আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারক বিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করার আবশ্যকতা

সংখ্যা: ২৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

لَّا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ أُولَـٰئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُم بِرُوحٍ مّنْهُ وَيُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا رَضِىَ اللّـهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ أُولئِكَ حِزْبُ اللّهِ اَلَا اِنَّ حِزْبَ اللّـهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিরুদ্ধচারণকারীদের সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাসীগণ উনাদেরকে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে আপনি কখনোই পাবেননা। বিরুদ্ধচারণকারীরা যদিও ঈমানদার উনাদের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতি, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন হোক না কেন। মুবারক শানে বিরুদ্ধচারণকারীদের সাথে সম্পর্ক ছেদকারী ঈমানদারগণ উনাদের অন্তরে ঈমানকে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে গাইবী মদদ দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। উনাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে যার তলদেশে নহর প্রবাহিত রয়েছে। সেখানে উনারা অনন্তকাল ধরে অবস্থান করবেন। উনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তুষ্ট এবং উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলে সক্ষম হয়েছেন। উনারাই মহান আল্লাহ পাক উনার দল। আর মহান আল্লাহ পাক উনার দলভূক্তগণই সফলকাম হবেন। (পবিত্র সুরা মুজাদালাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২২)

অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনাদের সংশ্লিষ্ট-সম্পৃক্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব উনাদের শান মুবারকের খিলাফ কোন কাজ মু’মিন কখনোই করতে পারেনা। আবার শান মুবারকের খিলাফকারীদের সাথে কোন ধরণের সম্পর্কও বজায় রাখতে পারেনা। বরং সর্ব ক্ষেত্রে মু’মিন প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করবে। উপরোক্ত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে কয়েকটি বিষয় সুস্পষ্ট। (১) মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শান মুবারক বিরোধী অপতৎপরতা মু’মিন রুখে দিবে। তাহলে যে রুখে দিবেনা, সে মু’মিন থাকবেনা। (২) শান মুবারক বিরোধী অপতৎপরতাকারীদের সাথে মু’মিন কোন বন্ধুত্ব স্থাপন করবেনা। তাহলে যে ব›দ্ধুত্ব স্থাপন করবে, সে মু’মিন থাকবেনা। (৩) শান মুবারক বিরোধী অপতৎপরতাকারীদের সাথে মু’মিন সর্ব প্রকার সম্পর্ক ছেদ করবে। তাহলে যে সম্পর্ক ছেদ করবেনা, সে মু’মিন না। (৪) শান মুবারক বিরোধী কাজে প্রতিবাদকারীগণ উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার গাইবি মদদ অবধারিত। তাহলে যারা প্রতিবাদ করবেনা, তাদের জন্য কোন গাইবি মদদ থাকবেনা। (৫) শান মুবারক বিরোধী কাজে প্রতিবাদকারী উনাদের জন্য চির শান্তিময় জান্নাত অবধারিত। তাহলে যারা প্রতিবাদ করবেনা, তাদের জন্য জাহান্নাম আবশ্যক। (৬) শান মুবারক বিরোধী কাজে প্রতিবাদকারী উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দি মুবারক নির্ধারিত। তাহলে যারা প্রতিবাদ করবেনা, তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তুষ্টি নির্ধারিত। (৭) শান মুবারক বিরোধী কাজে প্রতিবাদকারী উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার দলভূক্ত। তাহলে যারা প্রতিবাদ করবেনা, তারা শয়তানের দলভূক্ত।

বলাবাহুল্য যে,  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত কিছুর মূল। উনারা সমস্ত কিছুর কেন্দ্র বিন্দু। উনাদের শান মুবারক বিরোধী কোন ধরণের অপতৎপরতা মহান আল্লাহ পাক তিনি কখনোই বরদাস্ত করেননা।

যেমন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-

عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال صعد رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم الصفا فقال يا صَباحاهُ فاجتمعت إليه قريش فقالوا مالك قال أرأيْتُكُمْ إنْ أخْبَرْتُكُمْ أنَّ العَدُوَّ مُصَبّحُكُمْ أوْ مُمَسّيكُمْ أما كُنْتُمْ تُصَدقُونَنِي قالوا بلى قال فإني نَذِير لَكُمْ بَينَ يَدَيْ عَذَابٍ شَدِيدٍ فقال أبو لهب تبا لك ألهذا دعوتنا وجمعتنا فأنـزل الله  تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ إلى آخرها .

অর্থ: হযরত ইবনে আববাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাফা পাহাড়ে আরোহন মুবারক করে কুরাইশদেরকে আহবান করলেন। তখন নেতৃস্থানীয় কিছু কুরাইশ সেখানে উপস্থিত হলো। তারা বললো আমাদেরকে কেন ডাকা হয়েছে? তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, “আমি আপনাদেরকে দেখিয়ে দিলে অথবা আমি যদি আপনাদেরকে বলি, নিশ্চয়ই এই পাহাড়ের পাদদেশে শত্রু রয়েছে যারা সকালে অথবা সন্ধ্যায় আপনাদেরকে আক্রমণ করবে; একথা কি আপনারা বিশ্বাস করেন? তারা বললো, হ্যাঁ আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের কঠিন আযাবের ভীতি প্রদর্শন করছি। (মহান বারী তায়ালা উনার আহবান শুনে কিছু সংখ্যক কুরাইশ সেখান থেকে চলে গেলো। কেউ কেউ উত্তেজিত হলো।) তখন আবু লাহাব উত্তেজিত হয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ধ্বংস কামনা করে বললো, এ জন্যই কি আমাদেরকে একত্রিত করেছেন? (নাউযুবিল্লাহ) ফলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম উনার পক্ষ হতে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আবু লাহাবের প্রতি অভিসম্পাত করে সুরা লাহাব নাযিল করেন। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

পবিত্র সুরা লাহাব শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وتَبَّ. مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ. سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ. وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ. فِي جِيدِهَا حَبْل مِن مَّسَدٍ.

অর্থ: (১) আবূ লাহাবের দু’হাত ধ্বংস হলো এবং সে নিজেও ধ্বংস হলো। (২) কোন কাজে আসবে না বা কোন ফায়দা দিবে না তার আল-আওলাদ, মাল-সম্পদ যা কিছু সে উপার্জন করেছে। (৩) অচিরেই বা অতিশীঘ্রই সে শিখাবিশিষ্ট আগুনে প্রবেশ করবে। (৪) এবং তার স্ত্রীও যে কাঠ বা লাকড়ি বহনকারিনী। (৫) তার গলায় রশি থাকবে যা খেজুর গাছের ছাল বা বাকলের দ্বারা তৈরি।

এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি কায়িনাতবাসীকে কয়েকটি বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন। প্রথমত, যে বা যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার সংশ্লিষ্ট-সম্পৃক্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ও নিদর্শন মুবারক উনাদের শান মুবারকের খিলাফ কোন কথা বলবে বা কাজ করবে, তাদের ধ্বংস কামনা করে দুআ করতে হবে। আইন অনুযায়ী তাদেরকে দুনিয়াবী শাস্তির আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।  দ্বিতীয়ত, তাদের সাথে এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্টজনদের সংগ ত্যাগ করতে হবে। তাদেরকে বয়কট করতে হবে। তৃতীয়ত, তাদের ধন সম্পদের উপকারিতা রোধ করতে হবে। তাদের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। চতুর্থত, এ নিকৃষ্ট লোকদের জন্য দুনিয়াতেই রয়েছে লাঞ্ছনা এবং কঠিন পরিণতি।

অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনাদের সংশ্লিষ্ট-সম্পৃক্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ও নিদর্শন মুবারক উনাদের শান মুবারকের খিলাফ কথা ও কাজের অপতৎপরতা পরিচালনাকারীদেরকে সর্বোতভাবে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করতে হবে। যা অন্যান্য আরো অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত।

কিতাবে উল্লেখ করা হয়, ৬ষ্ঠ হিজরীতে বনী মুস্তালিক জিহাদের সফরকে কেন্দ্র করে মুনাফিকরা উম্মুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারকে অপবাদ লেপনের অপচেষ্টা চালায়। যা ইতিহাসে ‘ইফকের ঘটনা’ নামে মশহুর। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ১১ হতে ২০ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারকে উনার পবিত্রতা মুবারকের ঘোষণা করেন। সেখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি মুনাফিকদের অপতৎপরতার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করার বিষয়টি উল্লেখ করে ইরশাদ মুবারক করেন-

لَّوْلَا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ ظَنَّ الْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بِأَنفُسِهِمْ خَيْرًا وَقَالُوا هـذَا إِفْكٌ مُّبِينٌ

অর্থ: যখন আপনারা (মুনাফিকদের অপবাদ রটানোর অপতৎপরতার বিষয়টি) শুনলেন, তখন কেন আপনারা মু’মিন-মু’মিনা উনাদের প্রতি সুধারণা পোষণ করলেননা এবং কেন আপনারা বললেননা যে এটা সুস্পষ্ট অপবাদ। (সুরা নূর শরীফ, আয়াত শরীফ ১২)

অর্থাৎ, যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার সংশ্লিষ্ট-সম্পৃক্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ও নিদর্শন মুবারক উনাদের শান মুবারকে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা মু’মিনদের জন্য আবশ্যক। আবার উনাদের শান মুবারক বিরোধী সর্ব প্রকার অপবাদ ও অপতৎপরতার সম্মিলিত প্রতিবাদ করা সকলের জন্যই আবশ্যক। আর এ বিষয়টিই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-

عن حضرت أبى سعيد الخدرى رضى الله تعالى عنه قال  سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: من رأى منكم منكرا فليغيره بيده، فإن لم يستطع فبلسانه، فإن لم يستطع فبقلبه وذلك أضعف الإيمان و فى رواية اخرى وليس وراء ذلك من الإيمان حبة خردل .

অর্থ: হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজ দেখবে, সে সরাসরি হাতে বাধা দিবে। হাতে বাধা দেওয়ার সামর্থ না থাকলে মুখে বাধা দিবে অর্থাৎ মুখে বলবে। সরাসরি মুখে বলার সামর্থ না থাকলে অন্তরে খারাপ জানবে ও ঘৃণা করে সরে যাবে। আর অন্তরে খারাপ জেনে সরে যাওয়াটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমানের পরিচয়। অপর বর্ণনায় রয়েছে, বর্ণিত তিন অবস্থার পর ঈমানের শস্য পরিমাণ স্তরও অবশিষ্ট নেই। (মুসলিম শরীফ)

অর্থাৎ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার সংশ্লিষ্ট-সম্পৃক্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ও নিদর্শন মুবারক উনাদের শান মুবারক বিরোধী সর্ব প্রকার অপতৎপরতা প্রতিবাদ করতে হবে। সাধ্য থাকলে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে সে কাজ বন্ধ করতে হবে। সরাসরি হস্তক্ষেপ করার সাধ্য না থাকলে মুখে প্রতিবাদ করবে। আর যদি প্রতিবাদ করার কোন সামর্থই না থাকে, তাহলে অপতৎপরতাকারীদের পক্ষ অবলম্বন না করে, সেখানে অবস্থান না করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে হবে। তবে স্থান ত্যাগ করে চলে যাওয়া হলো দূর্বল ঈমানের পরিচায়ক।

বলাবাহুল্য যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার সংশ্লিষ্ট-সম্পৃক্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ও নিদর্শন মুবারক উনাদের শান মুবারক উনার খিলাফ কার্যক্রমে বর্তমান সময়ে মুসলিম উম্মাহর চির শত্রু সমস্ত বিধর্মীরা বেশ অপতৎপরতা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক পরিম-লে তারা তাদের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এমনকি সংখ্যগরিষ্ঠ ৯৮ ভাগ মুসলমানের মাতৃভূমি বাংলাদেশেও বিভিন্নভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার সংশ্লিষ্ট-সম্পৃক্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ও নিদর্শন মুবারক তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের এবং পবিত্র কা’বা শরীফ, পবিত্র রওজা শরীফ, পবিত্র কুরআন শরীফসহ মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত নিদর্শন মুবারক উনাদের শান মুবারক উনার খিলাফ বিভিন্ন অপতৎপরতা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! এহেন পরিস্থিতিতে মুসলিম উম্মাহর করণীয় কি? মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব কি? মুসলমানদের মুসলিম পরিচয়ের স্বার্থকতা কোথায়? মুসলমানদের ঈমানের দাবী কি?

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে মুসলমানদের দায়িত্ব-কর্তব্য ও করণীয় অনেক। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী সমস্ত কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ বা হস্তক্ষেপ করা যায়। যথা-

প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ: এদেশের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকারী অধিকাংশ লোকই মুসলমান। দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের অধিকাংশ সদস্য, সমস্ত বাহিনী প্রধান, সরকারী অধিকাংশ চাকরীজীবিসহ দেশের আপামর জনতা মুসলমান। তাই, প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী সমস্ত অপতৎপরতা রোধে আইন মেনে নিজ নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করা।

লিগ্যাল নোটিশ: বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হতে স্বীকৃত এডভোকেটদের উচিত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী সমস্ত অপতৎপরতাকারীদের জবাবদিহীতা গ্রহণে লিগ্যাল নোটিশ বা উকিল নোটিশ পাঠানো। এতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা কিছুটা হলেও দমে যাবে।

মামলা-মোকাদ্দামা: সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকাদ্দামা করা যায়। বাংলাদেশী আইন অনুযায়ী সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী  অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, মানহানী, সামাজিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পাদনসহ বিভিন্ন ধারায় নি¤œ আদালত ও উচ্চ আদালতে মামলা করা যায়। তাছাড়া এদেশের রাষ্ট্রদ্বীন যেহেতু সম্মানিত ইসলাম, সেহেতু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী  অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও করা যায়।

উচ্চ আদালতে রিট: বিগত বছরে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধীরা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মানহানী করতে উচ্চ আদালতে রিট করেছিল। মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তারা তাদের ষড়যন্ত্রে সফল হয়নি। মুসলমানদের উচিত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী সমস্ত অপতৎপরতা রোধে অপতৎপরতাকারীদের প্রতিটি কাজের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করা।

স্মারকলিপি প্রদান: সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী সমস্ত অপতৎপরতা রোধে অপতৎপরতাকারীদের প্রতিটি কাজের বিরুদ্ধে প্রশাসন বা সরকারের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত মুসলমানরা সাংগঠনিক ও ঐক্যবদ্ধভাবে স্মারকলিপি প্রদান করতে পারে। এতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতাকারীরা যেমন কোনঠাসা হয়ে পড়বে। তারা আইনের আওতায় আসবে। তেমনি তাদের ষড়যন্ত্রগুলোও নস্যাত হয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলন: সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধীদের অনেক ষড়যন্ত্র মুসলমানদের অজানা থাকে। ফলশ্রুতিতে একদিকে মুসলমানরা প্রতিবাদ করতে পারেনা। অনেক মুসলমান নির্যাতিত হন। আবার অবহিত না থাকায় প্রশাসনও আইন অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনা। এ জন্য সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী প্রতিটি কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রশাসনের কাছে শাস্তি দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করা যায়। যা পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত মৌখিক প্রতিবাদের অংশ।

মৌখিক প্রতিবাদ: ঈমানদার মানেই ইসলাম বিরোধী প্রতিটি কাজের প্রতিবাদ করবে। সমাজের সর্ব স্তরে এই প্রতিবাদ হবে। খতীব ছাহেব জুময়ার বয়ানে, ওয়ায়েজ ছাহেব মাহফিলে, শিক্ষক পাঠদানকালে, পিতা-মাতা ঘরে সন্তানদের কাছে প্রতিবাদ জানাবেন। বন্ধুরা পরস্পরের কাছে প্রতিবাদ জানাবেন। এ ভাবে প্রত্যেক মুসলমানকে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী আইন মেনে যার যার অবস্থান থেকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী প্রতিটি কাজের প্রতিবাদ করতে হবে।

লিখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ: সম্মানিত দ্বীন ইসলামে লিখনীকে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে লিখনীর সীমাহীন ফযীলত ও গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। মুসলমানদের কর্তব্য ছিলো লিখনীকে গুরুত্ব দেওয়া। কিন্তু মুসলমানরা লিখনী হতে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ।

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধীরা তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে অধিকাংশ ক্ষেত্রে লিখনীকে গ্রহণ করে। তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী অনেক বই প্রকাশ ও প্রচার করে। একইভাবে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া তথা ফেসবুক, ব্লগ, ওয়েব সাইট, নিউজ পোর্টালসহ অনলাইনে বিভিন্নভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী লেখালেখী করে। তাদের এ সমস্ত অপচেষ্টার জবাবে মুসলমানদেরকেও লেখালেখী করতে হবে। কুৎসামূলক তাদের প্রতিটি বইয়ের জবাব দিয়ে মুসলমানদেরকেও অসংখ্য বই লিখতে হবে, প্রকাশ ও প্রচার করতে হবে। অপরদিকে ইন্টারনেট কেন্দ্রীক তাদের প্রতিটি ষড়যন্ত্রেরও জবাব সমুচিতভাবে দিতে হবে।

বদ দুআ করণ: মুসলমান মাত্রই মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে দায়েমীভাবে রুজু থাকবে। সর্বক্ষেত্রে উনাদের উপর তাওয়াক্কুল রাখা মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ জন্যই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধীদের  প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করার অন্যতম হাতিয়ার হলো মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট তাদের বিরুদ্ধে বদ দুআ করা। পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-

عن حضرت ابى هريرة رضى الله تعالى عنه  قَالَ  قَالَ رَسُولُ اللّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدُّعَاءُ سِلاحُ الْمُؤْمِنِ وَعِمَادُ الدّينِ وَنُورُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ.

অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দুআ মু’মিনের অস্ত্র স্বরূপ, দ্বীনের ভিত্তি এবং আসমান-জমীনের জন্য নূর স্বরূপ। (মুস্তাদরাকে হাকিম, আত তারগীব ওয়াত তারহীব)

অর্থাৎ, দুআ হচ্ছে মু’মিনের জন্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাই, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে মুসলমান সকলের জন্য আবশ্যক হচ্ছে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে দায়েমীভাবে বদ দুআ করা।

বলা বাহুল্য যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলামে অযথা মারামারি, কাটাকাটি, ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, কলহ-বিবাদ, ফেৎনা-ফাসাদ, সম্ভ্রমহরণ ইত্যাদী স্বীকৃত নয়। আবার প্রতিবাদ মানেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি নয়, বরং হিকমত ও কৌশলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধীদেরকে প্রতিরোধ করা এবং তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রয়োগ করা।

এখন যারা সাধ্য সামর্থ অনুযায়ী সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধীদের অপতৎপরতার প্রতিবাদ করবেনা, তাদের জন্য কঠিন পরিণতি। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت جَابِرٍ رضى الله تعالى عنه  قَالَ  قَالَ رَسُولُ اللّهِ صَلَّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْحَى اللّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلامُ أَنِ أقْلِبْ مَدِينَةَ كَذَا وَكَذَا بِأَهْلِهَا  قَالَ  فَقَالَ يَا رَبّ إِنَّ فِيهِمْ عَبْدَكَ فُلانًا لَمْ يَعْصِكَ طَرْفَةَ عَيْنٍ قَالَ  فَقَالَ  اقْلِبْهَا عَلَيْهِمْ  فَإِنَّ وَجْهَهُ لَمْ يَتَمَعَّرْ فِى سَاعَةً قَطُّ .

অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম উনাকে অহী মুবারক করলেন, অমুক অমুক শহর অধিবাসীসহ ধ্বংস করে দিন। হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আয় বারে ইলাহী! সেখানে আপনার এমন এক বান্দাহ রয়েছেন, যিনি এক মুহুর্তের জন্যও আপনার যিকির হতে গাফিল হননা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, সেই ব্যক্তিসহ শহরটি ধ্বংস করে দিন। কারণ, সেখানে সংঘটিত অন্যায়গুলোর বিরুদ্ধে সে বলে বা প্রতিবাদ তো করেইনি, এমনকি সেগুলোর প্রতি ঘৃণা জানিয়ে সে একবারের জন্য তার মুখ বাকাও করেনি। (বাইহাক্বী শরীফ, জামিউল আহাদীছ)

অর্থাৎ, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী প্রতিটি কাজের সর্বোচ্চ সাধ্য অনুযায়ী প্রতিবাদ করতে হবে। অন্যথায় খোদায়ী লা’নত আবশ্যক।

আয় বারে ইলাহী! সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধী যাবতীয় অপতৎপরতার প্রতিবাদ প্রতিরোধে উম্মাহ শক্তি, সাহস, তাওফীক্ব এবং গাইবি মদদ দান করুন। আমীন।

-আল্লামা আহমদ নুছাইর

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম