অবর্ণিত থাকলে তা উহ্য আছে বলে দেশবাসী শান্তনা পায়- কিন্তু বর্ণিত বিষয় বাদ দিলে তা প্রত্যাহার ও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে প্রচ- প্রচারণা পাবে। তাই শুধু রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ রাখলেই চলবে না- ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-উনার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’- এ বাক্য ও কোনমতেই বাদ দেয়া যাবে না। দিলে ৯৫ ভাগ দেশবাসী মুসলমানের কাছে প্রতীয়মান হবে-‘মহান আল্লাহ পাককেই’ বাদ দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা হবে; কিন্তু ইসলামের মালিক ‘আল্লাহ পাককে’ রাখা হবে না- এটা কেমন কথা? ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক;  কিন্তু ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’ বাক্য বাদ দিয়ে ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকার-জামাতীদের সুযোগ না দেয়া হোক- এটাই প্রজাসাধারণের প্রজ্ঞাচিত কথা।

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

ধর্মের নামে যখন রাজনীতির শুরু হলো তখন সাধারণের সরল প্রতিক্রিয়া ছিলো- ‘ভাই, সত্যিই আপনারা ধার্মিক হয়ে থাকলে রাজনীতি করছেন, কেন?’

এদেশের সাধারণ মানুষ

ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনই ধর্মের লেবাসে

ধর্মের ছদ্মাবরণে

ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি পছন্দ করতো না।

এখনো করে না।

কিন্তু জিয়াউর রহমান তার রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরির অভিপ্রায়ে ধর্মের নামে রাজনীতির পত্তন ঘটান।

তার পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্মব্যবসায়ীরা সূঁচ হয়ে ঢুকে এখন ফালা হয়ে বের হচ্ছে।

এখন খোদ জিয়াউর রহমানের বিএনপিকেই কব্জা করে নিয়েছে- ধর্মব্যবসায়ী, যুদ্ধাপরাধী জামাতে মওদুদী।

গত নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা না থাকলেও কেবলমাত্র মইজ্জা রাজাকারের অঙ্গুলী নির্দেশে, কথিত আপোসহীন ম্যাডাম খালেদা জিয়া আপোস করে সুরসুর করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন।

কিন্তু ম্যাডামের নিজের হিসাবকেই ঠিক পেলেন।

তারপরেও ‘শত্রুর শত্রু-বন্ধু’ নীতিতে ম্যাডাম এখনো জামাতের কাঁধে ভর করেই চলছেন। অথবা চলতে বাধ্য হচ্ছেন।

সেক্ষেত্রে বলতে গেলে বিএনপির মধ্যেও যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রয়েছেন তারাও জামাত সম্পর্কে ভীষণ বীতশ্রদ্ধ।

বিএনপিতে মুসলিম লীগার তথা রাজাকার ঘরানার যারা রয়েছে- তারা ব্যতীত নতুন প্রজš§ তথা ছাত্রদলও জামাত শিবিরকে ভালচোখে দেখে না। অন্তর থেকে গ্রহণ করে না।

সেক্ষেত্রে ‘ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ’ এটা বলতে গেলে শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর আওয়ামী লীগের দাবি নয়; বরং এটা এখন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে।

এ দাবি সরকারকেও আন্দোলিত করেছে। তবে নীতিনির্ধারকরা অনেকেই এক জায়গায় এসে কোরাস গাইছেন যে, এজন্য ’৭২-এর সংবিধান পুনজ্জীবিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত অধিবেশনে সংসদ উপনেতা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে স্বীকার করেছিলেন যে, ‘স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন একটা পোড়ামাটির বিধ্বস্ত দেশ।’

বঙ্গবন্ধু বলতে গেলে সোনার বাংলা গড়ার উপযুক্ত সময় এবং কাক্সিক্ষত ও বাঞ্ছিত পরিবেশ পাননি।

এ ধারার উপলব্ধি সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া

প্রাসঙ্গিক।

বঙ্গবন্ধু সংসদে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের প্রথম দিনের ভাষণে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেছিলেন,

æ…কোন দেশে কোন যুগে আজ পর্যন্ত এত বড় রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পরে এত তাড়াতাড়ি শাসনতন্ত্র দিতে পারে নাই। দেশের কী অবস্থা ছিল, জনসাধারণ জানে। কয় পাউন্ড বৈদেশিক মুদ্রা ছিলো, সকলেরই জানা আছে। রাস্তাঘাটের কী অবস্থা ছিলো, সবই আপনারা জানেন। চাউলের গুদামে কত চাউল ছিল, এ সবই আপনাদের জানা আছে।

ভারত স্বাধীন হয় ১৯৪৭ সালে। শাসনতন্ত্র দিতে লাগলো ১৯৫০ সাল। ২৫ বছরে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার শাসনতন্ত্র দিতে পারে নাই। দুনিয়ার ইতিহাসে দেখা যায় না, দশ মাসের মধ্যে কোন দেশ শাসনতন্ত্র দিতে পেরেছে।…”

প্রতিভাত হচ্ছে যে, সময়ের স্বল্পতা, পরিস্থিতির প্রতিকূলতার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু যেমন অভীষ্ট ‘সোনার বাংলা’ দিতে পারেননি তেমনি অতি দ্রুত শাসনতন্ত্র দেয়ার কারণে এবং কাক্সিক্ষত এবং বাঞ্ছিত সহযোগিতার অভাবের কারণে তার মহত্ত্ব ও আদর্শ অনুযায়ী যথাযথ শাসনতন্ত্র দেয়ার ক্ষেত্রেও সাবলীলভাবে এগিয়ে যেতে পারেননি।

তবে বঙ্গবন্ধু সেদিনের ভাষণে আগামী প্রজšে§র কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তারা বঙ্গবন্ধুর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সে প্রত্যাশা করেছেন।

সেক্ষেত্রে আমাদেরকে যে পিছনে ফিরে আক্ষরিক অর্থেই হুবহু ’৭২-এর সংবিধানেই যেতে হবে- এমন কথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের প্রতিপাদ্য বিষয় নয়।

তবে কথা হলো যে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

সেক্ষেত্রে পঞ্চম সংশোধনী একটি পদক্ষেপ। কারণ, এতে করে সংবিধানের ৩৮ নম্বর অনুচ্ছেদ পুনজ্জীবিত হয়েছে।

যাতে করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের কথা আছে।

সংবিধানের ৩৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, æশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেসম্পন্ন বা লক্ষ্যানুসারী কোন সাম্প্রদায়িক সমিতি বা লক্ষ্য কিংবা অনুরূপ উদ্দেশ্যসম্পন্ন বা লক্ষ্যানুসারী ধর্মীয় নামযুক্ত বা ধর্মভিত্তিক অন্য কোন সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার বা তাহার সদস্য হইবার বা অন্য কোন প্রকারে তাহার তৎপরতায় অংশগ্রহণ করিবার অধিকার কোন ব্যক্তির থাকিবে না।”

উল্লেখ্য, সাংবিধানিক কারণে ’৭২ সালের পর থেকে জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামী ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কোন রাজনৈতিক দল গঠন করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু সামরিক আইনবলে সংবিধান সংশোধন করার পর এসব দলের আবার আত্মপ্রকাশ ঘটে।

২০০৫ সালের ২৮ আগস্ট তারিখে হাইকোর্ট ৫ম সংশোধনীকে অবৈধ বলে ঘোষণা দেয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ৩৮ অনুচ্ছেদ পুনরুজ্জীবিত হওয়ার কথা। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করায় এই ৩৮ অনুচ্ছেদ দীর্ঘদিন পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলে এ প্রশ্নটি আবারো সামনে এসে যায়। যদিও হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও জামায়াতপন্থী ৩ আইনজীবীর লিভ টু আপিল বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়টি এখনো অমীমাংসিত রয়েছে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও জামায়াতপন্থী ৩ আইনজীবীর লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে গেলে ৫ম সংশোধনীর বলে সংবিধানের যেসব ধারা সংশোধন করা হয়েছিল তা পুনরুজ্জীবিত হবে। তবে এক্ষেত্রেও আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন হয়েছে।

’৭২-এর সংবিধানে ফিরে গেলে জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামী ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না। তবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি আইন কমিশনের কাছে পাঠাবেন। কমিশনের পরামর্শ মোতাবেকই ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মূল সংবিধানে ফিরে যেতে কোন কোন অনুচ্ছেদের সংশোধনী প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখছে আইন মন্ত্রণালয়।

আইনমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ড্রাফটিং উইংকে এ ব্যাপারে একটি সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়াটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্যও আইন কমিশনে পাঠানো হবে।

তবে আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, সরকার সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ শব্দটি বাদ দেবে না।

সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী দ্বারা রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করা হয়েছে। তাই রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামই থাকবে। বিসমিল্লাহ শব্দও যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। এ নিয়ে বিতর্কের কোনও সুযোগ নেই।

আইনমন্ত্রী জানান, পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ’৭২-এর সংবিধান থেকে যেসব বিধান বাদ দেয়া হয়েছে বা যেসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আইন

কমিশনের পরামর্শ নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, পঞ্চম সংশোধনী প্রত্যাহার হলেও ’৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে সরকারকে অনেকগুলো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে।

সেক্ষেত্রে সরকার ‘বিসমিল্লাহ’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বাদ দিবে না বলেছে। এতে গোটা জাতি আশ্বস্ত হয়ে আছে।

কিন্তু বিশেষ একটি বিষয় এক্ষেত্রে গ্যাপ হয়ে আছে। অথচ এটাই সারাদেশে অনল জ্বালাতে পারে। এটি হলো-

সংবিধানের ‘প্রস্তাবনা’ এবং ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে’ অর্থাৎ দুবার স্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছে,

æসর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস।”

উল্লেখ্য, একটি পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে, পঞ্চম সংশোধনী প্রত্যাহারে এমনিতেই ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ তা উঠে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ!

-এমন মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।

কিন্তু ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের পূর্বোক্ত মন্তব্যে প্রতিভাত হয় যে, যা কিছু হোক সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগুতে হবে।

তার মানে এটা বলার অবকাশ রয়েছে যে, সরকারের নীতি নির্ধারকরা সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রক্ষা করাকেই যথেষ্ট মনে করছেন।

‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসকে উঠিয়ে দেয়াকে’- তারা দোষের কিছু মনে করছেন না। নাঊযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য, ‘বিসমিল্লাহ’ যেমন সংবেদনশীল; ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ যেমন স্পর্শকাতর

তার চেয়েও ভীষণ আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং মুখ্য বিষয় হলো- ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ তা প্রতিস্থাপন তথা উঠিয়ে দেয়া। নাঊযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য, ’৭২-এর সংবিধানে যখন তা ছিল না তখন ধর্মপ্রাণ মানুষ মনে করতো তা উহ্য রয়েছে।

কিন্তু এখন পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত থাকার পর যদি তা উঠিয়ে নেয়া হয় তাহলে তা প্রত্যেকটা মুসলমানের প্রাণে গিয়ে লাগবে।

কোন মুসলমান প্রাণ থাকতে তা মেনে নিতে পারে না।

যেমনটি মুসলমান আল্লাহ পাক ছাড়া অন্য কাউকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করতে পারে না।

‘লা-শরীক আল্লাহ;

সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা’ মুসলমান কখনই হারাতে পারে না।

উঠানো বরদাশত করতে পারে না।

বাদ দেয়া বরদাশত করতে পারে না।

দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ধর্মব্যবসায়ীদের,

রাজাকারদের

জামাতীদের কচুকাটা করতে রাজি

সে জন্য নতুন করে জীবন দিতে রাজি

কিন্তু আল্লাহ পাক-এর কথা উঠে যাবে সে কথায় রাজি হতে পারে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধুকে অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে তথাকথিত প্রগতিবাদী বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের দাবিদার জাসদকে নিয়ে।

এ মহলটি এখনো সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

’৭২-এর সংবিধান আক্ষরিক অর্থে পুনর্বহালের জন্য তারাও তৎপর।

কিন্তু আসলে এরা জনবিচ্ছিন্ন ও অতিনগণ্য।

এরা দেশের ৯৫ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের প্রতিনিধি নয়

তাদের প্রতীক নয়।

সুতরাং এ মহলটি সম্পর্কেও সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।

শুধু জামাতী, রাজাকার যুদ্ধাপরাধী ধর্মব্যবসায়ীদর সম্পর্কে সচেতন থাকলেই চলবে না।

পাশাপাশি যাদের অতি প্রগতিবাদিতার  কারণে বঙ্গবন্ধুকে আলাদাভাবে রক্ষীবাহিনী গঠন করতে হয়েছিল-

সেই সিরাজ সিকদারের বশংবদ; যারা আল্লাহ পাক-এর প্রতি আস্থা রাখে না; নাঊযুবিল্লাহ!

যারা ইসলামকে পছন্দ করে না; নাঊযুবিল্লাহ!

যারা কুরআন-সুন্নাহকে মেনে নিতে পারে না; নাঊযুবিল্লাহ!

তাদের সম্পর্কেও দিন বদলের সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।

কারণ, বর্তমান সরকারের বিজয়ের পেছনে বড় ও মুখ্য যে কারণ ছিলো, যা জনমনে বার বার উচ্চারিত; তা হলো-

‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’।

আর যেখানে ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাস না হওয়ার কথা’

সেখানে কুরআন-সুন্নাহ নাযিলকারী সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস-এর কথা উঠে কিভাবে? নাঊযুবিল্লাহ!

মূলত এ চিন্তাও বর্তমান দিন বদলের সরকারের নীতি নির্ধারকদের মাথায় আসতে পারে না।

মহান আল্লাহ পাক সবাইকে দ্বীনি সমঝ ও হিদায়েত দান করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১