পবিত্র মসজিদ উনার সুন্নত মুবারক জিন্দাকরণ প্রসঙ্গে
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদ মুবারক উনাকে ঘিরে আরো অনেক নছীহতপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় তার বর্ণনা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে।
উল্লেখ যে, এই পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদ উনাকে পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার অনুকরণে দীর্ঘ সাত বৎসরের মাথায় সংস্কার করা হয়। বর্তমান পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার বৃহৎ সংস্কারের তথা বৃহদাকার পরিধি বিস্তৃতির কাজ সমাধা হয়। যেখানে কোটি কোটি মুসলমান জামায়াতে জাহির হন। উক্ত পবিত্র সুন্নত পালনের লক্ষ্যে বর্তমান পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদ মুবারক উনার পরিধি বিস্তৃতির লক্ষ্যে পনের তলা বিশিষ্ট ইমারত তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই উক্ত প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একদিন একটি মুবারক স্বপ্ন দেখেন যে, উনার মাধ্যমে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দাওয়াত তথা তাজদীদী কার্যক্রম বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা উনার প্রাণকেন্দ্র এই পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার থেকেই গোটা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
এরপর পরেই তিনি আরেকটি মুবারক স্বপ্ন দেখেন যে, অনেক উপর থেকে একটি আলোকরশ্মি উনার পবিত্র শরীর মুবারককে বেষ্টন করে নেয়। সেই বেষ্টনকৃত দেহ মুবারক উনার আলোকরশ্মি তামাম (সমস্ত) দুনিয়াকে আচ্ছাদিত করে তথা আলোকিত করে রাখে। আজ পৃথিবীবাসী সবাই তার বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ।
আমরা এ লেখার শুরুতেই উল্লেখ করেছি যে, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুইইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার হুবহু নকশায় পবিত্র মসজিদ নির্মাণের আদেশপ্রাপ্ত হন। সেই মুবারক আদেশের কারণে তিনি পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদ নির্মাণ করেন।
সঙ্গতকারণে সেই পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার চিত্র কেমন ছিল তার কিছুটা বর্ণনা জানা সকলেরই ইচ্ছা, বাসনা। আমরা সেই ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে সম্মান করতঃ পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার কিছু বর্ণনা সংক্ষিপ্তাকার তুলে ধরছি।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মাঝে তাশরীফ নিলেন। উনাকে বহনকারী উট মুবারক হযরত আবু আইয়ুব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বাড়ির দরজার সামনে এসে বসে পড়লো। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি চাহেন তো এখানেই আমার মুবারক মঞ্জিল। তারপর তিনি মুবারক উট থেকে অবতরণ করতে করতে বললেন,
رب انزلنى منزلا مبارك وانت خير المنزلين
অর্থ : “আয় মহান আল্লাহ পাক! আমাকে নাযিল করুন বরকতময় স্থানে। আপনি অতি উত্তম অবতরণকারী।” (পবিত্র সূরা আল মু’মিনূন : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)
সেই সময় পবিত্র মদীনা শরীফ উনার প্রায় সব স্থানেই খেজুর বাগানে সজ্জিত ছিল। যে পবিত্র ভূখ-ের সামনে উট মুবারক এসে থেমে গেল তার সামনের দিকটিও ছিল খেজুরের বাগানে পরিবেষ্টিত। মাঝে ছিল কিছুটা খালি জায়গা। আর ওই খালি জায়গায় খেজুর শুকানো হতো। উক্ত স্থানটি দুজন ইয়াতীম শিশুর মালিকানাধীন ছিল। আর উনারা জনৈক আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার তত্ত্বাবধানে লালিত-পালিত হচ্ছিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ আনার পূর্ব থেকে কিছু সংখ্যক মুসলমান তথা পূর্বে হিজরত করে আসা হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এই স্থানের একপাশে নামায আদায় করতেন।
-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম