আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী আলাইহিস সালাম তিনি নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী উনার প্রতি অপবাদকারী যালিম গং নিঃসন্দেহে বাতিল, গুমরাহ, লা’নতপ্রাপ্ত, জাহান্নামী ও সুন্নী নামের কলঙ্ক রেজাখানীরা আয়নায় নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখে নিক ॥ ইসলামী শরীয়ার আলোকে একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা-৬

সংখ্যা: ২১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

পাঠক! আপনারাই বলুন, যারা ওহাবীদের মতো হরদম হারাম ছবি তোলে, ভিডিও করে, ওহাবীদের মতো যারা হরহামেশা বেপর্দা হয়, ওহাবীদের মতো যারা বিদয়াতী পোশাক পরে, ওহাবীদের মতো যারা ইংরেজদের দালালী করে, ওহাবীদের মতো যারা টেলিভিশন দেখে, ওহাবীদের মতোই যারা হক্কানী রব্বানী উলামা মাশায়িখ উনাদেরকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কাফির মুশরিক বলে গালাগালি করে- তারা কোন মুখে নিজেদেরকে সুন্নী বলে দাবি করে, তারা কোন মুখে ওসীলা সিলসিলার অনুসারী দাবি করে? বরং তারাতো হারাম ছবি-ভিডিওকে, বেপর্দা-বেহায়াপনাকে, বিদয়াতী চাল-চলনকে নিজেদের ওসীলা বানিয়ে নিয়েছে। এই হারাম কুফরী বিদয়াতী ওসীলাগুলোই সুন্নী নামের কলঙ্ক। এই ভ- রেজাখানী ফিরকার অনুসারীদেরকে একসময় জাহান্নামের চেয়েও ভয়ঙ্কর স্থান জুব্বল হুযনে পৌঁছে দিবে। পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ও ইজমা ক্বিয়াসের দলীলের আলোকেই এই সত্য নিঃসন্দেহে প্রমাণিত। নতুবা এরা কি করে পীর সেজে, মৌলূভী সেজে, অহরহ মাদরাসায় দরস দিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফকে প্রকাশ্যে অমান্য করে, হারাম ছবি তুলে, ভিডিও করে, বিদয়াতী পোশাক পরে, বেপর্দা-বেহায়া হয়, আব্রাহাম লিঙ্কনের ভোট গণতন্ত্র করে? এই ভণ্ড বিদয়াতী জাহান্নামীদের কথা তাহলে কি করে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? কোন দুঃসাহসে এরা আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম বেরেলভী আলাইহিস সালাম উনাকে বাতিল বলতে চায়? কোন দুঃসাহসে এরা উনার আজিমুশশান মুবারক মকবুল সিলসিলাতে মিথ্যা কলঙ্ক লেপন করতে চায়? ইবলিস শয়তান ও তার চেলাদের প্ররোচনায় যে তারা এই লা’নতী অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে, তা একজন সাধারণ ঈমানদার মুসলমানের পক্ষেও বুঝতে পারা খুব একটা কষ্টকর হবার কথা নয়।

উল্লেখ্য, আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম বেরেলভী আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শানে এদেশীয় সুন্নী নামের কলঙ্ক, বাতিল রেজাখানী সম্প্রদায়ের মধ্যে কুৎসার বীজ বপণকারীদের অন্যতম সউদী ওহাবী রাজকীয় সরকার কর্তৃক ঘোষিত তথাকথিত ‘শায়খুল ইসলাম’ আজাজিল হক ওরফে শেরে বাংলা। সে তার নাপাক ‘দিওয়ান-ই আযীয’-এর মধ্যে সারা বিশ্বে সমাদৃত আমিরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার সাথে সম্পৃক্ত আজিমুশশান সিলসিলাকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া ও বরকত থেকে কর্তিত বলে লিখেছে এবং সারাজীবন এই কুৎসিত অপপ্রচার মুসলমানদের মাঝে চালিয়ে যাবার অপচেষ্টা করেছে। তার অবর্তমানে তারই বশংবদ চেলারা শয়তানী অপকর্মের সিলসিলা জারি রেখেছে। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! প্রকৃতপক্ষে কে বা কারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাহিরী বাতিনী নিছবত. দয়া বরকত থেকে মাহরূম কিংবা কর্তিত তা ইসলামী শরীয়তের উসূল দ্বারা সহজেই বুঝা যায়।

এ প্রেক্ষিতে বলতে হয়, উল্লেখিত আজাজিল (স্মরণীয় যে, মালাউন ইবলিশ শয়তান মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে নাফরমানী করে এখনো তার ইচ্ছেমতো দুষ্টামি ওয়াসওয়াসা দেয়ার ক্ষমতায় সচল থাকাকে একপ্রকার গাজীয়ানাই মনে করে, নাউযুবিল্লাহ!) তার কুফরী মত প্রচারের জন্য খোদ সউদী ওহাবীদের থেকেই ‘শায়খুল ইসলাম’ টাইটেল প্রাপ্ত। কারণ সউদী ওহাবীরা ভালো করেই জানে ভারতীয় উপমহাদেশ শুধু নয়, সারা দুনিয়াতেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ইলমী আমলী আকী¡দাগত বীজ বপণ করে সেগুলোকে বিকশিত করে যাচ্ছেন আমীরুল মু’মিনীন হযরত শহীদে আ’যম বেরলভী আলাইহিস সালাম উনার আজিমুশশান সিলসিলার সুমহান উলামা মাশায়িখ আজমাঈন উনারাই। উনাদের কারণে পীর-মুরীদী তথা ইলমে তাসাউফের নূরানী সিলসিলা জারি থাকছে। এই কারণে সউদী ওহাবী গং তাদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পৃথিবীর নানা প্রান্তে কতিপয় গুমরাহ বাতিল দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী মৌলূভীকে ভাড়া করে। ঐ সমস্ত ভাড়াটিয়া মৌলূভীদেরই অন্যতম হলো আলোচ্য আজাজিল গাজী। তার প্রতি রাজকীয় ওহাবীদের গোপন ইন্ধন ছিলো- তুমি মুখে মুখে সুন্নী সুন্নী সুন্নীয়ত বলতে বলতে ফেনা তুলে ফেলো আর হাক্বীক্বী সুন্নীয়তের ইমাম রাহবার আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল হযরত শহীদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার শানে মিথ্যা কলঙ্ক লেপন করো..তবেইতো তুমি শায়খুল ইসলাম, নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক! আসলে এ লোক শায়খুশ শয়তান যার কারণে সে চেয়ারম্যানগিরি করতো আর তার সমাজের ওহাবীরা তাকে একজন বিশ্বস্ত সমাজপতি হিসেবে মানতো। নাউযুবিল্লাহ! এদের মতে- কোনো কোনো বুযুর্গ আলিম তাযিমী সিজদাকে জায়িয বলেছেন। নাউযুবিল্লাহ! মুসলমান নাম নিয়ে  যারা তা’যিমী সিজদাকে জায়িয বলে তারা আবার বুযুর্গ হয় কি করে। এটাতো কাট্টা শিরিক! শিরক কুফরী করে করে রেজাখানী ফিরকাতে ইবলিসের মতো বুযুর্গ হওয়া যায় কিন্তু আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায় না।

এছাড়া এই আজাজিল আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সর্বসম্মত ফতওয়ার বিপরীতে বিশেষ রাতগুলোতে নফল নামায জামায়াত সহকারে পড়ার বিদয়াত চালু করেছে। নাউযুবিল্লাহ! আর বর্তমানে তার উত্তরসূরী বশংবদ গং হরদম হারাম ছবি তুলছে, ভিডিও করছে, গণতন্ত্র ভোট নির্বাচন করছে, বেপর্দা-বেশরা হচ্ছে এমনকি বেপর্দা কিশোরী যুবতী মেয়েদেরকে শিক্ষার নামে তালিম দিচ্ছে, বিকট বিকট সব টুপি পান্জাবী পরছে, দাড়ি কেটে চেঁছে রাখছে, হারাম টেলিভিশন সিনেমা দেখছে.. ইত্যাদি আরো অনেক হারাম কুফরী শিরকী বিদয়াতী আমলে লিপ্ত হচ্ছে। এতে সহজেই বুঝা যায় কাদের প্রতি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া রহম করুণা কর্তিত হয়েছে। একথার সাক্ষ্য যে বাতিল রেজাখানী তারা নিজেরাই দিচ্ছে সেটা দেখুন। যেমন, রেজাখানীদের নাপাক মুখপত্রের উক্ত সংখ্যার ৪২ পৃষ্ঠায় লিখা হয়েছে- (আজাজিলের মতো) বর্তমানে বিশেষ করে আমাদের সুন্নী অঙ্গনে খুব কমই দেখা যায়! অথচ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও। এমনটি না থাকার কাজ (কারণে) অনেক সুন্নী আলিমের সন্তানগণ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে ও যাচ্ছে।

আসলে আমীরুল মু’মিনীন, আওলাদে রাসূল হযরত শহীদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার প্রতি বিন্দু থেকে বিন্দুতম কুধারণা পোষণকারী, উনার সুমহান শান নিয়ে সমালোচনাকারীরা এবং তাদের অনুসারী সন্তানরা সকলেই গুমরাহ পথভ্রষ্ট হতে বাধ্য। তারা উম্মাহর মাঝে কাবিল, কেনান, আবু জাহিলের কায়িম-মক্বাম। তাদের বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। মহান আল্লাহ পাক যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তাদের জন্য ইহ-পরকালে চিরস্থায়ী লা’নত বর্ষিত হয়। আর লা’নতে পড়ার কারণেই আজ রেজাখানী গুমরাহ ফিরকার মৌলূভীগুলোর আক্বল সম্ঝ আমল সবই বরবাদ হয়েছে এবং হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!

-মুহম্মদ সালামাতুল্লাহ ইসলামাবাদী

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৩

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১২

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২১

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩১