সামিউল ও রৌশনিদের কলঙ্কিত মা’দের ঘটনা আমাদেরকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে, চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
কি ভাববেন আপনি?
আপনি একজন মা।
কেমন ‘মা’ আপনি?
কবি বলেছেন ‘মাগো ডাক সুমধুর’।
‘মা’ ডাকটাই অতি মধুর।
অতি মায়াময়।
কিন্তু সেই ‘মা’ ডাকেরই করুণ কাহিনী দুঃখের কথায় চরম ব্যথায় পর্যবসিত হয়েছে।
হতাশ হতে হয়েছে ছেলেমেয়েদের। যেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে ‘দ্বীন-দুনিয়া’ সম্পর্কে সেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে ‘পিতা-মাতার হক্ব’ সম্পর্কে।
যেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে ‘সত্য-অসত্য’ সম্পর্কে সেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে ‘শালীন-অশালীন’ সম্পর্কে। যেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে সমাজের ‘ভাল ও মন্দ’ দিক সম্পর্কে। অথচ সেই ‘মা’র বিপরীত কলঙ্কিত চিত্র ধরা পড়ল আমাদেরই সমাজে। সামিউল ও রৌশনির মতো সন্তানদের কাছে। অধঃপতনের চরম পরম পর্যায়ে পৌঁছলো এদের তথাকথিত ‘মা’।
‘মা’ ডাকটি ‘সুমধুর’ এর বিপরীতে ওই সব সন্তানদের কাছে এখন আতঙ্ক তাদের ‘মা’ ডাক নামেই।
কিন্তু আমরা বলি এসব অবাঞ্ছিত কাহিনী সমাজে সব সময় সব ব্যক্তির নয়। এ অবশ্যই বিভিন্ন দুর্ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়। তবে এসব দুর্ঘটনা থেকেই আমাদের ইবরত ও নছীহত গ্রহণ করতে হবে। ‘মা’দের থাকতে হবে ‘দ্বীন-ইসলাম’ সম্পর্কে সচেতন। তাদের মতো অমন হতভাগ্য জাহান্নামী ‘মা’ যেন অন্য কেউ না হয়। হাদীছ শরীফ-এ আছে- “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত”। অর্থাৎ হাদীছ শরীফ মুতাবিক কোন মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত তা প্রত্যেক মুসলমানেরই জানার কথা। একজন নেককার পরহেযগার মা’ই পারে নিজে জান্নাতে যেতে এবং সাথে স্বামী-সন্তানদেরকেও তার সাথে রাখতে। কিন্তু সামিউল, রৌশনিদের মায়েদের মতো বদ চরিত্রের, কু-স্বভাবের, সুবিবেচনা বর্জিত মায়েরা শুধুই জাহান্নামের ইন্ধন হতে পারে। না পারে তারা নিজেরা জান্নাতে যেতে, না পারে সন্তান-স্বামীদেরকে জান্নাতে নিতে। দুনিয়ায় তারা ধ্বংস; পরকালেও তারা ধ্বংস।
আর এই স্বাভাবিক কথাটি বুঝতে তথাকথিত মায়েদের বেশি সময় লাগার কথা নয়। উক্ত ‘মা’দের এই অধঃপতনের মূলে রয়েছে-
-আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যাওয়া।
-উনার আদেশ-নিষেধ ভুলে যাওয়া।
-‘পর্দা প্রথা’কে গ্রহণ না করা।
-‘স্বামী-স্ত্রী’র প্রতি হাক্বীক্বী মুহব্বত পয়দা না হওয়া।
তবে অবশ্যই এর থেকে পরিত্রাণের পন্থা রয়ে গেছে ওইসব কলঙ্কিত মায়েদের- তারা সর্বদাই আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করবে।
উনার এবং উনার হাবীব উনাদের আদেশ-নিষেধ গ্রহণ করবে, মেনে নিবে। ‘পর্দা’ প্রথা’কে বিশ্বাস করবে এবং মানবে। সমস্ত পাপ পঙ্কিলতা থেকে তওবা করবে, উপযুক্ত সচ্চরিত্রের স্বামীকে মুহব্বত করবে।
তাহলে অবশ্যই কলঙ্কিত মায়েদের মতো আর কোনো কলঙ্কের ঘটনা ঘটবে না। মায়ের যে ক্ষমতা, মায়ের যে হাক্বীক্বী মুহব্বত- সেটাই সমাজে বিকশিত থাকবে। মা’কে আর হতে হবে না পরকীয়া প্রেমিকা এবং হত্যাকারিণী। আল্লাহ পাক তিনি যেন তথাকথিত কলঙ্কিত ঘটনা থেকে আমাদের প্রত্যেক মা’কে হিফাযত করেন। (আমিন)
-আজিমা ফারহা