আছ ছমাদু, ছাহিবুল ওয়াহ্যী, ছিবগাতুল্লাহি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ফযীলত

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

وما محمد الا رسول

“অবশ্যই মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক উনার রসূল।” (সূরা আলে ইমরান-১৪৪)

আল্লাহ পাক জাল্লাশানুহু আমাদের জন্য তথা সারা আলমের জন্য উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উছীলায়ে কুবরা তথা সবচেয়ে বড় উছীলা বানিয়েছেন। আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কেন্দ্রীয় অবস্থানে রেখে সারা আলমের সকল আয়োজনকে সুসম্পন্ন করেছেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ সারা আলমের জন্য আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং ফযল ও করমস্বরূপ। সারা বিশ্বে আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাত পাক, সীরত ছূরতকে গুরুত্বসহকারে অনুধাবণ করার জন্য ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গুরুত্ব সহকারে পালন করে আসছেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ইমামগণ। কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ, ইজমা ও কিয়াস মোতাবেক এই আনুষ্ঠানিকতা সুন্নতে উম্মত মুস্তাহসান। এর ওসীলায় বিশ্ব মুসলিম নানাভাবে আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাসিলের সুযোগ পায়।

আল্লাহ পাক বলেন-

واما بنعمة ربك فحدث

অর্থ: “আপনার প্রতিপালকের নিয়ামত বর্ণনা করুন। (সূরা দোহা-১১)

অন্য আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ পাক বলেন,

قل بفضل الله وبرحمته فبذالك فليفرحوا

অর্থ: “(হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন আল্লাহ পাক উনার ফজল ও রহ্মতের জন্য তারা  যেন আনন্দ প্রকাশ করে। (সূরা ইউনূস-৫৮)

এখানে আল্লাহ পাক উনার রহমত মূলতঃ উনার হাবীব সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ পাক বলেন-

وما ارسلنك الا رحمة للعالمين

আমি আপনাকে সারা জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি। (সূরা আম্বিয়া-১০৭)

ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আয়োজন, আনুষ্ঠানিকতা কেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত-এর মাশায়িখগণ মুহব্বতের সাথে করে থাকেন তা গভীরভাবে উপলব্ধি করার জন্য নিম্নে বর্ণিত দ্বীন-ইসলামের মহান বুযূর্গগণের ক্বওল সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।

হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন-

من انفق درهما على قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم كان رفيقى فى الجنة.

অর্থ: “যে ব্যক্তি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠ (মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্যে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে। সুবহানাল্লাহ! (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)

হযরত উমর ফারূক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেনঃ

من عظم مولد النبى صلى الله عليه وسلم فقد احيا الاسلام.

অর্থ: “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে (বিলাদত দিবসকে) বিশেষ মর্যাদা দিল সে মূলতঃ ইসলামকেই পূনরুজ্জীবিত করল। সুবহানাল্লাহ! (আন নিয়ামাতুল কুবরা)

হযরত উছমান যুন নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন-

من أنفق درهما على قراءة مولد النبى صلى الله عليه وسلم فكانما شهد غزوة بدر وحنين.

অর্থ: যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করল সে যেন বদর ও হুনায়েন যুদ্ধে শরীক থাকল। সুবহানাল্লাহ! (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)  হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন-

من عظم مولد النبى صلى الله عليه وسلم وكان سببا لقراته لايخرج من الدنيا الا بالايمان ويدخل الجنة بغير حساب

অর্থ: যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করল সে ব্যক্তি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে এবং বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ

وددت لو كان لى مثل جبل احد ذهبا فانفقته على قرائة مولد النبى صلى الله عليه سلم

অর্থ: আমার একান্ত ইচ্ছা হয় যে, আমার যদি ওহুদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকত তাহলে তা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে ব্যয় করতাম। সুবহানাল্লাহ! (আন্ নিয়ামাতুল কুবরা)

ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ

من جمع لمولد النبى صلى الله عليه وسلم أخوانا وهيأ طعاما واخلى مكانا وعمل احسانا وصار سببا لقرائته بعثه الله يوم القيامة مع الصديقين والشهداء والصالحين ويكون فى جنات النعيم.

অর্থ: যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করলো এবং খাদ্য তৈরী করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং মীলাদ পাঠের জন্য উত্তম ভাবে (তথা সুন্নাহ ভিত্তিক) আমল করলো তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক হাশরের দিন ছিদ্দীক শহীদ, সালহীনগণের সাথে উঠাবেন এবং উনার ঠিকানা হবে জান্নাতে নায়ীমে। সুবহানাল্লাহ! (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)

হযরত মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ

قال معروف الكرخى قدس  الله سره من هيا طعاما لاجل قراءة  مولد النبى صلى الله عليه وسلم وجمع  اخوانا واوقد سراجا ولبس جديدا وتبخر وتعطر تعظيما لمولد النبى صلى الله  عليه وسلم حشره  الله  يوم  القيامة  مع الفرقة  الاولى من النبين وكان فى اعلى عليين.

অর্থঃ “হযরত ইমাম মা’রুফ কারখী কাদ্দাসাল্লাহু সিররাহু রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, যে ব্যক্তি নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠের কারণে খাদ্য প্রস্তুত করবে এবং নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ-এর সম্মানার্থে মুসলমান ভাইদেরকে একত্রিত করবে, প্রদীপ বা বাতি জ্বালাবে, নতুন পোষাক পরিধান করবে, (সুগান্ধির উদ্দেশ্যে) ধুপ জ্বালাবে আতর-গোলাপ মাখবে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক তার হাশর-নশর করবেন নবী-রসূল আলাইহিস্ সালাম উনাদের প্রথম দলের সাথে এবং সে সুউচ্চ ইল্লীনে অবস্থান করবে।” সুাহানাল্লাহ!

হযরত সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

من قصد موضعا يقرأ فيه مولد النبى صلى الله عليه وسلم فقد قصد روضة من رياض الجنة لانه ما قصد ذلك الموضع الا لمحبة النبى صلى الله عليه وسلم.

অর্থ:  “যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করল সে যেন তার জন্য জান্নাতে রওজা বা বাগান নিদিষ্ট করলো। কেননা সে তা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতের জন্যই করেছে।

সাইয়্যিদুত ত্বায়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ

من حضر مولد النبى صلى الله عليه وسلم وعظم قدره فقد فاز بالايمان

অর্থ: যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আয়োজনে উপস্থিত হল এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তার ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশ্তী হবে। সুবহানাল্লাহ! (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)

আর আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

من احبنى كان معى فى الجنة

অর্থ: যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসবে সে আমার সাথেই জান্নাতে থাকবে। (তিরমিযী, মিশকাত, আন নেয়ামাতুল কুবরা)

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

ما من شخص قرأ مولد النبى صلى الله عليه وسلم على ملح او بر او شيى اخر من المأكولات الا ظهرت فيه البركة وفى كل شىء.

অর্থ: যে ব্যক্তি মিলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্য  দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয়, তাহলে এই খাদ্য দ্রব্যে অবশ্যই বরকত প্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপরই পাঠ করুক না কেন। (তাতে বরকত হবেই)। সুবহানাল্লাহ! (আন নিয়ামাতুল কুবরা)

ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেনঃ

وصل اليه من ذلك المأكول فانه يضطرب ولا يستقر حتى يغفر الله لاكله.

অর্থ: উক্ত মুবারক খাদ্য মীলাদ পাঠকারীর বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনকারীর জন্য আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয়না। (সুবহানাল্লাহ্) (আন্ নেয়ামাতুল কুবরা)

ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেনঃ

وان قرأ مولد النبى صلى الله عليه وسلم على ماء فمن شرب من ذلك الماء دخل قلبه ألف نور ورحمته وخرج منه الف غل و علة ولا يموت ذلك القلب يوم تموت القلوب.

অর্থ: যদি মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে কোন পানিতে ফুঁক দেয়, অতঃপর উক্ত পানি কেউ পান করে তাহলে তার অন্তরে এক হাজার নূর ও রহমত প্রবেশ করবে। আর তার থেকে হাজারটি বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীন রোগ দূর হবে।  যেদিন সমস্ত ক্বলব (মানুষ) মৃত্যুবরণ করবে সেদিনও ঐ মীলাদুন্নবীর পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যু বরণ করবেনা। সুবহানাল্লাহ! (আন্ নিয়ামাতুল কুবরা)

ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেনঃ

ومن قرأ مولد النبى صلى الله عليه وسلم على دراهم مسكونة فضة كانت أو ذهبا وخلط تلك الدراهم بغيرها وقعت فيها البركة ولا يفتقر صاحبها ولا تفرغ يده ببركة النبى صلى الله عليه وسلم.

অর্থ: যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে রৌপ্যের অথবা স্বর্ণের দেরহাম সমূহের উপর ফুঁক দেয় অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে। এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না। আর উক্ত পাঠকের হাত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (মীলাদ শরীফ পাঠের) বরকতে কখনও খালি হবে না। সুবহানাল্লাহ্! (আন নিয়ামাতুল কুবরা)

হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

ما من مسلم قرأ فى بيته مولد النبى صلى الله عليه وسلم الا رفع الله سبحانه وتعالى القحط والوباء والحرق والغرق والافات والبليات والبغض والحسد وعين السوء واللصوص عن أهل ذلك البيت فاذا مات هون الله عليه جواب منكر ونكير و يكون فى مقعد صدق عند مليك مقتدر.

অর্থ: যখন কোন মুসলমান নিজ বাড়ীতে মীলাদ শরীফ পাঠ করে তখন সেই বাড়ীর অধিবাসীগণের উপর থেকে আল্লাহ পাক অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারী, অগ্নিকা-, ডুবে মরা, বালা মুছীবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন আল্লাহ পাক উনার জন্য মুনকার-নাকীর ফেরেশতাদ্বয়ের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনার অবস্থান হয় আল্লাহ পাক উনার সান্নিধানে ছিদকের মাক্বামে।  সুবহানাল্লাহ! (আন্ নিয়ামাতুল কুবরা)

ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো বলেনঃ

وقال سلطان العارفين الامام جلال الدين السيوطى قدس الله سره  ونور  ضريحه فى كتابه المسمى بالوسائل  فى شرح الشمائل ما من بيت  او مسجد اومحلة  قرئ فيه مولد النبى صلى الله عليه وسلم الا حفت الملائكة ذلك البيت  اوالمسجد اوالمحلة  وصلت الملائكة  على أهل ذلك المكان  وعمهم الله تعالى  بالرحمة  والرضوان وأما المطوقون  بالنور يعنى جبرائيل وميكائيل واسرافيل وعزرائيل   عليهم  السلام فانهم  يصلون   على  من كان  سببا  لقرائة   مولد  النبى  صلى  الله  عليه  وسلم.

অর্থঃ “সুলত্বনুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর “ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল” নামক কিতাবে বলেন, যে কোন ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়, তাহলে সে ঘরে অবশ্যই আল্লাহ্ পাক উনার ফেরেশতাগণ বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন। আর আল্লাহ পাক তাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টির আওতাভুক্ত করে নেন। আর নূর দ্বার সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশ্তা, অর্থাৎ হযরত জিব্রাঈল, মীকাঈল, ইসরাফীল ও আজরাঈল আলাইহিমুস্ সালাম মীলাদ শরীফ পাঠকারীর উপর ছলাত-সালাম পাঠ করেন।” (সুবহানাল্লাহ্)

(আন নেয়ামাতুল কুবরা)

فمن اراد تعظيم مولد النبى صلى الله عليه وسلم يكفيه هذا القدر ومن لم يكن عنده تعظيم مولد النبى صلى الله عليه وسلم لو ملئت له الدنيا فى مدحه لم يحرك قلبه فى المحبة له صلى الله عليه وسلم

অর্থ: যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর তা’যীম করতে চাইবে তার জন্য উপরোক্ত বর্ণনা যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তির নিকট ঈদে মীলাদুন্নবীর তা’যীম নাই (সম্মান করে না) সারা দুনিয়া পূর্ণ করেও যদি তাঁর প্রশংসা করা হয় তথাপিও তার অন্তর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে প্রকম্পিত হবে না।

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে তাদের দলভুক্ত করুন  যারা ঈদে মীলাদুন্নবীর মর্যাদা দান করেন এবং এর মর্যাদা উপলব্ধি করেন। তিনি আমাদেরকে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাস্সুল খাস মুহিব্বীন ও অনুসারী বানিয়ে দিন। আমীন। ইয়া রাব্বাল আলামীন, আয় আল্লাহ পাক! ছলাত ও সালাম বর্ষিত করুন সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার পরিবার ও ছাহাবীগণের প্রতি কিয়ামত পযর্ন্ত।

উৎস গ্রন্থঃ

النعمة الكبرى على العالم فى مولد سيد ولد للامام العالم العلامة شهاب الدين احمد بن حجر الهيثمى الشافعى، جمع الوسائل ، سبل الهدى فى مولد المصطفى صلى الله عليه وسلم، سبل الهدى والرشد

– মুনযির মুহম্মদ গিয়াস উদ্দীন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম