আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ২১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত শরীফ প্রতিবেদন: মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা ইউনুস-এর ৫১নং আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, æ(হে আমার হাবীব!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত অর্থাৎ আমাকে পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা। অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা।”

এ আয়াত শরীফ দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ আনার পবিত্র দিনটিও ঈদের দিন বা খুশির দিন তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর হিসেবে সাব্যস্ত।

তিনি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ফাযায়িল ফযীলত সম্পর্কে রাজারবাগ শরীফ-এ এক আলোচনা মজলিসে এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আরো বলেন, হাদীছ শরীফ-এর ছহীহ ও প্রসিদ্ধ কিতাব সমূহে বর্ণিত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রথম নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টি, উনার যমীনে আগমন ও উনার বিছাল শরীফ জুমুয়ার দিনে সম্পন্ন হয়েছে।

যে কারণে এ জুমুয়ার দিনটিকে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমে ঈদের দিন ঘোষণা করেন এবং এ দিনকে ঈদের দিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, এ দিনটিকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক সম্মানিত দিন হিসেবে  ঘোষণা দেন। এমনকি এ দিনটিকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এ দুই ঈদের দিন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত বলে ঘোষণা করেন।

তাহলে যাঁর উসীলায় কুল-কায়িনাত সৃষ্টি হলো এবং যিনি কুল-মাখলূক্বাতের জন্য রহমত ও নিয়ামত হিসেবে যমীনে তাশরীফ নিলেন, যিনি আগমন না করলে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনিসহ কোনো নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সৃষ্টিই হতেন না উনার সেই বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ-এর দিন কতো মহান, কতো বেশি শুকরিয়া প্রকাশের ও কতো বেশি খুশি বা ঈদ পালনের তা ফিকির করতে হবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই শরীয়ত এ দিনটিকে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম ও সাইয়্যিদে ঈদে আকবার বলে ঘোষণা করেছে এবং এ ঈদ পালন বা উদযাপন করাকে ফরযে আইন ও নাজাতেরও কারণ বলে উল্লেখ করেছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আরো বলেন, বিশ্বের সমগ্র মুসলিম দেশের সরকার তো অবশ্যই বরং সব কাফির, মুশরিকদের দেশের মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহা সমারোহে পালনের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা, মাসব্যাপী সরকারি ছুটি ঘোষণা করা,  কর্মচারীদের জন্য দু’ঈদের দ্বিগুণ অতিরিক্ত সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ ভাতা প্রদান করা, বিশেষ তাবারুকের ব্যবস্থা করা, সরকারী-বেসরকারী সব ক্ষেত্রে পণ্যে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা, গরীব-অসহায়দের নতুন কাপড় বিতরণ করা, নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা, সর্ববৃহৎ ছহীহ জীবনী মুবারক, ছহীহ-বিশুদ্ধ তথ্য সম্বলিত বিশ্বকোষ প্রকাশ, বিষয়ভিত্তিক রেসালা প্রকাশ এবং প্রচার করা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাসব্যাপী ছুটি ঘোষণা করা, সরকারী উদ্যোগে সর্ববৃহৎ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা, ধর্মীয় বা মুসলমানের কল্যাণে বিশ্বব্যাপী অবদানের জন্য উনার নাম মুবারক-এ সর্বাধিক মূল্যমানের পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করা। দেশব্যাপী প্রতিযোগীতা মাহফিল, আলোচনা সভা, মীলাদ শরীফ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা।

পাশাপাশি যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানের খিলাফ কথা বলবে বা শানের খিলাফ কোনো কাজ করবে বা আচরণ প্রকাশ করবে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪৩৩ হিজরী উপলক্ষে মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় ৭ই ছফর থেকে ৩০ রবীউল আউয়াল শরীফ পর্যন্ত রাজারবাগ শরীফ-এ পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম ৫৩ দিনব্যাপী আজিমুশ্বান বিষয়ভিত্তিক ওয়াজ শরীফ, বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও মীলাদ শরীফ, সামা শরীফ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এছাড়া সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে রাজারবাগ শরীফ থেকে মনোরম পোস্টার, ব্যানার স্টিকার, হ্যান্ডবিল, রাইটিং প্যাড, কাছীদা শরীফ এর সিডি, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক-এর ফযীলত সর্ম্পকিত রেসালাসহ আরো অনেক রেসালা প্রকাশ করা হয়।

পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম “আত তাক্বউইমুশ শামসি” নামে মুসলমানদের সৌর ক্যালেণ্ডার প্রবর্তন করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফাতুল উমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম।

আরো উল্লেখ্য যে, গত ২৩শে ছফর পবিত্র ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উপলক্ষে রাজারবাগ শরীফ-এ এক আযীমুশ্বান ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিন রাজারবাগ শরীফ-এ খুশী প্রকাশ করে সাধ্যমতো হাদিয়া পেশ করা, দান-ছদক্বা করা, গোসল করা, অধিক পরিমাণে মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও ছলাত বা দুরূদ শরীফ পাঠ করা ও ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া ২৮শে ছফর ইমামিল হুমামাইন আউয়াল, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার বিছাল শরীফ ও ২৯শে ছফর কাইয়্যুমে আউয়াল হযরত মুজাদ্দিদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিছাল শরীফ উপলক্ষেও রাজারবাগ শরীফ-এ আযীমুশ্বান ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ