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। পর্নোগ্রাফি আইন-২০১২ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশে বাড়ছে এর বিস্তৃতি। ভারত, চীনসহ অনেক বিধর্মী রাষ্ট্রেও পর্নো নিষিদ্ধ। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলামের দেশ- বাংলাদেশে পর্নো নিষিদ্ধে এখনো উদ্যোগ নেই কেন?

সংখ্যা: ২৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

রাজধানীতে স্কুলগামী শিশুদের প্রায় ৭৭ ভাগ পর্নোগ্রাফি দেখে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশে তৈরি এ পর্নোগ্রাফিগুলোতে যাদের ভিডিও দেখানো হচ্ছে, তাদের বয়স ১৮-এর কম। শুধু তাই নয়, পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতার পাশাপাশি এখন দেশের অনেক শিশু পর্নোগ্রাফি বানানোর মতো ভয়ঙ্কর কাজে যুক্ত হচ্ছে।

ঢাকার ৫০০ স্কুলগামী শিক্ষার্থীর উপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৭৭ শতাংশ শিশু নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখছে। তারা সুস্থ শিক্ষার পরিবর্তে বিকৃত কামাচার শিক্ষার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে।

জানা গেছে, ৪টি পদ্ধতিতে অশ্লীল ভিডিও তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি পর্নোগ্রাফির চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে ঘিরে তৈরি পর্নো ভিডিও মানুষ বেশি দেখছে। এই ভিডিওগুলোতে ১৮ বছরের কম বয়সী স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া সিম নিবন্ধন করা নিষিদ্ধ। এর অর্থ ১৮ বছরের নিচে মুঠোফোন ব্যবহার করতে হলে শিশুকে অভিভাবকের নামে নিবন্ধন করা সিম ব্যবহার করতে হবে। অভিভাবকরা শিশুদের দামি মুঠোফোন, ট্যাব ও সেগুলোয় ইন্টারনেট সংযোগ দিচ্ছে, কিন্তু তারা কী কাজে এগুলো ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর করছে না। শিশুরা এভাবে পর্নোগ্রাফিতে জড়িয়ে যাওয়ার পেছনে বাবা-মায়ের অসচেতনতার চেয়ে অজ্ঞানতাই বেশি দায়ী। কারণ এসব বাবা-মা প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারও জানে না। এবং ইসলামী জ্ঞান সম্পর্কেও তারা চরম অজ্ঞ থাকায় সন্তানকেও তা শিক্ষা দিতে পারে না।

যেহেতু নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করা সমীচীন তাই সরকার ২০১২ সালে পর্র্নোগ্রাফি বিরোধী একটি আইন প্রণয়ন করেছিলো যা ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ নামে অভিহিত’। অথচ বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই। অথচ এক গবেষণায় প্রতীয়মান হয় যে, দেশে প্রতিদিন ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার পর্নোগ্রাফির ব্যবসা হয়। দেশের ৮০% যুবক পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। ঢাকাতে ৬২% স্কুল শিক্ষার্থী ক্লাসে বসে পর্নোগ্রাফি দেখে। মোবাইল পর্নোগ্রাফি শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়, যার প্রধান সরবারহকারী ব্ল-টুথ।

উল্লেখ্য, পর্নোগ্রাফি এক ধরনের অনুভূতি তৈরি করে, যা কার্যতঃ মহাঅশ্লীল। একটি পর্যায়ে তা অপমান ও লজ্জা বয়ে আনে। কারণ পর্নোগ্রাফি যৌনাচরণে বিকৃত পরিবর্তন এনে দেয়। অনেক চরিত্রহীন লোক অন্যকে প্রলুব্ধ করে পর্নো ছবি দেখতে। তাদের যুক্তি পর্নো ছবি দেখলে হতাশা ও ভয় দূর হয়। নাউযুবিল্লাহ! আদতে তা জঘন্য বদঅভ্যাস গড়ে তোলে। কারণ স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন পর্নোগ্রাফি দেখার মাধ্যমে দূর হয়ে যায়। তখন এমন সব কুআচরণে অভ্যস্ত হয়ে উঠে, যা সহসা টের না পেলেও যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন আর করার কিছুই থাকে না। নাঊযুবিল্লাহ!

পর্নো একধরনের আসক্তি, যা দর্শককে কখনো তৃপ্ত করতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে- পর্নো মস্তিষ্কে তাৎক্ষণিক উন্মাদনা তৈরি করে বলে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ পাওয়া যায়, যা কোকেনের চেয়েও বেশি আসক্ত করে তোলে। পর্নোর আসক্তি মাদকের চেয়েও শক্তিশালী।

পর্নো সবসময় শারীরিক বিশেষ চাহিদাকে অসন্তুষ্ট করে রাখে। উস্কে রাখে। এতে মন হয়ে পড়ে অশান্ত ও অতৃপ্ত। মন নিত্যনতুন বিকৃতি খুঁজতে থাকে পর্নোগ্রাফি থেকে আরেক পর্নোগ্রাফিতে। নেশা যেমন মানুষকে পূর্ণতৃপ্তি দিতে পারে না। পর্নোর নেশাও তেমন এক ভিন্নধর্মী কুৎসিত আবেশ সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২-এর ৮/৩ ধারা অনুসারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইলফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে সে অপরাধ করেছে বলে গণ্য হবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ- এবং ২০০০০০ (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ে দ-িত হবে। এ অবস্থায় পর্নোগ্রাফি আইন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এবং সে সাথে কম্পিউটার ও মোবাইলফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানের নামে যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেমোরি কার্ডে পর্নোগ্রাফি লোড দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রযুক্তিগত সামগ্রীর সহজলভ্যতা তথা মোবাইল, ইন্টারনেটের কারণে সমাজের এই অবস্থা। পাশাপাশি একক পরিবার প্রথার প্রচলন ও রুমে রুমে ডিস, টিভি এসব নানা সমস্যার জন্য দায়ী বলে মনে করে অনেকেই। শুধু তাই নয়, এসমস্ত প্রযুক্তির বাইপ্রডাক্ট পর্নোগ্রাফিও এখন তরুণ-তরুণীদের হাতের মুঠোয়। ফলে ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে নীতি-নৈতিকতার বাঁধন। উঠে যাচ্ছে চক্ষু লজ্জা বা লজ্জাবোধ। ক্রমে বিস্তৃত হচ্ছে অবাধ মেলামেশার পরিবেশ। বিয়ে বহির্ভুত যৌনতা বিষয়ে ধর্মীয়, পারিবারিক এবং সামাজিক সংস্কার ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। তরুণ-তরুণীদের কথিক ভালোবাসার সম্পর্ক মূলত দৈহিক সম্পর্কে গড়াচ্ছে। অবাধ মেলামেশা থেকে সৃষ্ট নানামুখী জটিলতার কারণে সংঘটিত হচ্ছে নানা ধরনের অপরাধ এবং অনেক সময় তা গড়াচ্ছে মারামারি ও খুনের মতো ঘটনায়।

সমাজ বিজ্ঞানী, চিন্তাবিদসহ বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের সমাজে নিত্যনতুন মাত্রায় যেসব অনাচার এবং অনাকাঙ্কিত ঘটনা বিশেষ করে যৌনতাকেন্দ্রিক ঘটনা ঘটছে, সেগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের প্রসার এবং এসবের অপব্যবহারের প্রভাব রয়েছে সামাজিক এসব অবক্ষয়ের পেছনে। চীনের পর সম্প্রতি ভারতে ইন্টারনেটে ‘পর্নোগ্রাফি’ দেখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ইন্টারনেট পর্নো দেখে দেখে মানুষের নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছিল। মানসিক বিকারগ্রস্ততাও তৈরি হচ্ছে পর্নো’র কারণে- এমন কারণ দর্শিয়ে ভারত সরকার প্রাথমিকভাবে অন্ততঃ ৮৫৭টি পর্নো ওয়েবসাইট চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করে। ভারত ছাড়াও বিশ্বের বহু দেশ রয়েছে, যেখানে কঠোরভাবে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পর্নোসাইটে প্রবেশ করা সেসব দেশে অনেকটা অসম্ভব। এটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য একটা বিষয়।

উল্লেখ্য, তারা যদি কাফির ও বিধর্মী হয়েও পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করতে পারে, তবে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলামের দেশে পর্নোগ্রাফি চলে কীভাবে? কিন্তু আমাদের দেশে বিন্দু পরিমাণ কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে মানবচরিত্র এবং জাতিবিনাশী এসব বিষয়। এর ফলে উচ্ছন্নে যাচ্ছে কোমলমতি শিশু, কিশোর থেকে সব বয়সের লোকজন।

– আল্লামা মুহম্মদ আশরাফুল মাহবূবে রব্বানী

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৩

মুবারক হো- হাদিউল উমাম, বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বিলাদত শরীফ

হিন্দুরা অন্তর থেকে মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে ও অস্পৃশ্য মনে করে। আবুল মনসুর আহমদ, বঙ্গবন্ধুর আত্মকথা, মীর মোশাররফসহ অনেক সাহিত্যিকের লেখনীতেই এর প্রমাণ রয়েছে। বিশেষত রবীন্দ্র বঙ্কিম শরৎসহ হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রমাণ বিস্তর। কিন্তু বর্তমানে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা ও হিন্দু তোষণকারী প্রশাসন পারলে হিন্দুদের মাথায় তুলে রাখে। হিন্দুরা যে মুসলমানদের শত্রু জ্ঞান করে- সে কথা অস্বীকার করে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুশরিক-হিন্দুদের বড় শত্রু বলা হয়েছে। অতএব, ওদের থেকে সাবধান।

ভারতকে কানেকটিভিটির নামে ট্রানজিট দেয়ার বৈধতা বর্তমান সরকারের নেই। ভারতকে কোনোমতেই ট্রানজিট দেয়া যাবে না। দিলে ৯৭ ভাগ ঈমানদার জনগোষ্ঠী বরদাশত করবে না।

আন্তর্জাতিক পানি ব্যবহারের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ভারত নির্মাণ করছে টিপাইমুখ বাঁধ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের জোর প্রতিবাদ দরকার।