আমার শায়েখ, আমার স্বপ্ন এবং কবরবাসীদের পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

আমার শায়েখ, আমার স্বপ্ন এবং কবরবাসীদের

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন


আমি মুহম্মদ মাসউদুর রহমান ফাহীম। আমি বর্তমান যামানার যিনি মহান মুজাদ্দিদ, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার একজন গোলাম। আমি গত আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ রাতে আমার মরহুম পিতা উনাকে নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখি। যিনি বিগত ৩ রবীউছ ছানী ১৪৩৫ হিজরী তারিখে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিঊন) এবং তিনিও ছিলেন বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার একজন গোলাম এবং অত্যন্ত মাহবুব সালিক। আমি আমার স্বপ্নে দেখা ঘটনা ও বাবার সাথে কথপোকথন এখানে বর্ণনা করছি-

আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ রাত্রে পবিত্র ইশা উনার নামায আদায়ের পর ঘুমাচ্ছিলাম। তখন একটি স্বপ্নে দেখলাম। আমি এবং একজন পীর ভাই দোতলার বেলকনি থেকে উপরে উঠছিলাম এবং কোনো একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম, পাশে আরেকজন পীর ভাই উঠছিলেন। দোতলা বেলকনি থেকে দেখতে পেলাম পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং-এর দোতলায় নতুন কম্পিউটার রুমের পাশে আব্বু বসে বসে তাবারুক (মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি রোযার ঈদে যে বিশেষ সেমাই-জর্দা খাওয়ান) খাচ্ছিলেন। আমি আব্বুকে বেলকনি থেকে দেখে চিৎকার দিয়ে ডেকে বলছি, ‘আব্বু আব্বু আপনি ঐ বিল্ডিং থেকে এখানে আসেন।’ তখন আমার সাথে থাকা পীর ভাইদ্বয় বলছেন, ‘আপনি কাকে আব্বু আব্বু বলে ডাকছেন?’ আমি বললাম, ওই যে দেখেন। তখনও উনারা দেখেন নাই। এটা বলার পরই দেখলাম আব্বু আমার পাশে চলে এসেছেন। (কিন্তু তিনি কিভাবে এতো দ্রুত আসলেন আমি তা বলতে পারবো না; কারণ উনাকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে বা উঠতে দেখিনি)

আমি আব্বুকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি কেমন আছেন?’

আব্বু বললেন, ভালো।

পীর ভাই উনাদের লক্ষ্য করে আব্বু বললেন, ‘আপনারা কেমন আছেন?’

উনারাও বললেন, ভালো।

এরপর আব্বু নিজে থেকেই আমাকে বললেন, ‘জানো বাবা! ঐখানে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বেশি বেশি করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হন। আর কম করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি রাগ করেন।’

আমি বললাম, ‘তাই নাকি?’

আব্বু বললেন, হ্যাঁ!

কিছুক্ষণ চুপ থেকে আব্বু আমাকে খুব গর্ব করে বললেন, ‘আমি নিজের চোখে দেখেছি মহান আল্লাহ পাক তিনি রাজাকার নেতাকে কিভাবে শাস্তি দিয়েছেন।’

উনি যখন একথা বলছিলেন তখন আমি লক্ষ্য করছিলাম আব্বুর গলায় একটি সোনার চেইন ও লকেট। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘এটা কি?’

আব্বু তখন লকেটসহ চেইনটা গলা থেকে খুলতে খুলতে বলছিলেন, ‘এটা আমাকে দেয়া হয়েছে।’ বলে চেইনটা আমার হাতে দিলেন।

আমি চেইনটা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখছিলাম। লকেট টান দেয়ার পর দেখলাম সেটা চেইন থেকে খুব সহজে আলগা করা যায়, আবার লাগানোও যায় (অনেকটা চুম্বকের মতো)।

আমি যখন এটা দেখছিলাম, তখন আব্বু বললেন, ‘দেখো! আমি যে তোমাদের সাথে দেখা করতে আসি, সেজন্য আমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে ছুটি নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি সহজে ছুটি দেন না। হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার উসীলা দিয়ে বললে তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ছুটি দেন।’

এরপরই আমার স্বপ্নটা ভেঙ্গে যায়। কিন্তু কথা বার্তার মধ্যে আব্বুর চেইনটা আমি ফেরত দিয়েছি কিনা মনে নেই।

এ স্বপ্নের মধ্যে তিনটি বিষয় বিশেষভাবে চিন্তা করি যে-

প্রথমত: আমাদের যিনি মহাসম্মানিত শায়েখ যিনি বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনন্তকালব্যাপী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা সম্মানিত বরকতময় বিলাদত শরীফ ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সম্মানার্থে মাহফিল করে থাকেন। যা ইতিহাসে নজীরবিহীন। এই অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তিনি শুধু দুনিয়ার মধ্যেই জারি করেননি, বরং কবরবাসীদের মধ্যেও জারি করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যা এই স্বপ্নের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়। বিশেষভাবে, এই পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন যদি কম করা হয় তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়াবাসীদের প্রতি যেমন নারাজী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তদ্রূপ কবরবাসীদের প্রতিও নারাজী শান মুবারক প্রকাশ করেন।

দ্বিতীয়ত: এই স্বপ্নের মাধ্যমে এটাও স্পষ্ট হয় যে, এই পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা করার কারণে কুখ্যাত ধর্মব্যবসায়ী ও রাজাকার নেতাকে কঠিন ফল ভোগ করতে হচ্ছে। ইহকালে সে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধিতা করে পার পেলেও পরকালে কিন্তু সে মহান আল্লাহ পাক উনার আযাব থেকে রক্ষা পায়নি।

তৃতীয়ত: সাধারণভাবে কবরবাসীদের ক্ষেত্রে দুনিয়াতে কেউ বলতে পারবে না যে, কোনো কবরবাসী ঐপারে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছে -এমনটা দেখেছে। কিন্তু বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার উসীলায় একমাত্র উনার গোলামগণ উনারাই ঐপারেও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করছেন। সুবহানাল্লাহ! এবং উনার উছিলা দিয়ে আরজু করলে কবরবাসীদের জন্য অসম্ভব বিষয়টিও সম্ভব হয়ে যায়। যেমন- মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার উসীলা দিয়ে দুনিয়ায় আসার জন্য আরজু করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ছুটি দেন। সুবহানাল্লাহ! যা স্বাভাবিক নয়।

সুতরাং প্রত্যেক মু’মীন-মুসলমান, জিন-ইনসানসহ সারা কায়িনাতের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হয়ে উনাদের মুবারক নির্দেশ মুতাবিক অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের সকলকে দুনিয়াতে, কবরে, হাশরে, মীজানে, পুলসিরাতে এবং জান্নাতে যেয়েও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তওফীক দান করুন এবং উনার গোলামীতে ইস্তিক্বামাত থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন।


-মুহম্মদ মাসউদুর রহমান ফাহীম।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম