আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী যালিম গং নিঃসন্দেহে গুমরাহ, বাতিল, লা’নতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক; ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-১০

সংখ্যা: ২১৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রিয় পাঠক! কি কারণে আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল, শহীদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত শহীদ আহমদ বেরলভী আলাইহিস সালাম উনাকে এই উপমহাদেশে ওহাবী মতবাদের আমদানিকারক প্রচারক ইত্যাদি তোহমত দেয়ার জন্য রেযাখানী ফিরক্বার গুমরাহ লোকজন উঠেপড়ে লেগেছে সেটা আমাদেরকে অনুধাবন করার কোশেশ করতে হবে। আমরা আগেই বলেছিলাম, তাদের দেয়া অপবাদের কারণে ইদানীং সউদী ওহাবী গং হযরত শহীদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে ভারতীয় উপমহাদেশে তাদেরই একজন সংস্কারক হিসেবে কিতাব-পত্রে উল্লেখ করে থাকে এবং সেটা সম্পূর্ণ তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ তারা এটা কোথাও প্রমাণ করতে পারেনি কিভাবে বা কোথায় কি কি ওহাবী মতবাদ তিনি এ উপমহাদেশে দিয়ে গেছেন। এছাড়া ব্রিটিশদের লিখিত বই-পত্র এবং সেটার অনুসরণকারী গুমরাহ লেখকরা তাদের লেখালেখিতে কোনপ্রকার তাহক্বীক ছাড়াই উনার শানে ওহাবী হবার অপবাদ আরোপ করে। এক্ষেত্রে তারা শুধুমাত্র দলীল হিসেবে ব্রিটিশদের ভাড়াটিয়া লেখক ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার রচিত “দ্য ইন্ডিয়ান মুসলমান’স” বইয়ের কথা উল্লেখ করে। আর এটা ইতিহাসে সুপ্রতিষ্ঠিত যে, ব্রিটিশ বেনিয়ারা সুপরিকল্পিতভাবেই আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে এমনকি উনার গোটা মুজাহিদ বাহিনীকে ওহাবী শব্দে উল্লেখ সর্বসাধারণের মাঝে একটা সাময়িক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল মাত্র। তাদের এই চক্রান্ত মিথ্যা অপবাদ কার্যকরী না হওয়াতে তারা সুকৌশলে মুসলমান নামধারীদের থেকেই আলোচিত গুমরাহ আহম্মক রেযা খাঁকে নিয়োগ দেয়। তার দ্বারা কুফরী ফতওয়া ছড়িয়ে দেয়। সেটাও গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের কুৎসিত পরিকল্পনা মাফিক কার্যকর করতে পারেনি। কেননা গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে গুমরাহ আহম্মক রেযা খাঁর বিভ্রান্ত অনুসারী যদি কোথাও দু-তিন জন থাকতো তবে তার বিপরীতে আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল, হযরত শহীদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ভক্ত অনুসারী থাকতেন শতকরা ৯৭ জন। সুবহানাল্লাহ! তারপরও ইবলিস শয়তানের মতো বিরতিহীনভাবে উনার বিরুদ্ধে ওহাবী অপবাদের কলঙ্ক লেপনের কাজটি যা শুরু করেছিল ব্রিটিশ বেনিয়ারা তা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে ফিতনা ছড়ানোর কাজটা শুধুমাত্র রেযাখানী ফিরক্বার গুমরাহ জাহিল ধর্মব্যবসায়ীরাই এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছে। এজন্য উনার শানে অপবাদ আরোপকারী তথাকথিত মোল্লা-মৌলভীদের তালিকাতে শুধুমাত্র আহম্মক রেযা খাঁ ও তার বিভ্রান্ত অনুসারীদের নামই ঘুরে ফিরে বারবার আসে। আবার এটাও সত্য যে, যদি রেযাখানীরা সমাজে মালউন ইবলিস শয়তানের মতো তাদের বাতিল ফিরক্বাকে টিকিয়ে রাখতে চায় তবে তাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতায় লিপ্ত হতেই হবে। যেমন, তাদের মুখপত্রের রজব ১৪৩২ হিজরী সংখ্যায় তারা উনার শানে যে কুৎসিত কথাবার্তা বলেছে বা লিখেছে, তা ছিল তাদের পূর্ব পরিকল্পিত। তাদের উক্ত কুফরী মুখপত্রে সরাসরি আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে একটি কথিত গবেষণা প্রবন্ধ ছাপিয়েছে। তাদের উক্ত কুফরীমূলক গবেষণাকে হালাল করার জন্য এরপরেই তাদের তথাকথিত গুমরাহ ইমাম আজাজিল চেয়ারম্যান সাহেবের জীবনী লিখেছে, যে কি-না আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে এদেশে অপবাদ আরোপকারীদের মধ্যে এক নম্বর আসামি। ঠিক এই প্রবন্ধের পরই তারা তাদের হালাল-হারাম একাকারকারী প্রশ্নোত্তর বিভাগের শুরুতেই আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার শানে লম্বা এক কুফরী ফতওয়া লিখেছে। উক্ত কুফরী ফতওয়া যে কথিত প্রশ্নের আলোকে লিখা হয়েছে বলে রেযাখানীরা দাবি করেছে তার কিয়দাংশ এখানে তুলে ধরছি। যেমন, “প্রশ্ন : কিছুদিন পূর্বে দৈনিক পূর্বকোণে জনৈক প্রবন্ধকারের প্রবন্ধে গত ১৭ মে ২০১১ ইং, দৈনিক ইনকিলাবের শেষ পৃষ্ঠায় নিউজ আকারে এবং গত ২২ মে ২০১১ দৈনিক ইনকিলাবের ৮ পৃষ্ঠায় ‘বালাকোট ডাক দিয়ে যায়’ শিরোনামে সৈয়দ আহমদ বেরলভীকে শহীদে বালাকোট, আমীরুল মু’মিনীন, ও ইমামুত ত্বরীকত হিসেবে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।” …প্রিয় পাঠক! আশা করি এতক্ষণে গুমরাহ রেযাখানী ফিরক্বার হঠাৎ করে সাপের ফনা তোলার রহস্যটি ধরতে পেরেছেন। এই সমস্ত রেযাখানী, ধর্মব্যবসায়ী বিষাক্ত সাপের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়াটা হক্বপন্থী আল্লাহওয়ালা উনাদের জন্য খুব একটা কষ্টকর কোন ব্যাপার নয় ইনশাআল্লাহ।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১