অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে ইয়াবা বাণিজ্য। টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন আসছে ৪০ হাজার পিস। ইয়াবা-বাণিজ্যে বছরে হাজার কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। ভয়াবহ ইয়াবা আগ্রাসন রোধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

সংখ্যা: ২২১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।

কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়া সীমান্তের ৬ পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ঢুকছে।

চমকে উঠার মতো তথ্য হলো-বাংলাদেশে ইয়াবা সেবনকারীর সংখ্যা ১৫ লাখেরও বেশি, আর ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১২ লাখ। আরো আশঙ্কাজনক তথ্য হচ্ছে-এই সংখ্যা দিন দিন লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে নানা অপকৌশলে ইয়াবার ফাঁদে জড়িয়ে ফেলছে তরুণ-তরুণীদের। এদের একটি বড় অংশ অভিজাত ও ধনাঢ্য পরিবারের বখে যাওয়া ছেলেমেয়ে। এর মধ্যে রয়েছে ইংরেজি মাধ্যমের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও। সরকারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও এই ভয়াবহ অবস্থা নিয়ে শুধু উদ্বিগ্ন নয়, রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত। তাদের মতে, দ্রুত এই পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা না গেলে দেশে ভয়াবহ মাদক বিপর্যয় দেখা দেবে।

ঢাকায় রয়েছে ইয়াবা ব্যবসার একাধিক গডফাদার। এরা সবাই প্রভাবশালী এবং প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক। তবে সামাজিকভাবে এরা অন্য পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং অনেকে সিআইপি পদমর্যাদার। এদের অনেকে রাজনৈতিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ আর নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এরা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। তবে এদের হয়ে যারা মাঠে সরবরাহ এবং তদারকির কাজ করছে, তারা কেউ কেউ ধরা পড়ে। তবে ধরা পড়লেও খুব বেশি দিন তাদের কারাগারে থাকতে হয় না। ওই সব প্রভাবশালী নিজেদের স্বার্থেই এদের ছাড়িয়ে আনে। এরা নিজেরাও ইয়াবা আসক্ত, নামকরা ব্যক্তিদের সন্তান ও প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক। এরা ধরা পড়েছে একাধিকবার। কিন্তু আটকে রাখা সম্ভব হয়নি ওই প্রভাশালী চক্রের কারণে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন নামিদামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এমনকি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা।

মেথামফিটামিন নামক এক ধরনের স্নায়ু উত্তেজক মাদকের সঙ্গে মরফিন কিংবা সিডেটিভ বা ট্র্যাংকুইলাইজার জাতীয় মাদক মিশিয়ে তৈরি হয় ককটেল জাতীয় এই ট্যাবলেট। থাই শব্দ ইয়ার, যার অর্থ উত্তেজক, আর বাহ, যার অর্থ ওষুধ। এই দুটি শব্দের সংযোজন ঘটিয়েই এর নামকরণ করা হয়েছে ইয়াবা। এর রং গোলাপি, লালচে, কমলা, সবুজাভ এবং সাদাও হয়ে থাকে। আবার কোথাও কোথাও পাউডার আকারেও ইয়াবা মিলছে।

বাংলাদেশে যে ইয়াবা পাওয়া যায় তার বেশির ভাগ আসছে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও চীন থেকে। তবে সবচেয়ে বেশি আসছে মিয়ানমার থেকে। টেকনাফের নাফ নদী পার হলেই ওপারে মিয়ানমারের ম-ু, আকিয়াব আর চুশিংচং।  নৌকায় ৩০ মিনিটের পথ। স্থানীয়ভাবে অনুমতি নিয়ে ব্যবসায়ী পরিচয়ে যে কেউ অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে  টেকনাফ থেকে ম-ু। ম-ু মিয়ানমারের সীমান্ত এবং বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবেই পরিচিত।

গোয়েন্দা সূত্রমতে, ১৯৯৭ সালের দিকে এক যুবক বয়সী সংসদ সদস্যের মাধ্যমেই মূলত এ দেশে ইয়াবা আসতে শুরু করে। ওই এমপি এবং তপন গাজী নামে তার এক বন্ধু তদের ঘনিষ্ঠ এক বিমানবালার মাধ্যমে ইয়াবা আনতো ব্যাংকক আর সিঙ্গাপুর থেকে। এগুলো তারা তাদের বন্ধু মহলেই ব্যবহার করতো। বিক্রি হতো খুব কম। এরপর বাণিজ্যিকভাবে আনা শুরু হয় ২০০০ সালের দিকে। তবে তখন ক্রেতা ছিল অল্প। দামও ছিল বেশি। প্রতিটি ট্যাবলেট দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতো। বলা চলে, ২০০২-০৩ সাল থেকে মোটামুটি বাংলাদেশের বাজার দখল করতে শুরু করে ইয়াবা। আর এই ইয়াবাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফে গড়ে ওঠে একাধিক মাদক সিন্ডিকেট। ক্রমে সিন্ডিকেট ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে।

সুগন্ধি হওয়ার কারণে অনেকে ইয়াবাকে ক্যান্ডি বলে ডাকে। এর আরো নাম-চকলেট বা বাবা, গোলাপ, সুপার, চম্পা, চামেলী, আর-৭০, আর-৭৩। থাইল্যান্ডের তৈরি ইয়াবার এদেশীয় নাম গোলাপ এবং এর দামও বেশি। বর্তমান প্রতিটি ইয়াবার বাজারদর ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। আর অন্যগুলো ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে। তবে এই দাম ওঠা-নামা করে।

বিদেশি অপসংস্কৃতির অনুসরণকারী তথাকথিত আধুনিক, উচ্চবিত্ত ও অতি উচ্চবিত্ত পরিবারের অভিভাবকদের বখে যাওয়া ছেলেমেয়েরাই মূলত ইয়াবার প্রধান ক্রেতা। তবে ইয়াবার দাম কিছুটা কমে যাওয়া আর ফেনসিডিলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে এখন ইয়াবা আসক্তিতে ঢুকে পড়ছে।

পর্যবেক্ষক মহল জানায়, ১৯৯০ সাল থেকে যদিও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কাজ করছে, কিন্তু আইন প্রয়োগের অভাব এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দুর্নীতিপরায়ণতার কারণে এদেশে মাদকের অপব্যবহার বাড়ছে। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা অন্ধ, বোবা আর বধিরের মতোই। উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি ফ্যাশনযুক্ত শ্লোগান উঠেছে, ‘মাদককে না বলো।’ অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে যা বলা আছে তার প্রচারে মুসলমানের অন্তরে এমনিতেই দাগ কাটার কথা।

মূলত মাদকের বিরুদ্ধে ইসলামী অনুভূতি ও প্রচার এক সময় জোরদার ছিল। কিন্তু ইদানীংকালে ধর্মব্যবসায়ীদের নিষ্ক্রিয়তা সে মূল্যবোধকে নিস্তেজ করে দিয়েছে। হালে মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ মুবারক ও উনার লেখনী মুবারক সে অবলুপ্ত অনুভূতিতে জাগরণ তৈরি করছে। (সুবহানাল্লাহ) তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি শুধু তাত্ত্বিক ফতওয়া মুবারক-ই দিচ্ছেন না; পাশাপাশি দিচ্ছেন মাদক থেকে বিরত হওয়ার বেমেছাল রূহানী কুওওয়াত। যা মাদকসেবীদের আনন্দের সাথেই মাদক থেকে বিরত রাখছে। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক মুবারক ছায়াতলে কবুল করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ আরিফুর রহমান

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১