আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী যালিম গং নিঃসন্দেহে গুমরাহ, বাতিল, লা’নতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-১১

সংখ্যা: ২১৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রিয় পাঠক! ইমামুল বিদয়াতীন, শায়খুল মুশরিকীন, মৃত আহম্মক রেযা খাঁর অনুসারী চট্টগ্রামের রেযাখানী গং এবং তাদের মুখপত্র কেনইবা ভয়ঙ্কর সাপের মতো নতুন করে ফনা তুলে আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল হযরত শহীদে আ’যম হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার আযীমুশ শান সিলসিলার শানে অপবাদ আরোপে মাঠে নেমেছে তার মূল রহস্যটি গত সংখ্যায় পেশ করেছিলাম।

আসল ব্যাপার ছিল, ৭ম হিজরী শতকের দিকে ইবলিসের মতো মুয়াল্লিম ইবনে তাইমিয়া যখন দ্বীনি ময়দানে নামলো তখন সে দেখলো, নতুনভাবে কোন মাসয়ালা-মাসায়িল-ফতওয়া ইত্যাদি দেবার মধ্যে তার জন্য কোন নতুনত্ব বা বৈশিষ্ট্য নেই। কারণ দ্বীন ইসলামের মোটামুটি সবক্ষেত্রেই ৭ম শতাব্দীর পূর্বে আগত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সকল ইমাম-মুজতাহিদ আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি আজমাঈন উনারা শরয়ী সমাধান দিয়ে গেছেন। নতুনভাবে কোনকিছু দ্বীনের মধ্যে সৃষ্টি করার কোন প্রয়োজনই নেই। অর্থাৎ ওই সময় এবং পরবর্তীতে যিনারাই আসবেন প্রত্যেকে মূলত পূর্ববর্তী উনাদের মুকাল্লিদ হিসেবেই মাসয়ালা-মাসায়িল-ফতওয়া বা তাজদীদী কাজ সমাধা করবেন। কিন্তু ইবলিসের সাগরিদ ইবনে তাইমিয়া দেখলো যে, এতে তো তার আলাদাভাবে নামধাম কামাই নাও হতে পারে। অতএব, এমন কিছু করতে হবে, এমন কিছু বলতে হবে যা সালফে সালিহীন বা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের কোন ইমাম-মুজতাহিদ পূর্বে বলেননি বা আমল আক্বীদা পোষণ করেননি। অবশেষে ইবনে তাইমিয়া তার নাপাক বিদয়াতী শিরকী কর্মকা-কে বিস্তার করার জন্য কিছু বিদয়াতী অনুসারী পেয়ে গেলো যাদের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আরবে জন্ম নিলো ইবনে ওহাব নজদীর নব্য বাতিল ওহাবী ফিরক্বা। নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক!

রেযাখানী ফিরক্বার ইমাম মৃত আহম্মক রেযা খাঁর বিষয়টাও অনুরূপ। মালাউন ইবলিস শয়তানের মতো ইলম হাসিলের দাবি করে আর মুয়াল্লিম হবার কসরত দেখিয়ে সেও দেখলো যে, দ্বীনী ময়দানে বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে নামধাম কামাই করা তার জন্য সহজতর কোন বিষয় নয়। অবশেষে ইবলিসের কু-প্ররোচনায় এবং ব্রিটিশ বেনিয়াদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে সে এমন এক জায়গায় হাত দিয়ে বসলো যার ফলে সেও মালাউন ইবলিস শয়তান, ইবনে তাইমিয়া, ইবনে ওহাব নজদীর মতো কারো কারো নিকট ইমাম হিসেবে অনুসরনীয় হয়ে গেলো। নাউযুবিল্লাহ!

তৎকালীন ব্রিটিশ বেনিয়াদের উদ্দেশ্য ছিলো, যে করেই হোক আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল হযরত শহীদে আ’যম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে সাধারণ জনগোষ্ঠীর নিকট হেয় প্রতিপন্ন করতে হবে। কারণ যেভাবে ¯্রােতের ন্যায় ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানরা উনার ভক্ত অনুসারী হয়ে পড়ছে তাতে করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে উপমহাদেশ হতে ব্রিটিশ বেনিয়াদেরকে লজ্জাজনকভাবে অপমানিত হয়ে বিদায় নিতে হবে। এজন্য তারা উনাকে এবং উনার অনুসারী মুজাহিদ বাহিনীকে ওহাবী অপবাদ দিতে লাগলো। কিন্তু ব্রিটিশ বেনিয়াদের এই মিথ্যা অপবাদ কোনভাবেই মুসলমানরা গ্রহণ করছে না দেখে নিরুপায় হয়ে অবশেষে কোন মুসলমান নামধারী ওলামায়ে সূ’কে ব্রিটিশ গং তালাশ করতে লাগলো। পেয়ে গেলো মৃত আহম্মক রেযা খাঁকে। আর মৃত আহম্মক রেযা খাঁ সে নিজেই চাচ্ছিল নিজের নামধামকে কিভাবে ছড়ানো যায়। এখন তো অতিরিক্ত হিসেবে ব্রিটিশদের সাহায্য সহযোগিতা উৎকোচ পেলো।

ব্যস, শুরু হয়ে গেলো আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল হযরত শহীদে আ’যম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার শানে ওহাবী অপবাদ আরোপের কুৎসিত মিথ্যা অপপ্রচার। ইবনে তাইমিয়ার কুফরী শিরকী মতবাদকে যেমন ওহাবীরা মল-মূত্রের ন্যায় ভক্ষণ করে যাচ্ছে এবং অন্যদেরকে করাতে চাচ্ছে ঠিক একইভাবে মৃত আহম্মক রেযা খাঁর অনুসারী রেযাখানী ফিরক্বার গুমরাহ মৌলভীগুলোও তাদের এদেশীয় দালাল মুখপত্রের মাধ্যমে মৃত আহম্মক রেযা খাঁর কুফরী ফতওয়াকে মল-মূত্রের ন্যায় ছড়াচ্ছে। মৃত আহম্মক রেযা খাঁর সেই পূতি:দুর্গন্ধময় মল-মূত্রকে গিলে খাচ্ছে একমাত্র তারই অনুসারী ভ- বিদয়াতী রেযাখানী ফিরক্বার সাঙ্গপাঙ্গরা।

প্রসঙ্গত বলা যায়, যেখানে আমাদের উপমহাদেশ তো বটেই এমনকি সারা বিশ্বের মু’মিন-মুসলমানদের অধিকাংশ লোকই যাহিরী-বাতিনী কিংবা ইলমী সিলসিলার ময়দানে আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল হযরত শহীদে আ’যম হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সেখানে কি করে সম্ভব গুমরাহ রেযাখানীদের পক্ষে উনাকে এবং উনার অনুসারী হক্কানী-রব্বানী আলিম-উলামদেরকে নাহক্ব বাতিল প্রমাণ করা? অথচ তাদের মাল-মসলাগুলো মালাউন ইবলিস শয়তানের যুক্তি দলীলের চেয়েও অতি নিম্নমানের। যা সামনে আমরা আলোচনা করে প্রমাণ করবো ইনশাআল্লাহ!

-মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১