আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি তা’যীম প্রদর্শনে ব্যর্থ বা উনার আযীমী শান মুবারক বিরোধী আচরণকারীদের জন্য ইহকাল-পরকাল উভয় কালেই লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং কঠিন শাস্তি

সংখ্যা: ২৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْـتَـرُ

অর্থ: আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক বিরোধীরাই নির্বংশ তথা লাঞ্চিত ও অপমানিত। (সম্মানিত ও পবিত্র সুরা কাওছার শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)

অর্থাৎ, যে বা যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যথাযথ তা’যীম প্রদর্শন করবেনা এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমী শান মুবারক বিরোধী আচরণ করবে, তাদের জন্য ইহকাল-পরকাল উভয় কালেই লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং কঠিন শাস্তি রয়েছে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

إِنَّ الَّذِيْنَ يُـؤْذُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ لَعَنَـهُمُ اللهُ فِي الدُّنْـيَا وَالْاٰخِرَةِ وَأَعَدَّ لَـهُمْ عَذَابًا مُّهِيْـنًا

 অর্থ: নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে কষ্ট দিবে, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাত উভয় কালে লা’নত। এবং (পরকালে) তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে লাঞ্ছিত যন্ত্রণাদায়ক কঠিন আযাব।  (সম্মানিত ও পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭)

অর্থাৎ, যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যথাযথ তা’যীম তাকরীম মুবারক প্রদর্শন করবেনা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমী শান মুবারক উনার বিরোধী আচরণ করবে, উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে, উনাকে কষ্ট দিবে, তারা কখনোই নাজাত লাভ করতে পারবেনা। বরং  তাদের জন্য ইহকাল-পরকাল উভয় কালেই লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং কঠিন শাস্তি রয়েছে। এমনকি দুনিয়াতেই তারা খোদায়ী গজবে আক্রান্ত হয়ে লাঞ্ছিত ও অপমানিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে। নাউযুবিল্লাহ। দুনিয়াতে সে যতই ইবাদত করুক না কেন, তার কোন আমল কোন কাজে আসবেনা। নাউযুবিল্লাহ।

এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়, সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সময়ে কাফিল নামে এক পাদ্রি ছিলো। যে পবিত্র তাওরাত শরীফ উনার অনুলিপি তৈরীর কাজ করতো। একদিন সে লক্ষ্য করলো, গোটা তাওরাত শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক থেকে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক অনেক বেশি আলোচিত হয়েছে। তার মনে হিংসা ও বিদ্বেষ জাগলো। সে মনে মনে ভাবলো, আমাদের নবী হলেন হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম, যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলেন। উনার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নবী আর কে হতে পারেন? উনি শ্রেষ্ঠ নবী সেই হিসেবে উনার প্রতি পবিত্র তাওরাত শরীফ নাজিল করা হয়েছে অথচ উনার ছানাছিফত অর্থাৎ প্রশংসা থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানাছিফত বেশী করা হয়েছে এটা কি করে বরদাস্ত করা যায়? এ চিন্তা তার মাথায় আসতেই সে গোটা পবিত্র তাওরাত শরীফ উনার মধ্য থেকে লাল কালি দিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসম বা নাম মুবারক কেটে দিলো। নাউযুবিল্লাহ। সাথে সাথে লা’নতগ্রস্থ হয়ে ঐ রাতেই সে গুঁই সাপে পরিণত হলো। এই অবস্থায় যদি কেউ দেখে তাহলে সত্যি গুঁই সাপ ভেবে হয়তো তাকে মেরে ফেলবে, তাই সে তাড়াতাড়ি পাহাড়ের গুহায় যেয়ে আশ্রয় নিল। ঐ গুহার পাশ দিয়েই হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি তুর পাহাড়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা মুবারক বলতে যেতেন। এদিকে কাফিল পাদ্রিকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেলো। কোথায় কাফিল পাদ্রি। এমনি সময় হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাত মুবারক করার জন্য তুর পাহাড়ে রওয়ানা হলেন। পথিমধ্যে উনার সামনে গুঁই সাপের আকৃতিতে কাফিল পাদ্রি এসে তার পরিচয় দিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসম বা নাম মুবারক কেটে ফেলার মত জঘন্য বেয়াদবীর ঘটনা খুলে বললো। সাইয়্যিদুনা হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার কাছে আরজী করলো, তিনি যেন মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট তার ক্ষমার জন্য সুপারিশ করেন।

গুঁই সাপের আকৃতি ধারণকারী কাফিল পাদ্রির বারবার আরজীর কারণে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কাফিল পাদ্রির বিষয়ে জানালেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হবেনা। তখন হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, আয় বারে ইলাহী! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো অনেক বছর পর দুনিয়াতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনবেন। তাই আপনি দয়া করে সেই পর্যন্ত কাফিল পাদ্রির হায়াত বাড়িয়ে দিন, যাতে সে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার দোয়া কবুল করে কাফিল পাদ্রির হায়াত বাড়িয়ে দিলেন। অতঃপর গুঁই সাপটি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্ধানে মিশরের সেই তুর পর্বতের পাদদেশ থেকে সুদীর্ঘ সময় ধরে হেঁটে হেঁটে এক সময় কা’বা শরীফ উনার পূর্ব পাশে অবস্থিত আবু কোবায়েছ পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে অপেক্ষা করছিল। যথাসময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনলেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ করলেন।

একদা দুপুরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করছিলেন। এ সুযোগে কাফিল গুঁই সাপ পাহাড়ের গুহা থেকে আস্তে আস্তে নেমে ক্ষমা লাভের আশায় আবু জাহিলের বাড়ির সামনে দিয়ে রওয়ানা দিল। পথিমধ্যে হঠাৎ আবু জাহিলের সামনে পড়ে গেলো কাফিল গুঁই সাপ। আবু জাহিল এটিকে সত্যি গুঁই সাপ মনে করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেললো। অতঃপর এটিকে আগুনে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে ঐ ছাই একটি রুমালে নিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার মধ্যে গিয়ে বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বলুন তো এর মধ্যে কি রয়েছে? যদি বলতে পারেন তাহলে আমি মুসলমান হব। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি না বলে যদি ওই রুমালে যা আছে সেই বলে দেয় এবং আমার নুবুওওয়াত মুবারক উনার সাক্ষ্য দেয় তাতে কি তুমি মুসলমান হবে? আবু জাহিল অকপটে বললো, হ্যাঁ। তাহলে তো মুসলমান হবোই। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রুমালে বাঁধা ছাইকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করলেন, কুম বিইযনিল্লাহি ইয়া কাফিল! সাথে সাথে কাফিল জিন্দা হয়ে রুমাল থেকে লাফ দিয়ে যমীনে পড়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত (ক্বদম) মুবারক-এ ক্ষমা চাইতে লাগলো এবং কালীমা শরীফ পাঠ করলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। আবু জাহিল ভয়ে দৌড়ে দূরে গিয়ে বলতে লাগলো, আপনার মত যাদুকর আমাদের দেশে আর একজনও নেই। নাউযুবিল্লাহ! উক্ত কাফিল পাদ্রি নিজ অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে নাজাত পেয়েছে।

কাফিল পাদ্রি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে বেয়াদবী করার কারণে তার উপর সরাসরি খোদায়ী গযব নাযিল হয়েছে। সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উসীলা করে ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারকে বেয়াদবী করার কারণে আবু লাহাবের বিরুদ্বে মহান আল্লাহ পাক তিনি একখানা পবিত্র সূরা শরীফ নাযিল করেন। সে পঁচে গলে, লাঞ্ছিত হয়ে কুকুর ও শিয়ালের আহার্যরূপে কঠিন যন্ত্রণা পেয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়।

মূল কথা হলো, যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যথাযথ তা’যীম তাকরীম প্রদর্শন করবেনা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমী শান মুবারক বিরোধী আচরণ করবে, উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে, উনাকে কষ্ট দিবে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক বিরোধী কার্যকলাপে সমর্থন দিবে, সাধ্য অনুযায়ী প্রতিবাদ করবেনা, তাদের জন্য পরকালে কঠিন শাস্তি তো আছেই এমনকি দুনিয়াতেই তারা আযাব গজবে পর্যদুস্ত হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

কাজেই, সকলকে সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বাধিক মুহব্বত করতে হবে। উনাকে সর্বাধিক মুহব্বত করার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক বিরোধী কার্যক্রম হতে সার্বিকভাবে হিফাযত থাকার তাওফীক্ব মহান আল্লাহ পাক সকলকে নছীব করুন। আমীন।

-আহমদ নুছাইর

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম