আইএমএফ আর বিশ্বব্যাংক বর্তমান যামানায় ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির যথাযথ উত্তরসূরি মুসলমানদের চরম শত্রু ইহুদী লবিং নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবগত হওয়া ফরয-ওয়াজিব। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর বিরুদ্ধে দেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানের জন্য জিহাদ করা ফরয (৫)

সংখ্যা: ২১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মানুষের জীবনের অতি প্রয়োজনীয় খাত স্বাস্থ্য। এই খাতকে ‘মুনাফালোভী বাজারমুখী’ করার কৌশল বিশ্বব্যাংকসহ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরামর্শে ও চাপে বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে নেয়া হয়েছে তার বর্ণনা করলে বলতে হয়-

æবিশ্বব্যাংকের পদ্ধতিতে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন মাপা হয় ক’জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয় তা দিয়ে, কিন্তু চিকিৎসার ফলাফল কী দাঁড়ালো তা মাপা হয় না! ফলে টাকা খরচ ও মুনাফার হিসাব-নিকাশ সহজ হয়, কিন্তু জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন হল কিনা তা নিশ্চিত হয় না।”

জনসম্পদ সৃষ্টি, মানুষকে অধিকার সচেতন করে একটি গণমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে অন্তরায় হিসেবে কাজ করেছে বিশ্বব্যাংকের নানা পরামর্শ।

স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষাকে চক্রান্ত করে একটি ভঙ্গুর ব্যবস্থা, মুনাফালোভী ব্যবস্থায় পরিণত করার কৌশল হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কয়েকটি কৌশল এখানে উল্লেখ করা গেল :

æসরকারি বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে হ্রাস করে স্ব আয়ে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে প্রতিষ্ঠিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহকে সন্ত্রাসের আখড়া উল্লেখ করে আবাসন ব্যবস্থা প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়সমূহ যেমন: সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ইত্যাদি পড়ানো বন্ধ করে ফ্যাশন ডিজাইন, ক্যাটারিং, হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম জাতীয় মুনাফা ভিত্তিক বিষয়সমূহ পড়ানো।

বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন রাখা যাবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর মঞ্জুরি কমিশনের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস ও গবেষণার বিষয়বস্তু – মুনাফালোভী সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর পরামর্শ ও আর্থিক সহযোগিতা অনুসারে নির্ধারণ করতে হবে।

প্রক্টরের নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পুলিশ গঠন করতে হবে ইত্যাদি।

পাশাপাশি উল্লেখ্য, ‘বিদেশী সাহায্য’ ‘টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স’, ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি’, ‘রুটিন এডভাইজ’ ইত্যাদি একটি মাধ্যম ব্যবহার করে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি কীভাবে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সাধারণ সম্পত্তি, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিপর্যস্ত করে ও জাতীয় সম্পদকে বহুজাতিক পুঁজির দখলে নিয়ে যায় তার আরেক প্রত্যক্ষ উদাহরণ বাংলাদেশের জ্বালানি খাত।

বাংলাদেশের জনগণ য জ্বালানি সম্পদের মালিক সেই সম্পদের অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করে, নানা মিথ্যা অজুহাত, দুর্নীতির মাধ্যমে সেই সম্পদকে বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত করেছে বিশ্বব্যাংক।

উল্লেখ্য,বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বহুজাতিক কোম্পানিগুলির পাওনা পরিশোধের জন্য সরকারকে চাপ দিতে কখনও ক্ষান্ত হয়নি। কিন্তু যেসব সংস্থার হাতে দেশের গ্যাস ব্লকগুলো তুলে দেবার জন্য তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য সংস্থা সবসময়ই নীরব ছিল। এই দুই বিস্ফোরণের ঘটনায় যে ক্ষতিপূরণ পাবার কথা তা বিশ্বব্যাংক-এডিবির সম্মিলিত ঋণ অনুদানের প্রায় তিনগুণ। অর্থাৎ এই ক্ষতিপূরণ টাকা আদায় করলে ঋণজাল থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে আসতে এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে সম্পূর্ণ সচল ও স্বনির্ভর করতে সক্ষম।

উপনিবেশ-উত্তরকালে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের খবরদারি, প্রভুত্ব বিস্তারের মাধ্যমে বিশ্বপুঁজি, সাম্রাজ্যবাদীগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করে আসছে আর যার বিনিময়ে বিশ্বের বিশাল জনগোষ্ঠীর সম্পদ ও সম্ভাবনাগুলো ধ্বংস ও নিষ্পেষিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাসমূহ কেবলমাত্র যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ, প্রযুক্তি, কারিগরি সহায়তা, বুদ্ধি পরামর্শ প্রদান করে তা নয়, আমাদের অনেকের চিন্তা-চেতনাতেও তাদের নিয়ন্ত্রণ দেখা যায়। বিশ্বব্যাংক বা ‘দাতা’রা কী বলল, তারা সাহায্য বন্ধ করলে কী হবে, তারা সন্তুষ্ট কি না – এমন হাহাকার করতে দেখা যায়। আবার, এই প্রতিষ্ঠানগুলো ‘সাহায্য প্রদান’, ‘ঋণ সাহায্য’ করছে এমন ঘটনা ফলাও করে প্রচার করা হয়, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা খুব গর্ব করে তা ঘোষণা করে। কিন্তু এর অন্তরালে যে ভয়াবহ, সর্বনাশা একটি কৌশল আসছে তা নিয়ে গণমানুষের জাগরণ, সচেতনতা অতি আবশ্যক।

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১