আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ২১৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: ‘আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর মজলিস হচ্ছে হাক্বীকী আল্লাহওয়ালা হওয়ার মজলিস। কামালতে নুবুওয়াতের মাক্বাম হাছিলের মজলিস। আর একজন আনজুমান সদস্যের আসল মঞ্জিলে মকসুদ হচ্ছে আল্লাহ ওয়ালা অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি, উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি এবং আল্লাহওয়ালা উনাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা। সে সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য আনজুমানের প্রত্যেক সদস্যকে যথাযথ কোশেশ করতে হবে।’

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামে আ’যম, গাওছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আনজুমান মজলিস সম্পর্কিত আলোচনাকালে রাজারবাগ শরীফ-এ এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক আনজুমান সদস্যদের লক্ষ্য হচ্ছে তাকে আল্লাহওয়ালা হতে হবে। নিজে হবে এবং নিজের যারা আশেপাশে রয়েছে তাদেরকেও আল্লাহওয়ালা করতে হবে। আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য যা কার্যক্রম সেটা তাকে গ্রহণ করতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আরো বলেন, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যে বাদশাহ আকবরকে তছনছ করলেন, জাহাঙ্গীরকে তছনছ করলেন এটা এভাবেই তো করেননি। রুহানী কুওওত অর্জন করতে হয়েছে। আর রুহানী কুওওয়ত অর্জন করতে হলে ক্বলবী যিকির করতে হবে। যিকির আযকার করতে হবে, যিকির আযকার করলে যখন সে মোটামুটি একটা স্তরে পৌঁছবে তখন তার রুহানী কুওওয়ত হবে, তখন তার দ্বারা কাজ হবে। তখন তার মধ্যে আর নফসানিয়াত থাকবেনা। কাজেই আনজুমানের মজলিসগুলোতে যিকিরের জোর দিতে হবে। ছোহবত ইখতিয়ারের জন্য জোর দিতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আরো বলেন, যেকোন জিনিস লক্ষ্য ঠিক না থাকলে কাজ হয়না। আল্লাহ পাক তিনি নামাযের জন্য কা’বা শরীফ লক্ষ্য করে দিলেন। এখন নামায পড়া দরকার, কোথায় নামায পড়বে, কোন দিকে ফিরে নামায পড়বে? এক হাজার লোক দিকে যদি এক হাজার দিকে নামায শুরু করে দেয় তাহলে নামায হবে কিভাবে? বরং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। শৃঙ্খলার জন্য আল্লাহ পাক তিনি লক্ষ্য ঠিক করে দিলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আনজুমানের মূল লক্ষ্য যদি ঠিক থাকে তখন কার্যক্রম ঠিকমতো চলবে। এজন্য যিকির-আযকার করতে হবে, আসা যাওয়া ছোহবত ইখতিয়ার করতে হবে। রছম রেওয়াজ করলে কাজ হবে না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আরো বলেন, আনজুমান করতে হলে যত জায়গায়ই হোক সেটা প্রথমে যারা মজলিসের অন্তর্ভুক্ত থাকবে তাদেরকে অবশ্যই বাইয়াত গ্রহণ করতে হবে। এটা তার এক নম্বর ফরয। এরপর ছবক আদায় করতে হবে এটা তার দুই নম্বর ফরয। অর্থাৎ বাইয়াত গ্রহণ করে তার পাস আনফাস. ইশা পরে দুরূদ শরীফ অবশ্যই তাকে পড়তে হবে যেটা তার জন্য ফরয। এটা ঠিকমতো পড়তে হবে। এরপরে ছোহবত ইখতিয়ার করতে হবে। ছোহবতে তাকে আসা যাওয়া করতেই হবে। এটা তার তিন নম্বর ফরয। এরপরে আসা যাওয়া করার করার কারণে যদি আস্তে আস্তে পাস আনফাস অভ্যাস হয় তখন তার দৈনন্দিন যে সবক সেটা নিতে হবে। এই সবকটা তাকে এক ঘণ্টা করতে হবে এটাও তার জন্য ফরয। কমপক্ষে এ চারটা কাজ প্রাথমিকভাবে যদি সে পালন করতে পারে। তাহলে আশা করা যায় যে, সে আল্লাহওয়ালা হতে পারবে।

উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ ১৪৩৪ হিজরী উপলক্ষে প্রতি সোমবার শরীফ রাজারবাগ শরীফ-এ প্রস্তুতিমূলক আলোচনা মজলিস অব্যাহত রয়েছে।

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ