নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২০৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

সামিউল ও রৌশনিদের কলঙ্কিত মা’দের ঘটনা আমাদেরকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে, চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।

 

কি ভাববেন আপনি?

আপনি একজন মা।

কেমন ‘মা’ আপনি?

 

কবি বলেছেন ‘মাগো ডাক সুমধুর’।

‘মা’ ডাকটাই অতি মধুর।

অতি মায়াময়।

 

কিন্তু সেই ‘মা’ ডাকেরই করুণ কাহিনী দুঃখের কথায় চরম ব্যথায় পর্যবসিত হয়েছে।

হতাশ হতে হয়েছে ছেলেমেয়েদের। যেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে ‘দ্বীন-দুনিয়া’ সম্পর্কে সেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে ‘পিতা-মাতার হক্ব’ সম্পর্কে।

যেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে ‘সত্য-অসত্য’ সম্পর্কে সেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে ‘শালীন-অশালীন’ সম্পর্কে। যেই ‘মা’ শিক্ষা দিবে সমাজের ‘ভাল ও মন্দ’ দিক সম্পর্কে। অথচ সেই ‘মা’র বিপরীত কলঙ্কিত চিত্র ধরা পড়ল আমাদেরই সমাজে। সামিউল ও রৌশনির মতো সন্তানদের কাছে। অধঃপতনের চরম পরম পর্যায়ে পৌঁছলো এদের তথাকথিত ‘মা’।

‘মা’ ডাকটি ‘সুমধুর’ এর বিপরীতে ওই সব সন্তানদের কাছে এখন আতঙ্ক তাদের ‘মা’ ডাক নামেই।

কিন্তু আমরা বলি এসব অবাঞ্ছিত কাহিনী সমাজে সব সময় সব ব্যক্তির নয়। এ অবশ্যই বিভিন্ন দুর্ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়। তবে এসব দুর্ঘটনা থেকেই আমাদের ইবরত ও নছীহত গ্রহণ করতে হবে। ‘মা’দের থাকতে হবে ‘দ্বীন-ইসলাম’ সম্পর্কে সচেতন। তাদের মতো অমন হতভাগ্য জাহান্নামী ‘মা’ যেন অন্য কেউ না হয়। হাদীছ শরীফ-এ আছে- “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত”। অর্থাৎ হাদীছ শরীফ মুতাবিক কোন মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত তা প্রত্যেক মুসলমানেরই জানার কথা। একজন নেককার পরহেযগার মা’ই পারে নিজে জান্নাতে যেতে এবং সাথে স্বামী-সন্তানদেরকেও তার সাথে রাখতে। কিন্তু সামিউল, রৌশনিদের মায়েদের মতো বদ চরিত্রের, কু-স্বভাবের, সুবিবেচনা বর্জিত মায়েরা শুধুই জাহান্নামের ইন্ধন হতে পারে। না পারে তারা নিজেরা জান্নাতে যেতে, না পারে সন্তান-স্বামীদেরকে জান্নাতে নিতে। দুনিয়ায় তারা ধ্বংস; পরকালেও তারা ধ্বংস।

আর এই স্বাভাবিক কথাটি বুঝতে তথাকথিত মায়েদের বেশি সময় লাগার কথা নয়। উক্ত ‘মা’দের এই অধঃপতনের মূলে রয়েছে-

-আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যাওয়া।

-উনার আদেশ-নিষেধ ভুলে যাওয়া।

-‘পর্দা প্রথা’কে গ্রহণ না করা।

-‘স্বামী-স্ত্রী’র প্রতি হাক্বীক্বী মুহব্বত পয়দা না হওয়া।

তবে অবশ্যই এর থেকে পরিত্রাণের পন্থা রয়ে গেছে ওইসব কলঙ্কিত মায়েদের- তারা সর্বদাই আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করবে।

উনার এবং উনার হাবীব উনাদের আদেশ-নিষেধ গ্রহণ করবে, মেনে নিবে। ‘পর্দা’ প্রথা’কে বিশ্বাস করবে এবং মানবে। সমস্ত পাপ পঙ্কিলতা থেকে তওবা করবে, উপযুক্ত সচ্চরিত্রের স্বামীকে মুহব্বত করবে।

তাহলে অবশ্যই কলঙ্কিত মায়েদের মতো আর কোনো কলঙ্কের ঘটনা ঘটবে না। মায়ের যে ক্ষমতা, মায়ের যে হাক্বীক্বী মুহব্বত- সেটাই সমাজে বিকশিত থাকবে। মা’কে আর হতে হবে না পরকীয়া প্রেমিকা এবং হত্যাকারিণী। আল্লাহ পাক তিনি যেন তথাকথিত কলঙ্কিত ঘটনা থেকে আমাদের প্রত্যেক মা’কে হিফাযত করেন। (আমিন)

-আজিমা ফারহা

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।